গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ১৮

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_18

#collected Sk Galib 

হঠাৎ একদিন তানযিলা শুভ কে বলে  ভাইয়া আমাদের নাটক টা কিন্তু বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে আমি নিজে মেয়ে হয়ে অন্য একটা মেয়েকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আর ভালোবাসার নাটক করতে পারবো না অনেক কষ্ট তুমি তাকে দিয়েছো মানুষমাত্রই ভুল তার ভুল হয়েছিল সে এখন সঠিক পথে ফিরে এসেছে সে এখন তোমাকে পাগলের মত ভালোবাসে আমি চাইতেছি এখন ভাবিকে মেনে নাও 

দুইএকদিন যাবত ভাবির আচরন আমার কাছে ভালো লাগছেনা হয়তো ভাবি কোন কিছু করে বসবে যদি তুমি আজ ভাবিকে মেনে না নাও তাহলে আমি আর তোমার সাথে ভালোবাসার অভিনয় করতে পারবোনা সব সত্যি টা ভাবির কাছে বলে দেব 


শুভ/// আমিও আজ তোমাকে বলতে চাইছিলাম আর ভালোবাসার নাটক করবো না আজ তাকে মেনে নেব  আজ থেকে আমার জান টাকে আর কষ্ট দিবো না অনেক কষ্ট দিয়ে ফেলছি তাকে আপন করে নেব তার সমস্ত কষ্ট ভালোবাসা দিয়ে 

দূর করে দেব আজ থেকে তাকে অনেক আদর করবো সবসময় চখে চখে রাখবো এক মিনিটের জন্যও চখের আড়াল হতে দিবোনা জানো তানযিলা আমার আদিলাকে নিয়ে অনেক শপ্ন ছিলো প্রত্যেক দিন দুইজনে একসাথে অফিসে আসবো এক সাথে যাবো মাঝে মাঝে নিজ থেকে ঝগড়া করে তার সাথে অভিমান করে থাকবো 

আদিলা আমার অভিমান ভাঙ্গকে আসলে  তার কপালে একটা পাপ্পি দিয়ে আমার কুলে তার মাথা রাখতে বলবো তারপর আমি তার চুলে বিলি কাটতে থাকবো আর মান অভিমানের কথা বলতে থাকবো 

আবার যদি কখনো আদিলা অভিমান করে তাহলে আমি নানা রকমের কৌশলে তার অভিমান ভাঙ্গবো 

আরো অনেক ইচ্ছা আছে যা তুমি কাদে কর্মে দেখতে পারবে 


পরে তারা আরো কিছুখন গল্প করে অফিস ছুটি হলে বাসায় চলে যাই 


শুভ বাড়িতে আসলেই আদনান দৌড়ে এসে বাবা তোমাকে একটা কথা বলবো যদি তুমি না মানো তাহলে তোমার সাথে আমি আর কখনো কথা বলবো না আমি আম্মুর সাথেই কথা বলবো আম্মু অনেক ভালো তুমি এখন পচা হয়ে গেছো


শুভ/// কি হয়ছে বাবা বল আমি মানবো 


আদনান// তুমি আম্মুকে ক্ষমা করে দাওনা কেন আম্মু তোমার জন্য প্রতিরাতে কান্না করে তোমার জন্য ভালো মত খাবার খাইনা দেখনা আম্মুকে এখন কেমন যেন রুগা রুগা মনে হয়


জানো বাবা প্রত্যেক দিন আম্মু আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলতো বাবা আদনান তুই একটু তর বাবা কে বলনা যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয় দেখনা আমি আগের মত এখন অহংকার করিনা 

মানুষমাত্রই ভুল একবার না হয় ভুল করেছি তার জন্য তো আমাকে ৭ টি বছর কষ্ট করতে হয়েছে প্রতিটি রাতে তার ফিরার অপেক্ষায় নির্ঘুম কাটাতাম তার জন্য প্রতি রাতে কান্না করতাম  

জানো বাবা আজ সকালে আম্মু কেদে কেদে বলছে তুমি যদি তাকে ক্ষমা না করো তাহলে নাকি আম্মু না ফেরার দেশে চলে যাবে 


বাবা এই দেশটা কোথায় ??


শুভ আদনানের কথায় চিন্তা করতে লাগলো সত্যিকি আদিলা আমাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যাবে নাহ আমি তাকে কোথাও যেতে দিবো না আজকেই তাকে মেনে নেব 


আদনান // কি হলো বাবা কি ভাবছো বলে বাবা না ফেরার দেশ টা কোথায়??


আদনানের কথায় শুভর ধ্যান ভাঙ্গে না বাবা কিছুনা তোমার আম্মুকে কোথাও যেতে দিবো না তোমার আম্মু আজ অফিস থেকে আসলে তাকে ক্ষমা করে দেব আর কষ্ট দিবো না এবার খুশিতো 


আদনান/// হুম বাবা 


শুভ// যাও তুমি তোমার নানু ভাইয়ের কাছে যাও 


অতপর শুভ সেখান থেকে রুমে  এসে আদিলার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে 


আর শুভ ভাবতে থাকে আজ আদিলা রুমে আসলেই বলবো তোমাকে এভাবে দেখতে আর ভালো লাগেনা যাও এখনি ফ্রেশ হয়ে এসে সুন্দর করে সাজো 


অতপর যখন আদিলা আয়নার সামনে সাজতে যাবে তখন সে পিছন থেকে ঝড়িয়ে ধরে তার স্যাম্পু করা চুলের ভিতর নাক ডুবিয়ে দিয়ে তার ঘ্রান নিবে অতপর তার ঘাড়ে আলতো করে একটা চুমু দিয়ে বলবে বড্ড ভালোবাসি পাগলি তকে আর কখনো ছেডে যাবো না আমাকে ক্ষমা করে দাও 


যারা আমার ফ্রেন্ড না এবং ইনবক্সে মেসেজ দেন তারা হায় হেল বাদ দিয়ে অন্য কিছু বলার চেষ্টা করবেন নতুবা সেটি ডিলেট করে দিবো আর রিকু দিলে গ্রহন করার জন্য মেসেজ দিয়ে জানাবেন


এসব ভাবতে থাকে আর আদিলার জন্য রুমে বসে থাকে 


অপেক্ষা করতে করতে রাত হয়ে যাই তবুও আদিলা বাসায় ফিরে না 


হঠাৎ শুভর ফোনে একটা একটা কল আসে 


শুভ/// কে বলছেন 


অপাশথেকে/// এটা কি শুভ স্যারের নাম্বার 

শুভ// হুম 

অপাশথেকে // স্যার আদিলা মেম কার একসিডেন্ট করেছে গুরুতর আহতো হয়েছে বাচার চান্স একদমই নেই স্যার দ্রুত আপনি ,,,,,    ,,,,,,এই হাসপাতালে চলে আসুন 


সংসাদ টি শুনার সাথে সাথেই শুভর পায়ের নিচের মাটি যেন সরে যায় 

শুভ চিৎকার করে না আমার আদিলার কিছু হবেনা আমি তাকে কিছু হতে দিবো না এই বলে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রউনা হয় কিছুখন পর শুভ হাসপাতালে গিয়ে পৌছে ডাক্তার বের হওয়ার অপেক্ষা করতে থাকে 


আস্তে আস্তে আদিলার বাবা মা ও হাসপাতালে পৌছে 


তারা সহ কান্না করতে থাকে 


কিছুখন পর ডাক্তার বের হয়ে আসলে 

শুভ দৌড়ে গিয়ে ডাক্তার আমার আদিলার কেমন অবস্থা 


ডাক্তার /// সরি আমরা রুগীকে বাচাতে পারিনাই 


ডাক্তারের কথা শুনার সাথে সাথে শুভ ঠাস করে মাটিতে বসে যাই পাগলের মত একা একাই কথা বলতে তাকে আজ আমার জন্যই এমন হলো আমি খারাপ আমি তর ভালোবাসা বুজতে পারিনাই

আমাকে ক্ষমা করে দে কিছুখন পর শুভ বসা থেকে উঠে দৌড়ে ক্যাবিনে গিয়ে আদিলার ডেড বডি কে জড়িয়ে ধরে কাদতে কাদতে বলতে থাকে কেন এমন করলি তুই কেন চলে গেলি আমাকে ছেড়ে আমি এখন কাকে নিয়ে বাচবো বল কথা বল আমার সাথে রাগ করে থাকিস না তাকিয়ে দেখ তর শুভ তর কাছে ফিরে এসেছে একটি বার কথা বল আমার সাথে চোখ খুল আদিলা চোখ খুল কিন্তু আদিলার কোন সাড়া শব্দ নেই হারিয়ে গেছে না ফেরার দেশে 

এদিকে আদনানও তার মাকে ধরে কান্না করছে আম্মু কথা বল আমার সাথে কথা বলো, আব্বুর সাথে কথা বলতে হবে না তোমার, আব্বু পচা তুমি আমার সাথে কথা বল ,তুমিনা আম্মু আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারোনা, তাহলে আজ কেন আমার সাথে কথা বলছোনা কথা বলো আমার সাথে 


আদিলা মরার কথা শুনে সবাই কান্না করছে 

কিছুখন পর আদিলার বাবা আদিলার লাশ নিয়ে বাড়িতে চলে আসে অতপর 


বাকি কাজ করে কবর দিয়ে সবাই চলে আসে কিন্তু শুভ তার কবরের পাশে দাড়িয়ে কাদতে থাকে 


এভাবেই কিছুদিন চলে যাই হঠাৎ একদিন 


©©©©©©®©বিরতি ©©©©©©©®

 

সকল পাঠক ভাইদের জানাই অগ্রীম ঈদের শুভেচ্ছা 


সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন 


বাকি পর্ব ঈদের ২দিন পর থেকে দিবো


গল্পে প্রায় ৩০০ করে লাইকে আসে কিন্তু কমেন্ট ১০০ ও আসেনা 

প্রিয় পাঠক দের কাছে অনুরুদ থাকলো সবাই একটা কমেন্ট করবেন 

আপনার একটা কমেন্ট আমার নতুন গল্প লিখার উৎসাহ জাগায় 


চলবে©©©©©©©©©©©©©©©


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼,


0 Comments:

Post a Comment