#টক_ঝাল_মিষ্টি
#তামান্না_আঁখি
#পর্ব-১৯
শাহাদ কিছুক্ষন বাইরে দাঁড়িয়ে ফোনে কথা বললো। তারপর ফোন পকেটে রেখে ঘরের ভিতরে ঢুকলো।চোখেমুখে চিন্তার ভাব স্পষ্ট। কুহুর সামনে এসে দাঁড়িয়ে লম্বা করে শ্বাস ফেললো। কুহুর ডান হাতটা নিজের হাতে নিলো। কুহুর চোখে চোখ রেখে নরম স্বরে বলল-
"আমি যদি আর এক ঘন্টা পরে এসে তোমার সাথে ডিনারে যোগ দেই তাহলে কি তুমি রাগ করবে?"
শাহাদের কন্ঠে অনুনয়। আকুল নয়নে আগ্রহ ভরে কুহুর দিকে তাকিয়ে আছে। কুহুর উত্তরের অপেক্ষা করছে।যেন কুহুর "হ্যাঁ" বা "না" উত্তরেই শাহাদের জীবন ম*রন নির্ভর করছে। কুহু কিছুক্ষন নীরব হয়ে শাহাদের দিকে তাকিয়ে রইলো।শাহাদ অসহায় চোখে তার দিকে তাকিয়ে আছে। কুহুর খুব মায়া লাগলো। সে ঘাড় নাড়িয়ে বলল-
"না আমি রাগ করব না।আপনার যতটুকু সময় লাগে, নিন।"
শাহাদের চোখেমুখে খুশির ঝিলিক খেলে গেলো। মৃদু হেসে বলল-
"থ্যাংক্স। আমি আর এক ঘন্টা পরেই আসছি।অপেক্ষা করো কেমন!"
শাহাদ নিজের ল্যাপটপ নিয়ে লিভিং রুমে চলে এলো৷ সোফায় বসে সাম্নের টেবিলে ল্যাপটপ টা রাখলো। তারপর ল্যাপটপে কাজ করতে লাগলো। কুহু একবার বেডরুমের দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে উঁকি দিয়ে দেখলো শাহাদকে। শাহাদ কানে মাইক্রোফোন লাগিয়ে কিসব বলছে আর ল্যাপটপে আঙুল চালাচ্ছে। চোখেমুখে শান্ত ভাব থাকলেও তার অস্থিরতা বুঝা যাচ্ছে। কুহু চলে এলো। ঘরময় হাঁটতে হাঁটতে এক ঘন্টা কিভাবে কাটানো যায় সেটাই চিন্তা করতে লাগলো। সে একবার পুল সাইডে গিয়ে সামনের ছোট পাহাড়টার ঝরনাটার দিকে তাকিয়ে থাকলো। ঝরনাটা এখান থেকে বেশ দূরে কিন্তু মনে হয় কাছে, চাইলেই ছুয়ে দেয়া যাবে। কুহু কিছুক্ষন পুল সাইডে এদিক ওদিক ঘুরলো। শাহাদকে নিয়ে বিভিন্ন কথা চিন্তা করলো। লজ্জায় রাঙা হয়ে নিজেই নিজের মুখ হাতের ভাজে লুকিয়ে ফেললো।তারপর ঘরে এসে আয়নার সামনে দাঁড়ালো।।বাংলা সিনেমার নায়িকাদের মতো বিভিন্ন ভাবে ঢং করলো।ডিনার টেবিলে কিভাবে হাসবে, কিভাবে হাসলে দেখতে ভালো লাগবে সেটাও প্র্যাক্টিস করে নিলো।নিজেকে একটু আকর্ষণীয় দেখাতে শাড়ীর আঁচলটা একটু নিচে নামিয়ে আনলো।তারপরেই আবার লজ্জা পেয়ে তুলে দিলো। আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলল "বেহায়া মেয়ে"।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো সবে ২০ মিনিট কেটেছে। আবারো দরজার আড়ালে দাঁড়িয়ে একটু উঁকি দিয়ে লিভিং রুমে বসা শাহাদের দিকে তাকালো। শাহাদ আগের মতোই বসে আছে। তার সামনের টেবিলে কয়েকটা তরল পানীয়ের ক্যান রাখা।বোধ হয় কোল্ড ড্রিংক। শাহাদ দুহাত জোড় করে বসে এক ধ্যানে ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে আছে।
কুহু আর দাঁড়ালো না চলে এলো ঘরের ভিতর। বাইরে সাজিয়ে রাখা ডিনার টেবিলটার কাছে এলো। সামনাসামনি দুটো চেয়ার রাখা।কুহু সময় কাটানোর জন্য একবার একবার করে দুটো চেয়ারেই বসলো।টেবিলের উপর রাখা খাবারের প্লেটগুলো নেড়েচেড়ে ঠিকঠাক করলো। জ্বালিয়ে রাখা মোমবাতি গুলোকে খুব ভালোভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো।খুব সুন্দর মিষ্টি একটা ঘ্রান আসছে মোমবাতিগুলো থেকে।একদম মন মাতানো ঘ্রাণ। শীতল হাওয়ায় মোমবাতিগুলোর শিখা নড়ছে।কুহু উঠে পড়লো এগিয়ে গেলো সমুদ্রের দিকে। এক্টুখানি গিয়েই থেমে গেলো। আর দু এক পা গেলেই সমুদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়বে তার পায়ে। কুহুর খুব ইচ্ছা হলো শাহাদকে নিয়ে সমুদ্রের পানিতে পা ভিজাতে।
শাহাদের চোয়াল শক্ত হচ্ছে ক্রমশই। ক্রোধে নিশ্বাস ঘন হচ্ছে। তাদের দলীয় ওয়েবসাইট হ্যাক করা হয়েছে। সেখান থেকে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। শাহাদ বেশ বুঝতে পারছে এর পরের টার্গেট হচ্ছে তাদের জিমেইল একাউন্ট। জিমেইল একাউন্টটাই আসল টার্গেট। ওয়েবসাইট হ্যাক করে ওদেরকে ব্যস্ত রাখবে আর ওই ফাঁকে জিমেইল হ্যাক করবে।এতে করে বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়সহ অনেক সিক্রেটও হ্যাকারদের হাতে চলে যাবে। শাহাদ মাইক্রোফোন্টা মুখের কাছে এনে বললো-
" আর পাঁচ মিনিটের মাঝে জিমেইল সিকিউর না করতে পারলে ওদের হাতে চলে যাবে।"
অপাশ থেকে রাহাত উত্তর দিলো-
"এত তাড়াতাড়ি সম্ভব না।"
শাহাদ চোখ বন্ধ করে ফেললো। মাইক্রোফোনটা টেবিলের উপর শব্দ করে রেখে উঠে দাঁড়িয়ে পড়লো। হেঁটে গিয়ে সোফার পিছনে দাঁড়ালো। বড় বড় করে শ্বাস নিলো। দলীয় সাইবার টিমকে কাজে লাগানো হয়েছে এমনকি বাইরে থেকেও সাইবার এক্সপার্ট আনা হয়েছে। তারপরেও ওয়েবসাইট এখনো উদ্ধার করা যায় নি।শাহাদ এক টানে পড়নের শার্টটা খুলে ফেললো,ছুড়ে দিলো ফ্লোরে।ধীর পায়ে হেঁটে লিভিং রুমের কাচের দরজার সামনে দাঁড়ালো।সামনে গর্জন করা সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে কোমড়ে দুহাত রেখে বড় বড় শ্বাস ফেললো। নিজেকে কিছুটা শান্ত করে আবারো এসে বসলো ল্যাপটপের সামনে। টেবিল থেকে মাইক্রোফোনটা তুলে কানে লাগালো।
এক ঘন্টা পর কুহু এসে আবারো উঁকি দিলো।শার্টল্যাস শাহাদকে দেখে কিছুক্ষনের জন্য থমকে গেলো। শাহাদ দুহাত থুতনিতে ঠেকিয়ে বসে আছে যার কারনে হাতের পেশিগুলো আরো বেশি ফুলে আছে।মুখভঙ্গি কঠিন,চোয়াল শক্ত হয়ে আছে।চোয়াল টানটান হয়ে থাকার কারনে খোচা খোচা দাড়িগুলো আরো বেশি দৃশ্যমান দেখাচ্ছে। কুহুর ইচ্ছা হলো শাহাদকে একবার ডাক দিতে। ডেকে বলতে "এক ঘন্টা হয়ে গেছে"। কিন্তু শাহাদের সিরিয়াস মুড দেখে কিছু বলতে ইচ্ছা হলো না। নিশ্চয়ই কোথাও কোনো ঝামেলা হয়েছে।
কুহু গভীর নয়নে কিছুক্ষন শাহাদের দিকে তাকিয়ে থেকে ঘরে চলে এলো। কাচের দরজার অপাশে ডিনার টেবিলটার দিকে নজর পড়লো। কুহুর দুচোখ অভিমানে ভরে উঠলো। জোরে জোরে পা চালিয়ে ডিনার টেবিলের কাছে গিয়ে ফু দিয়ে সবগুলো ক্যান্ডেল নিভিয়ে দিলো। টেবিলের উপর জুসভর্তি একটা গ্লাস হাতে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো।ধাক্কা দিয়ে একটা চেয়ার উলটে দিলো।তারপর যেভাবে গিয়েছিলো সেভাবে ঘরে চলে আসলো। ধবধবে সাদা বিছানার এক কোনায় বসলো। দ্রুত শ্বাস পড়ছে কুহুর।চোখের কোনায় কিছুটা পানি উঁকি দিচ্ছে। অভিমানে ভারী হয়ে আসছে হৃদয়। অভিমান ভরা চোখে ঘাড় ঘুরিয়ে বিছানায় গোলাপের পাপড়ি দিয়ে আঁকা লাভ চিহ্নটার দিকে তাকালো। তারপর প্রচন্ড আক্রোশে হাত দিয়ে এলোমেলো করে দিলো লাভ চিহ্নটা। গোলাপের পাপড়িগুলো ছড়িয়ে গেলো চারপাশে। কুহুর নিজের উপর খুব রাগ হলো। তার আশেপাশের সব কিছুর উপরই রাগ হলো। সইতে না পেরে গোলাপের পাপড়ি গুলোর উপর লুটিয়ে পড়লো। চোখ বন্ধ করে বিছানার চাদর খামছে ধরে পড়ে থাকলো।
------------
নাইমুর একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে চায়ে ভিজিয়ে পাউরুটি খাচ্ছে।দুই পা জোড় করে একটা টেবিলের উপর তুলে দিয়েছে। পাউরুটি ভিজিয়ে মুখে দিয়ে এক চুমুক চা খেলো।তৃপ্তির একটা শব্দ করে বললো-
" জিমেইল হ্যাক করতে আর কতক্ষন?"
মিজান নাইমুরের কাছে এসে বললো-
"এটাক দিচ্ছি ভাই, কিন্তু ওরা মনে হয় সিকিউর করে ফেলেছে জিমেইলটা।"
"ওয়েবসাইট ই তো এখনো উদ্ধার করতে পারলো না।জিমেইল সিকিউর ফেলেছে? ভালো করে এটাক দে।"
তারপর গলা উঁচিয়ে সামনে বসে কাজ করা সাইবার এক্সপার্টগুলোকে বললো-
" সবাই ভালো করে এটাক দাও।যার এটাক জোরালো হবে সে জান নিয়ে ফিরতে পারবে।নয়তো সোজা গো*রস্থান।"
সাইবার এক্সপার্ট ছেলেগুলোর কেউ কেউ ভয়ে কুকড়ে গেলো। নাইমুর ওদের ভয় দেখে মিজানের দিকে তাকিয়ে বিশ্রি করে হাসলো। সে বেশ মজা পেয়েছে। হিশাম চৌধুরির সাথে কাজ করে আরো বেশি মজা পাচ্ছে। হিশাম চৌধুরী কথার আগে টাকা ফেলে। বুদ্ধিও আছে বেশ। এই যে আজ সাইবার এটাকের বুদ্ধিটা সবটা হিশাম চৌধুরীর। নাইমুর শুধু টাকা দিয়ে সাইবার এক্সপার্ট নিয়ে এসে এটাক দিয়েছে। হিশাম চৌধুরী নিজের দলের সাইবার টিমকেও এখানে জড়ায় নি যাতে কেউ বুঝতে না পারে এর পিছনে কে আছে। নাইমুর আরেকটা পাউরুটি চুবালো চায়ের কাপে,আগ্রহ নিয়ে তাকালো ছেলেগুলোর কম্পিউটারের স্ক্রিনের দিকে। হ্যাকিং সম্পর্কে তার কোনো ধারনা নেই কিন্তু কম্পিউটারের স্ক্রিনে থাকা বিভিন্ন লেখাগুলো তার দেখতে ভালো লাগছে।
----------
হিশাম তার ঘরের বারান্দায় চুপচাপ বসে আছে। তার দৃষ্টি বাইরে বাগানের দিকে।সকালবেলা বাগানে ফুটন্ত ফুল দেখতে ভালো লাগে।তৃপ্তি বারন্দায় এসে হিশামের পিছনে দাঁড়িয়ে চুলে হাত বুলালো। হিশাম তৃপ্তির একটা হাত টেনে নিজের হাতের মুঠোয় নিলো।গভীর চুম্বন করলো তৃপ্তির হাতের উলটো পিঠে।তৃপ্তি জিজ্ঞেস করলো-
"খাবে না?"
"রিশাম খেয়েছে?"
তৃপ্তি একটা হতাশ শ্বাস ফেলে বলল-
"ওকে খাওয়ানো আর যুদ্ধ করা একই কথা। খাবার মুখে নিয়ে বসে থাকে।"
হিশাম হাসলো।তৃপ্তির হাত টেনে এনে তার কোলে বসালো।জিজ্ঞেস করলো-
"মা ছেলের যুদ্ধে জয় হয় কার?"
"কার আবার, তোমার ছেলের।প্রতিদিনই খাবার অর্ধেক রেখে উঠে যায়। "
হিশাম চোখ বন্ধ করে তৃপ্তির কাঁধে মাথা ঠেকালো। তৃপ্তি হিশামের চুলে আলতো হাত বুলিয়ে বললো-
"কি দরকার ছিলো ওদের ওয়েবসাইট হ্যাক করে অপপ্রচার চালানো? তুমি তো চাইলে নিজে পরিশ্রম করে নির্বাচন জিততে পার। ওদের পিছনে লাগার কি দরকার?"
হিশাম ওভাবে থেকেই বললো-
"দরকার আছে। এটা রাজনীতি। এখানে এক দল আরেক দলের পিছনে না লাগলে তো আর রাজনীতি হবে না। বিরোধী দলের কাজই এটা।"
"মানুষের মন জয় করলে এমনিই মানুষ ভোট দিবে। ওদের নামে অপপ্রচার চালালে কি ওদের ভোট তোমার হয়ে যাবে?"
"আমার না হোক, ওদের তো ভোট কমলো।খান পরিবার বলে যে এত গলা ফাটায় সেটা তো কমবে।"
"মানুষ বুঝতে পেরেছে যে ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে।তাই এসব অপপ্রচার তাদের উপর প্রভাব পড়বে না।"
হিশাম হালকা হেসে মাথা তুলে তৃপ্তির দিকে তাকালো। হাসি হাসি মুখে বলল-
"পড়বে। মানুষের মনে প্রভাব না পড়লেও তাদের অবচেতন মনে পড়বে। এরপর খান পরিবারের চুল পরিমান খুঁত পেলেও সেটাকেই অনেক বড় করে দেখবে সবাই। আর একবার ওদের জিমেইল হ্যাক করতে পারলে ওদের সব সিক্রেট আমার হাতে চলে আসবে।"
তৃপ্তি স্বামীর মুখের দিকে তাকিয়ে আতংক অনুভব করলো।স্বামীকে হারিয়ে ফেলার আতংক। শুধু যে খান পরিবারই বিরোধী দল এমন তো না,আরো অনেক বিরোধী দল আছে। কিন্তু হিশাম অন্য দলগুলোর দিকে নজর না দিয়ে কেবল খান পরিবারের সাথেই শত্রুতায় লেগে আছে।এমনকি নিজের নির্বাচনী প্রচারনার ক্ষেত্রেও সে কোনো পরিকল্পনা করছে না।তার ধ্যান জ্ঞান জুড়ে আছে কিভাবে খান পরিবারের সর্বনাশ করবে।
------------
রাহাত হাত দিয়ে কয়েকবার চোখ ডললো।একটানা কম্পিউটারে দিকে তাকিয়ে থেকে তার চোখ ব্যথা করছে। আজ তাদের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা ছিলো।সকাল থেকেই গোছগাছ শুরু করে দিয়েছিলো আনিশা। কিন্তু শেষের দিকে যখন দেখা গেলো খান পরিবারের রাজনৈতিক দলীয় ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে এবং সেখান থেকে বিভিন্ন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তখন রাহাতের থেকে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না। শাহাদের অনুপস্থিতিতে রাহাতের সাহায্য খুব ই প্রয়োজন ছিলো।তাই তার মা-বাবাকে পাঠিয়ে দিয়ে সে আনিশাকে নিয়ে থেকে গেছে। আশফাক খান দলের এই দুঃসময়ে কাছে নেই।উনাকে একটা সেমিনারে ইমিডিয়েট যোগ দিতে হয়েছে। না গিয়ে উপায় ছিলো না।তিনি রাহাতের হাতে সমস্ত দায়িত্ব দিয়ে গেছেন।
আশফাক খান সহ শাহাদের ফেসবুক আইডি থেকে ওয়েবসাইট হ্যাক হওয়া নিয়ে পোস্ট করে জানিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়। এই পুরোটা সময় শাহাদ তাদের সাথে লাইনেই আছে। ভোরের দিকে হ্যাক হয়েছিলো তাদের ওয়েবসাইট।দলীয় সাইবার এক্সপার্টরা অনেক পরে জানতে পারে বিষয়টা। তারা যখন জেনেছে তখন অলরেডি ওয়েবসাইট হ্যাকারদের দখলে।প্রথম প্রথম ব্যাপারটা নিজেরা হ্যান্ডেল করার চেষ্টা করেছে কিন্তু যখন কোনো সুরাহা হচ্ছিলো না তখনি শাহাদকে জানানো হয়েছে ব্যাপারটা।
রাহাত পাশ থেকে কফির কাপটা তুলে নিয়ে চুমুক দিলো। বাংলাদেশে এখন সকাল ৯ টার উপরে বাজে। শাহাদের ওইদিকে হয়তো এখন মাঝরাত পেরিয়ে গেছে।নিশ্চয়ই শাহাদ আর কুহুর একসাথে সময় কাটানোতে ব্যাঘাত ঘটিয়েছে এই ব্যাপারটা। রাহাতের খুব খারাপ লাগলো।এত সুন্দর একটা মুহুর্ত পাওয়ার কথা ছিলো ওদের,কিন্তু এখন তাদের মাঝখানে হয়ত দেয়াল উঠে গেছে।
চলবে
[কিছু সমস্যার জন্য আমি পর্ব দিতে পারিনি। গতকাল পর্বটা দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সম্ভব হয় নি। আপনাদেরকে অপেক্ষায় রাখার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।]
0 Comments:
Post a Comment