গল্প আমার_রুদ্রাণী পর্ব ২৪

 #আমার_রুদ্রাণী

#লেখিকা : শুভ্রতা আনজুম শিখা

#part: 24


🍂🍂🍂


ভয়ার্ত দৃষ্টিতে এদিক সেদিক চেয়ে এলোমেলোভাবে দৌড়াচ্ছে একজন। তার পেছনেই কয়েকজন গার্ড দৌড়াচ্ছে। বাড়িটির থেকে বেরিয়ে ঢোক গিলে আবারো পেছন দিকে দৃষ্টি রেখে পা চালিয়ে যেতেই কারো সাথে ধাক্কা খায় লোকটি। সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটিকে দেখেই শরীর ভয়ে কেপে উঠে। রুদ্র হেসে বলে,

হেই! পালিয়ে যাচ্ছিলে নাকি? আমি হেল্প করবো?

গার্ডরা এসে চারদিকে গোল হয়ে দাঁড়ায়। তাদের মধ্যে একজন বলে,

~তানভীরকে (রুদ্রর বিশ্বস্ত গার্ডদের মধ্যে একজন) মাথার পেছনে আঘাত করে পালিয়ে যাচ্ছিল স্যার। আমরা দেখা মাত্রই ধরার জন্য পেছনে ছুটেছি।

মুহূর্তেই রুদ্রর চোখে মুখে রাগের অস্তিত্ব দেখা দেয়। গার্ডদের একজনকে ডেকে গম্ভীর স্বরে বলে,

ওকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাও। ওর কিছু হলে তোমাদের একেকজনকে ডিরেক্ট শুট করে দিবো।

গার্ডটি ভয়ে মাথা নেড়ে চলে যেতেই রুদ্র আবারো ওই লোকটির দিকে শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে,

~দ দয়া করে আমাকে যেতে দিন। আমার ভুল হয়ে গেছে। টাকার লোভে পরে আমি তাকে খুন করতে এসেছিলাম। মাফ করে দিন আমাকে। আর কখনো এমন ভুল করবো না।

কাদতে কাদতে বলে লোকটি। রুদ্র শান্ত কণ্ঠে বলে,

লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। জানিস তো? তোর সাহস কি করে হলো ওকে মারার চেষ্টা করার!

বলেই লোকটির বুকে এক লাত্থি দেয় রুদ্র। একজন গার্ডকে ইশারা করতেই সে এসে রুদ্রর হাতে একটি রড দেয়। রুদ্রর হাতে রড দেখেই অন্তর আত্মা কেপে উঠে লোকটির।


🍂🍂🍂


মনে মনে বিরক্ত হলেও জোরপূর্বক হেসে সকলের সাথে কথা বলছে মেহের আর তার বন্ধুরা। কে সম্পর্ক কি হয় তার হিসেব মিলাতেই মিলাতেই আজ হয়তো শহীদ হয়ে যাবে তা ইতিমধ্যে ভেবে নিয়েছে মেহের। সঙ্গীতের অনুষ্ঠান ইতিমধ্যে শেষ, সবাই মেহেদি লাগাতে ব্যস্ত। মেহেরের মেহেদি দেওয়া শেষ অনেক আগেই, মেহেদি শুকিয়েও গেছে অলরেডী। এখন দিয়া আর স্নেহা মেহেদি দিচ্ছে। সেদিকেই মনোযোগ দিয়ে বসে আছে ওরা।

~তোগো মাইয়া মাইনষের মধ্যে এত প্যাচ কেন! (বিরক্তমিশ্রিত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে কাব্য)

~মেয়ে মানুষ আবার তোরে কি করলো? (ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে দিয়া)

~সম্পর্কে মেহের আর স্নেহার কি লাগে তা না বইলা দেখস না কেমনে পরিচয় দেয়! হিসাব মিলাইয়া ই তো কুল পাই না যে কেডা কি লাগে। (কাব্য)

~আসলেই রে ভাই। আবার কেউ চেপে ধরার আগে চল এদিক থেকে সরে যাই। (আহিল)

~ভালো কথা মনে করিয়েছিস। চল ভাগি!!!

যেই না কাব্য আর আহিল উঠতে যাবে ওমনিই দুজন মধ্যবয়স্ক মহিলা হাজির। কি সুন্দর হেসে চেয়ে আছে ওদের দিকে। দেখেই বুঝা যাচ্ছে পান খাওয়া তাদের অন্যতম প্রিয় অভ্যাস। কাব্য আর আহিলকে যেতে দেখেই তাদের মধ্যে একজন বলে উঠে,

আরে তোমরা কনের বন্ধু না? কোথায় যাও? বসো বসো।

~বসে থাকতে থাকতে কোমর বেকা হয়ে গেছে তাই একটু সোজা করতে যাচ্ছি। আপনি পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করুন, আমরা ২ ঘণ্টায় আসছি। (কাব্য)

~কোমর পরে সোজা করলেও চলবে আপাতত আন্টিদের সাথে পরিচয় হই আয়। মুরব্বী মানুষ বসতে বললো আর তোরা চলে যাচ্ছিস! দেটস ব্যাড ম্যানার্স। (বিজ্ঞ ভাব নিয়ে বলে দিয়া)

~দিয়া ঠিকই বলেছে। বস বস। (দাত কেলিয়ে বলে স্নেহা)

কাব্য আর আহিল কটমট দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকাতেই ওরা যেনো চোখের ইশারায় জানিয়ে দিলো 'আমরা একা কেনো বসে বসে ওনাদের বকবকানি শুনবো? তোরাও শুন'। কাব্য আর আহিল আবারও নিজের জায়গায় বসতেই একজন মহিলা এগিয়ে এসে মেহেরের গালে হাত রেখে বলে,

~সুফিয়ানের পছন্দ আছে বলতে হবে। বউ দেখতে তো একদমই পুতুলের মত। (তাদের মধ্যে একজন বললো)

~ঠিক বলেছেন ভাবি। (পাশের দাড়িয়ে থাকা মহিলাটি)

দুজন একে ওপরের দিকে চেয়ে হেসে আবারো মেহেরকে উদ্দেশ্যে করে বললো,

আমাদের চিনো না নিশ্চয়। আমি রুদ্রর মায়ের মেঝ চাচার ছোট ছেলের বউ। আর ও (পাশের জনকে দেখিয়ে) রুদ্রর মায়ের ছোট চাচার একমাত্র ছেলের বউ।

বলেই ফের একবার একে ওপরের দিকে চেয়ে মুচকি হাসি দিল। মেহের ফ্যালফ্যাল করে দুজনের দিকে চেয়ে আছে। এমনি সম্পর্কের হিসেব মিলাতে কষ্ট হয় মেহেরের। আর আজকে প্রায় সবাই দেখি এভাবেই পরিচয় দিচ্ছে। কি এক ঝামেলা! ভুলে যদি ভাবির জায়গায় চাচী কিংবা চাচীর জায়গায় মামী ডেকেছে তাহলেই বাঁশ! মেহের করুন দৃষ্টিতে স্নেহার দিকে তাকায়। স্নেহাও তো এই পরিবারের ই বউ তাই ওর জানার কথা যে উনি সম্পর্কে কে হন। কিন্তু স্নেহাও বরাবরের মতোই উদাসীন চোখে মেহেরের দিকে চেয়ে আছে। মেহের ঘাড় ঘুরিয়ে দিয়া, আহিল আর কাব্যর দিয়ে তাকায়। ওরা বসে মিনমিন করে গবেষণা করে বের করার চেষ্টা করছে যে ওনারা সম্পর্কে কি হয়। মেহের এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মহিলা দুজনের দিকে তাকায়। তারা এখনও উৎসাহী দৃষ্টিতে মেহেরের দিকে চেয়ে আছে। মেহের এমন ভাবে এক হাসি দিয়ে সালাম দিলো যেনো সে বুঝতে পেরেছে যে তারা সম্পর্কে কি হয়। মহিলা দুজন খুশিতে গদগদ হয়ে স্নেহার দিকে চেয়ে বললেন,

তুমি তো এই বাড়ির বড় ছেলে তীব্রর বউ। তাই না? তোমাদের বিয়েতে এসেছিলাম, মনে আছে?

তাদের প্রশ্নতে স্নেহা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে। বিয়ের দিন এমন এক দিন যাতে অনেক মানুষের ই দেখা মিলে। কে কার কি হয় তা মনে রাখা অসম্ভব এক কাজ বলে মনে করে স্নেহা। কিন্তু এখন কি জবাব দিবে ভেবে পায় না স্নেহা। অবশেষে সেও মেহেরের মত হেসে বললো,

আসসালামু আলাইকুম। হ্যাঁ হ্যাঁ অবশ্যই মনে আছে। তো? ভালো আছেন?

এবার যেনো তাদের চোখে আরো কয়েকগুণ খুশির ঝলক দেখা দিল। কাব্য, আহিল আর দিয়া জোরপূর্বক এক হাসি মুখে চেপে রেখেছে। মহিলা দুজন আরো কিছুক্ষণ কথা বলে তিথি আহমেদ এর কাছে চলে গেলো। তাদের যেতে দেখে ওরা এক স্বস্তির নিঃশ্বাস ত্যাগ করলো। মেহের স্নেহার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে জিজ্ঞেস করলো,

এই তুই না এই বাড়ির বউ?

~কোনও সন্দেহ আছে নাকি? (চোখ ছোট ছোট করে বলে স্নেহা)

~অবশ্যই সন্দেহ আছে। এই বাড়ির বউ হয়ে একটা মেহমান রেও চিনোস না তুই! বিয়ার দিন কি মেহমান রেখে খাবারের টেবিলের দিকে মনোযোগ দিয়া বইসা ছিলি নাকি তুই! (কাব্য)

কাব্যর কথায় স্নেহা চোখ মুখ কুচকে বলে,

আমি কি তোর মত বাকাশুর নাকি যে সারাক্ষণ খাবারের কথাই মাথায় ঘুরবে! তারা এখন যেমনভাবে পরিচয় দিয়ে গেলো তেমন ভাবেই আমার বিয়েতেও পরিচয় দিয়ে গেছে। আমি আজও মেলাতে পারি নি যে এরা আসলে সম্পর্কে কি হয়।

~থাক বাদ দে। এই ব্যাপারে তর্ক করে লাভ নেই। (আহিল)

সকলে এক সাথে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। মেহের ফের চারদিকে নজর ঘুরায় রুদ্রকে খুজার উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষন আগেও রুদ্র মেহেরের পাশে বসে মেহমানদের সাথে কথা বলছিল। হটাৎ দাড়িয়ে বললো যে তার একটা ইম্পর্ট্যান্ট কাজ আছে সে কিছুক্ষণের মধ্যেই আসবে। আয়মানকে চোখ দিয়ে ইশারা করে নিজের সাথে দিয়ে গেলো। তাও মেহেরের দৃষ্টিগোচর হয়নি কিন্তু ইশারায় কি বলেছে বুঝতে পারেনি মেহের। টানা কয়েক ঘন্টা এভাবে বসে থাকায় কোমর ব্যাথা করছে মেহেরের। স্নেহাকে উদ্দেশ্য করে বলে,

আমার বসে থাকতে আর ভালো লাগছে না। আমি একটু ঘুরে আসি?

~সারা বাড়িতেই মেহমান এর ছড়াছড়ি। যেদিকে যাবি সবাই ই ডেকে কথা জুড়ে বসবে। তাও যাবি?

~বাড়ি তো বিশাল বড়। বাড়িতে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে মেহমান যাবে না?

~উম... ওই দিকটা হয়তো এখন খালি আছে। ঐদিকে এমনিও গার্ড ছাড়া কেউ তেমন একটা কেউ যায় না। ওই দিকের জায়গাটা সুন্দর। আমি মাঝে মাঝে তোর ভাইয়াকে নিয়ে হাঁটা হাটি করি।

~আমরাও আসি? (আহিল)

~উহু। একটু একা থাকতে মন চাইছে। আপাতত মানুষজনের কোলাহল ভালো লাগছে না। দিয়া আর স্নেহার মেহেদি দেওয়া হলেই তোরা সবাই আসিস। আমি আগে যাই। (মেহের)

~আচ্ছা। (আহিল)

উঠে দাড়ায় মেহের। স্নেহার দিক নির্দেশনা অনুযায়ী পা চালায় সেদিকে। এইদিকটায় আসলেই কেউ নেই। গার্ডগুলোও কেমন গম্ভীর, একদম মূর্তির মত দাড়িয়ে আছে। মেহের চুপচাপ হেটে যেতে থাকে। হটাৎ কারো আর্তনাদ শুনে সেদিকে দ্রুত পায়ে এগিয়ে যায় মেহের। বাড়ির পেছন দিকটায় এসে এমন দৃশ্য দেখবে ভাবতেও পারেনি মেহের।

.

মেহেরের সাথে ম্যাচিং করে পড়া হালকা গোলাপী রঙের পাঞ্জাবি তে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ, চেহারায় ফুটে উঠেছে হিংস্রতা। তারই বাড়িতে এসে তার প্রিয় মানুষের জীবন শেষ করতে চাইছিল ভাবতেই রাগ যেনো শির শির করে বেড়ে উঠে রুদ্রর। দূরেই গম্ভীর ভঙ্গিতে দাড়িয়ে আছে আয়মান আর গার্ডরা। রক্তাক্ত অবস্থায় লোকটি থেমে থেমেই বলছে যে তার ভুল হয়ে গেছে। কিন্তু রুদ্র থামার পাত্র নয়। লোকটিকে পুনরায় রড দিয়ে আঘাত করতে নিতেই পেছন থেকে কারো চিৎকার শুনে ঘুরে দাঁড়ায় রুদ্র। চোখ বন্ধ করে কানে হাত চেপে দাড়িয়ে আছে মেহের। রুদ্র মেহেরকে দেখতেই হাতে থাকা রডটি ছুড়ে ফেলে দেয়। আয়মান গার্ডদের বলে লোকটিকে তাদের টর্চার হাউসে নিয়ে যেতে। মেহেদি পড়া হাতেই শক্ত হাতে নিজের লেহেঙ্গা চেপে ধরে মেহের। রুদ্র মেহেরের দিকে এগিয়ে আসতেই মেহের দ্রুত পায়ে কয়েক কদম পিছিয়ে যায়। রুদ্র মেহেরকে ধরতে গেলেই মেহের অশ্রুসিক্ত নয়নে রুদ্রর রক্ত রাঙ্গা হাতের দিকে তাকায়। 

~তার মানে আপ আপনি স-সত্যিই মা-মাফিয়া? আয়মান ভাইয়া আপনিও তার সাথে জড়িত?

কাপা কাপা গলায় বলে মেহের। রুদ্র শান্ত দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলতেই মেহের শব্দ করে কেঁদে উঠে।

~আমি-আমি আপনাকে বি-বিয়ে করবো না। কিছুতেই না। একজন গুন্ডার সাথে আমি কখনোই সংসার করতে পারবো না।

রুদ্রর মাথায় যেনো দপ করে আগুন জ্বলে উঠলো মেহেরের কথা শুনে। হাতে রক্ত থাকায় মেহেরকে ছুঁতে পারছে না রুদ্র, নাহলে যে মুখে রুদ্রকে ছাড়ার কথা বলেছে এতক্ষণে নির্দ্বিধায় কয়েকটা চড় বসিয়ে দিত।

~বিয়ে তো এই আমাকেই করতে হবে মেহেরজান। মোটেও বিয়ে ভাঙার কথা মাথায় এনো না। তবে আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না।

মেহের মাথা না বোধকে নাড়িয়ে পেছনে ঘুরে দৌড় দিতে নিতেই কারো সাথে ধাক্কা খায়। কান্নার কারণে সব ঘোলা দেখছে মেহের। চোখ পিটপিট করে সামনে থাকা মানুষটাকে দেখে যেনো ভরসার হাত দেখতে পায়। কান্নার পরিমাণও আরো দু গুন বেড়ে যায়। কান্না ভেজা গলায় বলে,

তী-ব্র ভাইয়া! আপনি জানেন উনি! উনি নাকি সত্যিই মাফিয়া। উনি... উনি খুব খারাপ। আমি মোটেও ওনাকে বিয়ে করবো না। আপনি বাবা আর মামনিকে বুঝিয়ে বলবেন? আমি ওনাকে বিয়ে করবো না।

ঠোঁট চেপে শীতল দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তীব্র। এমন একটা দিনের মুখোমুখি হতে হবে তা সে আগের থেকেই জানতো কিন্তু এতো জলদি এমন কিছু হবে তা তার ভাবনায়ও ছিল না। মৌনতা ভেঙে তীব্র জবাব দেয়,

আমি জানি মেহের। বোন আমার। তুমি প্লীজ রাগ করো না। রুদ্র খারাপ ছেলে নয়।

তীব্রর কথা শুনে মেহের যেনো আকাশ থেকে পড়লো। বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তীব্রর দিকে চেয়ে আবার ঘাড় ঘুরিয়ে রুদ্র আর আয়মান এর দিকে তাকায়। এই মানুষগুলোকে আজ বড্ড অপরিচিত লাগছে মেহেরের নিকট। কাছের মানুষ গুলোর এই রূপ যেনো মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে মেহেরের। মাথায় আর চাপ নিতে পারছে না মেহের। চোখ খুলে রাখা কষ্টকর হয়ে উঠছে। মাথা ঘুরে পড়ে যেতে নিতেই তীব্র এগিয়ে মেহেরকে ধরতে যায়। কিন্তু তার আগেই কাব্য আর আহিল এসে মেহেরকে দু দিক থেকে আগলে ধরে। কাব্য আর আহিল আগেই বলেছিল যে রুদ্র মাফিয়া জগতের একজন কিন্তু সেদিন স্নেহা অমত পোষণ করায় ওরা আর কিছুই বলেনি। দিয়া অবাক দৃষ্টিতে আয়মান এর দিকে তাকায়। আয়মান চুপ করে মাটির দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে চেয়ে আছে। অন্যদিকে স্নেহাও নিশ্চুপ ভাবে তীব্রর দিকে চেয়ে আছে। তীব্র কিছু বলার জন্য এগিয়ে আসতেই স্নেহা থম থমে গলায় আহিল আর কাব্যকে বলে,

পেছনের দরজা দিয়ে মেহেরকে নিয়ে ঘরে চল আহিল। 

রুদ্র এখনও একই জায়গায় দাঁড়িয়ে নির্লিপ্তভাবে চেয়ে আছে মেহেরের দিকে। আহিল আর কাব্য রুদ্রর দিকে তাকাতেই রুদ্র মাথা নেড়ে সায় দেয়। আহিল দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করে মেহেরকে কোলে তুলে দরজার দিকে পা বাড়ায়। আহিলের পিছু পিছু কাব্য, স্নেহা আর দিয়াও যায়।

~ডাক্তার কে ফোন করে দ্রুত আসতে বল মান। বাড়ির কাউকে এখন এই ব্যাপারে জানানোর প্রয়োজন নেই।

বলেই হন হন করে রুদ্র পেছনের দরজা দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে।

~~~

চলবে~

(এই যা! নায়িকা তো বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দিলো। এখন উপায়?)

0 Comments:

Post a Comment