গল্প-টক_ঝাল_মিষ্টি পর্ব ২৬

 #টক_ঝাল_মিষ্টি 

#তামান্না_আঁখি 

#পর্ব-২৬


ভোরের আলো চোখে লাগতেই কুহুর ঘুম ভেঙে গেলো।আধো চোখ খুলে দেখলো চারদিক ফর্সা হয়ে গেছে। প্রথমে খোলা আকাশের নিচে নিজেকে আবিষ্কার করে  কিছু ঠাহর করতে পারলো না।কিছুটা অবাক হলো।আস্তে আস্তে গত রাতের সব কিছু মনে পড়লো। তড়িৎ গতিতে ঘাড় ঘুরিয়ে পাশে তাকালো। উপুড় হয়ে বালিশ মুখ গুজে শাহাদ ঘুমিয়ে আছে তার পাশে। মুখটা তার দিকে ফিরানো। শার্টল্যাস শাহাদের এক হাত কুহুকে জড়িয়ে ধরে আছে। কুহু শাহাদের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। বাচ্চাদের মতো ঘুমাচ্ছে শাহাদ। এলোমেলো চুলের অল্প কিছু কপাল ছুয়ে পড়ে রয়েছে।

 কুহু নিজের উপর শাহাদের বলিষ্ঠ হাতের ভার অনুভব করলো। আলতো চাপ দিয়ে শাহাদের হাতটা সরানোর চেষ্টা করলো। কিন্তু কাজ হলো না।এই বার শক্তি প্রয়োগ করলো। আরেকটু জোরে ঠেলতেই শাহাদ নিজ থেকে হাত সরিয়ে নিলো। নড়েচড়ে উপুড় হওয়া থেকে সোজা হলো। ছাড়া পেয়ে কুহু উঠে বসলো। একপাশে পড়ে থাকা শাড়ির আচল ঠিক করলো।গত রাতেই শাড়ি ঠিকঠাক করে ঘুমিয়েছিলো তারপরও এলমেলো হয়ে গেছে আবার। শাড়ি ঠিক করতে করতে একবার শাহাদের দিকে তাকালো। শাহাদের গায়ের সাদা চাদর নিচে নেমে গেছে।বুকের একটু উপরে কাঁধের কাছে লালচে হয়ে থাকা কুহুর খামছির দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। কুহু চমকে গেলো।কেউ দেখে ফেললো কিনা দেখতে এদিক ওদিক তাকালো। দ্রুত চাদরটা শাহাদের গলা পর্যন্ত টেনে দিলো। তারপর নিজের উপর থেকে চাদর সরিয়ে বিছানা থেকে নেমে দাঁড়ালো। হঠাৎ টান অনুভব করলো শাড়ির আচলে। ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলো শাহাদ ঘুম ঘুম আধখোলা চোখে তাকিয়ে আছে। হাতে ধরে রেখেছে শাড়ির আচল টা। অলস কন্ঠে কুহুকে প্রশ্ন করলো- 

"কোথায় যাচ্ছ?"

"সকাল হয়ে গেছে। ঘরে যাওয়া প্রয়োজন।"

"দরজা তো লাগানল।রাফা এখনো উঠে নি। ও ছাড়া আমাদের এখানে আসার ব্যাপারে কেউ জানে না।"

"তাহলে আমি রাফাকে কল করে ডেকে নিচ্ছি।"


শাহাদ আরো কিছু বলতে চেয়েছিলো কিন্তু বললো না।কুহুর আচল ছেড়ে দিয়ে গভীর ঘুম তলিয়ে গেলো।কুহু  পর্দাগুলো আরো ভালো করে টেনে দিলো যেন আলো এসে শাহাদের ঘুমের ডিস্টার্ব না করে। তারপর রাফাকে কল করতে গিয়ে আবিষ্কার করলো ওরা দুজনের কেউই ওদের ফোন নিয়ে আসে নি। হতাশ হয়ে কুহু ছাদের দরজায় গিয়ে কয়েকবার টোকা দিলো। যদিও জানে যে কেউ শুনবে না তবুও। তারপর আর কোনো উপায় না পেয়ে ছাদের এদিক ওদিক হাটতে লাগলো। ফুলগাছগুলো দেখতে লাগলো। কিছুক্ষন ঘুমন্ত শাহাদের পাশে বসে রইলো। সাড়া ছাদ হাটতে হাটতে শাড়ির আঁচল উড়িয়ে গুনগুন করে গান গাইলো। তারপর বিরক্ত  হয়ে  ফুলগাছগুলোর কাছ গিয়ে বসে রইলো। বসে বসে ফুলের পাপড়ি গুণতে লাগলো। তখনি ছাদের দরজা খুলছে এমন শব্দ হলো। কুহুর চোখেমুখে খুশি খেলে গেলো। তাড়াতাড়ি পা বাড়ালো ছাদের দরজার দিকে। মনে মনে রাফাকে ধন্যবাদ দিলো। এক প্রকার দৌড়ে চলে এলো ছাদের দরজার সামনে। ছাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে তার হাসি মিলিয়ে গেলো। ছাদের দরজায় দাঁড়িয়ে আছে মালা আর কুলসুমা বেগম।


 কুলসুমা বেগম ছাদে এসেছেন হাঁটাহাঁটি করতে। হাঁটুর ব্যথার জন্য অনেকদিন যাবত আসতে পারেন না।আজ ভোরে নামাজ আদায় করার পর ব্যথা টের পান নি।তাই বেলা একটু বাড়লে তিনি মালাকে নিয়ে ছাদে এসেছেন একটু হাঁটতে আর রোদ গায়ে মাখতে। অপ্রত্যাশিতভাবে কুহুকে ছাদে দেখে তিনি অবাক হলেন। জিজ্ঞেস করলেন -


"তুমি এখন ছাদে কি করছো নাতবউ? তুমি সারা রাত ছাদে আটকা পড়েছিলে নাকি? শাহাদ কোথায়? সে তোমার খোঁজ নেয় নি?"


কুহু প্রশ্নের উত্তর দিবে কি, সে তো লজ্জায় ছাদ থেকে লাফ দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। মালা সভয়ে বললো -


"ইয়া আল্লাহ! ভাবিজানরে ছাদে রাইখাই ছাদের দরজা লাগায় দিছে। ভাবিজান কি ডরাইছেন?"


কুহু মাথা নাড়িয়ে না জানালো। অস্বস্তি আর লজ্জায় সে মুখ তুলে তাকাতে পর্যন্ত পারছে না। সে ঝড়ের বেগে কুলসুমা বেগমের পাশ কেটে সিড়ি বেয়ে দৌড়ে নিচে নেমে গেলো।কুলসুমা বেগম এখনো বিস্ময় কাটিয়ে উঠতে পারেন নি। বাড়ির বউ সারারাত ছাদে আটকে থাকলো কিভাবে তা কিছুতেই তার মাথায় ডুকছে না। মালা ছাদে ঢুকে ছাদের মেঝেতে তাকিয়ে বলল- 

"ভাবিজান কি সারারাত গোলাপের পাপড়ি দিয়া ছাদ সাজাইছে নাকি?"


তারপর ছাদের অন্য পাশে পর্দাঘেরা বেডের দিকে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে ফেললো। আপনা আপনি দু হাতে মুখ চেপে ধরলো। 


কুহু তড়িঘড়ি করে দৌড়ে ঘরে চলে আসলো।দরজা চাপিয়ে দিয়ে বিছানায় বসে হাঁপাতে লাগলো। রাফাটা যে এত ঘুমকাতুরে কে জানতো?আর শাহাদটাই বা কেমন! রোমান্টিকতা দেখানোর জন্য ছাদে যাওয়া লাগে?ঘরে কি এসব করা যেত না? কি লজ্জাটাই না পেলো!! এখন কুলসুমা বেগমের সামনে মুখ দেখাবে কি করে কুহু? কুহু উঠে গিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালো। নিজেকে দেখে লজ্জায় গাল লাল হয়ে গেলো। লাজুক হাসি দিয়ে গত রাতের কথা চিন্তা করতে লাগলো। দরজা ঠেলে শাহাদ হন্তদন্ত হয়ে ঘরে ঢুকলো। তার চুল এলোমেলো। পড়নের শার্টের বোতামগুলো এলোমেলো করে লাগানো।বুঝাই যাচ্ছে তাড়াহুড়ো করে জামাকাপড় গায়ে দিয়েছে। ঘাড়ে হাত বুলাতে বুলাতে কুহুর দিকে তাকালো। সদ্য ঘুম থেকে উঠার কারনে চোখমুখ ফুলে আছে শাহাদের।চোখ কিছুটা লাল হয়ে আছে। ঘুম হয় নি গত রাতে। শাহাদের চোখে চোখ পড়তেই কুহু অন্য দিকে ফিরে দাঁড়ালো। গত রাতে শাহাদ তাকে যেই লজ্জা দিয়েছে এরপর শাহাদের চোখে চোখ রাখা সম্ভব না। 


শাহাদ কুহুর আড়ষ্টতা বুঝতে পারলো। সে নিজেও একটু আগে যথেষ্ট অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলো। হঠাৎ করে ঘুম ভেঙে গিয়ে চোখ খুলে দেখলো কুলসুমা বেগম বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে অবাক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে।পাশে দাঁড়িয়ে মালা মুখে ওড়না গুজে হাসছে। শাহাদের তখন করুন অবস্থা।আশেপাশে কোথাও কুহুকেও পেলো না,আর এই অবস্থায় বিছানা থেকে যে উঠে আসবে তারও উপায় ছিলো না। বাধ্য হয়ে শাহাদকে বসে থাকতে হলো। কুলসুমা বেগম চারপাশ ভালো করে পর্যবেক্ষন করলেন,শকুনি দৃষ্টিতে শাহাদের দিকেও তাকালেন।এরপর সব দেখেশুনে ছাদ থেকে চলে গেলেন। তৎক্ষনাৎ শাহাদ জামা কাপড় ঠিক করে ঘরে এসেছে।


"পাঞ্জাবি পায়জামা টা একটু দিও তো।"


এটা বলেই শাহাদ ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো। কুহু যথাসময়ে শাহাদের পাঞ্জাবি পায়জামা রেডি করে রাখলো। শাহাদ গোসল সেরে বের হলে তার হাতে ধরিয়ে দিয়ে নিজেও চলে গেলো ওয়াশরুমে। দুজনের কেউই আর কারো সাথে কথা বললো না।


কুলসুমা বেগম চেয়ারে বসে আয়েশ করে চা খাচ্ছেন।এটা তার দ্বিতীয় কাপ চা।সাধারনত সকালে একসাথে দুই কাপ চা তিনি খান না।আজ মন ভালো বলে খাচ্ছেন। চা খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে তিনি ডায়নিং টেবিলের দিকে নজর বুলাচ্ছেন। তাকিয়ে দেখছেন সবার খাওয়া ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা।প্রতি সকালেই বাড়ির পুরুষদের খাওয়ার সময় তিনি ডায়নিং টেবিলের পাশে বসে এভাবে খাবারের তদারকি করেন।আর বাড়ির বউদের কে নিয়ে তিনি একসাথে খান। তিনি একবার কুহুর দিকে তাকালেন। ওড়না মাথায় দিয়ে খাবার বাটি নিয়ে সবাইকে এটা ওটা দিচ্ছে। ওড়নার নিচ দিয়ে ভেজা চুল দেখা যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে কুলসুমা বেগমের মনটা ভরে গেলো। আজ সকালে ছাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য নিজেকে নিজে ধন্যবাদ দিলেন। এতদিন পর তার মনের আশা পূর্ন হয়েছে।খান পরিবারের উত্তরাধিকারী আসার আর বিশেষ দেরি নেই। এইবার শুধু খোদা মুখ তুলে চাইলেই হবে।


কুহু খাবার টেবিলে সার্ভ করার সময়  রাফার দিকে তাকালো।রাফা বাম হাতে কান ধরে চোখে মুখে অপরাধী ভাব ফুটিয়ে ফিসফিস করে বললো "সরি"। কুহু আলতো হাসলো। তরকারির বাটি নিয়ে চলে গেলো শাহাদের কাছে। বাটি থেকে একটা চিকেন লেগপিস নিয়ে শাহাদের প্লেটে দিয়ে দিলো। সাথে আরো দুটো বড় বড় পিস দিলো। শাহাদ বিস্মিত হয়ে কুহুর দিকে তাকালো। তার প্লেটে একটা লেগপিস তো ছিলোই আরো একটা দেয়ার কারন বুঝলো না সে। কুহু নিজের কাজ শেষ করে শাহাদের পাশ থেকে চলে এলো। রেজিয়া সুলতানা আর জয়া বেগমও কুহুর এই কান্ডে বিস্মিত হলেন। তবে কুলসুমা বেগম অবাক হলেন না।তিনি মুচকি মুচকি হাসলেন। 


খাওয়া শেষে শাহাদ বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কুহুকে খুজলো।কিন্তু কুহু এখানে নেই সে রান্নাঘরে ব্যস্ত। শাহাদের খুব ইচ্ছা হলো যাওয়ার আগে কুহুর মুখটা একটু দেখতে।সেই সাথে কপালে একটা চুমু দিতে পারলেও মন্দ হতো না।কিন্তু কুহুর দেখা পাওয়াই তো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। সে যদি নির্লজ্জ হতো তবে রান্নাঘর থেকে কুহুকে টেনে বাইরে নিয়ে আসতো।কিন্তু সে নির্লজ্জ না। খান বাড়ির আদর্শ ছেলে সে। সদর দরজায় দাঁড়িয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করে ডায়নিং টেবিল পরিষ্কার কর‍তে থাকা মালাকে ডাকলো। মালা কাছে আসলে বললো-


" তোর ভাবিকে ডেকে আন তো। বল আমার ঘড়ি আনতে ভুলে গেছি।"


"ঘড়ি তো তোমার হাতেই আছে ভাইয়া। এই যে চক চক করছে।"


রাফার কথায় শাহাদ হাতে লাগানো ঘড়ির দিকে তাকালো। রাফা মিটি মিটি হাসছে। শাহাদ অপ্রস্তুত হয়ে বললো -

"ও হ্যা তাইতো। মনে ছিলো না।"


"তাহলে নিশ্চয়ই অন্য কিছু ভুলে গেছো তাই না? দাঁড়াও ভাবিমনিকে ডেকে আনি।"


শাহাদ কিছু বলার আগেই রাফা কিচেন থেকে কুহুকে এক প্রকার টেনে আনলো। তারপর দুজনকে একা রেখে হাসতে হাসতে মালাকে টেনে নিয়ে চলে গেলো। হতভম্ব কুহু শাহাদের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো। শাহাদ প্রথমে একটু আশপাশটা দেখে নিলো। চোরা চোখে বাড়ির ভিতর টাও দেখলো।তারপর টুপ করে কুহুর গালে একটা চুমু দিয়ে কিছু হয় নি এমন ভাব করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলো। হাঁটা ধরলো গ্যারেজে রাখা গাড়ির দিকে।কুহুর এক হাত স্বয়ংক্রিয়ভাবে গালে চলে গেলো। সে বড় বড় চোখ করে শাহাদের যাওয়ার দিকে হা করে তাকিয়ে রইলো।


----------------


পার্টি অফিসে মিটিংয়ের পরিবেশ খুব গরম।আশফাক খান মিটিংয়ে সবার সাথে একটু বসেই কাছের নেতাকর্মীদের নিয়ে বেরিয়ে গেছেন এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। আপাতত মিটিংয়ের দায়িত্ব পড়েছে শাহাদের উপর। আসন্ন নির্বাচনে কি কি করণীয় তা সহ আরো সমস্ত দিক নির্দেশনা শাহাদ আলোচনা করছে। বলতে গেলে সে পুরোপুরি নেতৃত্ব দিচ্ছে। সব ক্ষেত্রে শাহাদের এক চেটিয়া দাপটে কিছু সমসাময়িক নেতার মনে বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে। আজকের মিটিংয়ে সেই বিদ্বেষ কিছুটা প্রকাশও করে ফেলেছে অনেকে। নির্বাচনী প্রচারনার বিষয়ে শাহাদের সাথে একজন সিনিয়র নেতা দ্বিমত পোষন করলেন। কিন্তু শাহাদ যুক্তি দিয়ে তার কথা উড়িয়ে দিয়ে নিজের সিদ্ধান্তই বহাল রাখলো।এতেই ক্ষেপে গেলেন উনি।টেবিলে থাবা দিয়ে বললেন-


"তুমি কি দলটাকে বাপের সম্পত্তি মনে করো?"


শাহাদ হালকা হেসে বলল- 

"আপনার কথায় কিছুটা ভুল হয়েছে চাচা।দলটা আমার বাপের না,তবে আমার বাপের বাবার। অর্থাৎ আমার দাদার।তিনিই প্রতিষ্ঠা করেছেন এই দল।। সেই হিসাবে দলটা আমার বাপের সম্পত্তিই।"


"তাহলে আমরা কি সব উড়ে এসেছি? এই দলের জন্য কি না করেছি।আর তুমি সেদিনের ছেলে হয়ে আমাদের উপর কথা বল।"


তমাল শাহাদের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে বললো-

"কাকা আপনি কিন্তু মেয়ে মানুষের মতো হিংসায় জ্বলে মরছেন। ভাইয়ের যোগ্যতা আছে তাই ভাই কথা বলে।"


তমালের কথায় গর্জে উঠলেন সিনিয়র নেতা। দাঁত কিড়মিড় করে বললেন-

"এই চামচা তুই আমারে জ্ঞান দিস, তোর এত বড় সাহস? তোকে আমি...."


"চাচা, প্লিজ থামুন। এখানে আমরা আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বসেছি।"


শাহাদের কথাতেও থামলেন না তিনি। রাগী স্বরে বললেন-

"নির্বাচনের ব্যাপার আমরা তোমার চেয়ে কিছু কম বুঝি না। নির্বাচনের আলোচনা অথচ দলের সভাপতি নেই।তার অনুপস্থিতিতে তো তুমিই নিজেকে সভাপতি ভেবে বসে আছো।"


তমাল আবারো বললো-

" ভবিষ্যতে তো ভাই ই এই দলের সভাপতি হবে।এখন থেকে ভাবলে আপনার অসুবিধা কি?"


"কেন তোর ভাই ছাড়া এই দলে আর কেউ নেই সভাপতি হওয়ার?আমরা এত দিন দলে থেকে কি *****  ছিড়েছি?"


শাহাদ তর্জনি দিয়ে কপাল চুলকালো। চোখেমুখে বরাবরের মতো শান্তভাব বজায় রেখে সরাসরি চোখের দিলে তাকিয়ে বলল- 


"তাহলে চলুন মাঠে নামি। দেখি কার জনপ্রিয়তা বেশি। আপনিও ডাক দেন আমিও ডাক দেই। দেখি কার ডাকে কতজন আসে। এতদিন দলে থেকে যা যা ছিড়লেন তা একটু আমাদেরকেও দেখান।"


চলবে

0 Comments:

Post a Comment