গল্প আমার_রুদ্রাণী পর্ব ১২

 #আমার_রুদ্রাণী

#লেখিকা : শুভ্রতা আনজুম শিখা

#part: 12


🍂🍂🍂


ড্রয়িং রুমে বসে আছে মি. এন্ড মিসেস আহমেদ, তীব্র, রুদ্র আর আয়মান। তাদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে স্নেহা, আহিল, কাব্য আর দিয়া। মেহেরের দৃষ্টি এখনও মাটির দিকে সীমাবদ্ধ। মেহেরকে দেখেই তিথি আহমেদ হেসে মেহেরের দিকে এগিয়ে আসেন। মেহেরের গালে হাত রেখে বলে,

মাশাহ'আল্লাহ আমার মেয়েকে তো খুব সুন্দর লাগছে।

পরিচিত গলার স্বর শুনেই মেহের চোখ তুলে সামনে দাড়িয়ে থাকা মানুষটির দিকে তাকায়। স্নেহার শাশুড়ি অর্থাৎ তিথি আহমেদকে দেখে মেহের অবাক হয়ে চেয়ে থাকে। স্নেহাও আর কৌতূহল দমিয়ে রাখতে না পেরে জিজ্ঞেস করে,

মা, তীব্র তোমরা সবাই এখানে? তোমরাই ছেলে পক্ষ! ওকে দেখতে আসছো তা আমাকে জানাও নি কেনো?

~রুদ্র হটাৎ এসে বললো যে আজকেই বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে। মেহেরকে নিজের করতে ও নাকি আর দেরি করতে চায় না। আর তোকে এই ব্যাপারে সারপ্রাইজ দিতে চেয়েছি তাই তোকে কেউ কিছু জানায়নি।

~সুফিয়ান ভাইয়ার বউ মেহের হবে! মেহের আমার জা হবে ভেবেই আমার অনেক খুশি লাগছে।

স্নেহার কথা শুনে হেসে উঠে ড্রয়িং রুমে থাকা সকলেই। রুদ্রর মা মেহের কে নিয়ে রুদ্রর সামনের সোফায় বসায়। মেহের মাথা নিচু করে বসে আছে। রুদ্র এখনও মুগ্ধ দৃষ্টিতে তার প্রেয়সীর দিকে চেয়ে আছে। হটাৎ মেহেরের দিকে ঠিক মত খেয়াল করতেই রুদ্রর চোয়াল শক্ত হয়ে আসে। মেহেরকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞেস করে,

কেঁদেছো কেনো?

রুদ্রর প্রশ্ন শুনে মাথা তুলে তাকায় মেহের। রুদ্রর প্রশ্নের কি জবাব দিবে ভেবে পাচ্ছে না মেহের। এদিকে মা উপস্থিত। মায়ের সামনে বাবার কথা বলে মা এর মন খারাপ করতে চায় না মেহের। অন্যদিকে মেহেরের জবাব না পেয়ে যেনো রাগে মাথা ফেটে যাচ্ছে রুদ্রর। সে থাকতে তার রুদ্রানী কান্না করেছে ব্যাপারটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে রুদ্রর। মেহেরের মা এর উদ্দেশ্যে জিজ্ঞেস করে,

মেহের কেঁদেছে কেনো মামনি?

রুদ্রর প্রশ্নে মেহেরের মা হকচকিয়ে যায়। মেহেরের একটু কান্নায় যে রুদ্র এতটা রিয়েক্ট করবে তা তার ভাবনায় ও ছিল না। এতক্ষণ এর হাসি খুশি পরিবেশটা মুহূর্তের মধ্যেই থমথমে হয়ে যায়। জবাব না পেয়ে রুদ্র এবার "ও কেদেছে কেনো?হুয়াই?" বলেই হাতের কাছে থাকা কাছের গ্লাসটা স্বজোরে মাটিতে ছুড়ে মারে। মুহূর্তেই ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে গ্লাস এর ভাঙ্গা অংশগুলো। মেহেরের বন্ধুরা জড়োসড়ো হয়ে ঘরের এক কোনায় দাড়িয়ে আছে, মেহেরের কাছে যাবে তারও সাহস হচ্ছে না ওদের। আয়মান সাহস করে রুদ্রর কানে ফিসফিস করে বলে,

স্যার প্লীজ শান্ত হোন। ভাবিমা আপনার এই আচরণে ভয় পাচ্ছে।

মেহেরের দিকে চেয়ে দেখে মেহের ভয়ে চোখ বন্ধ করে গুটিসুটি হয়ে সোফায় বসে আছে। মেহের ভয় পাচ্ছে দেখে রুদ্র বড় বড় শ্বাস নিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করে। রুদ্র ধীর পায়ে মেহেরের কাছে গিয়ে বসে। মেহের গালে কারো শীতল স্পর্শ পেয়ে পিটপিট করে চোখ খোলে। সামনে রুদ্রকে দেখে আবার ভয়ে চোখ বন্ধ করে নিজেকে আরো গুটিয়ে নেয়। রুদ্র জিভ দিয়ে নিজের ঠোঁট ভিজিয়ে আরেকটু মেহেরের দিকে এগিয়ে বসে। শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে,

ভয় কেনো পাচ্ছো মেহেরজান? আমি শুধু জানতে চেয়েছি তুমি কেঁদেছো কেনো।

সবার অবাকের মাত্রা যেনো এবার আকাশ ছুঁই ছুঁই। এই ছেলে এতক্ষণ চিৎকার করে, ভাঙচুর করে এখন কেমন শান্ত কণ্ঠে কথা বলছে যেনো কিছুই হয়নি। মেহের এবার একটু সাহস সঞ্চয় করে চোখ খুলে রুদ্রর দিকে তাকায়। রুদ্র আবারও জিজ্ঞেস করে,

কেঁদেছো কেনো? বলো আমাকে। কেউ কিছু বলেছে? কোনো কারণে ব্যাথা পেয়েছো?

মেহের না বোধকে মাথা নাড়ায়।

রুদ্র এবার দুষ্টু হেসে বলে,

তবে কেঁদেছো কেনো? অন্যকারো সাথে মা বাবাকে বিয়ে দিচ্ছে ভেবে কষ্ট পাচ্ছিলে নাকি?

~আপনার জন্য কষ্ট পাবো কেনো? আপনি আমার কিছু লাগেন নাকি? আমি তো বাবাকে... বাবাকে মিস করছিলাম। (মন খারাপ করে বলে মেহের)

মেহের কথা শুনে রুদ্র মেহেরকে জড়িয়ে ধরে। অপরদিকে মেহেরের কান্নার কারণ শুনে সকলের মন খারাপ হয়ে যায়।

~হুশ!!! মন খারাপ করে না মেহেরজান। বাবাকে মিস করে কেঁদেছো এই কথাটা আমাকে আগে বললে কি হতো! তোমার জন্য সবাই ভয় পেয়ে আছে দেখ। (রুদ্র)

মেহের কপাল কুঁচকে রুদ্রর দিকে তাকায়। ভাবতে থাকে,

মানে কি? একেতো ছোট একটা বিষয়ে উনি নিজেই কেমন বিহেভ করলো। এখন আবার সবার সামনে মেহেরজান মেহেরজান বলে ডাকছে। তারওপর লজ্জা শরমের মাথা খেয়ে সবার সামনে জড়িয়ে ধরে আছে।

মেহের মিনমিন করে বলে,

~ছাড়ুন সবাই দেখছে।

~দেখুক। তাতে আমার কি?

~আপনার কি লজ্জা শরম নেই?

~আছে তো। কিন্তু তোমার ব্যাপারে আমার লজ্জা বরাবরই কম।

মেহের চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে থাকে। রুদ্র আর মেহের এর ফিসফিসিয়ে বলা কথা কেউ শুনতে না পেয়ে কপাল কুঁচকে চেয়ে আছে। রুদ্র মেহেরকে ছাড়তেই রুদ্রর বাবা রেদোয়ান আহমেদ মেহের এর কাছে যায়। মাথায় হাত রেখে বলে,

আমি থাকতে আমার মেয়ে কান্না করবে কেনো? বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত বাবাকে যখনই মনে পড়বে তখনই আমাকে কল দিবি। বিয়ের পর তো আমরা সবাই এক বাড়িতেই থাকবো। তখন আমাকে মিস করলেই দৌড়ে আমার কাছে চলে আসবি। ঠিক আছে? খবরদার আমার মেয়েকে যেনো কান্না করতে না দেখি।

রেদোয়ান আহমেদ এর আদুরে কথা শুনে এবার মেহের ফুপিয়ে কেঁদে উঠে।

~দেখো তো আমি ওকে বলছি কান্না না করতে আর এই মেয়ে উল্টো কান্না শুরু করেছে। আচ্ছা কান্না থামাতে কি নিবি? আমি বরং এক বক্স চকোলেট কিনে দেবো নে। তাও কাদিস না মা। (মেহের গালে হাত রেখে বলে রুদ্রর বাবা)

~এই সরো তো! কান্না থামাতে যেয়ে উল্টো কাদাচ্ছে উনি। সরো। (কোমরে দু হাত রেখে রেদোয়ান আহমেদকে উদ্দেশ্য করে বলেন তিথি বেগম)

~আমি কি করলাম? মেয়েকে কান্না করতে মানা করছি। ও ই তো কান্না করছে।(করুন স্বরে বলে রেদোয়ান আহমেদ)

~এই রুদ্র তুই সর তো।

বলেই এক টান দিয়ে সোফা থেকে রুদ্রকে উঠায়। রুদ্র তাল সামলাতে না পেরে আয়মান আর তীব্রর গায়ের ওপর যেয়ে পড়ে। তীব্র হেসে বিড়বিড় করে বলে,

শোধবোধ। ওরে শান্তি!!!

কাছে থাকায় রুদ্র তা শুনে ফেলে। কপাল কুঁচকে বলে,

মানে কি?

~তুই দেশে ফেরার পর বাবাও তোকে জড়িয়ে ধরার জন্য আমাকে ধাক্কা দিয়ে আয়মানের ওপর ফেলেছিল। মনে নেই? আজকে মেহেরকে পেয়ে তোকেও তেমনি সরিয়ে দিলো।

কথাটি বলেই হু হা করে হেসে উঠে তীব্র। আয়মানও হাসি দমিয়ে রাখতে না পেরে হেসে দেয়। রুদ্র ভ্রু কুচকে আয়মানের দিকে তাকাতেই আয়মান মশা তাড়ানোর মত হাত নাড়িয়ে তারপর বেক্কল মার্কা এক হাসি দিয়ে রুদ্রর দিকে চেয়ে বলে,

ভালো আছেন স্যার?

~তোকে তো পরে দেখছি মান! (বলে মুখ ফুলিয়ে মেহের এর দিকে তাকায় রুদ্র)

অন্যদিকে রুদ্রকে উঠিয়ে তিথি আহেমদ মেহের এর সাথে বসে বলে,

দেখ মা সবারই একদিন না একদিন যেতে হবেই। তুই আর কাদিস না। দেখ তোর কান্না দেখে সবাই মন খারাপ করছে। একটু হাসি দে। আমরা আমাদের মেয়েকে সবসময় হাসি খুশি দেখতে চাই। তাই না বেয়াইন?

মেহরিশ বেগমের দিকে তাকাতেই উনি জোর পূর্বক হেসে মাথা নাড়ায়। মেহের মা এর দিকে তাকাতেই মায়ের মলিন মুখ দেখে চোখের পানি মুছে একটা মুচকি হাসি উপহার দেয়। এতে সকলের মুখেই হাসি ফুটে উঠে। রুদ্রও মুগ্ধকর দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে মেহেরের দিকে। একজন সার্ভেন্টকে ডেকে ভাঙ্গা কাচ তুলে, ফ্লোর পরিষ্কার করিয়ে নেয়। মেহেরের বন্ধুবান্ধব এর দিকে চেয়ে রুদ্রর মা বলেন,

তোমরা ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেনো? এসো বসো। ভয় পেয়ো না রুদ্র তোমাদের কিছু বলবে না।

ওনার কথা শুনে সকলেই হেসে সোফায় বসে। মেহেরের নানা নানি কিছুটা দূরে বসে আছে মেহেরের মা এর সাথে। সকলকে পর্যবেক্ষণ করছে তারা। এমন এক পরিবারে মেহেরের বিয়ে হচ্ছে ভেবেই তাদের মনে প্রশান্তি ছেয়ে যায়।

মেহেরের মা এতক্ষণ টেনশনে থাকলেও এখন মনে এক প্রশান্তি অনুভব হচ্ছে এই ভেবে যে সে রুদ্রর মত ছেলেকে মেহেরের জন্য পছন্দ করে ভুল সিদ্ধান্ত নেননি। রুদ্রর মা, বাবা, ভাই, আয়মান আর স্নেহাও খুব ভালো মনের মানুষ। নিশ্চিত তার মেয়ে ভালো থাকবে এই পরিবারে। কিছুক্ষণ সবাই মিলে কথা বলার পর রুদ্র আর মেহেরকে মেহেরের রুমে পাঠানো হয় ওদের একান্ত কথা বলার জন্য। মেহের আগে রুমে প্রবেশ করে আর মেহেরের পেছন পেছন রুদ্র। রুদ্র ঘরে ঢুকেই ভেতর থেকে দরজা লক করে দেয়। দরজা বন্ধ করার শব্দে মেহের পেছনে তাকায়। রুদ্র বাকা হেসে মেহেরের কাছে এসে মেহেরের কোমড়ে হাত রেখে বলে,

~কেমন লাগলো সারপ্রাইজ মেহেরজান? কিছুদিনের মধ্যেই তোমার প্রতি শুধুমাত্র আমার অধিকার থাকবে। তুমি শুধুমাত্র #আমার_রুদ্রাণী হবে।

~কি কখন থেকে মেহেরজান ডাকা শুরু করেছেন! সবার সামনেও তখন মেহেরজান ডেকেছেন। আপনার লজ্জা বলতে কিছু নেই? ওনারা কি ভাববে!

~যা ভাবার ভাবুক। আমার হবু বউকে আমি ডেকেছি তাতে কার কি? এমনিও কিছুদিনের মধ্যেই হবু বউ থেকে হবু শব্দটা তুলে নেবো।

~আপনাকে আল্লাহ কি দিয়ে বানিয়েছে আল্লাহ জানে। কোমড় ছাড়ুন। (রুদ্রর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বলে মেহের)

~না ছাড়লে? (আরেকটু কাছে টেনে বলে রুদ্র)

~আপনি আসলেই নির্লজ্জ। (বলেই গাল ফুলায় মেহের)

~তোমার জন্য (রুদ্র)

কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ থাকে। নিরবতা কাটিয়ে রুদ্র জিজ্ঞেস করে,

বিয়েতে রাজি?

~না হয়ে উপায়? মা হুমকি দিয়েছে। বিয়ে না করলে...। আপনি খুব খারাপ আপনি জানেন! (কপাল কুঁচকে বলে মেহের)

~জানি (হালকা হেসে বলে রুদ্র)

~ভেবেছিলাম অন্যকারো সাথে মা বিয়ে ঠিক করেছে। এখন দেখি আপনার সাথে। মানা করলেও বিয়ের ভুত যখন মাথায় চেপেছে অন্য কারো সাথে হলেও বিয়ে...।

বলতে বলতেই রুদ্রর দিকে চেয়ে চুপ হয়ে যায় মেহের। রুদ্র দাতে দাত চেপে বলে,

সাহস কি করে হলো তোমার? আমার সামনে অন্য কাউকে বিয়ে করার কথা বলো! আমি ব্যতীত অন্য যে কোনো ছেলে বা ছেলের পরিবার যদি তোমার দিকে চোখ তুলে তাকায় তবে সোজা মেরে মাটিতে পুতে দিবে।

বলেই শক্ত করে মেহেরকে জড়িয়ে ধরে রুদ্র। মেহের ছাড়া পাওয়ার জন্য হাত দিয়ে ধাক্কা দিতে থাকে। কিন্তু এতে রুদ্র আরো গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে মেহেরকে। মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে,

~মেহেরজান! তুমি কেনো বার বার আমার সামনে অন্য কাউকে বিয়ের কথা বলো? তুমি জানো না! তোমার মুখে অন্য কারো নাম আমি সহ্য করতে পারি না। যাই হোক খুব শীঘ্রই তোমাকে আমার কাছে নিয়ে যাবো মেহেরজান। শীঘ্রই তোমাকে আমার করে নিবো। তুমি প্লীজ অন্য কারো চিন্তা ভুলেও মাথায় আনবে না। ওকে?

~আপনি আসলেই একটা সাইকো। (চোখ পিটপিট করে বলে মেহের)

~আর কি কি মনে হয় আপনার? (রুদ্র)

~কোনো এক গোধূলি সন্ধ্যায় আপনার পাশে বসে বলবো নে। (মাথা নিচু করে বলে মেহের)

মেহেরের কথার মানে বুঝতেই এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে রুদ্রর ঠোঁটে। মেহেরকে জিজ্ঞেস করে,

তারমানে তুমি বিয়ে তে রাজি?

মেহের হেসে অন্য দিকে তাকাতেই রুদ্র মেহেরকে পাজা কোলে তুলে "অনেক অনেক ধন্যবাদ মেহেরজান। খুব খুব খুব ভালোবাসি তোমায়" বলেই গোলগোল ঘুরতে থাকে। রুদ্রর প্রাণবন্ত হাসির শব্দ যেনো দেওয়ালে বারি খেয়ে চারিদিকে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। মেহের রুদ্রর গলা জড়িয়ে ধরে রুদ্রর দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে ভাবতে থাকে,

লোকটাকে বুঝতে আসলেই আমার বেশ হিমশিম খাওয়া লাগবে। এই ভালো তো এই খারাপ। ওনার আমাকে ঘিরে এত পাগলামি বুঝতে পেরেই কি তবে মা ওনার সাথে আমাকে বিয়ে দিতে চাইছেন? হয়তো।

~~~

চলবে~

0 Comments:

Post a Comment