গল্প তুই_শুধু_আমার পর্ব ১

 #তুই_শুধু_আমার 


পাগলা রাইটার


#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম 


#পর্ব_10


👇👇


আমি:- দেখ তরা সবাই তো তদের কথা বলে ফেললি। আমি জানি রিয়া আমাকে কতটা ভালবাসে। কিন্তু আজকে তদের একটা কথা ভাবতে হবে, দেখ যাকে ছোট থেকে আপু আপু করে ডাকছি। আমার কোন বোন নেই ওকেই আমি বোনের নজরে দেখতাম। আর হঠাৎ করে সে বলল আমাকে ভালবাসে এটা কিভাবে মেনে নেওয়া সম্ভব বল। আর আমি রিয়ার সাথে অনেক বড় অন্যায় করে ফেলছি এটাও আমি বলি। হয়তো এটা রিয়ার ভুল ছিল। এখানে আমার কিছু করার ছিল বল।


মিতু:- এখন আমি বলি তুই শুন। দেখ ভালবাসা এমন একটা শব্দ। যেটা জাত জাতী কোন কিছু দেখে হয় না। কারন তর কখন যে কাকে ভাল লাগতে পারে তুই নিজেই বলতে পারবি না। এখন একটা বিষয় চিন্তা করে দেখ তো। রিয়াকে বিয়ে করলে তুই যেই ভালবাসা পাবি অন্য মেয়ে কি আজোও তরে এমন ভালবাসবে। আচ্ছা মানছি ও তর বোন আমি বলি ওকে তুই বিয়ে কর, কয়েকদিন পর দেখবি তুই মন দেখে ওকে মনে নিবি?

আমিও তো তর বোন ছিলাম আমার সাথে তুই প্রেম করিস নাই বল!


রিয়া:- মিতু থাক আমি বলছি না ওকে তুই জোর করবি না। ভালবাসর মানুষকে কষ্ট দিতে নেই। বাদ দে?


ওদের সবাই কথা শুনে আমি ভাবতে লাগলাম সত্যি রিয়ার মতো আমাকে কেউ ভালবাসতে পারবে না। বিয়েই তো সমস্যা নেই করে ফেলি। আস্তে আস্তে হয়তো ওকে মেনে নিতে পারি।


আমি:- আচ্ছা যা তর যেহেতু এতই করে বললি আমি রাজি।


রিয়া খুশি হয়ে বলল, সত্যি।


আমি:- হু ,,কাজী সাহেব বিয়ে পড়ান এমনেই অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে। 


যাক দেখতে দেখতে রিয়া আর আমার বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ে শেষ হতে না হতেই রিয়া এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে লাগল।


আমি:- আরে কি হয়েছে এভাবে কান্না করছিস কেন?


রিয়া:- খুশিতে কান্না করছি রে! আজকে আমার মতো খুশি এখানে কেউ মনে হয় হয় নাই। আসলেই কথাই আছে ভালবাসা সত্যি হলে তাকে পাওয়া সম্ভব। আমার ভালবাসা সত্যি খাঁটি ছিল রে।


আমি:- এভাবে কান্না করিস না। একটু দূরে দাঁড়া।


রিয়া:- হু!


আমি:- মিতু আমি তো একটা কথা বলতে ভুলেই গেছি?


মিতু:- কি!


আমি:- রিয়ার বিয়ে তো ঠিক করা আছে। এখন কি হবে।


মিতু:- কি আর হবে তর পরিবার নিয়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যা আর সুখে শান্তিতে সংসার কর।


আমি:- আমাকে কি তর পাগল মনে হয় এমনটা করব আমি।


রিয়া:- এত কিছু চিন্তা করছ কেন! এসব কিছু আমি সামলে নিব দেখিও!


আমি:- কেন এত কথা বলিস পরে দেখি তো চাচার উপরে কোন কথাই বলতে পারিস না। ভয়ে একেবারে চুপ করে থাকিস।


রিয়া:- চাচা কি হু। বাবা বলবা বাবা, ভুলে যেও না এখন আমি তোমার বিয়ে করা বউ!


আমি:- দেখ দেখ এখন কেমন আমার উপরে অধিকার কাটাচ্ছে। 


মিতু:- এক কাজ কর আমাদের বাসায় চল। পরে আম্মুর সাথে কথা বলে সব ঠিক করে নিবি!


রিয়া:- হু এটা ঠিক হবে। বাবা আবার খালামনিকে একটু ভয় পাই।


মিতু:- তো আর কোন কথা না চল।


রিয়া:- তরা যাবি নাকি আমাদের সাথে. ওদের বান্ধবীদের উদ্দেশ করে বলল!


না রে রিয়া যাব না তরা যা। আর কোন সমস্যা হলে আমাদের বলিস।


আমরা চারজন মিতুদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। রিয়া আমার হাত ধরে আছে। না তো আর করতে পারি না। যদি না করি বলবে তোমার উপর আমার অধিকার আছে। বিয়ে করে ফেসে গেছি। তা-ও আবার নিজের আপন চাচাতো বোনকে। অনেকটা পথ জার্নি করার পর খালামনির বাসায় গেলাম।


খালামনি আমাকে দেখে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল।


বাবা তুই কেমন আছিস! এত দিন পর মনে পড়ল তর খালামনির কথা।


আমি:- মনে তো পড়েই কিন্তু সময় পাই না যে!


সরকারি চাকরি করিস মনে হয় যে সময় পাস না। বাবার মতো কথা বলতে শিখে গেছিস।


রিয়া:- খালামনি আমাকে কি চোখে দেখ না নাকি।‌ থাক আমাকে তো আর ভালবাস না।


খালামনি আমাকে ছেড়ে রিয়াকে জড়িয়ে ধরে বলল,,

তো কি ব্যাপার আজকে দেখি সবাই এক সাথে।


আমি:- খালামনি একটা বিপদে ফেসে গেছি। আপনার সাথে কিছু কথা বলার ছিল।


আগে যা ওয়াসরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে আই।


বাসার ভিতরে গিয়ে, হাত মুখ ধুয়ে বাহিরে এসে দেখি রিয়া গামছা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।


রিয়া:- নেন হাত মুখ মুছে নেন!


মনে মনে বললাম বিয়ে করে তো উপকার হয়েছে।


একটু পর সোফায় বসে খালামনিকে সবকিছু খুলে বললাম।


তো আমাকে ছাড়া আমার মেয়ে বিয়ে হয়ে গেছে। আর তুই কিভাবে তর বোনকে বিয়ে করে ফেললি।


রিয়া:- খালা মনি আমি কিন্তু ওকে ছোট থেকে ভালবাসি। আমার ভালবাসা তো কম ছিল না ওর প্রতি।


এখন তর বাবা যদি জানতে পারে কি অবস্থা হবে একবার চিন্তা করে দেখছত।


আমি:- বিপদে পড়েই তো তোমার কাছে আসা নয়লে কি আসতাম।


আচ্ছা এখানে এলি যেহেতু দুইতিন থেকে যা আর আমি তদের বাবার মা'র সাথে কথা বলব। আর এই বিষয়ে এখন কথা বলব না, পরে একদিন সময় করে বলব কেমন। আর তরা হয়তো জানিস না রিয়ার বাবা কতটা রাগি।


মিতু:- আম্মু!


আর পাম দিতে হবে না তরা যা আমি দেখে নিব।


রাতে একেবারে বাসর ঘরে ঢুকে পড়লাম। অবশ্য বাবা মার অনুমতি না নিয়ে এটা করা উচিত হবে না।‌ আর আমারও এসব করার এখন কোন ইচ্ছে নেই।


রিয়া এসে আমাকে সালাম করল।

বিছানার উপর বসে রিয়াকে বললাম, দেখ বিয়ে আমি এসবের জন্য প্রস্তুত না। আমাকে কয়েকদিন সময় দিতে হবে তর।


রিয়া:- আমি কি তরে না করছি তর ইচ্ছা মতো তুই সময় নে আমি অপেক্ষা করব তর জন্য।


এখন শুয়ে পড় আমার উপর বিশ্বাস করতে পারিস। আমি তার অনুমতি না নিয়ে কিছুই করব না।


আমি:- আচ্ছা তুইয়েও শুয়ে পড় অনেক রাত হয়ে গেছে।

রিয়া মাঝে একটা কুল বালিশ দিয়ে শুয়ে পড়ল।


রিয়া:- আচ্ছা লাদেন আমি তরে কি বলে ডাকব!


আমি:- তর যা ইচ্ছা হয় ডাকতে পারিস।


রিয়া:- না তা-ও তো তুই আমার স্বামী। তর কথা মানতে আমি বাধ্য।


আমি:- দেখ পাগলের মতো কথা বলবি না এখন। ঘুমাতে দে।


রিয়া:- কিন্তু আমার যে ঘুম আসছে না। বাসর রাত নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল আমার জানিস।


আমি:- তুই থাক আমি উঠে চলে যাই। 


রিয়া:- সরি সরি আর বলব না।


আমি:- হু একটু ঘুমাতে দে আমাকে আর তুইয়েও ঘুমা!


রিয়া:- আনরোমান্টিক কোথাকার।


সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি রিয়া এক কোনায় চুপটি করে শুয়ে আছে। মুখটা দেখে মনে হয় যেন খুব মায়াবী। সত্যি ওকে আমি বোন মনে করতাম তবে ও যে আমার বউ হবে এটা আমার ভাগ্য ছিল‌।


ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি বিছানার উপর রিয়া শুয়ে শুয়ে আমাকে দেখছে।


আমি:- কিরে ঘুম হয়েছে তর!


রিয়া:- আজকে তো আমি ঘুমাতে চেয়েছিলাম না তর কারনে ঘুমাতে হল?


আমি:- এখন উঠবি অনেক বেলা হয়ে গেছে।


রিয়া:- হু বলে উঠে ওয়াস রুমে ঢুকে গেল। আমি বসে বসে ফেসবুকে দেখছি কে কি কমেন্ট করে। একটু পর রিয়া গোসল করে ওয়াসরুম থেকে বের হল।


আমি:- কিরে এই ঠান্ডায় কিভাবে গোসল করলি। আর আমাদের তো তেমন কিছু হয় নাই আজকে।


রিয়া:- হয় নাই সেটা আমি আর তুই জানি। বাহিরের তো কেউ জানে না। এখন যা গোসল করে আই।


আমি:- তর মাথা খারাপ হয়ে গেছে এই ঠান্ডায় গোসল করব। 


রিয়া:- দেখ বছরের প্রথম দিন আজকে গোসল করে পবিত্র হ। তাহলে হয়তো বছরটা ভালো যেতে পারে তর!


আমি:- আমার পবিত্র হওয়া লাগবে না। আর তুই তো আমার বউয়েই তুই গোসল করছত না। ততেই হবে আর বাহিরের মানুষকে দেখাতে হবে না। কি করি কি করি আইডিয়া, এক কাজ করি শরীরের তেল দিয়ে দেই তাহলেই তো হবে।


রিয়া:- তাও তুই গোসল করবি না।


আমি:- নারে বইন আমার পক্ষে গোসল করা সম্ভব না মাফ কর।


রিয়া আমার দিকে তেরে এসে,, আমার একটা কান ধরে বলল চল।


আমি:- দেখ ঠান্ডায় মরতে পারব না।


রিয়া আমার কোন কথা না শুনে জোর করে ওয়াসরুমে ঢুকিয়ে গোসল করতে লাগল।


কোন হালা বলছিল ঠান্ডায় বিয়ে করলে শরীর গরম হয়। ওকে পেলে ধরে কিছুক্ষণ আগে মারতাম। সকাল সকাল যে গোসল করা লাগে সেটা কি ওর চোখে পড়ে নাই। যাক গল্পে আসি,,


এভাবে খালামনির বাসায় দুইদিন থেকে বাসায় চলে গেলাম। খালামনি বলল তরা যা আমি একদিন সময় করে আসব। বাসায় এসে শুনি আর তিনদিন পর রিয়ার বিয়ে শুনে তো আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। কি করা যাই কি করা যাই। কিছুই মাথায় ঢুকছে না। আর আমাদের বিয়ের কথা কাউকে বলি নাই। ওটা গোপন রাখছি। ‌ তবে রিয়ার সাথে এখনো ও আমি স্বভাবিক ব্যবহার করি এতটা ফিলিং আসে নাই ওর প্রতি। দেখি সামনে কি হয়।


রাতে রুমে শুয়ে আছি,,


হঠাৎ দেখি....


waiting for next


❤️ সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ❤️


,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,

0 Comments:

Post a Comment