#তুই_শুধু_আমার
রোমান্টিক লেখক
#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম
#পর্ব_3
👇👇
হঠাৎ কিসের জানি একটা শব্দ শুনলাম,, পিছনে তাকিয়ে দেখি রিয়া লাফ দিয়ে আমার জানালা দিয়ে আসতেছে।
আমি:- এই কি করছিস পড়ে যাবি তো।
রিয়া একটা হাসি দিয়ে আমার পাশে বসল,,
এই এই তর পা দিয়ে তো রক্ত পড়ছে,,দেখা তো আমাকে?
রিয়া:- দেখে আর কি করবি, অন্তরের ভিতরে যে কত রক্ত ঝরে পড়ছে সেটা তো আর দেখতে পারলি না ।
আমি:- চুপ করে এখনে বস,,
আমি রিয়ার পা থেকে শাড়িটা হালকা তুলতেই দেখি অনেকটা কেটে গেছে। টেবিলের উপর থেকে বক্সটা এনে রিয়ার পা বেন্ডিস করে দিলাম।
আমি:- কি দেখিস এভাবে!
রিয়া:- তরে দেখি জানি না আর দেখতে পারব কি না?
আমি:- এখন বল এখানে কিভাবে এলি, এত লম্বা দেওয়াল দেওয়া তারপরেও চলে আসলি।
রিয়া:- এটা তো কিছু না তর জন্য আমি পাহাড় থেকে লাফিয়ে আসতে পারি।
আমি:- একি তর ঠোঁটের এসব কিসের দাগ। মনে হচ্ছে যেন কেউ তরে আঘাত করছে।
এটা বলতেই রিয়া কান্না করতে লাগল।
আমি:- কিরে কান্না করিস কেন?
রিয়া:- আম্মু আমাদের সন্তানকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু আমি দেই নাই। আমাকে জোর করে পিল খাওয়াতে চেয়েছিল আমি খাই না।
আমি:- দেখ রিয়া এটা কোন ছেলে খেলা না। আমি তরে বুঝাই তাহলে বুঝবি।
রিয়া:- আর কী বলবি তুই।
আমি:- আগে আমাকে ভাইয়া বলে ডাকতি, কত মধুর ডাক ছিল কিন্তু কেন তুই এমন হলি সেটা আমি জানি না। তুই একটা বিষয় চিন্তা করে দেখলি তর জন্য আজকে কি হয়েছে।
রিয়া:- সব কিছু আমি করছি বুঝি তুই কোন দোষ করিস নাই মনে হয়।
আমি:- দেখ তুই দেখতে একদম পরির মতো সুন্দর! কোন ছেলে তরে দেখে মুখ ফিরাবে না। তার উপর উলঙ্গ শরীর নিয়ে যদি আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকিস, তুই এখন নিজেই বল তখন কি আমার নিজেকে কন্ট্রোল করার মতো কোন শক্তি থাকত।
রিয়া:- আমি জানি তুই আমাকে ভালোবাসি না. তাই আমকে এই পথ অবলম্বন করতে হয়েছে।
আমি:- দেখ রিয়া এটা কোন ছেলে খেলা না। সারাজীবন তরে বোনের নজরে দেখছি কীভাবে তরে এখন বউয়ের নজরে দেখব তুইয়েই বল। আমি চাই যা হয়েছে সব ভুলে যা চাচার দেওয়া ছেলের সাথে বিয়ে করে জীবন সুন্দর করে সাজা।
রিয়া:- বা বা খুব সুন্দর কথা বললি তুই,,এই তুই দেখিস নাই বাবা কত বড় দেওয়াল তৈরি করেছে, সেটার উপর লাভ যখন দিয়েছি তখন মরার চিন্তা করি নাই তখন তর মুখটা সামনে ভাসছিল। জানি প্রিয়জনের সাথে দেখা করব এর থেকে বড় খুশি কি হতে পারে। তর জন্য আমি আর কি বললে তরে ভালবাসার প্রমান দিতে পারব তুই বল।
আমি:- দেখ আমার কোন বোন নাই তরেই ছোটবেলা থেকেই আমি বোন ভাবতাম আজ তুই।
রিয়া:- আমি বুঝে গেছি তরে যতই বুঝাই বুঝবি না। তরে পাওয়ার জন্য যদি আমাকে যুদ্ধ করতে হয় তাও করব তবুও তরে হারাতে পারব না।
আমি:- রিয়া এখন কিন্তু বেশি হয়ে যাচ্ছে,,ও শেট একটা কথা মনে হয়েছে।
রিয়া:- কি কি?
আমি:- যখন আমারা শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলাম তখন কি তুই কোন ভিডিও করছিলি।
রিয়া ভয় পেয়ে,,না মানে ইয়ে।
ঠাসস! ঠাসস করে রিয়াকে দুইটা চর দিলাম।
আমি:- তুই এটা কি করলি তর কারনে আজকে মিতুর সব কথা মানতে হচ্ছে আমার।
রিয়া:- আরে ভয় পাস কেন! ভিডিওটা আমার মোবাইলে পেলাম না মনে হয় অটোমেটিক ডিলেট হয়ে গেল?
আমি:- তর বাসায় মিতু গেছিল।
রিয়া:- ওই ডাইনি যাখন গেছিল তখন আমি ওয়াসরুমে ছিলাম।
আমি:- ভিডিওটা ডিলেট হয় নাই? মিতু তর ফোন থেকে ওর ফোনে নিয়ে ভিডিওটা ডিলেট করে দিছে। না জানি এখন?
রিয়া:- আমি তো ওকে ছাড়ব না।
একথা বলতেই দরজার বাইরে কে জানি শব্দ করছে।
আমি:- কে কে?
মিতু বাহির থেকে বলল,, লাদেন আমি দরজা খুল।
আমি:- রিয়া বোন আমার, তুই তাড়াতাড়ি পালা নয়লে মিতু।
রিয়া:- তর মুখ থেকে বোন শুনতে আমার ভাল লাগে না,,বল রিয়া জান।
আমি:- দেখ মিতু এসে তরে দেখতে পারলে অবস্থা খারাপ করে দিবে,, please এখন তুই যা এখন থেকে।
রিয়া:- মিতু তর সাথে আবার কিছু করবে না তো আমার ভয় হচ্ছে।
আমি:- তুই যাবি নাকি।
রিয়া:- বল রিয়া জান আমার তুমি যাও।
মিতু:- ওই তাড়াতাড়ি দরজা খুলবি নাকি আমি বেঙ্গে ফেলবে।
রিয়া:- আজকে ওর একদিন কি আমার একদিন ওকে আমি খুন করব।
আমি:- ও তর থেকে একটু হলেও ভালো আছে,,তর মতো কাপড় খুলে আমাকে ভালবাসা দেখাই না। আর তর বাবা আমাকে খুন করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল। তুই যদি এখন আমার পাশে থাকিস আমার বাবা, মা'কে পরে তর বাবা মেরে ফেলতে পারে।
রিয়া:- যাকে এত ভালবাসি জান প্রান দিয়ে আজকে সেইয়েই এই কথা বলল। যদি বলতাম তরে আমি ভালবাসি মানতি তুই বল মানতি। বিশ্বাস কর এটা ছাড়া তখন আমার মাথায় কোন উপায় ছিল না। তবে তরে শেষ একটা কথা বলে যাই আমি তরে কাছে পাওয়ার জন্য যা করার দরকার পড়বে তাই করব, এমনকি আমার সামনে যে দাঁড়াবে তাকে খুন করতেও একটুও ভাবব না। তবে আমার চেষ্টা আমি করবো আর যদি নায়েই পাই,,পেটে হাত দিয়ে বলল,,
এখানে তর আর আমার সন্তান আছে ওকে নিয়ে বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিব। আর খুব শীঘ্রই নাকি বাবা আমার বিয়ের ব্যবস্থা করবে তবে তার আগে আমি একটা কিছু করব। যতকিছু হোক না কেন তার পরেও আমি শুধু তরেই চাই আর কিছু লাগবে না। শুধু একটা কথাই বলব, "তুই শুধু আমার" আর কারো হতে দিব না।
রিয়া কান্না করতে করতে জানেলা দিয়ে বের হয়ে গেল।
আমি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে দিলাম।
মিতু:- এত সময় লাগে একটা দরজা খুলতে ভিতরে কি করছিলি। বলে জানেলার কাছে গিয়ে কি জানি দেখল।
ফিরে এসে রিয়া আমার হাত ধরে বলল,,এই তর হাতে রক্ত কেন লাগে আছে।
এই রে ধরা না পড়লেই হয়।
আমি:- আসলেই হয়েছে কি হাতটা কেটে গেছে।
মিতু আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল, তাই না।
আমি:- তুমি আমার দিকে এভাবে আসছ কেন?
মিতু কোন কথা না বলে,, আমার ঠোট কামড়ে ধরল।আমি ছাড়াতে চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। তবে শরীরের যত শক্তি ছিল সবটা ব্যবহার করে মিতুকে দূরে ঠেলে দিয়ে হাঁফাতে লাগলাম।
মিতু:- কিরে ভাল লাগে নাই আগে তো আমরা একসাথে কত সময় খাটাইছি।
আমি:- তাই বলে আমার অনুমতি ছাড়া আমার সাথে এসব করবি।
মিতু আমার শার্টের ভিতরে হাত ঢুকিয়ে,,আমি টার্স করলেই দোষ না আর যখন রিয়ার সাথে, বলে আমাকে ঠেলা দিয়ে বিছানায় ফেলে দিল।
আমি উঠে এককোণে দাঁড়িয়ে আছি চুপটি করে।
মিতু:- খেলা তো মাত্র শুরু এখন তুই দেখবি?
ঠাস করে জানেলা ভাঙ্গার শব্দ শুনলাম। মনে হয় রিয়া দাঁড়িয়ে থেকে সব শুনছে?
মিতু;- আমি যেটা আন্দাজ করেছিলাম তাই হয়েছে।
মিতু দৌড়ে দিয়ে আমাকে বিছানার উপরে ফেলে,,গলা চেপে ধরল।
মিতু:- আমি তরে কতবার বলছি না রিয়ার সাথে কথা বলবি না।
আমি:- দেখ মিতু রিয়া এখানে আসে নাই।
মিতু:- তুই আমাকে শিখানোর চেষ্টা করবি না আমি ছোট বাচ্চা না যে দুধু খাই।
আমি:- please ছাড় মিতু আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। শ্বাস নিতে পারেই না?
মিতু:- আমি তো তর কষ্ট দেখতেই চাই।
আমি:- তর কাছে আমার ভিডিও আছে বলে আমাকে যা ইচ্ছা তাই করছিস, সুযোগে সত ব্যবহার করিস না রে?
মিতু:- বস এখানে তরে কিছু কথা বলি।
আমি মিতুর নিচ থেকে উঠে সাইটে বসলাম।
আমি:- তুই তো আমাকে ভালবাসতি আর আজকে তুইয়েই আমার সাথে এই ব্যবহার করিস।
মিতু:- ভালবাসা আর তুই?
আমি:- আমি জানতাম না যে তুই এতটা নিচে নামতে পারিস?
মিতু:- তুই কাকে নিচু বলিস আমাকে,, একবার চিন্তা করে দেখ তো তুই কতটা নিচুর কাজ করছিস। তবে আমার কথার অবাধ্য হলে এই ভিডিও কিন্তু ভাইরাল করে দিব।
আমি:- please, please মিতু তর পায়ে পড়ি এমন করিস না।
মিতু:- তর মতো ছেলে অনেক আমার পিছনে পড়ে আছে! আমি তর পিছনে পড়ে আছি কেন জানিস" রিয়ার কারনে, রিয়াকে আমি দেখিয়ে দিব যে আমি তরে বিয়ে করে। আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়া। আর বিয়ের পর তরে অনেক ভালবাসব তরে এটা কোন ভালবাসা তখন বুঝতে পারবি। আমি খারাপ হতে চাই নাই তুই আমাকে খারাপ করলি। বিয়ের পর আমার বন্ধুদের সাথে আমি শারীরিক সম্পর্ক করব তর সামনে, আমার স্বামীর সামনে,,তখন তর কেমন লাগবে রে। আমার মতো তরে ফোনে ভিডিও দেখতে হবে না, ডাইরেক্ট দেখাব।তবে আমার এক কথা, তরে আমি বিয়ে করবই। আমিও দেখতে চাই রিয়া কি করে তরে বিয়ে করে। কিরে কথা বলিস না কেন?
আমি:- কি বলব তর সাথে কথা বলার মতো আমার কোন ভাষা আছে তবে একটা বিষয় মনে রাখিস আমারোও একদিন সময় আসবে।
মিতু আমার কাছে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে,,সেটা কবে বাবু।
আমি:- সবার সময় এক থাকে না এটা মাথায় রাখিস?
মিতু:- সেটা তো দেখাই যাবে,,তবে সকালে একটা বড় ধরনের সারপ্রাইজ পাবি! আই এখন তর বুকের মাঝে আমি ঘুমাব।
আমি:- আর কি করতে চাস আমার সাথে please আমাকে একটু একা থাকতে দে।
মিতু:- উম্মা আমার বাবুটাকে আমি অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি না,,ঘুমাও এখন কেমন। আর যদি মাঝ রাতে কোন মেয়ের শরীর প্রয়োজন পড়ে আমাকে বলবা আমি ওই তোমর পাশের রুমে আছি,,নাকি এখন।
আমি চুপটি করে বিছানায় বসে পড়লাম।
মিতু:- মনকে শক্ত কর সকালে তো অনেক সারপ্রাইজ আছে সেগুলো নিতে হবে না।
মিতু আমার কাছ থেকে উঠে চলে গেল,,
বসে বসে চিন্তা করছি এই শুধু একটা ভিডিও জন্য মিতু আজকে আমার সাথে এই ব্যবহার করছে। আমি তো নিজের জন্য ভয় পাই না ভয় হয় রিয়ার জন্য। আচ্ছা রিয়াকে কি আমি বিয়ে করব কিন্তু ওকে তো সারাজীবন বোনের নজরে দেখতাম। যা হবার পরে দেখা যাবে আগে আমাকে এইটার একটা সমাধান করতেই হবে।
সকালে,,,
waiting for next
,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,
0 Comments:
Post a Comment