সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার চাচাতো বোন আমার শর্ট পেন্টের অর্ধেকটা টেনে খুলে ফেলছে। শুধু নিচে জাঙ্গিয়া পড়নো আছে।
আমি:- এসব কি করছিস রিয়া, তর মাথা খারাপ হয়ে গেছে আমি তর ভাই হই?
সে যাই হস,,বলে সম্পুর্ন টান দিয়ে আমার নিচ থেকে কাপড়টা নিয়ে গেল শুধু জাঙ্গিয়া পড়ানো আছে। কোন কিছু দিয়ে যে শরীর ডাকব তাও পারছি না সব ও নিচে ফেলে রেখেছে রিয়া।
আমি যেই দাঁড়াতে যাব।
উঠবি না যেভাবে আছত, সেভাবেই শুয়ে থাক।
আমি:- দেখ তুই আমার চাচাতো বোন। আমি তরে আমার বোনের নজরে দেখি please তর সাথে আমি জোরাজোরি করতে চাই না। আর তুই তো জানিস যে আমার গার্লফ্রেন্ড আছে।
রিয়া কোন কথা না শুনে ওর শরীর থেকে সম্পূর্ন কাপড় খুলে ফেলল। এক সুতোও কাপড় নাই ওর শরীরের।
আমার চাচাতো বোন দেখতে একদম পরির মতো সুন্দর। ওর দিকে চোখ তুলে থাকনো যায় না এতই সুন্দর,বাবা মার একমাত্র মেয়ে আর ওর বাবা এখানকার এমপি।
এক তো ওর শরীরে কাপড় নাই, আবার ওর দিকে চোখ তুলে তাকানো যায় না ওর সুন্দর এর জন্য, নিজেকে কন্ট্রোল করতে চেষ্টা করছি কিন্তু কিছুতেই পারছি না। কেমন যেন ওর প্রতি আমার একটা লোভ লেগে গেল।
রিয়া কিছু বলার আগে, সব কিছু ভুলে ওকে জড়িয়ে ধরে কিস করতে লাগলাম।
প্রায় একঘন্টা পর আমার মনে হল আমি কার সাথে কি করছি। আমি বিছানা থেকে লাফ দিয়ে উঠে সরাসরি ওয়াসরুমে চলে গেলাম। গোসল শেষ করে দেখি রিয়া আমার বিছানায় শুয়ে আছে তাও আবার শরীরে এক সুতা কাপড়ও নাই। কিছুক্ষণ আগের কথা মনে হতেই।
আমি:- please তর পারে পড়ি এভাবে উলঙ্গ হয়ে থাকিস না আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না।
রিয়া:- আমি তো আজকে এভাবেই থাকব কোন কাপড় পড়ব না দেখি তুই কিভাবে আমার থেকে দূরে থাকিস।
আমি ওকে বিছানা থেকে তুলে জোর করে কাপড় পড়িয়ে দিলাম।
বিছানার এক সাইটে বসে কান্না করছি।
রিয়া আমার পায়ের কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,,কি হয়েছে তর এভাবে কান্না করছিস কেন?
আমি:- এটা তুই আমার সাথে করতে পারলি! এখন আমি মিতুকে কি জবাব দিব বল। ( মিতু হল আমার গার্লফ্রেন্ড + খালাতো বোন)
রিয়া:- তুই শুধু মিতুর কথা চিন্তা করিস আমার দিকে তাকিয়ে বলল তো আমি কোন দিক থেকে দেখতে অসুন্দর। বল আমার কি নাই। আমি কি তরে আনন্দ দিতে পারি নাই আজকে।
ঠাস!ঠাসস! করে গালে দুইটা চর দিয়ে দিলাম রিয়ার গালে।
রিয়া:- মারবি না আরো মার না করব না, সেই ছোটবেলা থেকে তরে ভালবাসি আর তুই। বলে কান্না করছে লাগল।
আমি:- তাই বলে তুই আজকে আমার সাথে ছিঃ ছিঃ ভাবতেও আমার ঘৃনা হচ্ছে। এখন আমি আমার চাচা চাচিকে কি জবাব দিব।
রিয়া:- আমি তো কোন ভুল করি নাই। ভালবাস কি অপরাধ।
আমি:- তাই বলে আমাকেই কেন? আজকে থেকে তর মনে আমাদের সম্পর্ক থাকবে যদি চাচা চাচী জানে।
রিয়া:- বিশ্বাস কর কিছু হবে না। আমি সব সামলে নিব।
আমি:- কি সামলে নিবি তুই হে! এসব করার আগে একবারও মিতুর কথা ভাবলি না? তুই তো দেখিস ও আমাকে কত ভালবাসে সব সবসময় আমাকে নিয়ে চিন্তা করে। তিন বছরের সম্পর্ক আমাদের আজকে আমি কি বলব ওকে। ওর ভালবাসা তো কোন অপরাধ ছিল না। আর তুই এই সম্পর্ক করার আগে একবারও আমার সম্মতি নিছত।
রিয়া:- please লাদেন সব কিছু ভুলে যা। আমি তরে আমার ভালবাসা দিয়ে?
আমি:- চুপ! চুপ কর তুই? তর সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না চলে যা এখন থেকে। এখন আমি মিতুকে কি বলব আর কিভাবে কি করব বুঝতে পারছি না। আমার মাথা হেংগ হয়ে যাচ্ছে।
রিয়া আবার শরীরের সব কাপড় খুলে ফ্রোরে ফেলে দিল।
রিয়া:- আমার সামনে মিতুর নাম নিবা না আমি সহ্য করতে পারি না। আমি আমার ভালবাসা দিয়ে সব তরে ভুলিয়ে দিব।
বলে রিয়া আবার আমার উপরে ঝাপিয়ে পড়ল।
ছেলে মানুষ কত কন্ট্রোল করা যাই। আমি মনে হয় জ্ঞান হারিয়ে রিয়ার সাথে তাল মিলাতে লাগলাম।
হঠাৎ বাহির থেকে কে জানি কলিং বেল বাজাতে লাগল।
আমি রিয়ার থেকে দুই ফিট দূরে লাফ দিয়ে চলে গেলাম।
আমি:- কি আর বলব তরে বলছি আমার সাথে এরকম করবি না। এমনেই তুই এত সুন্দর আবার এভাবে দেখলে কিভাবে সহ্য হয় বল। একটু তো চিন্তা করতে পারিস যেখানে মহল্লার পোলাপান তর আসার জন্য তাকায়ে থাকে সেখানে আমি।
রিয়া:- আমি তো তরে আমার বুকের মাঝে লুকিয়ে রাখতে চাই। আর আমার মনে তো তুই ওসব কথা বাদ দে।
আমি:- সব কিছু তর জন্য হয়েছে। বাহিরে মনে হয় বাবা মা দাঁড়িয়ে আছে এখন কি হবে।
রিয়া:- আরে আমাদের পরিবারের সবাই মিতুদের বাড়িতে গেছে তর বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে আর এই দিকে আমি আমার কাজ সেরে ফেললাম। তরে আমার করে নিলাম।
একটু পর পর কলিং বেল বাজতে লাগল,,রিয়া আমার টাওয়েল টা পড়ে চলে যাচ্ছে।
আমি:- কি করছিস কেউ যদি আসে কি হবে পরে।
রিয়া:- এত ভয় পাস কেন কেউ আসবে না। আসলে হয়তো আমার বান্ধবীরা আসতে পারে এত চিন্তা করিস না।
আমি:- তুই আমার সাথে আজকে যা করলি কেউ যদি জানতে পারে।
রিয়া আর কিছু না বলে চলে গেল।
রিয়া আমার চাচাতো বোন ওই বলছি না দেখতে শুনতে মাশাআল্লাহ,,তবে ওকে আমার বোনের নজরেই দেখতাম কিন্তু আজকে কি করল ও। রিয়ার বাবা এখানকার এমপি, ওর বাবা চাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের সাথে ওর বিয়ে দিতে। ওইদিন আসছিল ছেলেটা দেখতে একদম গুন্ডার মতো। আর আজকে যে রিয়ার সাথে এসব হবে আমার কল্পনার বাহিরে ছিল।
হঠাৎ আমার কানে এল বাহিরে কিসের চেঁচামেচির শব্দ শুনা যাচ্ছে। তাড়াতাড়ি রিয়ার উরনাটা দিয়ে শরীর ডেকে বাহিরে গিয়ে দেখি আমার পরিবারের সবাই দাঁড়িয়ে আছে। আমার চাচা চাচিও আছে। রিয়াকে ওর বাবা কথা শুনাচ্ছে। কিন্তু ওরা তো আজকে আমার খালার বাসায় যাওয়ার কথা তাহলে এখানে কেন?
চাচি:- তোমাকে আমার ছেলের মতোই দেখতাম কিন্তু তুমি আজকে আমাদের না থাকার সুযোগ নিলে।
আমি:- আমি তো।
ঠাসসস! ঠাস করে বাবা দুইটা চর দিয়ে বলল কি করলি আজকে তুই ছিঃ ছিঃ এখন তরে নিজের ছেলে বলতে ঘৃনা হচ্ছে।
চাচা:- অনেক হয়েছে আর না আমি বুঝে গেছি তর ছেলেকে আমার মেয়ের পিছনে লেলিয়ে দিয়ে এখন ভাল সাজা হচ্ছে।
বাবা:- বিশ্বাস কর ভাই।
রিয়া:- বাবা আমি!
চাচা:- চুপ কোন কথা বলবি না তর জন্য এখন আমার মানসম্মান থাকবে।
হাতে ইশারা করতেই চাচার বডিগার্ড এসে বাবা আর মাকে ধরে ফেলল।
চাচা:- ওকে মেরে এমন জায়গায় ফেলবি যাতে কেউ কিছু না টের পাই। আর আজকের পর থেকে,,বাবাকে উদ্দেশ করে বলল যদি আমার পরিবারের উপর নজর দেস এভাবে লাশ হতে হবে কাউকে।
চাচার অনুমতি পেরেই বডিগার্ড আমাকে ইচ্ছা মতো মারতে লাগল।
আম্মু:- please please ভাই তোমার পায়ে পড়ি আমার ছেলেকে ছেড়ে দাও বিশ্বাস কর আমরা এই দেশ ছেড়ে চলে যাব।
রিয়া:- বাবা ওকে মের না ওর কোন দোষ নাই 😭😭।
চাচার ইশারা পেতেই বডিগার্ড রিয়াকে আর চাচা কে ভিতরে টেনে টেনে নিয়ে গেল। আর বাবা তো বোবা হয়ে গেছে কোন কথাই বলছে না।
আমার এখন খুব কষ্ট হচ্ছে,,নাক মুখ দিয়ে রক্ত পরছে বাবা আর মা আমার দিকে তাকিয়ে কান্না করছে।
আস্তে আস্তে আমার চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
কিছুই বলতে পারছি না আমি।
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম,,
waiting for next
#তুই_শুধু_আমার
রোমান্টিক লেখক
#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম
#পর্ব_1
,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,
(প্রথম পর্ব কেমন লেখছি সারা দিবেন)
0 Comments:
Post a Comment