গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৬

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_6

#collected Sk Galib 

এই জানু কি করছো পিছন থেকে শুভর গলা ধরে কে যানি বলল


শুভ// পিছন দিক তাকাতেই ভুত দেখার মত চমকে উঠে কারন মেয়েটি ছিল আদিলা 


শুভ তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবতেছে 

ভুতের মুখে রাম নাম 


যে তাকে এক সেকেন্ডের জন্য সহ্য করতে পারেনা সে আজ তাকে জানু বলে গলা ধরছে 


আদিলা// এই জানু এভাবে তাকিয়ে কি দেখ তুমি কি আমাকে কখনো দেখনি আচ্ছা দাড়াও 


এই বলে আদিলা শুভর কুলে এসে বসে 

তার ঠোটের কাছাকাছি ঠোট নিয়ে গিয়ে

এখন আমাকে তুমি মন ভরে দেখ আর আমাকে তুমি আদর করো আজ না তোমার আদর পেতে মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে প্লিজ জানু তুমি আমাকে একটু আদর করো 


তুমি অনেক খারাপ আমাকে একটুও আদর করো না 


শুভ// এই আপনার মাথা ঠিক আছে মনে তো হচ্ছে আপনি নেশা করে আসছেন আপনার নেশা ধরেছে তাই এমন আবল তাবল কথা বলছেন 


আদিলা// হুম আমার সত্যি নেশা পেয়েছে তোমার আদর পাওয়ার জন্য প্লিজ শুভ আদর করো আমাকে 


শুভ// দেখেন আপনার মাথা ঠিক নাই এখান থেকে জান বিছানাই গিয়ে শুয়ে পরেন 


আদিলা// তুমি আমাকে আদর করো তুমি না আমার স্বামী আজ তোমাকে নিয়েই শুবো এই বলে শুভর ঠোটের সাথে আদিলার ঠোট লাগিয়ে দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে 


শুভর কাছে এটা ভালো লাগলেও তার মন চাচ্ছেনা শুভ ভালো করেই জানে এখন আদিলা হুশের মধ্যে নেই 


আদিলার হুশ ফিরলে এর পরিনাম ভালো হবেনা 


তাই শুভ তাকে কুলে নিয়ে  বিছানায় দিয়ে আসতে যাবে তখনই আদিলা আরো শক্ত করে শুভর গলা জড়িয়ে ধরে 


শুভ ছাড়ানোর  চেস্টা করেও আদিলার কাছে পেরে উঠেনা 


তাই বাধ্য হয়ে শুভ তার সাথেই শুয়ে পরে 

যদিও সে বুঝতে পারে সকালে আদিলা তাকে কিছু একটা করে 


পরে তাদের মাঝে কি হয়ছে আমি জানিনা 😁😁


আপনারা তাদের কে জিজ্ঞেস কইরেন 😝😝


পরের দিন সকালে যখন আদিলার ঘুম ভাঙ্গে তখন দেখতে পাই সে শুভকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে এবং তাদের উভয়ের মাঝে কোন বিন্দু পরিমান কাপড় নেই 


তা দেখে আদিলা জুরে চিৎকার করে উঠে এতে শুভর ঘুম ভেঙ্গে যাই 

শুভ নিজেও ভাবতে পারেনা এগুলো কি ভাবে হলো 


তাই তারাতারি করে কাপড় পড়ে নিয়ে সরি আমি জেনে বুঝে কিছু করিনাই


আদিলা/// কুত্তার বাচ্চা আমাকে নষ্ট করে বলছিস সরি তকে তো আমি আজ মেরেই ফেলবো কোন সাহসে তুই আমার সাথে এমন করলি বল

এই বলে আদিলা উঠে গিয়ে লাঠি নিয়ে এসে শুভকে অনবরত মারতে থাকে 


শুভ // চিৎকার করে বলতে থাকে আমি জেনে বুঝে  কিছু করিনাই আমাকে মাফ করে দেন 


কে শুনে কার কথা আদিলা যেন আজ পাগল হয়ে গেছে শুভর কোন চিৎকার তার কানে যাচ্ছেনা  অনাবরত মারতে থাকে 


এক সময় আদিলা শুভর মাথায় আঘাত করে এতে শুভ জুরে একটা চিৎকার করে সেন্সলেস হয়ে যাই 


ঠিক সেই সময় আদিলার বাবা মা তার রুমে যাই তখন আদিলার বাবা শুভর অবস্থা দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে 


এই ছিলো তর মনে সইতানি বুদ্ধি আমি যদি আগে কখনো জানতাম তুই তার সাথে এমন করবি তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমাদের থেকে পৃথক থাকবি  তাহলে কখনো তর মত বজ্জাত মেয়ের কাছে   শুভকে  পাঠাতাম না

জানিনা এতদিন তুই তার সাথে কেমন আচরন করছিস 


আজ যদি সকালে তর এখানে না আসতাম তাহলে হয়তো তর পরিচয় টা জানতে পারতাম না


তকে আজ আমার মেয়ে ভাবতেও ঘৃন্যা হচ্ছে ছিহ আদিলা ছিহ


আজ শুধু তোমার  জন্য মেয়েটা এত জগন্য হয়ছে আরো আদর দিয়ে মাথায় তুলে নাচো ((আদিলার মা কে উদ্দেশ্য করে ))


ছেলেটা তর কি ক্ষতি করছে যার জন্য তার এই অবস্থা করছিস 


একদিন বুজে আসবে তর ,কাকে কষ্ট দিছিস তুই কাকে হারিয়েছিস তুই সেদিন চিৎকার করে কান্না করে চখে জল শুকিয়ে ফেলবি তবুও তুই ফিরে পাবিনা তাকে


আদিলা// তুমি এই ছোট লোক টার জন্য আমাকে গালি দিচ্ছো 


আদিলার বাবা// ঠাসস ঠাসসস তকে আমি কখনো হাত তুলিনাই আজ তুললাম  এখনো সময় আছে তুই ভালো হয়ে যা


এই বলে আদিলার বাবা শুভকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসে 


এদিকে আদিলার মা// তুমি এতটা খারাপ হয়ে গেছো আমার জানা ছিলনা কি অপরাদ করেছিল সে তোমার সাথে যার জন্য তার অবস্থা এমন করেছো


আদিলা// সে আমার সাথে কেন ফিজিক্যাল রিলেসন করলো 


আদিলার মা// দেখ মা সে তোমার স্বামী আর তোমার উপর তার এটা হক 


শুভ যতই গরিব  হক বা কালো লেংড়া লুলা হক সে তোমার স্বামী 


একটা কথা মনে রেখ একটা মেয়ের জন্য তার স্বামী সব 


তুমি অনেক বড় অন্যাই করে ফেলছো মা 


আদিলা// শেষ মেশ তুমি ও বললে আমি খারাপ তুমি বল যাকে দেখতে পারিনা যাকে স্বামী হিসেবে মানি না সে আমার সতিত্ব নষ্ট করছে তাকে কি করে মেনে নেই বল 


আদিলার মা // তুমি কখনো ভালো হবে না তোমার যা মন চাই তুমি করো কোন দিন শুভর জন্য আমাদের কাছে কিছু বলোনা এই বলে আদিলার মা ও চলে যাই 


আর  আদিলা// মনে মনে বলতে থাকে কুত্তার বাচ্চা তুই ভালো হয়ে আসই আগে তরে আমি দেখে নিমু আজ তর জন্য বাবা আমার গায়ে হাত তুলল মা আমাকে ভুল বুঝলো 


এদিকে আদিলার  বাবা শুভকে নিয়ে হাসপাতালে আসে 


ডাক্তার রা তাকে ইমার্জিন্সিতে নিয়ে চিকিৎসা করতে থাকে 


দীর্ঘ সময় পরে ডাক্তার বের হয়ে আসলে 

আদিলার বাবা // ডাক্তার রুগীর কেমন অবস্থা


ডাক্তার // অবস্থা বড়ই নাজুক 

মাথার আঘাত টা বেশ জুরে লেগেছে 

বলা যাচ্ছেনা তার জ্ঞান ফিরবে কি না 

হতে পারে সে কোমায় চলে যাবে 


চলবে,,,  ,


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


0 Comments:

Post a Comment