গল্প: বাধন হারা বেনী পর্ব ২১

 গল্প:বাধন হারা বেনী

লেখীকা:সানজিদা আহমেদ শাহারা

পর্ব:২১


সোহরাব- ভাই নানা কাম ডা করলো কি?


মেহরাব- সালা নানা বেটারে তো একটু ওয়াসিংম্যাসিনে ঘুল্লি দিতে হবে।


সোহরাব- তোর বাস দিলো ভালা কথা আমরা বাস টা ও দিলো?


মেহরাব- তুই মেয়ে কোথায় পেলি?


সোহরাব- কেন আমার তাহু বেবিজান।


মেহরাব-হ্যা? সে আবার কে?


সোহরাব- ওহ ভাই, তাহিয়ানার কথা বলছি।


মেহরাব- বেদ্দপ মেয়ে একটা


সোহরাব- আরে না ভালো।


মেহরাব একবার তাকায় সোহরাব এর দিকে আর সোহরাব লাজুক একটা হাসি দেয়।মেহরাব হতাশায় মাথা নাড়ায়।সোমেহরা এখন ও আলোরার দিকেই তাকিয়ে আছে।অতপর কৌতুহল দমাতে না পেরে বলল


সোমেহরা- আমি ও কি?


আলোরা - না আপু তুমি না শুধু ওনারা দুজন।তুমি হওয়ার আগেই মামনি নিজের জ্বীন সত্তাকে ত্যাগ করে মানুষে পরিনত হয়েছিলো।


সোহমেহরা- ঘটনা বলার সময় তো বললি না।


আলোরা- একটু তো বলায় ভুল হতেই পারে তায় না?


সোহমেহরা- আচ্ছা আমি তো মানুষ?


আলোরা- হ্যা 


সোমেহরা- তাহলে ঠিক আছে বাবা।


সোহরাব - কেমন সার্থপর বোন রে তুই এখানে দুই ভাই রোমান্স এর নাম নিলেই মরবে বলে খাড়া ঝুলছে আর তুই চিল করতে চাচ্ছি  হ্যা রে তোর ফুফু হওয়ার শখ নেই?


সোমেহরা- তোদের বিয়ে করতে মানা করছে বাসর করতে না।আর হ্যা ফুফু হওয়ার শখ আমার আছে, অনেক বেশিই আছে। কারণ আমার ডা জঘন্যিয়া।


অনিমা- সত্য কথা বলছো আপু।


তনিমা- বড়দের নামে এমন বলতে নেই অনিমা।


সোহরাব- তোর আজ কাল ফুফুর জন্য একটু বেশি পড়ে তাই না।


তনিমা-তেমন কোন ব্যাপার না।


মেহরাব- নানার ব্যাপার টা পরে দেখছি,আর তোকে তো আমি এমনই দেখে নেবো বেয়াদপ মেয়ে (আলোরার দিকে তাকিয়ে)।এখন কাজের কথায় আয়।বল হাসপাতাল এর কি সমস্যা।

কাফি নিরব দর্শকের মতো সব টা দেখলে ও এবার বলতে শুরু করে।


কাফি- ঘটনাটা নতুন নয় বহু পুরাতন।১৯৮০ সালে যখন এই হাসপাতাল এর নির্মান কাজ শুরু হয় তখন থেকেই এখানে কিছু সমস্যা এখানকার কর্মীরা অনুভব করে যে, ধরেন হাসপাতটির কোন এক সাইটে কাজ বন্ধ থাকলে ও সেখানে মানুষের বিচরনের অস্তিত্ব থাকে।আবার ধরেন কোন সময় কোন কর্মী কাজ করতে থাকলে সে অনুভব করে পেছন থেকে তাকে কেউ এসে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে।এগুলো ছোট খাটো ইনসিডেন্ট প্রধান সমস্যা হলো সেদিন যেদিন আবেদ স্যার এর মেয়ে রানঝা হাসান আবেদ এই হাসপাতালটি পরিধর্শনে আসে।সেদিন ঠিক কি হয়েছিলো জানা যায় না তবে উনি যে সাইটে সেদিন ছিলেন সেদিন ওখানে তিনটে খুন ও একপাশের দেয়াল ধষে পড়ায় আশিজনের মতো গুরুতর আহত হয়।এরপর হাসপাতাল এর কাজ বন্ধ ছিলো প্রায় ১২ বছর।বারো বছর পর আবেদ স্যারের নাতি পুনরায় এই হাসপাতাল এর নির্মান কাজ শুরু করেন এবং সফল হন।এরপর থেকে একটানা হাসপাতাল এর কার্যক্রম চলতে থাকে।গত তিন বছর যাবৎ একটি গুরুতর সমস্যায় আমরা ভুগছি এই হাসপাতাল নিয়ে তা হলো হাসপাতালের দেওয়াল এর ভেতর থেকে একধরনের মিউজিকের সাউন্ড শোনা যায়।এবং তা শুনার পরপর রুগী রিকোভার হয় প্রায়  ৯৫% কিন্তু এরপরই হঠাৎ রুগী হৃদক্রীয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।ব্যাপারটা প্রথম প্রথম অতটা গুরুত্ব না পেলে ও বিগত তিন বছর যাবৎ একই ঘটনা ঘটছে।ফলে সকলে ভীষন ভীত অনেক যাচাই বাছাইয়ের পর ও কোন সুরাহা করতে না পেরে ঐ সাইড টা বন্ধ করে মর্গ বানানো হয়েছিলো কিন্তু সেখান থেকে গত দুই বছর যাবৎ বেওয়ারিশ লাশ গায়েব হয়ে যাচ্ছে।কিন্তু সমস্যা হলো যে পুলিশি অভিযান হওয়ার পরে ও লাশ কেন চুরি হচ্ছে, কে করছে কিছুই জানা যায় না।


মেহরাব- ওকে মিস কাফি আমরা কাল থেকেই ব্যাপার টা দেখবো।


কাফি- সরি স্যার বাট আমি ছেলে।


মেহরাব- ওহ আই এম সো সরি মিসেস ওহ সিট সরি সরি মিস্টার কাফি।


কাফি - ইট'স ওকে( রেগে যায় কিন্তু স্বাভাবিক থাকে।

.............................


কাফি চলে গিয়েছে অনেক আগেই সোমেহরা আলোরাকে রেখে দিয়েছে। আরোরা ও যেতে চেয়েছিলে কিন্তু যেতে দেয় নি।সকলে গল্প করতে করতে ড্রইংরুমেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো।মেহরাব ড্রইং রুমের সাথে লাগোয়া বারান্দায় দাড়িয়ে ছিলো আরোরা হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ায় সে উঠে যায় দেখে সামনে মূর্তমান মেহরাব চাঁদের দিকে তাকিয়ে আছে।আলোরার সাহস হয় না মেহরাব এর কাছে যাওয়ার।তখনি মেহেরাব এর রাশভারী গলার আওয়াজ কানে আসে।


- আলু,


- জ্বি ভাই।


- এদিকে আয়।


- না


- কেনো


- ভয় করে


- মারব না,আয়


আরোরা দোয়া পড়তে পড়তে আগায় মেহরাব দিকে।মেহরাব এর পাশে দাড়াতেই আলোরা দেখতে পায় অপর পাশের বেলকনিতে এক নারী ও পুরুষ নিষিদ্ধ ছোয়াতে মেতে উঠেছে।দেখে বুঝা যাচ্ছে তারা বিবাহিত সম্ভাবত ভারতীয় হয়তো মধুচন্দ্রিমায় এসেছেন।আলোরা লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে দাড়ায়।তার কানে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ঝাঁ ঝাঁ আওয়াজ শুরু হলো তখন যখন একই ছোয়া সে তার শরিরে অনুভব করতে শুরু করলো।মেহরাব আলোরা হাতের কনিষ্ঠা আঙুল টি নিজকর হাতের মধ্যে নিয়ে তা মুখে পুরে ছোট বাচ্চাদের নেয় খেতে শুরু করে।

আলোরা ভড়কে যায় সে হতভম্ব হয়ে বলে আপনি কি করছেন।


- সাজা দেবো আজ ভয়ংকর সাজা।


- সবাই জেগে যাবে


মেহবার মুচকি হেসে বলে,,,,


- হ্যা' রে আলু আমি তোকে ছুলে ক্ষতি নেই ওরা জেগে গেলে সমস্যা।আচ্ছা আলু আমি কি এমন করবো যে ওরা সবাই এক সাথে জেগে যাবে? আর তুই ই বা এমন কি রিয়াক্ট করবি ভাবছিস?


আলোরার কানের লতিতে ঠোট নাক মিশিয়ে কথাটা বলে মেহরাব।যখন আলোরার ছোট্ট মস্তিষ্ক এই কথাটার তাৎপর্য উপলব্ধি করে তার পুরো শরির টা  একবার নড়ে ওঠে,চোখ খিচে বন্ধ করে নেয়।পরনে  থাকা কুর্তিটা শক্ত করে খামচে ধরে।


চলবে।


[ দুঃখিত ঝড় বৃষ্টির জন্য আমি গল্প টা দিতে পারিনি।আর আমাদের এখানে পল্লী বিদ্যুৎ এর লাইন হওয়ায় ভুগান্তী আরো বেশি। বিকালের আগে দিতে চেয়ে ও বিদ্যুৎ না থাকার ফলে আমি গল্প দিতে ব্যার্থ হয়েছি।আমি দুঃখিত 🤧।]

0 Comments:

Post a Comment