গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ৮

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_০৮

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


-তুলি তমালের চেম্বারের দিকে যাওয়ার জন্য এগোতেই একটা ছেলে এসে পথ আটকে দাড়িয়ে বলে 


-সাকিব:: Hi তুলি কেমন আছো। 


-তুলি :: আমি ভালো আছি কিন্তু আপনি কে চিনলাম না তো......??


--সাকিব::  আমি সাকিব এই ভার্সিটিতেই পড়ি অনার্স ৩ য় বর্ষে। 


-তুলি :: ওহহহ কিছু বলবেন তা না হলে পথ ছাড়ুন আমাকে যেতে হবে। 


-সাকিব:: হ্যাঁ একটু কথা ছিলো চলোনা কোথাও বসে কথা বলি। 


-তুলি :: সরি আমার সময় নেই তমাল স্যার ডেকেছে আমায় সেখানে যেতে হবে বাই। ( তুলি ছেলেটাকে পাত্তা না দিয়ে চলে যায় )


-(ছেলেটা তুলিকে পেছন থেকে ডাকতে থাকে কিন্তু তুলি না দাড়িয়ে চলে যায় )


-----তমালের চেম্বারে-----


-তুলি :: আসতে পারি। 


-তমাল:: yes. 


-চেম্বারের ভিতরে গিয়ে বলে


-তুলি :: ডেকেছেন আমায়....??


-তমাল:: তোর তো ক্লাস শেষ বাড়ি না গিয়ে এখনো কি করছিস.....??


-তুলি:: বন্ধুদের সাথে গল্প করছিলাম। 


-তমাল:: খেয়েছিস কিছু.....??


-তুলি:: না বাড়ি গিয়ে খাবো। 


-তমাল::এই মেয়ে তোকে এতো করে বলার পরও কেনো কথা শুনিস না তোকে বলেছিলাম ক্যান্টিন থেকে কিছু খেয়ে নিতে। 


-তুলি::এখন তো বাড়ি চলে যাবো তাই। 


-তমাল::এখানে চুপচাপ বসে থাকবি আমার একটু কাজ আছে শেষ করে বাড়ি যাবো। 


-তুলি::আমি কেনো বসে থাকবো আপনার কাজ শেষ হলে আপনি যাবেন আমার তো কোনো কাজ নেই। 


-তমাল :: আমি বলেছি তাই আর তোকে না বলেছি আমাকে আপনি করে ডাকবি না। 


-তুলি:: কেনো এখানে আপনি আমার স্যার তাই আপনি করেয় বলব। 


-তমাল:: তুলি তুই ভালোকরেই জানিস আমি এক কথা বারবার বলতে পছন্দ করি না। 


-তুলি::এখানে তুমি করে বলতে পারবো না আপনি করেয় বলবো কেও শুনলে খারাপ বলবে। 


-তমাল::আমি এতো কথা শুনতে চাই নি আর সবাই যানে তুই আমার বোন তাহলে। 


-আমার বোন কথাটা তুলির কানে যেতেই বুকের ভেতর ধুক করে উঠলো তমালের দিকে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে 


-তুলি:: আমি আপনার বোন। 


-তমাল::হ্যা বোন না তো কি.....??


-তুলি::তুমি কেনো এমন করছো আমার সাথে কেনো ইচ্ছে করে কষ্ট দিছো আমায়। 


-তমাল::তুই নিজে ইচ্ছে করে কষ্ট পেলে আমার কিছু করার নেই আমি তোকে বোন ছাড়া অন্য কিছু ভাবি না। 


-তুলি:: ওহ ভালো আচ্ছা আমি আসি। ( কান্না আটকে আছে গলায়)


-তমাল:: তোকে আমি যেতে বলেছি চুপচাপ বসে থাক এখানে আমার কাজ শেষ হলে নিয়ে যাবো। 


-তুলি::আপনাকে কষ্ট করতে হবে না আমি একাই চলে যাতে পারবো। ( আর একটু সময় সেখানে না দাড়িয়ে বেরিয়ে যায় )


-তুলি চোখ মুছতে মুছতে বাহিরে যায়। তুলির চোখের পানি তমাল স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে। 


-তমাল:: আমার কষ্ট দিয়ে ফেললাম যতই ভাবি ওকে আর কষ্ট দিবো না তাই বেশি করে বসি। 


-তুলিকে দেখে ওর বন্ধুরা এগিয়ে এসে বলে


-রাজ:: তুলি কাদছিস কেন কি হয়েছে.....?? 


-তুলি::কিছু হয়নি তোরা বাড়ি যাবি তো। 


-শিমু:: সে যাবো তোর কি হয়েছে আগে সেটা বল। 


-তুলি:: বললাম তো কিছু হয়নি আমি বাড়ি যাচ্ছি। ( চেচিয়ে বললো কথাটা )


-কোথা থেকে সাকিব এসে বলে 


-সাকিব::কিছু হয়েছে তুলি। 


-তুলি:: না কিছু হয় নি। 


-সাকিব :: তুলি আমি কিছুদিন থেকে তোমার সাথে কথা বলতে চাচ্ছি কিন্তু পারছি না তবে আজ বলবো।


-তুলি:: অন্য কোনো দিন বলবেন আজ আমি আসি। 


-তুলি চলে যাতে নিলে সাকিব তুলির হাত ধরে আটকায় 


-তুলি:: আপনি আমার হাত ধরলেন কেনো ( রেগে )


-সাকিব:: তুলি আমার কথা না শুনে কোথাও যেতে দিবো না। 


-তুলি:: কি বলবেন তাড়াতাড়ি বলুন। 


-সাকিব:: আসলে আমি কিছুদিন থেকেই বলতে চাচ্ছি কথা 


-সাকিব তুলির সামনে হাটু মুরে বসে একগুচ্ছ গোলাপ ওর সামনে ধরে বলে


-সাকিব:: I Love you তুলি। 


-এমনিতেই মন খারাপ তার উপর এই কথা শুনে রাগ উঠে গেছে 


-তুলি:: দেখুন আমি স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি আমি একজনকে ভালোবাসি তাই আপনাকে একছেপ্ট করতে পারবো না সরি। 


-সাকিব:: তুলি আমি সত্যি বলছি তোমাকে আমি খুব ভালোবাসি বিশ্বাস করো। 


পিছন থেকে তমাল বলে ওঠে 


-তমাল:: ও কি বলেছে তুমি হয়তো শুনতে পাওনি ও অন্যকাওকে ভালোবাসে। 


--সাকিব:: স্যার আপনি এখানে....? 


-তমাল:: হ্যা তুমি এখন আসতে পারো আর হ্যা এর পর তোমাকে যেনো তুলির আসে পাশে না দেখি। 


-সাবিক:: আমি তুলিকে ভালোবাসি। 


-তমাল::আমি তোমাকে শেষ বারের মতো বলছি ওর আশেপাশে আসবে না তুমি। 


-সাকিব তুলির হাত ধরে বলে

-সাকিব:: তুলি তুমি কিছু বলো। 


তুলির হাত ধরা তমাল রেগে আগুন হয়ে গেছে 


-তমাল তুলির হাত ছাড়িয়ে সাকিবেকে মারতে শুরু করে আর বলে


-তমাল:: তোকে ভালোভাবে বলেছিলাম ওর কাছে না আসতে আর তুই ওর হাত ধরার সাহস কোথাই পেলি ওতো বারবার বললো ও অন্য একজনকে ভালোবাসে তাহলে কেনো বিরক্ত করছিস ওকে। ( রাগি কন্ঠে চেচিয়ে ) 

এর মধ্যে অনেক লোক এসে জড়ো হয়। তুলি গিয়ে তোমালকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আটকায় 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ৭

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_০৭

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


পরের দিন সকালে 

--তুলি::~ আম্মু আমি ভার্সিটিতে গেলাম 


--তমাল::~ তুলি দাড়া 


--তুলি::~ পিছনে ঘুরে তমালের দিকে তাকিয়ে বলে ) জ্বী তমাল ভাই কিছু বলবে 


--তমাল::~ হ্যা তুই আমার সাথে যাবি 


--তুলি::~ ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে ) আমি তোমার সাথে যাবো তোমার গাড়িতে 


--তমাল::~ তোর কি কানে সমস্যা এক কথা কতোবার বলতে হয় 


--তুলি::~ আপনি দুদিন থেকে অবাক করার কাজ করছে আর যা যা বলছেন তাতে নিশ্চয়ই কানে সমস্যা হয়ে যাবে 


--তমাল::~ তোর সাথে বাজে কথা বলার সময় নেই আমার সাথে গেলে আায় না হলে আমি চলে গেলাম। 


--তুলি::~ আসছি আমি। তুলি তমালের পিছন পিছন গিয়ে গাড়িতে উঠে বসে তমালের পাশের ছিটে বসে তুলি আজ অনেক খুশি গার আনন্দটা চোখে মুখে ফুটে উঠেছে। ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি লেগেই আছে। তমাল একবার তুলির দিকে তাকিয়ে গাড়ি স্টাট দেয়। কিছু দুর গিয়ে জ্যামে আটকে যায়। 

তুলি গাড়িতে বসে এদিক ওদিক দেখছিলো তমাল তুলির দিকে তাকাতেই চোখ পরে পাশের গাড়িতে থাকা একটা ছেলে তুলিকে দেখছে তা দেখে তমালের গায়ে আগুন লেগেগেছে খুব রাগ হচ্ছে। তমাল গাড়ির জানালার কাচ উঠিয়ে দেয়। তুলি প্রথমে ব্যাপারটা বুঝতে না পারলেও ওরে দেখে  ওই ছেলেটা তাকিয়ে ছিলো ওর দিকে। তুলি মুচকি হেসে বলে 


--তুলি::~ তমাল ভাই তুমি কি জ্বেলাস  


--তমাল::~ আমি কেনো জ্বেলেস হতে যাবো 


--তুলি::~ ওই ছেলেটা আমাকে দেখছিলো বলে হিংসা হচ্ছিল তা বলে দিলেই পারো 


--তমাল::~ শোন তোর দিকে কেও তাকেলে আমার কিচ্ছু যায় আসে না তাই কে তোকে দেখলো আর দেখলো না তাতে আমার কিছু না 


--তুলি::~ হ্যাঁ তাই তো তোমার কি তাহলে জানালার কাচটা উঠালে কেনো


---তমাল::~ আমার ইচ্ছে হয়ে তাই তোর কি চুপচাপ বসে থাক আর একটা কথা বললে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিবো 


তুলি মনে মনে হাসছে আর বলছে 

--তুলি::~ আমি খুব ভালো করে বুঝতে পারছি তোমার মনেও আমার জন্য ভালোবাসা আছে কেও আমার দিকে তাকালে তোমার রাগ হয় যেমন আমার হয় কোও তোমার দিকে তাকালে আমি যেমন তোমাকে কাছে পাওয়ার জন্য ছটফট করি তুমিও কি আমাকে কাছে পেতে চাও না 


--তমাল::~ তুই কি গাড়িতেই বসে থাকবি


তমালের কথায় তুলি ভাবনার জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে সামনে তাকিয়ে দেখে ভার্সিটি চলে এসেছে তুলি গাড়ি থেকে নেমে ভার্সিটির ভেতরে চলে যায়। 


--ভার্সিটিতে----

তুলি ভিতরে ঢুকতেয় দেখে শিমু ;রুপা;রাজ দাড়িয়ে গল্প করছে তুলি এদের সামনে গিয়ে দাড়ায় 


--তুলি::~ কেমন আছিস তোরা। 


--রাজ::~ আমরা ভালো আছি।  কিন্তু তোর খবর কি আর কপাল কাটলো কিভাবে...?? 


--তুলি::~ তেমন কিছু না। 


--শিমু::~ স্যার তোকে  অনেক বেশি মেরেছে তাই না..?? 


--তুলি::~ আরে না জাস্ট একটা থাপ্পড় দিয়েছে। 


--রুপা::~ তাহলে কপাল কাটলো কি করে...?


--তুলি::~ ধাক্কা লাগে পরে গিয়েছিলাম। 


--রাজ::~ তুই কেনো যে তার হাতে মার খেয়ে চুপ করে থাকিস তোর মা বাবাকে বললেই তো হয় তা না করে প্রত্যেক বার বাচিঁয়ে দিস কেনো...?? 


--তুলি::~ শোন রাজ তমাল ভাই যদি আমাকে মেরেও ফেলে তাও আমি তাকে কিছু বলবো না। 


--রাজ::~ হ্যাঁ তা করবি কেনো মার খেতে খেতে মর তুই 


--তুলি::~ আচ্ছা ক্লাসে চল 


--শিমু::~ হুম চল 


ওরা ক্লাস শেষ করে বাহিরে ঘুরছিলো তখন এক জন লোক এসে তুলিকে বলে 


লোকটা: স্যার আপনাকে ডাকছে 


--তুলি::~ আমাকে....? 


লোকটি : জ্বী বললো স্যারের কেবিনে যেত 


--তুলি::~ আপনি জান আমি আসছি


--রাজ::~ কিরে স্যার আবার তোকে ডাকলো কেনো?? 


--তুলি::~ কি জানি গিয়ে দেখি। 


--শিমু::~আচ্ছা যা আমরা এখানেই আছি।  

 


গল্পটা ভালোলাগলে লাইক কমেন্ট সেয়ার করবেন 

আপনারা রেছপন্স না করলে আমার গল্প লেখার প্রতি আগ্রহ হয় না তাই সবাই বেশি বেশি লাইক কমেন্ট সেয়ার করবেন ধন্যবাদ। 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ৬

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পর্ট_০৬


#লিখনিতে_Rodela_Islam 


--লতা বেগম ::~ তুই সত্যি বলছি 


--তুলি::~ হ্যা সত্যি বলছি মিথ্যে কেনো বলবো


--লতা বেগম : আমার কেনো যেনো মনে হচ্ছে তুই মিথ্যে বলছিস সত্যি করে বলতো তমাল তোকে মারে নি তো


--তুলি::~ চাচিআম্মু তমাল ভাই কেনো মারতে যাবে আমি পরে গিয়ে ব্যাথ পেয়েছি 


--লতা বেগম ::~ আচ্ছা মেনে নিলাম এই ছেলেকে তো আমার বিশ্বাস নেই তমালের দিকে তাকিয়ে


--তমাল::~ আম্মু আমি কি তোমার নিজের ছেলে নাকি কোথাও থেকে তুলে এনেছো বলো ত 


--লতা বেগম ::~ সেটাতে আমার নিজেরই সন্দেহ আছে তের বাবাকি কারো সাথে তোকে চেন্জ করে এনেছিলো 


--তুলি চাচিআম্মুর কথা শুনে ফিক করে হেসে দেয় তমাল রাগি চোখে তাকাতেই তুলি মুখে হাত দিয়ে হাসি আটকায় 


--আলিফ আহমেদ::~ আগে যদি জানতাম আমার ছেলে এমন হবে তাহলে সত্যি ওকে চেন্জ করে আনতাম ( খবরের কাগজ নিয়ে সোফায় বসতে বসতে ) 


--লতা বেগম ::~ আমি নিশ্চিত আপনিও আগে ওর মতো ছিলেন 


--আলিফ আহমেদ ::~ আমাকে দেখে তোমার কি এই পাজি ছেলের মতো মনে হয় 


--লতা বেগম : :~ এখন তো মনে হচ্ছে যতোই হোক ছেলে টা তো আপনার  


--আলিফ আহমেদ :- ও তোমার ছেলে তোমার মতো হয়েছে এখন আমার দোষ হচ্ছে


--তমাল হা হয়ে আম্মু আব্বুর ঝগড়া দেখছে মনে মনে বিরবির করে বলে 


--তমাল::~ মনে হয় সত্যি আমাকে তুলে এনেছে কোথাও থেকে না হলে নিজের ছেলেকে নিয়ে এতো কনফিউশন উফফফ 


--লতা বেগম : :~ হ্যা এখন সব দোষ আমার 


--রাহেলা বেগম :- আপা আপনারা কি শুরু করলেন ঝগড়া বন্ধ করে খেতে চলুন ভাইজান আপনিও আসুন তুলি রুহিকে দেকে নিয়ে আয় উপর থেকে তুলি উঠে সিড়ির দিকে যেতে নিলে তলাম বলে ওঠে 


--তমাল::~ তোকে যেতে হবে না তুই গিয়ে খেতে বস আমি ডেকে আনছি এমনিতে দূর্বল কখন মাথা ঘুরে পরে যাস 


--তুলি সহ সবাই তমালের দিকে দৃক্ষ্ম দৃষ্টি নিক্ষেপ করে 


--তমাল::~ কি দেখছো তোমরা এমন করে 


--লতা বেগম :~ কিছু না তুই যা সবাই খেয়ে যায়


--তমাল::~ কি হলো তুই যাচ্ছিস না কেনো 


--তুলি::~ তমাল ভাই আমি কি ঠিক শুনলাম তুমি আমার কথা চিন্তা করছো 


--তমাল::~ আমি তো মামনির কথা ভেবে বললাম তোর কিছু হলে তো কাঁদবে তাই 


--তুলি::~ তাই বুঝি


--তমাল::~ একটু ভালো করে কথা বলেছু তাই এতো লাফানোর কিছু হয় নি খেতে যা ( রাগী কন্ঠে )


তুলি ঠোঁটের কোণে হাসি রেখে খেতে চলে যায় তমাল রুহিকে ডেকে এসে তুলির পাশে বসে খাচ্ছে তুলি কিছু একটা ভাবছে আর খাচ্ছে 


--রুহি::~ আপু কি ভাবছো তুমি 


--তুলি::~ কিছু না 


--তমাল::~ মামনি তোমার মেয়েকে একটু বেশি করে খাবার দাও তো


--রাহেলা বেগম :~ ওর লাগলে ও তো বলবেই 


--তমাল::~ হ্যাঁ তাহলে আর কি তোমরা তো ওকে এতো ভালোবাসো তবে ওযে না খেয়ে খেয়ে দুর্বল হয়ে পরছে এটার দিকে খেয়াল আছে তোমাদের 


--রাহেলা বেগম :~ তুলি না খেয়ে দুর্বল হয়ে পরছে এটা তুই কি করে যানলি 


--তমাল::~ কাল ডক্টর আঙ্কেল বলে গেছে বেশি করে খাওয়া দাওয়া করতে 


--রুহি::~ আপু না খেয়ে দুর্বল হয়ে পরেনি তোমার কাছে বাকা আর মার খেতে খেতে দুর্বল হয়ে পরেছে 

কালও তো তুমি আপুকে 


--তুলি রুহির হাত চেপে ধরে ইশারায় বলতে না করে 


--লতা বেগম :~ কি বলতে গিয়ে থেমে গেলি বল 


--রুহি::~ কালও তো ভাইয়া আপুকে বকেছে 


--লতা বেগম :~ এটাই বলতে নিয়েছিলি না অন্য কিছু 


--রুহি::~ না এটাই 


খাওয়া শেষ করে যে যার মতো চলে গেছে 


--তুলির রুমে --


তুলি বিছানায় বসে ফোন দেখছিলো তখন তমাল ওর রুমে এসে বলে


--তমাল::~ ঔষধ খেয়েছিস 

--তুলি::~ ফোন থেকে চোখ সরিয়ে বলে ) না মনে ছিলো না 

--তমাল ঔষধ ভেঙে তুলির হাতে দিয়ে পানি এগিয়ে দেয় তুলি ঔষধটা খেয়ে নেয় 


--তমাল::~ এখনো মাথা আছে

--তুলি::~ হালকা 

--তমাল::~ নিচে তুই কেনো বললি না আমি তোকে মেরেছি কাল তুই কি আমার কাছে মহান হতে চাচ্ছিস

--তুলি::~ না আমি মহান হতে কেনো যাবো আমার যানা মতে আমি কোনোদিন ইচ্ছে করে বকা খাওয়াই নি কারো না তুমি শুধু শুধু আমাকে ভুল বুঝ 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ৫

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় 

#পার্ট-০৫

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


---কেনো এর আগে কি রান্না করি নি ( তমাল ) 

---হুম করেছো কিন্তু আমার জন্য করো নি ((তুলি) 

---চুপ কর আর কথা না বলে খেয়ে নে (তমাল)

তমাল একটু স্যুপ চামচে তুলি ফু দিয়ে তুলির মুখের সামনে ধরে তুলি ঠোঁটে হাসি রেখে খেয়ে নেয় তমাল তুলিকে খাওয়াচ্ছে আর তুলি তমালকে দেখছে মুগ্ধ নয়নে দেখছে 


----এভাবে দেখিস না আমার নজর লেগে যাবে তো ( তমাল )

----হুম শুধু আমার নজর লাগবে আর কারো নজর লাগবে আর কাওকে তোমার দিকে নজর দিতে দিবো না আমি বিরবির করে ( তুলি)

----কি বলছিস বিরবির করে ( তমাল )

----কিছু না ( তুলি ) 

----তুই কেনো ইচ্ছে করে মার খাস আমার হাতে তোকে যেটা করতে না করি তুই সেটাই করিস কেনো (তমাল )


----তুমি ত এমনিতে আমার সাথে ভালোকরে কথা বলো না আমাকে কষ্ট দিয়ে ব্যাথা দিয়ে পরে যখন যত্ন করে ব্যাথা সারিয়ে দাও আমার কাছে আসো এই সুজগ কি করে হাত ছাড়া করি তাই তো তোকাকে রাগিয়ে দেই তোর এই একটু যত্ন পাওয়ার লোভে মনে মনে ( তুলি)

---কি হলো বল ( তমাল )

---- বলবো তবে আজ না যেদিন তুমি ভালোবেসে আমায় কাছে টেনে নিবে যেদিন ( তুলি)


----আবার মার খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে  ভারী গলায় ( তমাল )

----তোমার হাতে মার খেয়ে মরে গেলেও আমি বলবো আমি তোমাকে ভালোবাসি আর তুমিও একদিন আমাকে ভালোবাসবে ( তুলি)

----এটা কখনো হবে না তোর জন্য আমার মনে কোন অনুভূতি নেই কতো বার বলবো (তুলি)

----এখন নেই তবে হয়ে যাবে ( তুলি ) 

----চুপ আর কথা বলবি না খেয়ে নে এখন ( তমাল )


খাওয়ানো শেষ হলে তমাল তুলিকে ঔষধ খাইয়ে দিয়ে তুলির একদম সামনে গিয়ে বসে এতো কাছাকাছি বসাতে তুলির হার্টবিট ফাস্ট হয়ে গেছে তমাল আঙালে একটু মল নিয়ে তুলি ঠোঁটে কাটা জায়গায় লাগাতে গেলেই তুলির ঠোঁটে হাত রাখতেই তমাল এবং তুলির সর্বাঙ্গ কম্পিত হয় তমালের হার্টবিটও ফাস্ট হয়ে যায় কোনে কতে মলমটা লাগিয়ে দিয়ে চলে যেতে নিতে তুলি তমালের হাত ধরে আটকিয়ে বলে


----কি হলো আমাকে ছোয়ায় তোমার হার্টবিট ফাস্ট চলছে তাই না ( তুলি ) 

----কি আজে বাজে বলছি তুই রেস্টনে আমার কাজ আছে ( তমাল ) 

----মিথ্যে বলছো কেনো তোমার হার্টবিটের শব্দ আমি এখান থেকে শুনতে পারছি ( তুলি ) 

----তমার কোনো কিছু না বলে পালিয়ে যায় সেখান থেকে তুলির রুম থেকে বেরিয়ে নিজের রুমে গিয় বিছানায় ধপ করে বসে পরে বুকের বা পাশে হাত রাখে নিজের বুকের ধুক ধুক শব্দ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে 


-----একেমন অনুভুতি কেনো হার্টবিট বেরে গেলো এতো আর কেনেই বা এতো নরম স্বরে কথা বললাম ওর সাথে তাহলে কি সত্যি ওর জন্য কোন অনুভূতি আছে আমার মনে আমি কি ওর প্রতি দূর্বল হয়ে যাচ্ছি 

----আমি যানি আমার জন্য তোমার মনে অনুভূতি জন্মাতে সুরু করেছে ( তুলি) 


----পরদিন সকালে ------


তুলি নিচে নেমে সোফায় গিয়ে বসে আম্মু চাচিআম্মু রান্না ঘরে 

----এমন আছিস এখন ( তমাল ) 

----ভালো ( তুলি)

----মথা ব্যাথা আছে ( তমাল)

----আছে অল্প ( তুলি )

এর মধ্যে লতা বেগম এসে বলে

----তুলি মামনি তুই ব্যাথা পেলি কিভাবে 

----তুলি একবার তমালের দিকে তাকিয়ে বলে

----ওই পরে ব্যাথা পেয়েছি একটু চিন্তা করো না 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ৪

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় 

#পার্ট_০৪

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


তমাল গিয়ে তুলিকে কলে করে বিছায় শোয়ায় 

----ভাইয়া আপুর কি হয়েছে ( রুহি )

---- তমাল রুহির প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলে তুই ওর পাশে বস আমি ডক্টরকে কল করে এসে তুলির পাশে বসে ওর গালে হাত রাখে 

----আমি তো তেকে এতোটা কষ্ট দিতে চাইনি আমি বুঝতে পারিনি এতেটা ব্যাথা পাবি তুলি চোখ খোল না তুলি 


----আমি তোকে এভাবে দেখতে পারছি না আমার খুব কষ্ট হচ্ছে সরি তুলি আমি ত এর আগেও তোকে মেরেছি তখন ত এতো কষ্ট হয় নি এখন কেনো হচ্ছে আমার মনেও কি তাহলে তোর জন্য অনুভুতি আছে 


----এর মধ্যে ডক্টর আসে 

---- আঙ্কেল দেখুন না কি হয়েছে অনেকক্ষণ ধরে অজ্ঞান হয়ে আছে 

-----ডক্টর তুলির চেকআপ করে 

-----আঙ্কেল ওর কিছু হবে না তো 

-----তেমন কোন স্যমসা নেই তবে 

-----তবে কি আঙ্কেল বলুন না ও সুস্থ হয়ে যাবে ত

-----হ্যা সুস্থ হয়ে যাবে 

-----এখনো জ্ঞান ফিরছে না কেনো ওর 

-----মাথায় আঘাত লাগার কারনে এমন হয়েছে কিছুক্ষণের মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে 

----মাথায় ব্যান্ডেজ করতে করতে বলে আজও তুমি ওকে মেরেছো তাই ত


----মাথা নিচু করে অপরাধী স্বরে বলে হুম 

-----দেখো তমাল তোমাকে একটা কথা বলি তুমি ওকে এভাবে আর কষ্ট দিও না বাহির আঘাতটা তুমি দেখতে পারছো তা ঔষধ দিয়ে সারিয়ে তুলতে পারলেও ওর মনে যে আঘাতটা হচ্ছে তা কি করে সারাবে তুমি এভাবে চলতে থাকলে ওর বড়ো কোনো ক্ষতি হয়ে যাবে যাগকে এখন ওকে কিছুদিন রেষ্টে রেখো ওকে কোনো প্রেসার দিও না ওর শরীর খুব দুর্বল ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতে বলো আর আমি যে ঔষধ গুলো দিয়ে গেলাম ওগুলো ঠিক মতো খাইয়ো তাহলেই হবে 

----ডক্টর অনেক দিনের চেনা ওদের তাই অনেক কিছুই যানে 


------ আচ্ছা 

------ তুমি যদি ওর ভালো চাও তাহলে আর এমন অত্যাচার করো না মেয়েটা এখনো ছোটো এতো আঘাত নিতে পারছে না তা ওকে দেখলেই বোঝা যায় যাই হোক তোমার ইচ্ছে এর আগেও বলেছি তোমায়  আসি এখন আমি কোনো দরকার হলে ফোন করো 

----আমি এগিয়ে দিয়ে আসছি চলুন ডক্টরকে এগিয়ে দিয়ে ঔষধ কিনে বাড়িতে এসে তুলির রুমে যায় 


----- এখনো জ্ঞান ফিরে নি ওর ( তমাল)

-----না ভাইয়া আপু তোমার কি ক্ষতি করেছে তুমি কেনো মেরেছো আপুকে ( রুহি ) 

----- আমিও নিজেও জানি না কেনো ওর সাথে এমন করি ওকে কষ্ট দিলে আমার নিজেরও কষ্ট হয় কিন্তু কেনো আমি ওকে কষ্ট দেই মনে মনে 


তুলি চোখ পিটপিট করে তাকায় মাথায় ব্যাথা করছে চোখ ঘুরিয়ে এদিক ওদিক তাকায় হঠাৎ চোখ পরে তমালের দিকে তমাল অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে 


----কেমন আছিস এখন ( তমাল)

----মাথা ব্যাথা করছে (তুলি)

----ঔষধ খেলেয় ব্যাথা কমে যাবে (তমাল )

----তুলি আর কোন কথা বলে না কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে 

----সরি আমি তোকে এতোটা ব্যাথা দিতে চাইনি


-----তুলি চোখ বড়োবড়ো করে তাকিয়ে আছে তমালের দিকে

----কি হলো তাকিয়ে আছিস কেনো এভাবে 

----তুলি উঠে বসে বলে আমি কি ঠিক শুনলাম

----উঠছিস কেনো শুয়ে থাক 

----আমি ঠিক আছি একটা চিমটি দাও ত হাতে

----কেনো 

-----আমি কি ঠিক শুনলাম কি না তাই 

----আমি ভুল করেছি তাই সরি বলেছি তুই চুপ করে বসে থাক আমি আসছি 


রুহি নিজের রুমে গিয়েছিল এখন এসে তুলির পাশে বসে 

----আপু কেমন আছো এখন 

------ ভালো আছি আম্মুরা কখন আসবে 

-----ফোন করেছিলো বললো আসতে দেড়ি হবে

----- ও 

----- আচ্ছা আপু ভাইয়া তোমাকে এভাবে মারে কেনো 

----- আমাকে ভালোবাসেতো তাই 

----- ভালোবাসলে কেও মারে না আপু

----- তোর ভাইয়া মারে 

----- ভাইয়া ত আমাকেও ভালোবাসে তাহলে আমে ত মারে না 

----- আমাকে বেশি ভালোবাসে তাই আচ্ছা বাদ দে একথা আম্মুদের কাওকে বলবি না একথা 


----- কেনো বলবো না আম্মুকে বললে আম্মু বকে দিবে ভাইয়াকে ( অষ্টম  শ্রেণিতে পরে রুহি ) 

------ চাচি আম্মু তমাল ভাইকে বকলে কি আমার ব্যাথা কমে যাবে যাবে না ত তাহলে 

------ আম্মু দেখলেয় তো বুঝতে পারবে তখন কি বলবে

----- সেটা আমি বুঝে নিবো 


তমাল নিচে গিয়ে তুলির জন্য স্যুপ বানিয়ে নিয়ে যায় 

--কোন কথা বলবি না চুপচাপ খেয়ে নিবি --(তমাল)

---তুমি রান্না করেছো( তুলি)


#চলবে 

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ৩

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় 

#পার্ট-৩ 

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


তুলিরা ক্লাস শেষ করে কেম্পাসে হাতছিলো পেছন থেকে একটা ছেলে ডেকে ওঠে

----এই তুলি দাড়াও ( আশিক )

----তুলি পিছনে ঘুরে তাকিয়ে বলে 

----আশিক ভাইয়া আপনি এখানে ( তুলি ) 

----হ্যা তমালের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম তা কেমন আছো 


----- আলহামদুলিল্লাহ ভালো আপনি কেমন আছেন

-------- আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি 

------ আপনি দেশে ফিরলেন কবে

------ কাল এসেছি তোমার তমাল ভাইকে কল করেছিলাম ধরে নি তাই দেখা করতে এখানেই চলে এমান তা কিছু বলেছে তমাল

----- ভ্রু কুচকে বলে ) কি বলবে আমায় 

----- না বলতে চাচ্ছি এখনো কি সে তোমার সাথে আগের মতোই ব্যবহার করে 


----- না তার থেকে বেশি 

----- কেনো 

----- আপনার বন্ধুর থেকে জেনো নিয়েন ( দীর্ঘশ্বাস ফেলে ) 

----- থাক মন খারাপ করো না সব ঠিক হয়ে যাবে 

----- হ্যা আমি মরে যাওয়ার পর 

----- কি আজে বাজে কথা বলছো এসব


এর মধ্যে তমাল এসে উপস্থিত হয় সেখানে 

-----ওর সাথে কি কথা বলছিস তুই ( তমাল ) 

----- কেমন আছে তা জিজ্ঞেস করছিলাম আরকি 

----- আচ্ছা চল 

--------তুলি তুমিও আমাদের সাথে চলো 

----- আপনাদের সাথে গেলে কারো আবার সম্মান নষ্ট হবে আমি তা চাই না আপনারা যান আমি একটু পরে চলে যাবো (তুলি) 


----- একটু পরে যাবি কেনো ( তমাল ) 

-----কাজ আছে একটা 

-----তোর কি কাজ আছে এখন ক্লাসও তো শেষ তাহলে কি কাজ আছে 

-----আমার যেই কাজই থাকুক না কেনো আপনাকে বলতে আমি বাদ্ধ নই। 

----- তুই আবার আমার মুখের উপর কথা বলছিস ( রাগি কন্ঠে চেচিয়ে )


-----দেখুন ভার্সিটিতে আপনি আমার স্যার আর আমি আপনার ছাত্রী তাই আপনার কোনো অধিকার নেই আমার বিষয় কথা বলার 

----- আজ বাড়ি ফিরে তোর মজা দেখাচ্ছি বেশি সাহস হয়েছে তোর আজ তোর একদিন কি আমার একদিন ( রাগে পায়ের রক্ত মাথায় উঠে গিয়েছে 

কোনো মতে নিজেকে শান্ত করে হন হন করে চলে যায় )

---- আজ তোর কপালে দুঃখ আছেরে তুলি ( শিমু )

-----রোজ তো কপালে দুঃখ থাকেয় আজ না হয় একটু বেশিই হবে আমিও দেখি উনি কতোটা কষ্ট দিতে পারে আমাকে ( তুলি ) 

-----তুলি তুই স্যারের এই অত্যাচারে একদিন মরবি ( রুপা ) 

----- এতো তারাতাড়ি মরবো না আমি আগে ওনাকে আমার জন্য কাদাবো তারপর মরবো আচ্ছা আজ আসি সুস্থ থাকলে কাল দেখা হবে( তুলি ) 

------ আচ্ছা যা সাবধানে থাকিস ( শিমু ) 

----- ok Bey 


তুলি বাড়িগিয়ে অল্প কিছু খেয়ে ঘুমিয়ে পরেছে সে জানে আজ তার সাথে কি হতে পারে একটু ভয়ে আছে কারণ তমাল একবার রেগে গেলে মাথা ঠিক থাকে না কি না কি করে বসে আজ এসব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে  তমাল বাড়ি এসে সোজা তুলির রুমে যায় তুলিকে হাত ধরে টেনে উঠায় বিছানা থেকে নামিয়ে দাড় করায় এমন কান্ডে তুলি কিছুটা ভরকে যায়


----এভাবে কেও কাওকে ঘুম থেকে তোলে

----তুই এটা কেনো করলি তুলি 

-----কি করেছি আমি

-----আজ সবার সামনে কেনো অপমান করলি আমায় 

-----আমি তোমাকে অপমান কোথায় করলাম সেখানে তুমি আমার স্যার তাই সেখানে দাড়িয়ে আমার বিষয়ে জানার অধিকার নেই তোমার যেটাই বলেছি 

----তুই এখন আমাকে শেখাবি আমি কোথায় অধিকার দেখাবো আর দেখাবো না  

----প্রয়োজনে শিখতে হবে 

----তোর এতো সাহস কি করে হলো আমার মুখের উপর কথা বলিস ( রাগে তুলির দুকাধ ধরে বলে )

----আমার সাহস আগেও ছিলো কিন্তু দেখাই নি তবে এখন দেখাবো আপনার সামনেও দেখাবো 

কথাটা বলতে দেড়ি শক্ত হাতের এক চড় পরে তুলির গালে তুলি ছিটকে গিয়ে বিছানার উপর পরে যায় ঠোঁট কেটে রক্ত পরছে তুলি বিছানা থেকে উঠে দাড়িয়ে বলে 

----নিজেকে কি ভাবেন আপনি আপনার মুখের উপর কথা বললে আপনার সাথে গলা উচিয়ে কথা বললে আপনি আমাকে মারবেন আর আমি চুপ করে থাকবো কোনোদিন না 


----তমাল তুলির গলা চেপে ধরে বলে 

তোকে আমি বালেছি আমার সাথে চেচিয়ে কথা বলবি না গলা চেপে ধরায় শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে তলামের হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করছে তুলির অবস্থা দেখে গলা থেকে হাত সরিয়ে নেয় তুলি গলায় হাত দিয়ে কাসতে থাকে 

তোকে শেষ বারের মতো বলছি আমি যা বলবো তাই করবি আর আমার সাথে জোরে কথা বলবি না আমি প্রশ্ন করলে সাথে সাথে উত্তর দিবি

গলা দিয়ে স্বর বের হচ্ছে না 

তুলি অনের কষ্টে গলা দিয়ে স্বর বের করে বলে

আমি কাওকে কৈফত দিতে রাজি নই 


---তোকে কৈফিয়ত দিতে হবে বলে এক ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে চলে যায়  ধাক্কাটা বেশ জোরে ছিলো তুলি টাল সামলাতে না পেরে পরে যায় মাথাটা খাটের সাথে লেগে কপাল কেটে রক্ত পরতে থাকে সেদিকে তুলির কোনো ভুক্ষেপ নেই সেখানে বসেই চিৎকার করে কাঁদতে থাকে কাদতে কাদতে অজ্ঞান হয়ে যায় বাড়িতে কেও না থাকায় কেও শুনতে পায় নি তার কান্না তমালের মামা অসুস্থ তাই সবাই তাকে দেখতে গিয়েছে 

 রুহি ঘুমোচ্ছিলো ওর রুমে ঘুম থেকে উঠে তুলিকে ডাকতে ওর ঘরে যায় তমাল তুলির ঘর থেকে এসে শাওয়ার নিতে যায় মিনিট ৩০ পরে বেড়িয়ে আসে মাথা কিছুটা ঠান্ডা হয় রুহি তুলির ঘরে গিয়ে তুলিকে মাটিতে ওই ভাবে পরে থাকতে দেখে ভয় পেয়ে যায় কপাল থেকে রক্ত গরিয়ে মেঝেতে পরে শুকিয়ে গেছে কপালে ক্ষত এতোটা বেশি না হলেও রক্ত কপাল বেয়ে নিচে পরেছে রুহি এক চিৎকার দেয় রুহির চিৎকার শুনে তমাল ওর ঘর থেকে ছুটে এসে দেখে রুহি দাড়িয়ে থর থর করে কাপছে 

----কি হয়েছে এভাবে চিৎকার করলি কেনো 

----রুহি হাতের ইশারা করে তুলির দিকে তমাল সেদিকে তাকিয়ে তুলিকে ঔভালে দেখে বুকের ভেতরটা কেপে ওঠে 


গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করবেন কষ্ট করে। ধন্যবাদ 

#চলবে 

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় 

#রোদেলা_ইসলাম

গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ২

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় 

#পার্ট-০২

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


---- তুই কি বেশি ব্যাথা পেছিস জানিস আগে যখন তোকে ব্যাথা দিতাম তোকে কষ্ট দিতাম তখন আমার খুব আনন্দ হতো আমি দু দিন ওই আনন্দেই কাটিয়ে দিতে পারতাম কিন্তু তুই যেদিন বললি তুই আমাকে ভালোবাসিস সেদিন থেকে তোকে কষ্ট দেওয়ার সময় একটু ভালোলাগলেও পরে কেনো বুকে মধ্যে চিন চিন ব্যাথা অনুভব হয় কেনো হয় এমন বলতো কেনো তোকে কষ্ট দিয়ে দিয়ে আমি শান্তিতে থাকতে পারি না বলবি একটু 


---- তমাল তুলির মুখের দিকে ঝুকে মুখের উপর পরে থাকা চুলগুলোকে সরিয়ে দেয় 


----জানিস তোকে কষ্ট দেওয়ার পেছনে সব দোষ বাড়ির মানুষদের তুই যখন ছোটো ছিলিস আমিও তোকে ভালোবাসতাম কিন্তু তুই যখন একটু বড়ো হলি সবাই আমার থেকে তোকে বেশি ভালোবসতেছে তখন থেকে আমার খুব হিংসা হতো তাই তোকে কষ্ট দিতাম তোর চোখে পানি দেখলে খুব ভালোলাগতো কিন্তু এখন কেনো কষ্ট হয় বল না 


---তুলি একটু নরে উঠে তলামের হাত নিয়ে মাথা নিচে দিয়ে আবার ঘুমিয়ে পরে 


--- তুই এতো সুন্দর কেনো বলতো তোকে দেখলে কেনো চোখ সরাতে পারি না কি আছে তোর মধ্যে 


---মায়া ( ঘুম জড়ানো কন্ঠে )


---তুই ঘুমোস নি ( হতভম্ব হয়ে ) তুলি যে উঠে যাবে এটা ওর ধারণাই ছিল না


--- ঘুমিয়ে ছিলাম তোমার কাথার শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো তা এতো রাতে আমার ঘরে কি করছিলে


---- আমার যেখানে খুশি যাবো তাতে তোর কি বলে চলে যেতে নিলে তুলি তমালের হাত ধরে আটকায়


---- কেনো এতো কষ্ট দিচ্ছ আমায় কেনো বলছো না তুমিও আমাকে ভালোবাসো


----চুপ আর একটা কথা বলবি না তোকে আমি কোনদিন ভালোবাসবো না ( রাগি কন্ঠে ) 


---- তাচ্ছিল্যের হাসি ফুটিয়ে বলে তুমিও ভালোবাসবে আমায় আর সেটা নিজের মুখেই বলবে আমাকে কিন্তু দেখো বেশি দেরি করে ফেলোনা আমার ভালোবাসা একদিন আপনাকে খুব কাঁদাবে


----তমাল তুলির গাল চেপে ধরে দাতে দাত চেপে বলে তুই নিজেকে কি মনে করিস তোর জন্য আমি কাঁদবো কোনো দিনও না 


----আহ: লাগছে আমার ছাড়ুন 


----তুলির গাল থেকে হাত সরিয়ে বলে তুই মরে গেলেও আমার চোখ দিয়ে এক ফোটা পানিও পরবে না 


----আমিও দেখে নিবো কি হয়


----আমার তোর সাথে ফালতু কথা বলার ইচ্ছে নেই তুলির রুম থেকে তমাল প্রস্থান নেয় তুলি যেদিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের সুরে বলে 


--- তুমিও আমায় ভালোবাসতে শুরু করেছো মি: তমাল ( তুলি)


--- আমি এভাবে ধরা পড়ে যাবো ভাবতোই পারি নি এখন কি না কি ভাবছে কে যানে আর কি বললো আমি কাঁদবো কক্ষনো না 


---সকালে নাস্তা করেই তুলি ভার্সিটির জন্য বেরিয়ে পরে তমাল আর তুলি এক ভার্সিটিতে গেলেও তুলিকে আলাদা যেতে হয় আজ তুলির ভার্সিটিতে যেতে দেরি হয়ে যায় আর ভাগ্যক্রমে তমালের ক্লাসটাই প্রথকে ছিলো 


--- May I came in sir


--- আমার ক্লাসে লেট করে আসলে বাইরে দাড়িয়ে ক্লাস করতে হবে


---- স্যার আসলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো তাই দেরি হয়ে গেছে


---- আমি কোনো এসকিইছ শুনতে চাই না তমাল আবার পড়াতা শুরু করে তুলি বাহিড়ে দাড়ি মনে মনে তমালকে বকে গুস্টি উদ্ধার করছে যা পাড়ছে তাই বলছে তুলি তমালের দিকে এমন করে তাকিয়েছে মনে হচ্ছে চোখ দিয়ে গিলে খাচ্ছে ক্লাস শেষ করে বেরোনোর সমায় কন্ঠে তেজ নিয়ে বলে 


----আমার দিকে এভাবে না তাকিয়ে তারাতাড়ি আসলেই পারিস 


---তুলি তমালের পশ্নের প্রতিউত্তরে কিছু না বলে রুপা আর শিমুর হাত ধরে চলে যায় সেখান থেকে 

চলে যায় 


----উফফ আমার পাটা ব্যাথা হয়ে গেছে আর দাড়াতে পারছি না চল কেন্টিনে যাই 


----হুম চল বসবি গিয়ে ( শিমু )


----স্যার তোর সাথে এমন করে কেনোরে ( রুপা )


----কেনো আবার আমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য ( তুলি )


----তোকে সবাই এতো ভালোবাসে কিন্তু স্যার কেনো এমন করে তোর সাথে ( রুপা )


-----ঔযে সবাই বেশি ভালোবাসে তাই সে কষ্ট দিয়ে বুঝিয়ে দেয় সবার ভালোবাসতে নেই আচ্ছা বাদ দে একথা ( তুলি )


গল্প ভালোলাগলে লাইক কমেন্ট সেয়ার করবেন। 

কষ্ট করে আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট করে আসবেন। ধন্যবাদ 


#চলবে 

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় 

#রোদেলা_ইসলাম