#তুই_শুধু_আমার
রোমান্টিক লেখক
#শেখ_লাদেন_ইসলাম_তানজিম
#পর্ব_2
👇👇
কিছুক্ষণ পর জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে গেলাম,,
চাচা:- এই হয়েছে, মারা বন্ধ কর যত হোক আমার রক্ত! মায়া লাগে। এইবারের মতো মাফ করলাম আর যেন আমার পরিবারের উপর তর ছেলে নজর না দেয় বলে দিস? নয়লে শরীর শরীরের জায়গায় থাকবে কিন্তু মাথা আলাদা হয়ে যাবে। আর আজকের পর থেকে তুই আর আমার সীমানায় যাবি না। আমি তর মুখেও দেখতে চাই না! আমার কোন ভাই নাই আজকে থেকে! আমি একা। আজকের ভিতরেই এখানে একটা দেওয়াল তৈরি কর সবাই মিলে, যেন আমি আর ওর মুখ দেখতে না পরি।
বলে চাচা চলে গেল।
আম্মু:- আমার ছেলের কি হয়ে গেল? তোমার ভাই টাকা আর ক্ষমতার দেখিয়ে আমার ছেলের কি অবস্থা করছে দেখতে পারছ তুমি? আরো ভাই ভাই করবা না।
বাবা আর মা আমাকে ধরাধরি করে হাসপাতালে নিয়ে গেল।
মিতু সকালে উঠেই আমাকে কল দিল,, কিন্তু আমাকে আর পেল না,,
আম্মু:- কে বলেছেন?
মিতু:- মামি তোমার কন্ঠ এমন শুনা যাচ্ছে কেন? আর তোমাদের না আজকে আসার কথা ছিল। কোন পর্যন্ত এসেছ তোমরা,,জান আজকে আমি কত খুশি। আমি আমার ভালবাসার মানুষকে আপন করে পাব। আর লাদেন কই মামি ওর কাছে ফোনটা দাও তো একটু।
আম্মু:- সব শেষ হয়ে গেছে,, সব শেষ তোমার বড় মামা আমার ছেলেকে মেরে হাসপাতালে পিটিয়ে দিছে। আমার একটা মাত্র ছেলে আর,,বলে আম্মু কান্না করতে লাগল।
মিতু:- কি হয়েছে বলেন তো মামি,,আর ওর কি হয়েছে আমি আসছি এখানেই আসছি।
আম্মু আর কোন কথা না বলে ফোনটা রেখে দিল।
মিতু মনে মনে চিন্তা করতে লাগল, এভাবে তো কোন কারন ছাড়া বড় মামা লাদেনকে মারবে না। আমার আগে থেকেই রিয়ার উপর সন্দেহ ও তো আবার লাদেনের সাথে। না না আগে আমাকে জানতে হবে কি হয়েছে।
মিতু ওর বাবা মাকে দুই পাঁচ বুঝিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ল,, আমাদের বাসায় আসতে আসতে প্রায় বিকাল হয়ে গেল। টেনশনে মিতুর কপাল থেকে ঘাম ঝরছে।
মিতু আমাদের বাসার সামনে গিয়ে আবাক হয়ে গেল,,দেখে ইয়া বড় একটা দেওয়াল তৈরি হয়ে গেছে। কাছাকাছি বাসা তাও কারো বাসা দেওয়ালের জন্য দেখা যায় না।
তাড়াতাড়ি মিতু তার বড় মামার বাসার চলে গেল,, ভিতরে গিয়ে দেখে সবাই বসে আছে তবে কি জানি চিন্তা করেছ।
মিতু:- মামা বাহিরে কি সব হচ্ছে আর ছোট মামার সাথে তোমার কি এমন হয়েছে যে দেওয়ার তোলে ফেললে।
কেউ কোন কিছু না বলায় মিতু সরাসরি রিয়ার রুমে চলে গেল,,দেখে রিয়া রুমে নাই। টেবিলের উপর ওর ফোনটা পড়ে আছে। আর কি জানি শব্দ করল রিয়ার ফোনে।
মিতু কি জানি একটা মনে করে রিয়ার ফোনটা হাতে নিয়ে,,কারন বসত গ্যালারিতে চলে গেল। কিন্তু একটা ভিডিও মিতুর চোখের পরতেই মিতুর কেমন কেমন জানি লাগল।
ভিডিওটা open করতেই মিতুর চোখ কপালে উঠে গেল! যেখানে তার বয়ফ্রেন্ড লাদেন আর রিয়া একেঅপরের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত। মিতু আর দেখতে পারছে না ওর চোখ দিয়ে পাড়ি পড়ছে। শুধু এটা চিন্তা করে যে,,এত বছরের ভালবাসা আমাদের কি করে লাদেন এটা করতে পারল। তাড়াতাড়ি মিতু রিয়ার ফোন থেকে ভিডিও টা মিতুর ফোনে নিয়ে কেটে ফেলল। এখন শুধু এই ভিডিওটা মিতুর ফোনেই আছে। আমার সাথে বেইমানি করিস এর ফল ভাল হবে না রে লাদেন? আমার এক ফোঁটে ও চোখের জলের মূল্য তরে দিতে হবে।
হঠাৎ ওয়াসরুম থেকে রিয়ার আসার শব্দ শুনেই ফোনটা মিতু টেবিলে রেখে চলে গেল।
রিয়া হঠাৎ মিতুকে রুমে দেখে অবাক হয়ে গেছে। মিতু এখানে কিভাবে এল। আর তাহলে কি মিতু সব জেনে গেছে।
মিতু রিয়ার থেকে দুই বছরের বড়। সেই হিসেবে রিয়া মিতুকে সম্মান করে আর খুব ভয়েও করে। মিতুর রাগের সম্পর্কে রিয়া খুব ভালো করেই জানে। যার কারনে এতদিন রিয়া লাদেনকে প্রপোজ করতে পারে নাই। ওর ভালবাসা প্রকাশ করতে পারে নাই। কিন্তু যখনেই ওর বিয়ের কথা চলতে লাগল তখন রিয়া সব কিছু ভুলে ওর ভালবাসা কাছে পাওয়ার জন্য নিজের শরীর বিলিয়ে দিল, লাদেনের কাছে।
মিতু হাসি মুখে বলল,,
মিতু:- কিরে রিয়া তর চোখ এভাবে লাল হয়ে আছে কেন? মনে হচ্ছে যেন খুব কান্না করছত।
রিয়া:- না আপু আসলেই এমন কোন বিষয় না আমার চোখে কি জানি পড়ছে।
মিতু রিয়ার দিকে আসতে আসতে বলল,,কি জানি পড়ছে না।
রিয়ার উরনাটা টান দিয়ে মিতু'' রিয়ার মুখে গুজে দিল! যাতে কোন কথা বলতে না পারে,,আর চুল ধরে ইচ্ছা মতো মারতে লাগল।
মিতু:- আমার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে শারীরিক সম্পর্ক করিস। লজ্জা করে না তর যেখানে আমি ওকে পাওয়ার জন্য তিনটা বছর ধরে অপেক্ষা করে আছি সেখানে তুই?
উম,,উম করছে রিয়া কোন কথা বলতে পারছে না।
মিতু:- তরে ইচ্ছা করছে মেরে ফেলতে। আমি কি ক্ষেতি করেছিলাম তর রে,,যার কারনে তুই আমার বয়ফ্রেন্ড এর উপর নজর দিলি। এতই যখন শরীর বিলানোর শখ তাহলে ওই পাড়ার ছেলেদের কাছে যেতে পারিস নাই। নয়লে পাতিতা পল্লিতে। নষ্টা মেয়ে?
রিয়া কোন কথা বলতে পারছে না,,হাতে করতে ইশারা করে বলল,,মুখের কাপড় সরিয়ে নিতে! খুব কষ্ট হচ্ছে ওর।
মিতু রিয়ার মুখের কাপড় সরিয়ে নিতেই,,রিয়া ফ্লোরে পড়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগল।
মিতু:- আমার সাথে এমন করলি না দেখ আজকে থেকে তর খারাপ দিন শুরু।
রিয়া মাটি থেকে উঠেই মিতুকে লাথি দিয়ে ফেলে দিল!
রিয়া:- এতদিন চুপ ছিলাম,,এই তুই বেশ্যা কাকে বলিস রে আমার বয়ফ্রেন্ড এর সাথে আমি যা ইচ্ছা করব তাতে তর কি রে।
মিতু:- আমার কি না দেখবি।
রিয়া:- যেভাবে আছত সেভাবেই থাক নয়লে,,তুই তো জানিস আমি এমপির মেয়ে কি যে করব আর যেখানে আমার বাবা মা আমার উপর হাত তুলে নাই সেখানে তুই।
মিতু:- অনেক প্রস্তাবি রে তুই মনে রাখিস,, আমাকে তো তুই চিনিস না।
রিয়া:- যা যা কি করতে পারিস তুই দেখব নে।
মিতু চলে যেতেই,,রিয়া বিছানায় পড়ে কান্না করতে লাগল,,কি করল সে আজকে ওর কারনে দুইটা পরিবার আলাদা হয়ে গেছে। এখন বুঝতে পারছে রিয়া কত বড় ভুল করে ফেলছে।
মিতু সরাসরি রাগে বাসা থেকে বের হয়ে গেল,, সরাসরি হাসপাতালে চলে গেল।
মিতু:- মামি লাদেন এখন কেমন আছে।
আম্মু:- ডাক্তার বলেছে কিছুক্ষণ পরেই জ্ঞান ফিরবে?
আমার জ্ঞান ফিরতেই আম্মু আমাকে আর হাসপাতালে রাখল না,, সরাসরি বাড়িতে নিয়ে গেল। একজন নার্সকে আমাদের বাসায় যাবার জন্য বলেছে।
আম্মু:- বাবা কি হয়েছিল বল তো আমাকে? তুই কী রিয়ার সাথে সত্যি।
মিতু:- আরে মামি আপনার মাথা খারাপ হয়ে গেছে ওকে আগে সুস্থ হতে দেন। তুই আমার সাথে প্রতারণা করলি না দেখ তোর কি অবস্থা করি,, মনে মনে বলল।
বাবা:- সুস্থ হওয়ার পর থেকে তুই আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবি? যে নিজের বাবা মার কথা এবারেও চিন্তা করে না।
আম্মু:- চল তো ছেলেটাকে একটু একা থাকতে দাও। কি সব কথা শুরু করলে তুমি।
বাবা মা চলে যাওয়ার পর,,
আমি:- মিতু আমাকে তুই মাফ করে দিস আমি পারলাম না রে আমি পারলাম না।
মিতু আমাকে জড়িয়ে ধরে! কান্না করিস না যা হবার তো হয়েই গেছে।
আমি:- আমি তো তর হক নষ্ট করে ফেলছি। তাই আমি চাই না রিয়ার জীবনটাকে নষ্ট করতে।
মিতু:- তুই কি বলতে চাস আমি বুঝে গেছি!
মিতু আমাকে ছেড়ে আমার পাশে বসল,,
মিতু:- আচ্ছা লাদেন আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলল বল তো আমি কি সত্যিই সুন্দর না।
আমি:- কে বলছে তুই সুন্দর না! তুই তো আমার কাছে বেস্ট সুন্দর ছিলি।
মিতু:- বেস্ট সুন্দর ছিলি না রে,,এই একটা শব্দ কেমন জানি আমাকে তর কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে।
ঠাসস ঠাস করে মিতু আমার গালে দুইটা চর দিয়ে বলল,,তর যেহেতু এতই মেয়েদের শরীরের উপর লোভ থাকে, আমাকে বলতি, আমি কি ছিলাম না। আমি তো তর গার্লফ্রেন্ড ছিলাম। আমাকে তো বলতে পারতি তোমার সাথে আমার রুম ডেট করা লাগবে।
আমি কি তরে না করতাম কোন ইচ্ছে পূরন করি নাই আমি তর বল? ঘুরতে, বসতে এমনকি ঘুমাতে গেলেও আমি তরে নিয়ে স্বপ্ন দেখি আর সেই তুই কি করলি। আমি না হয় রিয়ার থেকে বেশি সুন্দর না! তাই বলে কি আমার ভালবাসা অসুন্দর ছিল বল আমাকে? কি করি নাই আমি তর জন্য বল।
আমি:- বিশ্বাস কর মিতু?
মিতু:- তুই কথা বলবি না! কি বিশ্বাস করব তরে। তুই তো একটা লোভি নে আমাকে ভোগ করবি না? এটাই তো ছিল তর মনের ইচ্ছা বলে মিতু আস্তে আস্তে শরীর থেকে কাপড় খুলে ফেলছে।
আমি:- please please মিতু এমন করিস না আমাদের ভালবাসার কসম।
এটা বলতেই মিতু আঁটকে গেল,,শাড়িটা পড়তে পড়তে মিতু বলল,, অনেক ভালবাসি রে তরে তুই বুঝলি না। এত বছর ধরে আমাদের সম্পর্ক রিয়ার শরীরে টার্স করার আগে আমার কথা একটু মনে করলি না? যে ওর মতো আরেকটা মেয়ে আমার পথ ছেয়ে বসে আছে।
আমি সারারাত ঘুমাতে পারি নাই আমাদের বিয়ের কথা চিন্তা করতে করতে। বিয়ের পর আমরা কি কি করব আর তুই ছিঃ ছিঃ।
আমি:- অনেক হয়েছে রে আর অপমান করিস না সহ্য করতে পারছি না?
মিতু:- আমি তরে ভালবাসতাম বলে এতদিন ভদ্র ছিলাম,, কিন্তু আজকের পর থেকে আমার খারাপি দেখতে পারবি রিয়াকে কি করে তুই বিয়ে করিস আমিও দেখে নিব। আর একটা জানিস তরে দেখাই ,, ভিডিওটা মিতু আমার সামনে ধরতেই আমি পুরাই অবাক হয়ে গেলাম।
আমি:- এটা তুই পেলি কি করে।
মিতু:- গেইম তো কেবল মাত্র শুরু,,আর আমি যে কেমন মেয়ে তুই আস্তে আস্তে বুঝতে পারবি এতদিন ছিলাম অন্ধ।
আমি:- মিতু আমার কথাটা তো মিতু, মিতু।
মিতু আমাকে রেখে বাহিরে চলে গেল,,আমি মাথায় হাত দিয়ে বসে আছি। আজকে সব শেষ এই সবকিছুর জন্য রিয়া দায়ি,, ও যদি আজকে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করত তাহলে আজকে আমার আর এই দিন দেখতে হত না। কিন্তু মিতুর হাতে এই ভিডিওটা কিভাবে গেল। আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।
একটু পর মিতু আমার হাতে দুধটুকু দিয়ে বলল,,রেডি থাকিস আজকে রাতে খেলা হবে।
আমি:- মা মানে কি সব বলছিস তুই?
মিতু:- ওই বলছি না এটা তো কেবল শুরু।
আমি:- বিশ্বাস কর আমি এখনো ও তরে ভালবাসি।
মিতু:- তর কি মনে হয় আমি তর কথায় কান দিব এখন,,তবে রাতে অনেক কিছু বলব তরে শুনে সহ্য করতে নাও পারিস। এক কাজ করিস যাতে ভয় না পাস এমন কোন টেবলেট খাইছ।
বলে মিতু আবার রহস্যময় একটা হাসি দিয়ে চলে গেল,,
রাতে আম্মু আমাকে খাইয়ে দিল,,
ফোনটা হাতে নিয়ে দেখলাম রাত প্রায় দশটা বাজে,,
হঠাৎ কি জানি একটা শব্দ শুনলাম,,,
Waiting for next
0 Comments:
Post a Comment