গল্প তুই_শুধু_আমার পর্ব ৭

 #তুই_শুধু_আমার


পাগলা রাইটার


#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম


#পর্ব_7


👇👇


বিকালে মিতু যাবার আগে আমার কাছে এসে বলল,,


মিতু:- কিরে আমি তো চলে যাচ্ছি এখন তো তুই মনে হয় কয়েকটা দিন খুশি থাকতে পারবি।


আমি:- তর যদি মনে হয় আমি ভাল থাকব তাহলে মনে কর তাই।


মিতু:- প্রতিশোধের খেলার যেহেতু দুইজন মাঠে। তবে এটা মাথায় রাখবি তরে আমি আগে বিয়ে করব। রিয়াকে তর ধারে কাছেও আসতে দিব না।


আমি:- মিতু এসব আমার একদম ভাল লাগছে না? তরা যা শুধু করলি। আচ্ছা তুই তো আমাকে বিয়ে করতে চাস যা আমি তরেই বিয়ে করব এভার খুশি তো তুই। তবুও তর কাছে হাত জোড় করে বলছি এসব খেলা বন্ধ কর।


মিতু:- তুই যে এভাবে পরাজয় মেনে নিবি আমি ভাবতেও পারি নাই।


আমি:- আমার আগের দিন গুলো মনে হলে খুব আফসোস হয় জানিস, যখন তুই খুব ভালো ছিলি। এতটা রাগ তর মাঝে ছিল না!


মিতু:- আমি এমন হতে চাই নাই। আমাকে এমন করলি তুই। আর তরে তো আমি এভাবে বিয়ে করব না। ওই কথায় আছে না গাছেও মরবে ডালেও ভাঙ্গে। যাকে বলে এক ডিলে দুই পাখি স্বীকার।


আমি:- মানছি আমি অপরাধ করছি। আমি বার বার এই কথা তর কাছে স্বীকারও করি। তাও তুই এমন করিস কেন?


মিতু:- তর সাথে কথা বলতে আমার ঘৃনা করে। আমাকে রেখে নিজের চাচাতো বোনকে বিছানায় নিয়ে শুয়ে পড়িস লজ্জা করে না। আবার আমার সামনে এসে বলিস আমি অপরাধী।


আমি:- দেখ মিতু সবকিছু একটা লিমিট থাকে তুই কিন্তু এখন বেশি বাড়াবাড়ি করছিস।


মিতু:- হে করছি তুই কি করবি। কি করবি আমাকে?


আমি:- তুই আমার সামনে থেকে যা। আমার তো তরে দেখার ইচ্ছা হচ্ছে না এখন!


মিতু:- এই কথা তর মুখে মানাই না ভুলে যাস না তুই আমার কাছে বন্দী।


আমি:- খুব প্রস্তুতি রে তুই।  তখন আমার কথাই শুধু মনে পড়বে তর, মনে রাখিস।


মিতু:- আরে যা যা তর মতো ছেলে আমার পিছনে দশটা প্রতিদিন পড়ে থাকে।


আমি:- ভাল তো। তবে যা না ওদের বিয়ে কর এভাবে আমার পিছনে পড়ে আসছ কেন?


মিতু:- এত সহজে তরে কিভাবে ছেড়ে দিব। ভিডিওটা দেখলে এখনো ও আমার শরীর জ্বলে যাই। 

তরে তো বলে,

 --মিতু আমার গলায় দুই হাত দিয়ে চেপে ধরল।


আমি:- মিতু ছাড় বলছি আমার কষ্ট হচ্ছে ‌।


মিতু:- এর থেকেও তরে আমি আরো বেশি কষ্ট দিয়ে মারব মনে রাখিস।


আম্মু:- মিতু তুই এগুলো কি করছিস, আমার ছেলের গলা এভাবে চেপে ধরলি কেন?


মিতু আমার গলা ছেড়ে দিয়ে বলল,,আরে মামি আমি তো ওর সাথে মজা করছিলাম একটু। আসি রে লাদেন! নাকি আমাকে একটু আগিয়ে দিয়ে আসবি।


আম্মু:- তুমি যাও ওর একটু কাজ আছে এখন।


মিতু আমার কানের কাছে এসে বলল,,খুব শীঘ্রই আবার তর আর রিয়ার সাথে দেখা হবে। তবে বিয়ের সাজে মনে রাখিস।


এই বলে মিতু হাসতে হাসতে চলে গেল।


আম্মু:- বাবা কি হয়েছে তর খুব টেনশন দেখাচ্ছে।


আমি:- কি হয়েছে না, যত সমস্যা আছে সব আমাকে একসাথে চেপে ধরেছে। মাঝেমধ্যে মনে হয় কি জান আমার এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার কোন অর্থ নাই।


আম্মু: আই এখানে বস,,,


আম্মু আমাকে সোফায় নিয়ে বসিয়ে,,


আম্মু:- দেখ বাবা অপরাধ যেহেতু করেই ফেললি, তো কি আর করবি। আমি বলি কি সব ভুলে রিয়াকে নিয়ে পালিয়ে যা।


আমি:- চাচির মতো তোমাদেরও মাথা খারাপ হয়ে গেছে তাই না। আমি পালিয়ে চলে গেলে তোমাদের কি অবস্থা হবে একবার চিন্তা করে দেখছ।


আম্মু:- আমাদের কথা আর চিন্তা করে কি হবে। আমরা এখন বুড়ো হয়ে গেছি মরলেও কোন কিছু হবে না। তুই এসব চিন্তা করিস না।


আমি:- আমার জীবনে কেউ আছে বল,,তোমরা ছাড়া এই পৃথিবীতে আমার আপন বলতে কেউ নাই। আর তোমরাই যদি চলে যাও আমি কি নিয়ে বাঁচব বল।

বলতে বলতে আমার চোখে পানি এসে পড়ল।


আম্মু:- দেখ পাগল ছেলে এভাবে কান্না করা লাগে। বাবা আমার মেয়েটার জন্য চিন্তা হয়। এখনো ও এত কিছু বুঝে না। সেইদিন আমার কাছে এসে কান্না করতে করতে বলল,,তরে যদি না পাই সেই সময়েই বিষ খাবে। সত্যি বাবা মেয়েটা একদাম অবুঝ। আমার মেয়ে নাই তো কি হয়েছে, ও তো আমার চোখের সামনেই বড় হয়েছে। তাই ওকে কিভাবে আমি কষ্টের মাঝে দেখি বল।


আমি:- তো রিয়ার কথা না বলে ফেললে মিতুর কি হবে হু। ওর কথা একবার চিন্তা করছ তুমি। ও তো আমাকে কম ভালবাসত না।


আম্মু:- আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি রিয়া তরে যতটা ভালবাসে মিতু এতটা ভালবাসতে পারবে না তরে। 


মনে মনে বললাম,,এটা তো আমি নিজের চোখেই দেখতে পাচ্ছি।


আমি:- আম্মু কিছু করার নাই এখন। যা হবে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিছি এখন।


আম্মু:- তর জন্য যদি আমার মেয়েটার কিছু হয় রাখব না কিন্তু তরে।


আমি:- হ আমি হলাম বলির পাঁঠা। সবাই মিলে খালি আমাকেই দেখতে পাও। এক কাজ কর আমাকে মেরে ফেল তাহলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।


আম্মু:- এসব ফালতু কথা মুখেও আনবি না একদম বুঝলি। এখন গিয়ে টেবিলে বস আমি খাবার দিচ্ছি।


আমি:- আব্বু কই,, আব্বুকে তো দেখতে পাচ্ছি না।


আম্মু:- কই জানি গেছে। জানিস তর বাবা তর জন্য অনেক ভয় পাই রে।


আমি:- কিছু হবে না আমার। এত চিন্তা করতে হবে না তোমাদের।


খাবার খেয়ে রুমে চলে গেলাম,,এখান বাসা থেকে বেশি বের হই না কারন কখন কোন ঝামেলা এসে ঘাড়ে পড়ে বলা যাই না। রুমে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করছি এই সব কিছুর সমাধান আমি কিভাবে করব। একটা সমাধান করতেই হবে, নয়লে ওদের মারামারি আমার দেখতে হবে।

ধুর এত চিন্তা করি কেন আমি। যা আছে কপালে, যা হবার হবে সে পরে দেখা যাবে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি নয়টা বেজে গেছে। বাবা এত সময় হয়ে গেল আমি কিছুই বলতে পারি না। ওয়াস রুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বের হতেই, অনেকগুলো গাড়ির হর্ন শুনলাম। মনে হয় কেউ চাচাদের বাড়িতে এসেছে। কিন্তু এত সকালে কেন! এটাই তো বুঝলাম না। নিচে নেমে দেখি আম্মু দরজার দিকে তাকিয়ে আছে।


আমি:- আম্মু কে এসেছে চাচাদের বাড়িতে,,


আম্মু:- দেখে তো মনে হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়ি কিন্তু ওরা গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়িয়ে আছে। কি জানি বলা বলি করছে।


আমি:- থাক এসব বড়লোকদের ব্যাপার আমাদের দেখে লাভ নাই। এখন নাস্তা দাও খুব খিদে পেয়েছে?


আম্মু:- বাবা ওরা তো আমাদের বাসার দিকেই আসছে।


আমি:- কি?


আম্মু:- হু বিশ্বাস না হলে তাকিয়ে দেখ


আমি তাকিয়ে দেখি আরে আম্মু যা বলল সত্যি তো,,


আমি:- কিন্তু ওরা এখানে আসছে কেন?


আম্মু:- আমি কি জানি তুই আবার কিছু করিস নাই তো।


আমি:- আরে আবার আমি কি করব? দেখ না বাসা থেকে বের হই না এখন?


আম্মু:- আমার তো ভয় হচ্ছে এখন। আচ্ছা সাথের মেয়েটা কে?


আরে শালা আজকে মনে হয় আমাকে খাইছে, আঁখি আর ওর ভাই সুমন আমাদের বাসার দিকে আসছে। তবে আঁখির মুখে হাসি দেখে বুঝতে পারছি, সেইদিনর অপমান করতে আসছে মনে হয়।


ওমা ভিতরে এসেই সোফায় বসল,,আর ওদের আশেপাশে বডিগার্ড দাঁড়িয়ে আছে। রং কথা বললেই আজকে খালাস করে দিবে খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি। এর মাঝেই আমার বাবা ভিতর থেকে বাহিরে চলে আসলেন।


বাবা:- তোমরা হঠাৎ এত সকালে আমার বাড়িতে কেন বাবা?


সুমন:- আসলেই আংকেল আমার বাবাই আসত। কিন্তু ওনার কিছু কাজ থাকার কারণে ওনি আসতে পারে নাই। তাই আমার ছোট বোনের গার্ডিয়ান হিসাবে আমাকেই আসতে হল।


বাবা:- আমাদের বাসায় আসছ খুব ভাল হয়েছে। তোমার আর আমার মেয়ের বিয়ে কয়েকদিন পর,,তা দাওয়াত দিতে আসছ বুঝি।


আমি:- বাবা কি সব কথা বলছ তুমি।


সুমন:- আরে ভাইয়া বলতে দেন না, ওনি মুরব্বি মানুষ বলুক না।


আমি:- না ভাইয়া আসলেই এই বিষয়টা কেমন দেখায় না? কিন্তু হঠাৎ করে সকালে আমাদের বাড়িতে এটা একটু আচর্যের ব্যাপার না ভাইয়া।‌ যেখানে আপনারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে মেয়ে আমাদের মতো গরিবদের ঘরে এসে সময় নষ্ট করবেন, এটা আমি ভাবতেও পারি নাই।


সুমন:- দেখ লাদেন নিজেদের নিজে অপমান করবে না। গরিব বলে কি তোমরা মানুষ না। আমাদের শরীরে রক্ত আছে তোমাদের শরীরেও শক্ত আছে। কোন দিক দিয়ে তো তোমরা আলাদা না। তাছাড়া আমাদের এখানে আসার একটাই কারন, আমার ছোট বোনকে দেখছ।


আহা রে ডং কত, ছোট বোনকে দেখছ? ওকে আর দেখার কি হল সিফাইনি, ডাইনি আমাকে অপমান করে।


সুমন:- কি চিন্তা কর লাদেন?


আমি:- আরে তেমন কিছু না ভাইয়া আপনি বলেন!


সুমন:- তোমার সাথে আমার বোনের কি কথা হয়েছে জানি না! তবে এখান থেকে যাওয়ার পর আমার বোন একদম চুপচাপ থাকত। তেমন বেশি কারো সাথে কথা বলত না। আজকে সকালে আমার নজর এল, আমার বোনের উপর দেখছ এখনো ও ওর চোখ গুলো লাল হয়ে আছে। আমি তখন জিগ্গেস করি এমন অবস্থা কেন, ও তখন বলল আমাকে সরাসরি বলল তোমার কথা চিন্তা করে। শুনে বেশ অবাক হয়েছ না! আমিও খুব অবাক হয়েছি। যেখানে আমার বোন কোনো ছেলের সাথে কথা পর্যন্ত বলে না? সেখানে ও কিভাবে তোমার জন্য পাগল হয়ে গেল।

আমার বাবা বলছে তরে বড় ঘরে বিয়ে দিব কিন্তু না, ও শুনে না,,বলে ওর নাকি তোমাকেই চাই। বাবার সাথে রাগ করে ও আমার কাছে এসে কান্না করে এসব বলল।

জানি না তুমি ওকে কি সব বলছ। যার কারনে ও তোমার জন্য পাগল হয়ে গেছে।  তবে আমি আমার ছোট বোনোর চোখে পানি দেখতে চাই নাই। তাই এখানে সকাল সকাল তোমার সাথে কথা বলতে চলে এলাম।


বাবা:- বা, বা এটা তো খুব ভাল কথা আমাদের এক মেয়ে আমাদের বাড়ি থেকে যাবে আরেক মেয়ে আসবে, এর থেকে খুশির খবর আর কি বা হতে পারে।


সুমন ভাইয়ের কথা শুনে আমি সত্যি অবাক হয়ে গেছি। তবে এখন বুঝতে পারছি আমি নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছি। ভাবছিলাম ওকে দিয়ে মিতুকে শাস্তা করব কিন্তু কে জানত ও আমার পিছনেই পড়ে যাবে।‌ আঁখি বেচারির কি দোষ ওকে তো মিথ্যা ভালবাসার স্বপ্ন আমি দেখাইছি। এখন নিজেকে অনেক বড় অপরাধী মনে হচ্ছে। ওর সাথে একটু প্রেমের অভিনয় করার কারনে আজকে ও যে এখানে চলে আসবে কে জানত। আর সেইদিন তো বেশি কিছু বলি নাই আঁখিকে, যাস্ত ওকে একটু বুঝাইছি। আর এতেই আমার জন্য পাগল হয়ে গেছে। বা বা এই নাহলে বাঙালি।


সুমন;- লাদেন তোমার উত্তর পেলে আমি খুব খুশি হতাম।


আমি:- দেখন ভাই!


বাবা:- কোন কিছু দেখার শুনার দরকার নাই আমরা একপায়ে রাজি আছি। এত বড় ঘরের সমন্ধ আসছে আমার ছেলের জন্য, এর থেকে খুশির খবর আর কি হতে পারে।


আসলে বাবার রাজি হওয়াল একটা কারন আছে। সত্যি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘর থেকে যে সমন্ধ আসবে এটা কে জানত। আর আমি আঁখির অহংকার দেখে বুঝে নিয়েছিলাম ও আর আমার পিছনে পড়ে থাকবে না। ওর লেভারের কাউকে ও খুঁজে নিবে। কিন্তু কে জানত শেষে আমিই বলির পাঁঠা হব। আজকে সব দোষ আমার। এখানে কারো দোষ নাই ওর সাথে যদি আমি মজা না করতাম তাহলে আর এই হত না?


আমি:- আসলেই সুমন ভাইয়া আপনারা হলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে মেয়ে। একটু চিন্তা করে দেখেন আপনাদের সাথে আমাদের যায় না।


আঁখি:- তুমি এত চিন্তা করছ কেন হু, আমি সব কিছু মানিয়ে নিয়ে থাকতে পারলেই তো হবে।


সুমন;- এখন তো আমার বোনের কথা তুমি শুনতে পারবে কি বলল।


আমি:- ভাইয়া আমি এখনো ও বেকার চাকরি বাকরি নেই, ওকে কিভাবে?


সুমন:- বুঝতে পারছি। তোমাকে আর বলা লাগবে না? বল কি ধরনের চাকরি তুমি করতে চাও! তোমার কাছে ওরা এসে চাকরি দিয়ে যাবে আজকেই। আসলেই আমি আমার বোনের চোখে একফোঁটাও জল দেখতে চাই না।


আমি:- ভাইয়া আমাদের একটু সময় দেন এখানেই তো আর বলা যাবে না। হয়তো বাবা বলে দিছে কারন এত বড় ঘর থেকে আপনারা আসছেন যে কেউ রাজি হয়ে যাবে। যদি একটু সময় নিতেন খুব ভাল হত। (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলে মেয়ে কথা গুলো একটু ভেবে চিন্তেই বলতে হবে, নয়লে আশে পাশে যারা আছে শরীরের জায়গায় শরীর থাকবে কিন্তু মাথা যে থাকবে না তা খুব ভালো করেই বুঝতে পারছি আমি)


আঁখি:- ভাইয়া দিয়ে দাও নাও কিছু সময় ওঁদের। আর তুমি চিন্তা কর না ও দেখিও একটু পরেই তোমাকে কল করবে আমার বিশ্বাস আছে।


সুমন:- আমার বোন যেহেতু বলে ফেলছে তো আর আমি কি না করব। যাও তোমার ইচ্ছে মতো বলিও তবে আমাদের নিরাশ করিও না। ‌ একটা কথা মাথায় রাখিও আমার বোনকে কোন ছেলের কাছে ঘেঁষতে ও দেই নাই কখনোও। তোমার সাথে সেইদিন প্রথম কথা বলছে।

আচ্ছা আমাকে এখন উঠতে হবে রিয়ার সাথে একটু দেখা করে চলে যাব। চল আঁখি!


আঁখি:- ভাইয়া তুমি যাও। আমি আজকে সারাদিন ওর সাথে ঘুরব। বিকেলে ওকে নিয়ে বাসায় যেতে পারি হয়তো বাবাকে দেখালো লাগবে না।


সুমন:- এই তোমরা থাক আমার বোনকে সেভলি বাড়িতে পৌঁছে দিবা।


আঁখি:- না ভাইয়া আমার কাউকে লাগবে না,,ও একাই আমাকে দেখতে পারবে কি লাদেন ঠিক না।


আমি ভয়ে ভয়ে বলেই দিলাম,,হে হে ঠি ঠিক?


সুমন:- দেখছ আমার বোন তোমাকে বিয়ে করার আগেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে। আচ্ছা রে থাক তুই। কোন সমস্যা হলে আমাকে বলবি।


আম্মু:- বাবা গরিবের বাড়িতে আসছ কিছু খেয়ে যাও।


সুমন:- কয়েকদিন পর এই বাড়িতে আমি আমার ছোট বোনকে রেখে যাব, এভাবে গরিব বললেন না। আমার বোন যেখানে থাকবে সেখানে সবাইকে বলতে হবে এই বাড়িতে একটা রানি আছে। আর আজকে একটু দরকার আছে আরেকদিন এসে খেয়ে যাব। আর আমার বোন তো আপনাদের বাসায় আছেই।

বাই আঁখি!


আঁখি:- হু ভাইয়া যাও।

এখন যে আমি বড় একটা বিপদের সম্মুখীন হচ্ছি, এটা খুব ভাল করে ভুলতে পারছি। এজন্য গুরুরা একটা কথা সবসময় বলত "ভাবিয়া করিও কাজ করিয়া ভাবিও না"

 আর মেয়ে দেখে জীবনেও কারো সাথে মজা করত যাব না? হোক না সে যত সুন্দরী। উচিত শিক্ষা হয়ে গেছে আমার। এক বিপদ থেকে বাঁচতে গিয়ে আরেক বিপদে পড়ে গেলাম। এখন মনে হয় না যে আর বাঁচতে পারব।


আঁখি আমার আম্মুকে বলল,,,


waiting for next


,, নামাজ বাদ দিয় না বন্ধু এপারের চেয়ে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর,,


(কি গল্পের নতুন মোর ভালো লাগছে,,আর কালকে একটু কাজ করছি এজন্য লিখতে পারি নাই,,ভাই কেউ আমাকে এজন্য অভিশাপ দিবেন না পুরে যাব এত এত পাঠক,,এখন থেকে প্রতিদিন সকালে এই গল্প পাবেন। তবে মাঝে মাঝে একটু কাজ হয়তো থাকতে পারে তাই কেউ কিছু মনে করবেন না)

0 Comments:

Post a Comment