গল্প তুই_শুধু_আমার পর্ব ৪

 #তুই_শুধু_আমার


রোমান্টিক লেখক


#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম 


#পর্ব_4


👇👇


সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি খালামনি আমার মাথায় কাছে বসে আছে। 


আমি তাড়াহুড়ো করে উঠে বসলাম।

খালা:- আরে বাবা এত তাড়াহুড়া করতে হবে না,,তা তর শরীরের এখন কি অবস্থা?


আমি:- এই তো খালামনি একটু ভাল।


মিতু:- আম্মু সবাই চলে আসছে আমাদের অপেক্ষা করছে চল! আর আপনি তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আসেন, আমাকে উদ্দেশ্য করে।


আমি:- খালামনি কি হয়েছে।


খালা:- আমাদের ভাইয়েদের মাঝেই ঝগড়া হবে সেটা আমি মেনে নিতে পারি বল,,আর আমার বাবাকে মেরেছে আজকে দেখ আমি কি করি।


আমি:- please খালামনি মাথা গরম করে কোন কিছু করা উচিত নয়। চাচা আমার বাবার সমান বাদ দাও খালা। আজকে যদি আমার বাবা আমাকে মারত!


হু তর মনটা অনেক ভাল। এজন্যই আমি তরে অনেক ভালবাসি। তুই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আই।


খালামনি চলে যাওয়ার পর মিতু আমার কাছে এসে বলল,,কিরে আম্মুকে বলব তুই যে কেমন ভালো।


আমি:- দেখ এমনেই খালামনি আমাকে অনেক ভালবাসে তার মাঝে তুই আগুন দিস না please.


মিতু:- তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নীচে আই আমার সত্যের কথা পূরন হতে চলছে।


আমি:- আগে আমি তরে বউ বানানোর স্বপ্ন দেখতাম,, কিন্তু তুই যে এত নিচ আমি জানতাম না।


মিতু:- আমি আমার স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে পারি। আমি তো খারাপ ছিলাম না? আমি তর কারনে খারাপ হয়ছি তুই আমার হক নষ্ট করছত! তুই ভাবলি কি করে আমি তরে ছেড়ে দিব। আসি কেমন, তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নিচে আই তুই?


মিতু চলে যাওয়ার পর আমি উঠে ফ্রেশ হয়ে নিচে গেলাম,,নিচে গিয়ে দেখি আমাদের পরিবারের সবাই আছে,, আমার চাচা, চাচি, রিয়া সবাই আছে।


খালা:- আই বাবা আমার পাশে বস আমি তর জন্যই অপেক্ষা করেছি।


আমি গিয়ে খালামনির পারে বসলাম।


খালা:- আগে কী হয়েছে না হয়েছে আমি এসব কিছু জানতে চাই না? এখন আমি কি বলি মনোযোগ দিয়ে শুন?


চাচা:- জি বলেন আপা। ( খালাকে সবাই ভয় পাই খালার কিন্তু পাওয়ার আছে, আমার খালু বড় ব্যবসায়ী তিনি যে কোন মন্ত্রীর সাথে কথা বলতে একটুও সময় লাগে না,,এই হিসেবে চাচা খালামনিকে ভয় করে)


খালা:- আমার মেয়ে আর লাদেন, তর মেয়ে আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের আজকেই এ্যাংগেজমেন্ট হবে। সব কিছু ব্যবস্তা কর আমি এখানে আসছি শুধু তদের ঝামেলা মিটানোর জন্য। আর ভাবলাম শুভ কাজটা সেরে ফেলি।


খালামনির কথা শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম,,এখন একটু একটু ভয় হতে লাগল আমার। আগে মিতুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে ভালোই লাগত কিন্তু মিতু যে এতটা খারাপ তা আমি জানতাম না! মানলাম আমি একটা ভুল করেছি তাই বলে ও আমাকে নিয়ে গেইম খেলবে।

মিতুর দিকে তাকিয়ে দেখি ঠোঁটে হাঁসি। আমি ভালোই করে বুঝতে পারছি এই সবকিছুর পিছনের মিতুর হাত আছে। যাতে রিয়া কিছু করতে না পারে এজন্য মিতু এই গেইমটা খেলল। রিয়া তো কান্না করার মতো অবস্থা আমি বুঝতে পারছি। 

যদি দরকার হয় আমি রাস্তার কোন মেয়েকে বিয়ে করতে পারব। কিন্তু মিতুর উপর এখন আমার আর বিশ্বাস হয় না।

মিতু আমার ভালবাসা নিয়ে খেলা করছে। কিন্তু রিয়াকে আমি বিয়ে করতাম মাগার বিবেক মানে না যাকে এতদিন বোন হিসাবে দেখছি তাকে কীভাবে বিয়ে করা যাই।

মিতু একটু অপেক্ষা কর আমিও তর সাথে গেইম খেলবে চিন্তা করিস না আমাকে ফাঁসিয়ে যাবি কই, শুধু ভিডিওটা তর কাছে বলে কিছু করতে পরছি না।


রিয়া:- খালামনি এত তাড়াতাড়ি কি ঠিক?


খালা:- এই শিখাইছি তোমাকে আমি বড়দের মুখে কথা বলতে কে বলছে!


রিয়া সরি বলে মাথা নিচু করে ফেলল,,


চাচা চাচী সবাই চলে গেল,,


বাবা:- তাহলে আমাকে একটু মার্কেটে যেতে হবে।


খালা;- হু সবাই চল তাড়াতাড়ি আসতে হবে।


আমি:- খালামনি আমার ভাল লাগছে না আমি please বাড়িতে থাকি।


খালা:- ইশ্ কি সুন্দর আমার ছেলেটা মেরে কি করছে। আচ্ছা বাবা তুমি থাক আমরা যাব আর আসব!


মিতু:- আম্মু আমিও তাহলে থাকি যদি ওর কিছু লাগে।


খালা:- হু থাক তর বুদ্ধি আছে,, জামাইয়ের খেয়াল রাখা আগে থেকেই শিখে রাখা ভালো।


সবাই চলে গেল,,


আমি সোফায় গিয়ে বসলাম। মিতু আমার পাশে বসে,,খেলা তো মাত্র শুরু এভাবে ভেঙ্গে পড়িস না। পরে তো সহ্য করতেই পারবি না।

হঠাৎ দেখি দরজা দিয়ে রিয়া প্রবেশ করল।


মনে মনে বললাম আজকে একটা কিছু হবে।


রিয়া:- মিতু আপু ভাল আছেন?


মিতু বসা থেকে উঠে গিয়ে রিয়ার চুল ধরে বলল,,তুই এখানে কেন এলি।


রিয়া:- ছাড় বলছি ভাল হবে না?


মিতু:- কি করবি তুই কি করবি?


রিয়াও মিতুর চুলের মুঠি ধরে ফেলল,,এসব দেখে আমি জোরে একটা চিৎকার দিয়ে বললাম, এক কাজ কর আমার জন্যই তো যত সব সমস্যা আমাকে মেরে ফেল। তাহলেই তদের শান্তি হবে।


রিয়া:- শুধু তর কাছে ভিডিওটা আছে বলে কিছু করছি না নয়লে তর শরীরের আগুন লাগিয়ে দিতাম। একটা কথা বলতে এসেছি শুন আমিও দেখতে চাই তুই লাদেনকে কিভাবে বিয়ে করবি। ও যদি আমার না হয় সারা বিশ্বের কারো হতে দিব না দরকার হলে তরে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিব মনে রাখিস। আমার সাথে খেলা খেলিস না আমিও দেখে নিব। আর তুই লাদেনের উপর যেই অত্যাচার করতেছত না সব কয়টার হিসাব নিব আমি। ও তো কিছু বলতে পারে না কারন একটা ভিডিও এর জন্য। ছাড়ব না মিতু মনে রাখিস। ওপেন চ্যালেঞ্জ করে গেলাম আমি তরে। লাদেন শুধু আমার যদি পারিস তর করে দেখা গুড বাই।

এটা বলে রিয়া দরজা দিয়ে চলে গেল,


মিতু ঠাসস ঠাস করে আমাকে দুইটা চর দিয়ে চিৎকার করে বলল,,

আমাকে চ্যালেঞ্জ দেয় সাহস কতবড়,, মিতু আমাকে ঠেলা দিয়ে সোফার উপর ফেলে দিল,


মিতু:- কি আছে আজকে দেখব আমি তর ভিতরে।

বলে লিভ কিস করতে লাগল,,আমি বোবার মতো পড়ে আছি কোন রেসপেন্স করছি না। মিতু শরীর থেকে কাপড় খুলে অর্ধ উলঙ্গ হয়ে গেছে,,বুঝতে পারছি আজকে আমার সাথে কি হতে চলছে, এই মূহুর্তে বাহিরে কিসের শব্দ শুনা গেল। মিতু লাফ দিয়ে উঠে!


আজকের মতো বেঁচে গেছি,,তবে খুব শীঘ্রই আবার তর সাথে আমার দেখা হবে।


আমি এখন জেন্ত লাস হয়ে আছি‌। মনে হচ্ছে আজকে শুধু রিয়ার কারনে আমাকে মিতুর এত অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে।


মিতু দরজা খুলে আবার আমার কাছে এসে বসল,,


মিতু:- খুব কষ্ট হয়েছে না রে তর!


আমি:- তর সাথে কথা বলার ইচ্ছে হচ্ছে না রে আমার,, আজকে শুধু একটা ভিডিও কারনে আমাকে তুই ইচ্ছে মতো ব্যবহার করলি,,মজা পাস এগুলো করে রে।


মিতু:- আমার অনেক ভাল লাগে। আচ্ছা তুই বসে থাক আমাকে গোসল করতে হবে। যাবি নাকি গোসল করিয়ে দিব আমি তরে নিজের হাতে।


আমি কোন কথা বললাম না,, মিতু চলে যেতে যেতে বলল,, ঠোঁটে লিপস্টিক লেগে আছে মুছে নিস।


একটু পর অনুষ্ঠান শুরু হল আজকে দুইটা এ্যাংগেজমেট এক সাথে হবে। নামিদামি অনেক ব্যাক্তি এসে ভরে গেছে কিছুক্ষণের ভিতরে। আমি একটা ছেলেকে ডাক দিয়ে বলল,,মামা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে মেয়ে কয়জন।


ছেলেটা বলল,,একটা ছেলে আর একটা মেয়ে ওই যে দেখছেন না ওর বাবার মা'র সাথে বসে আছে।


আমি:- ধন্যবাদ ভাই।

একটা হাসি দিয়ে সামনে এগুতে লাগলাম,, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে গিয়ে সালাম দিলাম,,ভাল আছে আংকেল।


হু বাবা ভাল আছি তুমি কামাল এর ছেলে না। (কামাল আমার বাবার নাম)


আমি:- জি আংকেল,, ভাইয়াকে দেখতে পাচ্ছি না।


হয়তো আশে পাশে কারো সাথে কথা বলছে।


আমি:- আন্টি আপনি ভাল আছেন?


আন্টি:- হু বাবা।


আমি:- আংকেল যদি কিঊ মনে না করেন আমি আপনাকে মেয়ের সাথে একটু কথা বলতে পারি।


এটা বলতেই মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে দেখল,


আরে কেন নয়,,ও এমনেই বসে বোরিং হচ্ছে এক কাজ কর ওকে সবকিছু ঘুরিয়ে দেখিয়ে আন।


আমি:- জি আংকেল,,আপু আসেন আমার সাথে।


দূর থেকে দেখি মিতু আমার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে,,

মনে মনে বললাম খেলা তুই খেলতে পারিস না শুধু আমিও একটু খেলি ফাঁকা মাঠে গোল দিবি কেন?


আমি:- আপনার নামটা জানতে পারি।


হু কেন নয়! আমার নাম আঁখি জাহান তুবা!


আমি:- অনেক সুন্দর নাম,, চলেন ওই দিকে বসি, তবে আমার কথায় ভুল হলে মাফ করবেন আপনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেয়ে আমি সাধারন একজন ছেলে।


আঁখি:- সে যাই হোক দুই দিন পর তো আপনি আমার বেয়াই হবেন।


আমি:- সে হয়তো! একটা কথা জানতে পারি?


হু অবশ্যই বলেন?


আমি:- আপনার কি কোন বয়ফ্রেন্ড আছে।


এটা বলতেই আঁখি আমার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে দেখল।


আমি:- এভাবে তাকাবেন না ভয় করে যদি একটু নোটিশ করেন আমার নামে সারাজীবন থানায় পড়ে পচতে হবে।


আঁখি:- না সে না! এই প্রশ্ন করার সাহস আজ পর্যন্ত কারো হয় নাই। তাই একটু আজব লাগল। আপনার ভয় করে না আমাকে দেখে হাতে একটু ইশারা করলে আপনার লাশ মাটিতে পড়ে যাবে।


আমি:- আসলেই আপনার চেহারায় অনেক মায়াবী আর আপনি জানি এটা করবেন না।


তাই নাকি,, আপনার সাহস আছে বলতে হবে।


আমি:- সাহস তো হয় না করে নিতে হয়। আপনাকে দেখে এমনেই আমার সাহস জন্ম দিয়ে নিছে।


আঁখি:- পটানোর চেষ্টা করেছেন নাকি।


আমি একটু ভয় পেয়ে,,না মনে ইয়ে, ইয়ে।


এত ভয় পেলে কিভাবে প্রেম করবেন হু।


হঠাৎ মিতু আমার সামনে এসে বলল,, লাদেন আই তো আম্মু তরে ডাকছে।


আমি:- তুই যা দেখছিস না মেম এর সাথে কথা বলছি,,চলেন ওইদিকে যাই।

আমি জানি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে হয়,, মিতু ওনাকে কিছু বলবে না এটা আমি জানি। তাই ওকে একটু পটানোর চেষ্টা করেই দেখি সফল হই নাকি। আমি আঁখিকে দিয়ে সব গেইম কতম করতে চাই,,তবে ওকে ভালবাসব না ওই বলছি না,,সময় আমারো ও আসবে।


আঁখি:- মেয়েটা কে?


আমি:- আজকে ওর সাথে আমার এ্যাংগেজমেন্ট হওয়ার কথা।


কি?


আমি:- তবে হবে না?


আঁখি:- ওমা তা আবার কেন?


আমি:- কাউকে পছন্দ হয়ে গেছে তাই হবে না!


আঁখি একটা হাসি দিয়ে,, জানেন বাবা মা কখনোও আমাকে একা বাহির হতে দেয় না সাথে সবসময় এই বডিগার্ড থাকে,, কিন্তু আজকে একটু ভাল লাগছে,, আপনার সাথে ঘুরতে।


আমি:- আমি জানতাম না যে হঠাৎ করে আমার একজনকে পছন্দ হয়ে যাবে! যদি আপনি বলেন তো?


আঁখি:- কি বলব হু? অনেক সাহস বেড়ে গেছে আপনার।


আমি:- বিশ্বাস করেন আমার কাছে এত সময় নাই,,একটু চিন্তা করে দেখবেন আমি থাকলে আপনার কোন বডিগার্ড লাগবে না। কথায় আছে গরিবের ভালবাসা কিন্তু সুন্দর আর বড়লোকদের শুরু চিন্তা আর চিন্তা কখন কি হয়।


আঁখি:- এই আপনি আমাকে কি বুঝতে চান হে?


আমি:- এখনো ও যদি না বুঝেন আর কি বলব,, আপনার রিদয়টা আমাকে দিয়ে দে তাহলেই হবে। এখানেই বলতে বলছি না,,সময় কিন্তু আছে হাতে আংক্টি পরানোর আগ পর্যন্ত।


রিয়া:- আপু ভাল আছেন?


আঁখি:- আরে ভাবি আপনি এখানে!


রিয়া:- না আপনাকে দেখতে আসছি। ভাইয়া একটু এই দিকে আসবি কিছু কথা ছিল তর সাথে?


আমি:- সরি রে সময় নাই,, আঁখি চল ওই দিকে যাই।


রাগে রিয়ার মুখ লাল হয়ে যাচ্ছে বুঝলাম।(তবে আঁখির সামনে ভাইয়া ডাকল নয়লে কি যে ডাকত বাবা)


আঁখি:- আপনার বোনকে ইগনোর করলেন কেন?


আমি:- আপনাকে তো পটাতে হবে তাই না।

আঁখি একটা হাসি দিয়ে বলল,,আসি বাবা মনে হয় ডাকছে।


আমার উত্তরটা,,


আঁখি:- আপনি আমাকে ভেজালে ফেলে দিলেন,, আচ্ছা চিন্তা করে দেখি কি হয়।


মনে মনে বললাম,, মিতু এখন বুঝতে পারবি কত ধানে কত চাল আমার সাথে গেইম খেলিস না এখন দেখ।


কিছুক্ষণ পর সবাই চাচার বাসার সামনে গেলাম,,আগে রিয়াকে আংক্টি পড়ানো হবে পরে আমাকে। আর খালামনি এসে দেয়াল সব ভেঙ্গে ফেলছে।


তবে মিতু আমাকে চোখের ইশারায় খেয়ে ফেলবে মনে হয়,,

রিয়াকে সাজিয়ে আনা হল,,আর পাশে সুমন দাঁড়িয়ে আছে। (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলের নাম সুমন)

তবে রিয়ার পাশে সুমনকে দেখে আমার কেমন জানি লাগল,, হঠাৎ কেন এমন হল বুঝলাম না! 

রিয়ার প্রতি আমার কেমন জানি একটা মায়া জন্ম হল। 


রিয়াকে বলা হল,,,


waiting for next


,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক,,,

0 Comments:

Post a Comment