#তুই_শুধু_আমার
রোমান্টিক লেখক
#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম
#পর্ব_6
👇👇
আমি ওদের দুইজনকে দুই পাশে বসালাম।
আমি:- রিয়া চুপ করে বসে থাকবি। একটা কথাও বলতে পারবি না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি না বলব?
রিয়া:- হু!
আমি:- মিতু একটু আগে যে ছেলেটা এল ও কে! তুই চিনিস?
মিতু:- হু ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড।
আমি:- ও তর বেস্ট ফ্রেন্ড তাই না। দেখ আমার কাছে মিথ্যা কথা বলবি না সত্যি সত্যি বল!
মিতু:- তরা আমাকে কিছুই বলতে পারবি না। আমার অনুমতি ছাড়া! এটা ভুলিস না যে তরা দুইজন আমার হাতে বন্দী?
রিয়া:- তরে তো?
আমি:- রিয়া চুপ করতে বলছি না,, একদম চুপ করে বসে থাক!
রিয়া:- কিন্তু।
আমি:- থাক তরা, দুইজন মিলে ঝগড়া কর আমি চলে যাই?
রিয়া:- সরি, এই যে মুখে আঙ্গুল দিলাম।
আমি:- মিতু আমি শুধু জানতে চেয়েছি বাস এর বেশি কিছু না। তুই কি আমার সাথে কোন গেইম খেলছিস নাকি আমার মনে হয় এসব তর আগে থেকেই প্লেন করা!
মিতু:- রাসেল তরে বলছে আমি ওর সাথে অনেক বার শারীরিক সম্পর্ক করেছি তাই তো? আর আমরা দুইজন দুইজনকে ভালবাসি।
আমি:- তুই জানিস কিভাবে ও যে এই কথা বলল!
মিতু :- কারন সবকিছুই আমি জানি। আমার কথা মতো রাসেল এসব করেছে। আর ওকে আমি এখানে এনেছি কেন জানিস, কারন রিয়ার সবকিছু নাটক করে বেঙ্গে দিছে। তাই আমিও একটু নাটক করলাম? তবে এটা ভাবিস না যে তুই বেঁচে গেলি।
আমি:- তার মানে রাসেল যা বলব সব মিথ্যা!
মিতু:- হু আমি আগে তরে ঠিকেই ভালবাসতাম তবে এখন ভালবাসি না,,তর থেকে রাসেলেই আমার জন্য বেটার আছে। আর রাসেল আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এটা ঠিক। ও যে বলছে আমাকে ভালবাসে এটাও ঠিক। কিন্তু ভয়ে বলতে পারে না কারন আমি তর সাথে রিলেশনে ছিলাম। আর আমি জানতাম ও যে আমাকে ভালবাসে। কিন্তু তখন আমি তরে পছন্দ করতাম। তবে এখন সেটা অন্য বিষয়।
আমি:- তাহলে তুই আমার পিছনে এভাবে পড়ে আছত কেন? কেন আমাকে এভাবে অত্যাচার করছিস,,যা গিয়ে রাসলকে বিয়ে কর!
মিতু বিশ্রি একটা হাসি দিয়ে বলল,,ওকে তো বিয়ে করবই তার আগে আরো কিছু কাজ আমার বাকি আছে। তর মতো রাসেল আমাকে আর যাই করুক ধোঁকা দিবে না?
আমি:- তবে যা না আমাকে কেন বিরক্ত করিস, রাসেলের কাছে যা?
মিতু:- তার আগে তরে আমি বিয়ে করব!
রিয়া:- দেখ মিতু লিমিট ক্রস করবি না।
আমি:- রিয়া চুপ করতে বলছি না! কেন মিতু আমার জীবনটা তুই এভাবে নষ্ট করতে চাস?
মিতু:- কেন মনে নাই যখন ওই ডাইনির সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলে তখন মনে ছিল না আমার কথা। আমার শরীর জ্বলে গেছিল এই ভিডিওটা দেখে। অনেক কান্না করছি আমি একা একা, তরে আমি আগে বিয়ে করব তারপর কি করব জানিস, রাসেলের সাথে তর সামনে বাসর করব আর তুই তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবি। নিজের বউ অন্য কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করবে তখন তর কেমন লাগে আমিও দেখতে চাই। তবে আমি তরে মাফ করব না আর যাই করি। আর রিয়া খেলা তো মাত্র শুরু তুই তো আমাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলি না এখন বুঝতে পারবি, আমি কি জিনিস।
রিয়া:- তুই আর কি দেখাবি আমিও তো দেখতে চাই। তো কর না ওকে বিয়ে, দেখি তর সাহস কেমন আছে।
মিতু:- সাহসের কথা আমাকে বলিস না খুব শীঘ্রই তর সাথে আমার দেখা হবে চিন্তা করিস না!
রিয়া:- নিজের জীবনে বাঁচার আশা ছেড়ে দিছি আমার যা আছে সব লাদেনের জন্য ওকে যদি না পাই তাহলে আমি যে কি করতে পারি তুইয়েও দেখতে পারবি।
মিতু:- এজন্যই তো তর সাথে আমার ভালো জমবে,,একা একা কি আর খেলা যায় বল! তবে একটা কথা মাথায় রাখবি সবসময় তদের একটা ভিডিও আমার কাছে আছে, সো আমি যাই বলব শুনতে হবে নয়লে তো জানিসই কি করব?
আমি:- কেন আমরা নিজেদের মাঝে ঝগড়া করছি বল তো। আচ্ছা মিতু রিয়া যদি তর মার পেটের বোন হত তাহলে এসব করতে পারতি আজকে।
মিতু:- তর কেন এত দরদ লাগে হু,, তবে তরে আমি বিয়ে করব এটি শিউর। বিয়ের পর তর জীবন আমি নরকে পরিবর্তন যদি না করি তখন আমাকে বলিস!,
রিয়া:- বসে বসে শুধু স্বপ্নই দেখ,,তুই বিয়ের পর ও জীবন নরক করবি আর আমি ওকে বিয়ের পর রাজা বানিয়ে রাখব। এখন লাদেন তুই চিন্তা কর কার আইডিয়া বেস্ত । সেই ছোট বেলা থেকেই তরে আমি ভালবাসি। আর তুই বুঝিস না কেন! আমি তর চাচাতো বোন বলে আমার সাথে প্রেম করা যাই না? আমি তো তর মার পেটের বোন না। তবে কিসের দ্বিধা করিস তুই হে। তর জন্য আমি কি করি নাই বল নিজের শরীর বিলিয়ে দিয়েও তর মন পেলাম না। একটা মানুষ তার প্রিয়জনকে পেতে সব দিতে দিতে অন্ধ হয়ে গেছে। আমার কাছে আর কিছুই দেবার মতো নেই! যদি থাকে, থাকলে বল আমি তা-ও তরে দিয়ে দিব। মানুষের ভালবাসা কখন জন্ম নেয় তা কেউ বলতে পারে না।
তবে আমি তরে অনেক কতটা ভালবাসি সেটা হয়তো কোনদিন প্রকাশ করতে পারব না?
মিতু:- দেখ আমার সামনে নেকা কান্না কাঁদবি না। এসব আমার একদম পছন্দ না।
আমি:- মিতু আজকে তর কাছে আমাদের একটা ভিডিও আছে বলে আমাকে তো আটকালি সাথে রিয়াকেও,,তবে আমি বার বার একটা জিনিসের অপেক্ষা করি সেটা কি জানিস সময়। তদের যা মন চাই তা কর না করব না। আমি এখানে তদের ডেকে আনছিলাম একটা সমাধান যদি করতে পারি। কিন্তু তরা যে আমার কথা শুনবি না সেটা আমি আরো আগেই আন্দাজ করতে পারছিলাম।
রিয়া:- মিতু আমাকে কষ্ট দিলে তরে আমি কিছু বলতাম না কিন্তু তুই আমার জানকে কষ্ট দিলি যাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারব না। আজকে যদি ভিডিও টা আমি না করতাম তাহলে এই অবস্থা আমাদের হত না। আমি তো ভাবছিলাম এটা করে লাদেনকে বিয়ে করে ফেলব কিন্তু তুই এসে যে এমন ভিলেনের মতো আমাদের মাঝে বসবি জানতাম না রে।
মিতু:- রিয়া তর উপর আমার আরো আগে থেকেই রাগ ছিল জানিস। আমি জানতাম তুই লাদেনকে পছন্দ করিস। আমার নজর আরো আগে তর উপর ছিল। কিন্তু তুইয়েও তো কম করিস নাই ওর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করলি যেটা আমি সহ্য করতে পারি নাই। নয়লে আজকে আমার আর লাদেনের সুন্দর একটা সংসার থাকত। সব তো শেষ করলি তুই, তরে আমি তো এভাবে ছেড়ে দিব না মনে রাখিস?
আমি:- আমার এখন তদের কথা শুনে কি মনে হচ্ছে জানিস আমি একটা খেলার পুতুল। যেভাবে পারিস সেভাবেই আমাকে নাচাবি আমি তদের কথা মতো নাচব তাই তো। যা তরা যা ইচ্ছা তাই কর আমি কিছু বলব না।
চাচি:- রিয়া রিয়া কই তুই তর বাবা তকে ডাকছে!
মিতু:- যা গিয়ে দেখ তর বাবা তরে হাসপাতালে নিয়ে যাবে তদের বাচ্চা নষ্ট করার জন্য!
রিয়া:- আরে তখন তো আমি নাটক করে পড়ে গেছিলাম। আর লাদেনের বাচ্ছা যদি আমার পেটে থাকে তাহলে আমার থেকে বেশি খুশি কেউ হবে না। আর চিন্তা করিস না বাচ্চা যদিও থাকে নষ্ট করতে পারবে না,,কারন সব হাসপাতালে আমার হাত আছে। তবে তর এই খেলা আমি খুব অল্প দিনেই শেষ করব চিন্তা করিস না।
মিতু:- আরে যা যা দেখা যাবে। তুই আর আমার কি করবি বেশি কিছু হলে জানিসই ভিডিও।
রিয়া:- তর মতো মেয়ে আর কি বা পারবে ভয় দেখিয়ে কাজ ছাড়া। আর কত দিন যে থাকতে পারিস সেটা আমি দেখব না। বস্তির মেয়ে কোথাকার
মিতু:- তবে রে?
চাচি:- আরে রিয়া এখানে এসে বসে আছিস। সেই কখন থেকে তর বাবা তরে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আর মিতু আমাদের বাসার চল।
মিতু:- না মামি আজকে বিকালে চলে যাব।
চাচি:- যা শুনছি সব কি সত্যি নাকি?
মিতু:- আরে না কি যে বলেন মামী। ও কোথায় থেকে আসছে আমি চিনি না পর্যন্ত,,আর এসেই আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে দিল। এজন্যই তো আগে বাড়িতে গিয়ে এসব সমাধান করতে হবে।
রিয়া:- ডাইনি কোথাকার মিথ্যা কথা বলিস কেন?
চাচি:- রিয়া এসব কি হচ্ছে ও কিন্তু তর বড় বোন।
রিয়া:- আমার যদি এমন বড় বোন থাকত, তাহলে ওকে আমি খুন করে জেলে যেতাম।
চাচি:- মিতু মা একটু বাহিরে যাবা লাদেনের সাথে আমার কিছু করি ছিল।
মিতু:- হু আন্টি কেন নয়?
মিতু রিয়ার দিকে চোখ লাল করে চলে গেল।
চাচি:- তুই দাড়িয়ে আছত কেন তুইয়েও যা!
রিয়া:- আম্মু আমি থাকি না।
চাচি:- তরে যেতে বলছি।
রিয়া মন খারাপ করে চলে গেল। চাচি এসে আমার পাশে বসল।
চাচি:- মন খারাপ বাবা।
আমি:- দেখ না চাচি যত খারাপ কিছু হচ্ছে সব আমার সাথে, কেন হয়। আমি কি দোষ করেছি বল।
চাচি:- আমি জানি বাবা তর এখানে কোন দোষ নেই। আমার মেয়ে সেইদিন আমাকে সব বলেছে। আর খুব কান্না করছে। কিন্তু আমি মা হয়ে কি করতে পারি বল। আর তুই নাকি ওকে বোনের নজরে দেখিস আর তর বিয়ে ঠিকেই হয়ে যাবে এজন্য ও ভয়ে এসব কিছু করে ফেরছে। কিন্তু মেয়েটা আমার অবুঝ এত কিছু বুঝে নাই বাবা। আমি কি বলি দেখ যা হয়েছে সব ভুলে যা আর রিয়াকে নিয়ে পালিয়ে দূরে কোথাও চলে যা। সব আমি রেডি করে দিব।
আমি:- কি সব বলছ চাচি মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোমার। তুমি ভাবছ আমি তোমার মেয়েকে নিয়ে দূরে কোথাও চলে যাই আর চাচা আমার মা বাবাকে আস্ত রাখবে। সেইদিন দেখ নাই আমাকে কিভাবে মারছে।
চাচি:- বাবা আমি আর কি করতে পারি বল,,তুই তো আমার ছেলের মতোই। তর কষ্ট দেখে আমার সহ্য হয় না।
আমি:- সব তোমার মেয়ের জন্য হয়েছে জান তুমি,,তুই আমাকে ভালবাসিস বলতি তাই বলে কি?
চাচি:- তুই তো আমাদের বাসায় গিয়েই বলতি আপু এই না সেই। শুধু আপু আর আপু। জানিস মানুষ জ্ঞান শূন্য কখন হয় "যখন তার কাছে বাঁচার মতো কোন পথ থাকে না" বুঝলি।
আমি:- হু চাচি দেখি সামনে কি হয়।
চাচি:- আমার তো রিয়ার জন্য ভয় হয়। যদি তরে না পাই তাহলে সত্যি সত্যি নাকি।
আমি:- ধুর চাচি এসব আজব কথা বলিও না। এসব আমি দেখে নিব। এখন বাসায় যাও তো তুমি।
চাচি:- যা করবি ভেবে চিন্তি করে করিস আর মিতুকে আমি নিজের মেয়ে মনে করতাম আর ওয়েই আজকে আমার মেয়ের মাথায় কুড়াল দিল।
আমি:- তুমি এটাও জান কিভাবে?
চাচি:- আমার মেয়ে আমাকে সব কিছু খুলে বলছে।
আমি:- আর কিছু বলা লাগবে না তুমি এখন যাও।
চাচি:- আমার মেয়ে কোন দিক দিয়ে কম বল তুই, যার কারনে ওকে তুই পছন্দ করিস না!
আমি:- তোমরা মা মেয়ে মিলে তো আমাকে পাগল বানিয়ে দিবে,,এক কাজ কর আমাকে মেরে ফেল তাহলে তোমাদের শান্তি হবে।
চাচি:- খুব কষ্ট দিয়ে ফেলছি বুঝি আমার ছেলেটাকে।
আমি:- যাও তো এখন যাও। আমাকে একটু একা থাকতে দাও।
চাচি চলে যাওয়ার পর চিন্তা করছি কি করব আমি,,কিছুই মাথায় আসছে না নিজের চুল নিজেই টেনে ছিরে ফেলি মন চাইতেছে।
আসলেই রিয়া আমার ভালোই চাই। কিন্তু ওকে তো আমি বোন হিসেবে দেখি হঠাৎ করে কিভাবে সম্ভব। আর মিতু এতটা খারাপ হয়ে যাবে আমি বুঝতেও পারি নাই।
বিকালে মিতু চলে যাবার আগে আমার কাছে এসে বলল,,,
waiting for next
,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,
0 Comments:
Post a Comment