গল্প suddenly_fall_in_love পর্ব ৩

 #suddenly_fall_in_love 

#লেখনীতে_সামিয়া_স্নিগ্ধা 

#পর্ব_০৩


ফুলে সাজানো খাটে বসে আছে সুমাইয়া।ওর পাশে নাবিলা, মাওয়া আর রাজুর কাজিনরা বসে আছে। নানান কথা বলে বারবার লজ্জায় ফেলছে সুমাইয়াকে।

কিছুক্ষণ বাদেই তন্ময় আর রাজু একসাথে রুমে আসলো। তন্ময় সবার উদ্দেশ্যে বলল,,,


-বের হও এবার সবাই রুম থেকে। অনেক আড্ডা দিয়েছো, অনেক রাত হয়েছে। এবার ভাইয়া আর ভাবীকে একা ছাড়ো।


মাওয়া বলল,,,,


-আর একটু থাকি না।


তন্ময় ভ্রু কুঁচকে তাকালো। এই মেয়েটাকে আজ সারাদিন প্রচুর বকবক করতে দেখেছে সে।একমূহর্ত চুপচাপ থাকতে পারে না। মাওয়ার উদ্দেশ্য বলল,,,,


-এখানে থেকে করবেটা কি?নিজের বোনের বিয়ের দিন বোন আর দুলাভাইয়ের রোমান্সে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছো কেন? কারো থেকে ছ্যাঁকা ট্যাকা খেয়েছো নাকি যে এখন অন্যর রোমান্স সহ্য হয় না?


শেষ কথা গুলো খানিকটা বাঁকা হেসে বলল তন্ময়।তন্ময় এর কথায় উপস্থিত সবাই হেসে ফেলল। মাওয়া খানিকটা রাগী গলায় বলল,,,


-কি বললেন আপনি?আমি ছ্যাঁকা খেয়ে এসেছি?


-তাইতো মনে হচ্ছে।


বলে ঠোঁট চেপে হাসলো তন্ময়। মাওয়া রাগ করে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।ওর পিছন পিছন একে একে সবাই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।রাজু দরজাটা বন্ধ করে এসে দুজনে একসাথে নামাজ পড়ে নিল।রাজু জায়নামাজ গুলো কাবার্ডে রেখে এসে সুমাইয়ার সামনাসামনি বসলো। সুমাইয়া খানিকটা ইতস্তত বোধ করলেও বাহিরে সেটা প্রকাশ করলো না। রাজু সুমাইয়ার গলায় একটা গোল্ড চেন পড়িয়ে দিয়ে বলল,,,


-এটা তোমার জন্য। পছন্দ হয়েছে তো?


সুমাইয়া উপর -নিচ হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ালো। লজ্জায় কথা বলতে পারছে না সে।সব কেমন গলায় এসে আটকে যাচ্ছে। সুমাইয়ার এমন অবস্থা দেখে রাজু হেসে ফেলল।বলল,,,


-এতো লজ্জার কি আছে?আমিই তো।আমি জানি তুমি আমাকে বিয়ের আগে থেকেই পছন্দ করো রাইট?


সুমাইয়া আরো খানিকটা মাথা নিচু করে ফেলল। রাজু ফের বলল,,,


-কি ঠিক বললাম তো?


সুমাইয়া এবারেও চুপ। রাজু বলল,,,,


-জানো যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিনই মনে হয়েছিল আমি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি।সেদিন থেকেই আমার মনের সবটুকু জুড়ে শুধু তুমি। তোমাকে খুব খুব ভালোবাসি।


সুমাইয়া ধীরকন্ঠে বলল,,,,


-আমিও আপনাকে ভালোবাসি।


-----


উদাসীন মনে বারান্দায় বসে আছে আরুশি। মাওয়া কলেজে যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে আরুশিদের বাড়িতে আসলো।আরুশিকে রুমে না পেয়ে বারান্দায় চলে এলো।ওর পাশে বসে বলল,,,


-কীরে কাল ও তুই গেলি না কেন বলতো?


আরুশি মনে মনে ভাবছে,,,,


"কিভাবে তোকে বলবো বল?আমি যে রাজুকে ভালোবাসি।ওর বিয়েতে যাবো কিভাবে বল? নিজের চোখে কি করে ওর বিয়ে দেখতাম আমি?"


আরুশি আস্তে করে জবাব দিল,,,,


-শরীর ভালো ছিল না।


এখন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। কলেজে যাবো।


-আমি যাব না।ভালোলাগছে না আমার। তুই যা।


-সামনে এক্সাম আরুশি। এখন না গেলে অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাস মিস করবি তুই।


-তোর থেকে নোটস নিয়ে নিব।


আরুশির মা রুমে ঢুকতে ঢুকতে বললেন,,,


-কোন কথা না আরু। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে মাওয়ার সাথে কলেজে যা।


আরুশি অসহায় ফেস করে বলল,,,,


-মা, শরীর ভালো লাগছে না আমার।


-আর কোনো কথা শুনতে চাই না তোর। তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে বের হো।


আরুশি কোনো উপায় না পেয়ে মন খারাপ করে রেডি হতে চলে গেল। রেডি হয়ে এসে দুজনে একসাথে বেরিয়ে পড়লো।

গ্রামের রাস্তা ধরে হেঁটে বাজারে এসে রিক্সায় করে কলেজ যেতে হয় ওদের। দুজনে বাজারে এসে দাঁড়াতেই দেখা হয় তন্ময় আর মাহমুদ এর সাথে। তন্ময়কে দেখেই ভেংচি কেটে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে দাঁড়ায় মাওয়া।মাহমুদ এগিয়ে এসে কথা বলে।


-আরে কেমন আছো?তোমরা দুজন একসাথে?


আরুশি হালকা হেসে বলল,,,,


-এইতো ভালো,আপনি?


-ভালোই। কিন্তু তুমি আর মাওয়া....


মাওয়া এবার মাহমুদকে বলল,,,


-আমি আর আরুশি বেস্টফ্রেন্ড। কলেজে যাচ্ছি।


মাহমুদ মাওয়াকে বলল,,,,


-ওহ, আচ্ছা।চল, তোদের দিয়ে আসি।


মাওয়া বলল,,,,


-লাগবে না ভাইয়া। তুমি চলে যাও। আমরা যেতে পারবো।


মাওয়া আর আরুশি চলে যায়। সেদিকেই অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে মাহমুদ। তন্ময় ওর কাছে গিয়ে বলল ,,,,


-ঐ দিকে কি দেখছিস এভাবে?


-আরুশিকে।মেয়েটা ভীষণ সুইট।


তন্ময় এবার ওর কাধে ধাক্কা দিয়ে বলে,,,


-ব্যাপার কি বলতো?


-আই থিংক, আই ফল ইন হার লাভ।


-বাব্বা....তুইও প্রেমে পড়লি ভাই। বলে দে ওকে তোর মনের কথা।


-সময় হলে বলবো। মেয়েটা এখন অনেক ডিপ্রেশনের মধ্যে আছে।


-মানে?


-সেসব তুই বুঝবি না।


বলে মাহমুদ বাইকে উঠে বসতে বসতে বলল,,,


-চল।


-কোথায়?


-ওদের কলেজে।


তন্ময় কিছু না বলে বাইকে উঠে বসল।


চলবে~~


[একটু অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলাম, ঠান্ডা লেগে গিয়েছিল।তাই একটু দেরি হয়েছে।

আজকের পর্বটা কেমন হয়েছে? সবাই রেসপন্স করবেন।]

গল্প suddenly_fall_in_love পর্ব ২

 #suddenly_fall_in_love 

#লেখনীতে_সামিয়া_স্নিগ্ধা 

#পর্ব_০২ 


আজকে সুমাইয়ার গায়ে হলুদ। বাড়ি ভর্তি মেহমান। ওর কাজিন নাবিলা আর মাওয়া আরো বেশ কয়েকদিন আগেই চলে এসেছে। নাবিলা আর সুমাইয়া সমবয়সী। নাবিলার ছোট বোন মাওয়া। তবে তিনজনেরই বন্ডিং বেশ ভালো।

সুমাইয়ার হলুদ থেকে বিয়ে সবকিছুতেই ওর বাবা বেশ ধুমধাম করে আয়োজন করেছে। একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা। গ্রামের সবাইকেই নেমন্তন্ন করা হয়েছে। 


সন্ধ্যা থেকে হলুদ এর অনুষ্ঠান শুরু। আরুশির পরিবারের সবাই এসেছে,শুধু আরুশি বাদে।আরুশিকে  না দেখে মাওয়া উঠে গিয়ে আরুশির মাকে জিজ্ঞাসা করল,,,


-কি ব্যাপার আন্টি,আরুশি আসলো না? 


-আসলে ওর নাকি শরীরটা তেমন ভালো না, তাই আসেনি। 


-ওহ।


বলে মন খারাপ করে মাওয়া চলে গেল। মাওয়া আর আরুশি বেস্টফ্রেন্ড। ওরা একই সাথে একই কলেজে পড়ে।।আরুশি আজকে এখানে না আসায় মাওয়ার মনটা খারাপ হয়ে গেল।


একে একে সবাই মিলে সুমাইয়াকে গায়ে হলুদ দিতে লাগলো।


সুমাইয়া গায়ে হলুদ এর সাজ তুলতে গিয়ে ভাবলো একেবারে শাওয়ার নিয়ে বেরোবে। শাওয়ার নিয়ে এসে ওর এখন বেশ ঠান্ডা লাগছে। তোয়ালে দিয়ে চুল মুছতে মুছতে ড্রেসিংটেবিলের সামনে বসলো।কাল বিয়ের কথা মনে হতেই খানিকটা লজ্জা আর ভালোলাগারা এসে ওকে ঘিরে ধরলো,,,


পছন্দের মানুষটার সাথে বিয়ে হচ্ছে। যাকে চেয়েছিল তাকেই পেতে চলেছে। বিয়ে করে কাল নতুন আরেকটা বাড়িতে যাবে। নতুন সব মানুষজনের সাথে থাকতে হবে এসব ভাবতেই অন্যরকম অনুভূতিরা ওকে ঘিরে ধরছে।


চুল মুছে তোয়ালেটা বারান্দায় মেলে দিয়ে লাইট অফ করে বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো সে।

________________


ভোরবেলা পুকুর পাড়ে উদাসীন হয়ে বসে আছে আরুশি। চোখের কোন থেকে অনবরত জল গড়াচ্ছে। সারারাত ঘুম হয়নি তার। ভালোবাসার মানুষটার আজকে বিয়ে এটা ভাবতেই যেন ভীতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না সে।


গ্রামের ধান ক্ষেতের আইল ধরে হাঁটছে মাহমুদ।গ্রামে আসা হয় না তেমন একটা তার। শহরেই সে আর তন্ময় পড়াশোনা করে।আসলে একসাথে দুজনেই গ্রামে আসে। ভোরে দুজনে একসাথে হাঁটতে বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তন্ময় ঘুমের কারণে উঠে আসতে পারেনি।তাই মাহমুদ একাই বের হয়।


হাঁটতে হাঁটতে পুকুর পাড়ে এসে আরুশিকে দেখে খানিকটা এগিয়ে আসে।পাশে দাঁড়িয়ে বলে,,


-গুড মর্নিং। বসতে পারি।


আরুশি চোখ মুছে মাথা তুলে তাকায়। খানিকটা হাসার চেষ্টা করে বলে,,,


-হুম।


মাহমুদ আরুশির পাশে বসে পড়ে।বলে,,,,


-আজকেও তার কথা মনে করে কাঁদছিলেন?


আরুশি চোখের পানি ভালোভাবে মুছার চেষ্টা করে কাঁপা কাঁপা গলায় বলল,,,


-ক্ কই না্ নাতো।


-আচ্ছা সে যাই হোক। সেদিন তো আপনার সঙ্গে পরিচয়ই হয় নি।নামটাও জানা হয় নি।নাম কি আপনার?


-আরুশি।


-ওহ,নাইচ নেম।


প্রত্যুত্তরে আরুশি কিছু বলল না।বেশ কিছুক্ষণ নীরবতায় কেটে যায়। নীরবতা ভেঙে আরুশিই প্রথমে বলে,


-আপনাকে তো আগে গ্রামে দেখিনি। বেড়াতে এসেছেন নাকি?


-তেমনটাই বলতে পারেন। আমার নিজ বাড়িতে এক-দুদিন এর থাকাটা বেড়ানোই বলা যায়।


-এখানে আপনার বাড়ি?


-হুম,তবে থাকা হয় না এখানে ।আমি আর আমার এক ফ্রেন্ড শহড়ে থেকেই পড়াশোনা করি।


-ওহ আচ্ছা।


বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় ওদের।উঠে আসার আগে মাহমুদ বলে,


-কাল তো আপনাকে আমার বোনের গায়ে হলুদে দেখলাম না।আজ কিন্তু বিয়েতে আসতেই হবে। অবশ্যই আসবেন কিন্তু,,,


আরুশি অবাকের চরম পর্যায়ে চলে গেল। অবাক হওয়া কন্ঠে বলল,,,


-মানে সুমাইয়া আপু আপনার বোন?


-হুম। বোনের বিয়ের জন্যই মূলত গ্রামে আসা।


আরুশি ছোট্ট করে জবাব দিল,


-ওহ।


-আচ্ছা উঠি আমি।আসবেন কিন্তু আজ।


মাহমুদ চলে গেল।আরুশির মনটা আবারো বিষাদে ভরে উঠলো।যাকে ভালোবাসে তার বিয়েতে যাবে কি করে? চোখের সামনে ভালোবাসার মানুষটার বিয়ে তো সে সহ্য করতে পারবে না।


________


তন্ময় বেশ খুশিতে আছে ভাইয়ের বিয়ে নিয়ে। আজকে ওর বড় ভাই রাজুর বিয়ে সুমাইয়ার সাথে। তন্ময় আর মাহমুদ ছোটবেলা থেকেই বেস্টফ্রেন্ড।তাই মাহমুদের বাড়িতে যাওয়া আসা প্রায়ই হতো।তাই সুমাইয়ার সাথে ও তন্ময় এর বেশ ভালো সম্পর্ক।

রাজু ও অনেক আগে থেকেই সুমাইয়াকে ভালোবাসতো।তাই সোজা বিয়ের প্রস্তাব নিয়েই সুমাইয়াদের বাড়ি গিয়েছে। সুমাইয়া নিজেও পছন্দ করতো রাজুকে।


--


রাজুরা সবাই চলে এসেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওদের বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

সুমাইয়াকে দুটো মেয়ে পার্লার থেকে এসে সাজিয়ে গেছে। নিজের রুমেই বসে ছিল সুমাইয়া আর ওর কাজিনরা। সুমাইয়ার আম্মু এসে ওদেরকে ড্রয়িংরুমে আসতে বলে।ওর কাজিনরা ওকে নিয়ে ড্রয়িং রুমে নিয়ে যায়। রাজুর পাশে নিয়ে ওকে বসায়। লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে বসে আছে সুমাইয়া। কেমন যেন লজ্জা লাগছে তার।


ইসলামিক ও আইনত নিয়ম মেনে সুমাইয়া আর রাজুর বিয়ে সম্পন্ন হলো।খাওয়া-দাওয়ার পর এখন বিদায়ের পালা।যতই পছন্দের মানুষকে বিয়ে করুক তবুও সারাজীবন এর জন্য বাবার বাড়ি ছেড়ে যেতে কষ্ট তো হবেই। সুমাইয়া ওর বাবা-মা সবাইকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। যাওয়ার আগে আশপাশে তাকিয়ে মাহমুদকে দেখতে না পেয়ে সুমাইয়া দৌড়ে যায় মাহমুদের রুমে। সেখানে গিয়েই ভাইকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।ভাই বোন দুজনেই কাঁদছে। দুজনের চোখেই জল।


অবশেষে মাহমুদ সুমাইয়াকে ছেড়ে দিয়ে চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল,,,,


-চল, এবার তো যেতে হবে।


তারপর সুমাইয়াকে নিয়ে গিয়ে রাজুর হাতে ওর হাত তুলে দেয়।রাজু আর সুমাইয়াদের গাড়ি যাওয়ার পর রুমে চলে আসে মাহমুদ।বাড়িটা যেন কেমন খালি খালি লাগছে।

-

-

-

~চলবে~


সবাই রেসপন্স করবেন প্লিজ। তাহলে লিখতে অনুপ্রেরণা পাই।

গল্প suddenly_fall_in_love পর্ব ১

 #suddenly_fall_in_love

#লেখনীতে_সামিয়া_স্নিগ্ধা 

#পর্ব_০১ 


রাত দশটা কি এগারোটা,,, নদীর উপর নির্মাণাধীন ব্রীজের কিনারে দাঁড়িয়ে আছে আরুশি। চুলগুলো এলোমেলো ভাবে উড়ছে। মুখে বিষণ্নতার ছাপ স্পষ্ট। এই মুহূর্তে তার কাছে জীবনটাকে বিষাক্তময় মনে হচ্ছে। ভালোবাসার মানুষটার অন্য কারো সাথে বিয়ের ব্যাপারটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না আরুশি। মনে হচ্ছে বুকের ভেতর কেউ তীর ছুড়ছে। চোখের কোন থেকে জল গড়াচ্ছে। এ জীবন রাখার কোন ইচ্ছে নেই আরুশির।নদীতে ঝাঁপ দেয়ার জন্য উদ্যত হতেই কেউ একজন তার কোমর শক্ত করে জড়িয়ে ধরে টেনে এনে ব্রিজের মাঝখানে দাঁড় করালো।


-আর ইউ ম্যাড? এভাবে এত রাতে সুইসাইড করছেন কেন? 


আরুশি ক্রন্দনরত কন্ঠে বলল,,,ছাড়ুন আমার হাত। 


-আগে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন,এভাবে সুইসাইড করছেন কেন?


-আপনায় বলতে আমি বাধ্য নই,ছাড়ুন।


 বলে ঝামটা মেরে ছেলেটার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিল আরুশি।


দু পা এগোতেই ছেলেটা ফের আরুশির হাত চেপে ধরে বলল,,,,


-এক্সকিউজ মি! কোথায় যাচ্ছেন? আবার নদীতে ঝাঁপ দিতে? জানে আপনার ফ্যামিলি?


একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল ছেলেটা। আরুশির হাত ধরে রেখেই বলল,,,


-চলুন, আপনার বাড়ির ঠিকানা বলুন। আপনাকে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।


আরুশি খানিকটা চেঁচিয়ে উঠলো,,,


-ছাড়ুন আমার হাত।আমি বাড়ি যাব না। চলে যান আপনি। 


ছেলেটা গম্ভীর স্বরে বলল,,,,


-এত রাতে একটা মেয়েকে সুইসাইডের দিকে ঠেলে দিয়ে বাড়ি গিয়ে আমি শান্তি পাব না। তাই কথা না বাড়িয়ে চলুন চুপচাপ।


কোন উপায়ন্ত না পেয়ে আরুশি ছেলেটার সাথে যেতে লাগল। এখনো অনবরত অশ্রু গড়াচ্ছে তার চোখ থেকে। 


ছেলেটা আরুশির হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে বলল,,,,


-এবার বলুন তো? সুইসাইড করতে চাচ্ছিলেন কেন? 


-ভালোবাসি একজনকে। কিন্তু সে আমার ভালোবাসা কোনদিন বোঝেনি।পরশুদিন তার বিয়ে।যেটা আমি কখনোই নিজের চোখে দেখতে পারবো না। সহ্য করতে পারছি না আর। পুরো পৃথিবী বিষাক্ত মনে হচ্ছে। বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাই মরে গেছে। 


-তাই বলে আপনার ফ্যামিলির কথা চিন্তা না করে এভাবে মরে যাবেন? দ্যাটস নট রাইট। একজনকে ভালবাসেন বলে তাকে পাচ্ছেন না বলে মরে যেতে চাইছেন? একটাবারও ভাবছেন না আপনার পরিবারের কথা?তারা আপনাকে ছেড়ে কি করে থাকবে? 


আরুশি চুপচাপ চোখের পানি ফেলছে।কোন কথা বলছে না। 


-আপনি যাকে ভালবেসেছেন সে হয়তো আপনার জন্য পারফেক্ট না। আপনার জন্য অবশ্যই আল্লাহ অন্য কাউকে পাঠিয়ে রেখেছে। যাকে হারিয়েছেন, সে হয়তো নিশ্চয়ই আপনার জন্য কল্যাণকর ছিল না। আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনার জন্য বেস্ট কাউকে রেখেছে।


এরমাঝেই ছেলেটার ফোনে কল এলো। ফোনের স্ক্রিনে তন্ময় নামটা ভাসছে। কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তন্ময় বলল,,,


-হ্যালো মাহমুদ, বাড়ি পৌঁছেছিস ঠিকমত? 


-হ্যাঁ বাড়িতে যাচ্ছি। বাড়িতে গিয়ে কথা হবে,বাই।


-ওকে বাই। 


মাহমুদ কল কেটে বলল,,,


-যেটা বলছিলাম, আল্লাহকে বিশ্বাস করেন তো?


আরুশি ছোট্ট করে জবাব দিল,,, হুম। 


-তাহলে এটা জানেন তো আত্মহত্যা মহাপাপ? 


আরুশি চুপ করে রইল। 


-ভুলেও কখনো কারো জন্য সুইসাইড করতে যাবেন না। বিশ্বাস রাখবেন, পৃথিবীর কোথাও না কোথাও আপনার জন্য কেউ না কেউ আছে।


হাঁটতে হাঁটতে ওরা আরুশির বাড়ির কাছাকাছি এসে পৌঁছালো। আরুশিকে বাড়ি অব্দি নিয়ে এসে মাহমুদ বলল,,,


-কখনো আর এরকম সুইসাইড করার চিন্তা করবেন না।চলি তাহলে,কেমন।


বলে সে নিজের বাড়ির গন্তব্যে হাটা দিল।


--


মাহমুদের বাড়িতে ঢুকতে ঢুকতে রাত প্রায় বারোটা। মাহমুদ আজ গ্রামে ফিরবে বলে ওর বোন সুমাইয়া দরজা খুলেই অপেক্ষা করছিল। মাহমুদ এসে বাড়িতে ঢুকতেই ড্রয়িংরুম থেকে দৌড়ে এসে সুমাইয়া বলল,,,


-কিরে তোর এতক্ষন লাগলো বাড়িতে আসতে? 


-আর বলিস না আপু, অনেক ঘটনা।


-কি হয়েছে আবার? 


-ভিতরে চল, বলছি। 


মাহমুদ নিজের রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ডাইনিং এ আসলো। সুমাইয়া ওর জন্য রাতের খাবার বেড়ে দিল। মাহমুদ চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল,,,,


-মা-বাবা কি ঘুমিয়ে গেছে? 


-হুম।


সুমাইয়া খাবার বেড়ে দিতে দিতে বলল,,,


-এবার বলতো কি হয়েছে? 


মাহমুদ আসার পর থেকে আরুশির সাথের সমস্ত ঘটনা খুলে বলল,,,


সুমাইয়া চিন্তিত হয়ে বলল,,,


-মেয়েটার নাম কি?


-সেটা জিজ্ঞাসা করা হয়নি? 


-নামটা জিজ্ঞাসা করলি না? নাম শুনলে চিনতে পারতাম। 


-আচ্ছা যাই হোক, ওই মেয়ের কথা বাদ দে। তুই খেয়েছিস? 


-না এখনো খাইনি। 


-তাহলে বসে পড়। দুজনে মিলে একসাথেই খেয়ে নেই। দুদিন পর তো শ্বশুর বাড়ি চলেই যাবি, তারপর তো আর খাওয়া হবে না। 


মাহমুদ এভাবে বলাতে সুমাইয়ার চোখের কোনে জল চলে আসে। মাহমুদ সুমাইয়ার দিকে তাকিয়ে বলল,,, 


-কাঁদছিস কেন? এখনই বিয়ের কথা মনে করে মন খারাপ করছিস?বসতো আমার সাথে।


মাহমুদ সুমাইয়ার হাত ধরে টেনে টেবিলে বসালো।দুইভাই বোন একসাথে খাওয়া-দাওয়া করে নিল।


চলবে,,,,


[অনেকদিন পর সবার রিকোয়েস্টে কিছু লিখলাম।আশা করি বরাবরের মতো সবার রেসপন্স পাবো।]

গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ২৫ সমাপ্ত

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_25_last

#collected Sk Galib 

 শুভ ,, তাবাস্সুম মেয়েটি কে ছিল 


তাবাস্সুম // কোন মেয়েটি শুভ??


শুভ///  তুমি বুঝতে পারছোনা আমি কোন মেয়েটির কথা বলছি নাকি বুঝেও না বুঝার ভান করছো 

তাবাস্সুম // আমি সত্যি বুঝতে পারছিনা 


শুভ// আমি যাকে নিজ হাতে মাটি দিয়েছি সেই মেয়েটির কথা বলছি আদিলা তুমি কি ভাবছো তুমি চেহারা পরিবর্তন করলে আমি তোমাকে চিনতে পারবো না 


তুমি যেদিন ১ম দিন অফিসে এসেছিলে সে দিনই তোমার উপর আমার সন্দেহ হয়েছিল তোমার এই চেহারা ছাড়া তোমার শরীরের সমস্ত অঙ্গ আমার আদিলার মতই ছিল তোমার কথা বলা হাটা চলা  সব কিছুই আদিলার মতই ছিল 


কিন্তু আমি সেই দিন তোমাকে নিয়ে তেমন ভাবেনি তাই পরিপূর্ন চিনতে পারিনি 


কিন্তু তুমি যখন আমার গালে কিস করে ছিলে তখন তোমার প্রতি আমার ধারনা প্রবল ছিল যে তুমি আমার আদিলা কেন যানো কোন আজনবি অপরিচিত মেয়ে কোন কাজের কারনে কাউকে চুমু দেইনা আদিলা 


তারপরে তুমি  আস্তে আস্তে আমার কাছে আসতেছিলে আদনান কে আব্বু বলে ডাকতে ছিলে তখনও সন্দেহ হয়েছিল 


পরে যেদিন তোমাকে আমি ২য় বার আবার বিয়ে করতে রাজি হলাম তখন তুমি খুশী হয়ে একটা ভুল করেছিল 


কি করে ছিলে জানো তুমি কাজির রেজিষ্টার খাতায় তোমার নাম  লিখেছিল 


আদিলা তাবাস্সুম বর্ষা 


যা তুমি ১ম বার লিখেছিলে 

পরে বিয়ের ২য় দিন সকালেও তুমি নিজেই তোমার পরিচয় টা অপেন করেছিলে আমি বুঝেও না বুঝার ভান করে ছিলাম কেন জানো আমি চাইনি তোমার আসল পরিচয় অপেন করতে 

আমি দেখতে চেয়েছিলাম যে তুমি কখনো আমাকে সত্যি টা বলো কিনা 

কিন্তু আমি পারলাম না  পরিচয় টা গুপন রাখতে তোমার সাথে মিশতে গেলেই বার বার আমার সেই মেয়েটির কথায় মনে পরে বলো আদিলা কে ছিল সেই মেয়েটি আর কেনই বা এমন একটা নাটক করলে 


আদিলা/// সাথে সাথে শুভর পা জড়িয়ে ধরে কান্না করে বলতে থাকে শুভ তুমি আমাকে মাফ করে দাও আমাকে ছেড়ে যেওনা আমি তোমাকে ছাড়া বাচতে পারবো না তুমি যদি এবার আমাকে ছেড়ে দাও তাহলে সত্যি এবার মরে যাবো কোন নাটক করবো না 


শুভ// কেন এভাবে একসিডেন্টের নাটক করে আমাকে কষ্ট দিলে কেনই বা চেহারা পরিবর্তন করলে 


আদিলা/// আমি চাইনি এভাবে তোমাকে কষ্ট দিতে তোমাকে আপন করে পেতে এছাড়া আমার কোন রাস্তা ছিলনা তোমার কাছে বার বার আমার করা অপরাধের ক্ষমা চাওয়া সত্যেও যখন তুমি আমাকে ক্ষমা করছিলেনা বরং তখন তুমি আমার সামনে অন্য মেয়েকে নিয়ে ভালোবাসার অভিনয় করতে 


আমি তখন তোমাকে এতই ভালোবেসে ফেলেছিলাম যে তোমাকে অন্য কোন মেয়ের সাথে সহ্য করতে পারতাম না তাই কয়েক বার আমি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম কিন্তু বাবা আমাকে বাধা দিত 

প্রায় সময় বাবা আমাকে বলতো কয়েক টা দিন কষ্ট সহ্য কর পরে তকে শুভ এমনিই মেনে নিবে 


তুইও তো তাকে কম কষ্ট দেস নি


 পরে যখন তুমি আমাকে মেনে নিচ্ছিলেই না   তখন বাবা আমাকে এই নাটক টা করতে বলে সেদিন কোন একসিডেন্ট হয়নি বরং তোমাকে হাসপাতাল মিথ্যা বলে আনা হয়ে ছিল কারন সেই হাসপাতালে বাবা আগেই ডাক্তার কে টাকা দিয়ে  একটা  মৃত লাস কে প্লাস্টিক সার্জারি করে আমার চেহারা করেছিল ছিল যেন তুমি তাকে দেখে আমাকে মনে করো আমি মরে গেছি ভাবো  আবার আমি যেন তোমার সাথে নতুন করে শুরু করতে পারি


সেদিন তুমি যখন অফিস থেকে বের হয়েছিলে তার কিছুখন পরেই বাবা আমাকে সিঙ্গাপুর পাঠিয়ে দিয়েছিল  আমার চেহারা পরবির্তন করার জন্য 

পরে আমি চেহারা পরিবর্তন করে বাবার বন্ধুর বাসায় চলে আসি এবং তাদের কে তোমার বিষয়ে সব কিছু বলি তোমার থেকে পরিচয় গুপন করার জন্য তাদের সন্তান হওয়ার অভিনয় করি তাদের  বাবা মা বলে ডাকি 


প্লিজ শুভ  তুমি আমাকে ছেড়ে দিওনা আমি  তোমাকে ছাড়া বাচবো না আমাকে ক্ষমা করে দাও আমাকে আর অবহেলা করোনা আমি তোমার দেওয়া অবহেলা সহ্য করতে পারিনা আদনানের দিকে তাকিয়ে হলেও আমাকে মাফ করে দাও আর জিবনেও কখনো তোমাকে কষ্ট দিবো না শুধু তোমার বুকে এই মাথা টা রাখার সুযোগ দাও সারা জিবন তোমাকে ভালোবেসে যাবো একটি বার শুধু আমাকে মাফ করে দাও 


শুভ // আচ্ছা এবার শেষ বারের মত ক্ষমা করে দিলাম আবার ভবিষ্যতে কখনো যদি উল্টা পাল্টা কোন কাজ করো তাহলে চলে যাবো আর কখনো ফিরবো না আমি এই বলে আদিলাকে বুকে জড়িয়ে নেই 


আদিলা// শক্ত করে শুভকে বুকের জড়িয়ে ধরে সত্যা বলছো তো আমাকে এখন আর কষ্ট দিবেনা আমীকে মেনে নিবে তো


শুভ// হুম আজ থেকে আমার সোনা বউ টাকে আর কষ্ট দিবো না আর  গুপন করে থাকতে হবেনা এখন থেকে অনেক আদর করবো অনেক ভালোবাসবো 

 

কিন্তু একটা প্রশ্ন আদিলা? তুমি  সত্যি যদি আমাকে ভালোবেসে থাকো তাহলে   সেদিন কেন আমার সব সম্পত্তি লিখে নিলে 


তাবাস্সুম // ওটা কোন দলিল ছিলনা ওটা ছিল একটা গল্পের কাগজ যা দলিলের কাগজের মত ছিল আর তুমি সেগুলো না পরেই সাইন করেছিলে আর আমাকে তুমি অফিসের বসের চেয়ার দিয়ে দিয়েছিল তুমি তো একটা গাধা লন্ডনে গিয়ে এত বড় লোক কি ভাবে হলে 😁

জানো শুভ আমি অফিসের দায়িত্ব নিতাম না কিন্তু তোমার দুষ্ট পাঠক গুলা তোমাকে নানা রকমের কথা শুনাতো তাই আমি চাইনাই আমার প্রান প্রিয় স্বামীটাকে কেউ কোন কথা শুনাক 


তবে সব কিছুই বুঝলাম কিন্তু কিসের গল্পের কাগজ ছিলো সেটা যা তুমি আমাকে দলিল সরুপ দেখিয়ে ছিলে 

আদিলা// বলবো সেটা কি তুমি একাই শুনবে তোমার পাঠক পাঠিকা শুনবে না 

শুভ// হুম তারাও তো শুনবে


আদিলা//  তাহলে আজ আর বলবো না কাল থেকে তোমাকে আর তোমার  পাঠক দের শুনাবো 


শুভ// এখন কি করবে 


আদিলা// এখন আমার জামাইটাকে মন ভরে আদর করবো এই বলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে শুভর দুই ঠোট তার দখলে নিয়ে নেই 


কিছুখন পর ছেড়ে দিয়ে আদিলা হাফাতে হাফাতে বলে শুভ তোমার কাছে একটা জিনিসের আবদার করবো দিবে 


শুভ// বলো 

আদিলা/// আমার আরেক টা বাচ্চা লাগবে এই বলে শুভর বুকে মাথা রাখে 


শুভ// আচ্ছা তোমার আবদার পুরন করবো বাতি অফ 


এখনো বসে আছেন হা করে লুচু কোথা কার যান যান তাদের একটু সময় দেন 🙈🙈🙈😇😇😇🙄🙄🙄 💝💝💝💝💝💝💝💝সমাপ্ত💝💝💝💝💝💝


জানি গল্পটা শেষের দিকে ভালো হয়নি তবুও আপনাদের থেকে ভালো মতামতের আশা করছি আপনাদের একটি ভালো মতামত আমার নতুন গল্প লেখার উৎসাহ জাগায়


গল্পটি কেমন হয়েছে জানাবেন 

আর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ 


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ২৪

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_24

#collected Sk Galib 

শুভ তার আগের ক্যাবিনে গিয়ে বসে তখনই  পিয়ন স্যার আপনি এখানে বসলেন যে বসের জায়গায় কে বসবে 


শুভ// আপনাদের মেডাম বসছে আজ থেকে সেই অফিস টা পরিচালনা করবে 


আমি আগেও যেমন ছিলাম এখনো তেমন আছি আর ভবিষ্যতেও এমনই থাকবো 


পিয়ন // স্যার আপনি অফিস মেডাম কে দিলেন কেন ??


শুভ// অনেক বড় কাহিনি 


পিয়ন // স্যার সংক্ষেপে একটু বলেন স্যার 


শুভ/// তাদের ঘটনা বলে এখন যান মেডাম দেখলে বকা দিবে 


পিয়ন// আচ্ছা যাচ্ছি এই বলে পিয়ন চলে যাই 


অতপর তারা কাজ শেষ করে আদনান কে নিয়ে বাসায় চলে আসে 


রাতে তাবাস্সুম শুভর বুকের উপর শুয়ে থেকে বলে শুভ যদি তুমি জানতে পারো যে আদিলা এখনো বেচে আছে তাহলে কি তুমি আদিলাকে আপন করে নিয়ে আমায় ছেড়ে দিবে 


শুভ/// না পাগলি যদি সে বেচে থাকে তাহলে আমি কখনো মেনে নিবো না কেন সে এতবড় একটা মিথ্যা নাটক করেছিল আমার জন্য আরে ধুর পাগলি এগুলো কি ভাবছো যাকে নিজ হাতে মাটি দিয়েছি সে কি করে জিবিত থাকবে 


এখন ঘুমাও এগুলো কি চিন্তা করো তুমি 


তাবাস্সুম // ধুর তুমিনা একদমই আন রোমান্টিক গত কাল আমরা বিয়ে করলাম আজ একটু আমাকে আদর করবা না তো বলছো ঘুমাও এত ঘুম তোমার কোথায় আসে হুম 


শুভ/// কি বললা আমি আন রোমান্টিক দাড়াও আজ তোমাকে দেখাবো আমি কতটা রোমান্টিক আগে বাতিটা বন্ধ করো যেন পাঠক পাঠিকারা দেখতে না পারে😁😁


পরে তাবাস্সুম বাতি বন্ধ করতেই শুভ তার দুই ঠোট নিজের দখলে নিয়ে নেই 


বাকিটুকু গল্পের ৩৫ নং পর্বে পাবেন 😁😂😁 

পরে তারা কি করে ছিলো সেটা জানতে হলে আপনারা তারাতারি বিয়ে করে ফেলুন 


সকালে ফ্রেস হয়ে অফিসে চলে যাই 


এভাবে বেশ কিছুদিন চলে যাই হঠাৎ একদিন তাবাস্সুম দেখতে পাই শুভর মন খারাপ সে কি যেন চিন্তা করছে মাথা নিচ করে 


তাই তাবাস্সুম শুভ তুমি একটু আমার ক্যাবিনে আসো 


অতপর শুভ তার ক্যাবিনে গেলে 

তাবাস্সুম দরঝা লাগিয়ে দেয় 

কি হয়ছে তোমার এভাবে  মন খারাপ করে বসে আছো কেন ??


শুভ///  তাবাস্সুম আজ আদিলা কে ভীষন মনে পরছে কেন সে আমাকে এভাবে একা করে চলে গেল আমাকে তো সে ছোট থেকেই কষ্ট দিয়ে আসতো আমি তাকে ভালোবাসতাম বলে তার সমস্ত কষ্ট সহ্য করতাম 


আর সে নাকি আমাকে ভালোবাসতো তাহলে আমার মাত্র ২ টা মাসের কষ্ট সে সহ্য করতে পারলো না বলো কেন সে আমাকে একা করে চলে গেল আমি শুধু তাকে এতটুকু বুঝাতে চেয়েছিলাম 

যে ভালোবাসার মানুষ কষ্ট দিলে সেই কষ্ট টা  বুকে কত টুকু আগাত হানে 


তাবাস্সুম /// যা হবার তো হয়ে গেছে তাকে নিয়ে  তুমি কেন চিন্তা করছো আমি তো আছি আমি তো তোমাকে তার মত কষ্ট দিবো না তোমাকে সবসময় ভালোবাসবো আমি তোমাকে সবসময় চেস্টা করি যে তুমি যেন তারাতারি আদিলাকে ভুলে যাও তাই তোমাকে এত ভালোবাসি এত আদর করি কিন্তু তোমাকে এত আদর করা সত্যেও আমার সতীন টাকে ভুলতে পারনি দাড়াও আজ তোমাকে এমন আদর করবো যাতে কখনো মনেই করতে পারবেনা যে তোমার আদিলা নামে কেউ তোমার জিবনে ছিল 

এই বলে তাবাস্সুম শুভর কুলে বসে উল্টা দিক হয়ে অতপর হাত উচু করে শুভর মাথা ধরে নিচ করে শুভর থুথনির মধ্যে চুমু খেতে থাকে 


শুভ// কি করছো এগুলো 


তাবাস্সুম // তোমার মন থেকে আমার সতিনের অস্তিত্ব বিলীন করছি তাকে যেন তুমি ভুলে যাও তার জন্য চেস্টা করছি 


শুভ// আরে পাগলি তাকে কি করে ভুলবো আমি যাকে সবসময় নিজের সামনে দেখি 


শুভর কথা শুনেই তাবস্সুম চমকে উঠে তার কোল থেকে নেমে আসে কি বলছো শুভ তাহলে কি আদিলা বেচে আছে তার জন্য কি আমাকে ছেড়ে দিবে শুভ আমি তোমাকে আমার জিবন থেকেও বেশি ভালোবাসি যদি তুমি তার জন্য আমাকে ছেড়ে দাও তাহলে আমি কিন্তু আত্মহত্যা করবো আমি তোমাকে ছাড়া বাচবো না 

এগলো বলতেই তাবাস্সুম কেদে দেয় 


শুভ// আমার পাগলি বউ আমি কি কখনো এমন বলছি যে তোমাকে আমি ছেড়ে দিবো যদি  তোমাকে ছেড়েই দিতাম  তাহলে অনেক অাগেই ছেড়ে দিতাম তুমি কান্না করোনা প্লিজ তোমার কান্না আমার ভালো লাগেনা একটু হাসো প্লিজ 


তাবাস্সুম // সাথে সাথে শুভ কে জড়িয়ে ধরে তুমিও আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরো জানো শুভ যখন আমি তোমার বুকে মাথা রাখি তোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি তখন আমার মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত সুখ যেন আমার কাছে আমি যেন সব চেয়ে বেশি সুখি তোমাকে আমি অনেক ভালোবাসি তোমাকে ছাড়া আমার ভীষন কষ্ট হয় তাই সবসময় তোমাকে নিজের চখে চখে রাখি কখনো কোন কারনে আমাকে ছেড়ে যেওনা শুভ তাহলে আমি মরে যাবো শুভ , শুভ তুমি আমাকে কথা দাও যে কখন কোন কারনে আমাকে ছেড়ে যাবেনা 


শুভ// আচ্ছা কথা দিলাম কখন আমার এই পাগলিকে ছেড়ে কোথাও যাবোনা 

এবার তো ছাড়ো 


তাবাস্সুম // না ছাড়বো না আজ সারাদিন তোমাকে এভাবে জড়িয়ে ধরে বসে থাকবো 


শুভ// ঐ যে দেখ তারা দেখতেছে 


শুভর কথা শুনে দৌড়ে তার চিয়ারে গিয়ে বসে তাবাস্সুম 


তাবাস্সুমের মনেই ছিলনা যে ক্যাবিনের দরঝা লাগানো ছিল 


তাবাস্সুম // কই শুভ, কে দেখতেছে মিথ্যা বললে কেন  ??


শুভ// আমি মিথ্যা বলিনাই পাঠক রা তো দেখতেছে 


তাবাস্সুম // রাতে বাতি বন্ধ করে এর প্রতিশোধ নিবো দেখি তখন তোমার পাঠক রা কি ভাবে দেখে


শুভ// আচ্ছা তখন তুমি প্রতিশোধ নিও এই বলে শুভ  ক্যাবিন থেকে হাসতে হাসতে  বের হয়ে যাই 

অতপর অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় চলে আসে 


রাতে ডিনার করে শুভ বিছানায় শুয়ে পরে তার কিছুখন পরেই তাবাস্সুম রুমে এসে বাতি বন্ধ করে তার কথা মত শুভর উপর ঝাপিয়ে পরে তখনই শুভ ,, তাবাস্সুম মেয়েটি কে ছিল ,,,


আগামি পর্বে শেষ করে দিব 


চলবে©©©©©©©©©©©©©©©


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼,,


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ২৩

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_23

#collected Sk Galib 

আপনার নামে যত গুলো সম্পদ যদ গুলি অফিস আদালত আছে তা আমাকে লিখে দিতে হবে পারবেন এই শর্ত মানতে 


২য় হলো আমাদের সংসার জিবনে কখনো ঝগড়া হলে আপনি কখনো আমার উপর রাগ করে থাকতে পারবেন না 

যদি সমস্ত দোষ আমারই থাকে 

উলটা আপনি আমার কাছে এসে বলবেন 

মাই সুইট হার্ট আমার ভুল হয়ে গেছে আমাকে ক্ষমা করে দাও 


শুভ/// আচ্ছা মানবো আমি তোমার দুটি শর্ত যাও তুমি দলিল নিয়ে আসো আমি সাইন করে দেয়


তাবাস্সুম // আচ্ছা দাড়ান এই বলে কোথাও যেন চলে যাই কিছুখন পর তাব্বাস্সু এসে এই নেন দলিল সাইন করে দেন


অতপর. শুভ সাইন করে দেয় 


তখনই তাবাস্সুমের মা অনেক নাটক করে ফেলেছিস মা এবার জামাই কে তর রুমে নিয়ে যা আর তর ছেলেকে কিছু খাওয়া দেখনা মুখটা একদম ছোট হয়ে গেছে


তাবাস্সুম আচ্ছা যাচ্ছি 

অতপর শুভকে তার রুমে নিয়ে যাই 

 

তাবাস্সুম // এই যে স্যার আপনি ফ্রেশ হয়ে বসে থাকেন আমি আদনান কে কিছু খাওয়ায় 


অতপর তাবাস্সুম আব্বু তুমি আমার সাথে আসো 


পরে অন্য একটা রুমে গিয়ে সত্যি কি তুমি কাল থেকে খাওনি 


আদনান// নাহ আম্মু আমি রাতেও খায়ছি সকালেও খায়ছি 😋😋 আব্বু দেখতে পারেনি তোমাকে আমার আম্মু বানাতে বলছিলাম আব্বু আমাকে বকা দিছে মাইর দিছে তাই আমি খেয়ে না খাওয়ার নাটক করছি যাতে আব্বু আমার জন্য হলেও তোমাকে ঘরে আনে 

আমি ভালো করেই জানি আব্বু আমার কষ্ট সহ্য করতে পারবেনা আব্বু আমাকে ভিষন ভালোবাসে 


তাবাস্সুম // আমার ছেলেটা দেখছি হেব্বি পাজি এখনই বাবাকে ব্লাকমেইল করা শিখে গেছে আর বড় হলে কি করবে


আদনান// আর এমন করবো না তোমার জন্যই করেছি আর কালকে আব্বুর থেকে ক্ষমা চেয়ে নিব পরে তারা আরো কিছুখন গল্প করে 


অতপর কাজি সাহেব যথা সময়ে এসে শুভ আর তাবাস্সুমের বিয়ে পড়ায় 


পরে শুভ তাবাস্সুম কে নিয়ে বাড়ি যেতে লাগে তখনই তাবাস্সুমের মা , মা তাবাস্সুম যা করবা সাবধানে করবা কেউ যেন কিছু না ,,,


আচ্ছা মা মায়ের মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে পরে তারা বাসায় যাওয়ার জন্য গাড়িতে উঠে গাড়ি তার আপন গতিতে চলতে থাকে  আদনান গাড়ির মধ্যেই ঘুমিয়ে যাই  

অতপর তারা বাসায় ফিরলে আদিলার বাবা মা তাবাস্সুম কে দেখে খুশি হয় 


অতপর তাবাস্সুম কে বাসর ঘরে পাঠানো হয় 

কিছুখন পর শুভও যাই তখনই তাবাস্সুম  এখানে আসতে এত দেরী হলো কেন কোথায় ছিলে এতক্ষন  


শুভ/ // কোথায় দেরী হলো আমিতো মাত্র ফ্রেশ হলাম আর এখানে চলে আসলাম 


অতপর শুভ তাবাস্সুমের পাশে বসতেই তাবাস্সুম শুভকে ধাক্কা মেরে খাটে ফেলে দিয়ে তার বুকের উপর শুয়ে পরে জানো শুভ আমি আজ অনেক হ্যাপি কারন আমি আমার ভালোবাসার মানুষ টাকে আপন করে পেয়েছি 


তুমি কি সত্যি আমাকে ভালোবাসোনা 

শুভ// এখন আর না ভালোবেসে উপায় আছে 

তাবাস্সুম/// সত্যি তাহলে আমাকে ভালোবাসবে 

শুভ// হুম তিন সত্যি তোমাকে এখন অনেক ভালোবাসবো 

তাহলে এখন একটা পাপ্পি দাও 

পরে কি জানি হয়ছে আমি আর বলতে পারিনা তাদের থেকে শুনে নিয়েন 


সকালে তাবাস্সুম এই শুভ উঠ অফিসে যেতে হবে দেরী হয়ে যাচ্ছে 


শুভ// কিহ্ আজো অফিসে যেতে হবে 

তাবাস্সুম /// হুম আজও যেতে হবে


শুভ// নাহ সোনা বউ আজ অফিসে যাবো না আজ সারাদিন তোমার সাথে রোমান্স করবো এই বলে তাবাস্সুমের কোমর ধরে বুকের সাথে জড়িয়ে নেই শুভ


তাবাস্সুম // আবার দুস্টামি শুরু করেদিলে এমনিতেই রাতে ঘুমাতে দাওনি এখন রোমান্স উতলে উঠছে এতদিন তো কষ্ট দিয়ে আসলে কই কোনদিন তো আমাকে একটুও ঝড়িয়ে ধরোনি এই রে কি বলে ফেললাম 


শুভ// এতদিন তোমারে কষ্ট দিয়েছি  মানে ??


তাবাস্সুম /// আরে বুদ্ধু যখন অফিসে থাকতাম তখন তো আমাকে চখ তুলে ভালো করে দেখতেই না এটা কি আমার কষ্ট হতো না বলো আমি যে তোমাকে অনেক ভালো বাসি তুমি আমাকে এড়িয়ে চলতা এটা আমার একদমই ভালো লাগতো না 


শুভ/// তাই বলো আমি তো অন্য কিছু ভাবছিলাম , আর তোমাকে কখনো কষ্ট দিবোনা প্রমিজ 


তাবাস্সুম /// আচ্ছা এখন আমাকে ছাড়ো যাও ফ্রেস হয়ে আসো অফিসে যেতে হবে 


শুভ// ও সোনা বউ আজ অফিসে না গেলে হয় না 

তাবাস্সুম // না হয়না তারাতারি উঠ বলছি যদি আজ অফিসে না আসো তাহলে কিন্তু তোমাকে চাকরি থেকে বের করে দিবো মনে রেখ এখন কিন্তু আমি তোমার বস আর যদি তুমি অফিসে না যাও তাহলে তোমার সোনা বউ হিসেবে বাড়ি থেকে তেমার খাওয়া বন্ধ 


শুভ// ধুর আর ভাল্লাগে না কেন যে বিয়ে করলাম 


তাবাস্সুম  /// কি বললি কুত্তা আমাকে ভাল্লাগে না আরেক বার বললে তরে খুন করে ফেলবো আমি এই বলে গলা টিপে ধরে 


শুভ/// ছাড়ো আর বলবো না অতপর 

তাবাস্সুম ছেড়ে দেয় যাও ফ্রেশ হয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে আসবে আমি নিচে তোমার জন্য অপেক্ষা করছি এই বলে তাবাস্সুম রুম থেকে বের হয়ে যাই 


এদিকে শুভ ফ্রেশ হয়ে নিচে যাই 

অতপর সকলে একসাথে নাস্তা করে 

অফিসের দিকে রওনা হয় 


কিছুখন পর অফিসে আসলে 


তাবাস্সুম এই যে স্যার এখন থেকে যদি কোন মেয়ের দিকে চখ তুলে তাকাও তাহলে কিন্তু তোমার খবর আছে

শুভ// আচ্ছা তাকাবো না কিন্ত মেডাম আমি বসবো কোথায়


তাবাস্সুম ///কেন আগে যে ভাবে বসতা আদিলা থাকতে 

শুভ // আচ্ছা তাহলে তুমি কাজ করো 

অতপর শুভ তার আগের ক্যাবিনে গিয়ে বসে তখনই ,,   


সম্ভবত আগামি পর্বে গল্পটি শেষ হতে পারে 


চলবে©©©©©©©©©©©©©©©


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼,,


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ২২

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_22

#collected Sk Galib 

আরো কিছু খন ঘোরাফেরা করে তারা বাসায় চলে আসে 


রাতে শুভ ডিনার করে যখন ঘুমাতে যাই তখন আদনান তোমাকে একটা আমার জন্য জিনিস আনতে বলবো বলো বাবা তুমি আনবে কি আমার জন্য সেই জিনিস টা 


শুভ// বলো দেখি আমার এক মাত্র বাবার জন্য সবকিছুই আনতে পারবো 


আদনান/// তুমি আন্টি কে আমার মা বানিয়ে ঘরে আনবে 

শুভ// কিহ বলছো তুমি এগুলা তোমাকে আদর করে মাথায় তুলে ফেলছি কি সব অদ্ভুদ জিনিসের আবদার করো আরেক বার এগুলা বললে তোমার সাথে আমি কথায় বলবোনা(( ধমক দিয়ে ))) যাও এখান থেকে 


আদনান শুভর দেওয়া ধমকে কান্না করতে থাকে 😭😭


শুভ// এই চুপ করো বলছি , তোমাকে এগুলো বলতে কে শিখিয়ে দিয়েছে বলো 

আদনান// কেউ বলেনি আমি মায়ের আদর পাইনা আন্টি আমাকে আম্মুর মত করে আদর করে তাই বলছি আন্টি কে আম্মু বানাতে 


শুভ/// তুমি এখন মিথ্যা বলতেও শিখে গেছো দেখছি তোমাকে তোমার আন্টি এই কথা আমাকে বলার জন্য বলছে না 

আদনান// নাহ বাবা আন্টি বলেনাই 

শুভ// চুপচাপ শুয়ে পরো আর কোন কথা বলবে না


অতপর আদনান শুভর পাশে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পরে ঘুমিয়ে যাই 

কিছুখন পর শুভও ঘুমিয়ে যাই 


হঠাৎ মাঝরাতে শুভর ঘুম ভেঙ্গে যাই তখনই দেখতে পাই তার পাশে আদনান নেই 


শুভ ভয় পেয়ে যাই এত রাতে কোথায় গেল অতপর শুভ লাইট জ্বালায়া খুজার জন্য বের হতেই দেখতে পাই আদনান ঘরের এক কোনে গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে 


অতপর শুভ আদনান কে নিয়ে আসার জন্য গেলে আদনান জাগ্রত হয়ে যাই 


শুভ// তুমি এখানে কেন শুয়েছো? 

কথা বলো 

আদনান/// 😷😷😷😷


শুভ যাও খাটে শুয়ে পড়ো

কিন্তু আদনান তার কথার উপরই অটল 

সে তার জায়গা থেকে একটুও লড়ে না 

শুভ/// কোন উপায় না পেয়ে আদনানের গালে একটা থাপ্পর দিয়ে টানতে টানতে বিছানায় নিয়ে যাই 


অতপর আদনান কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে যাই 


পরের দিন শুভ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে অফিসে যায় 


অতপর তাবাস্সুম কে তার ক্যাবিনে ডাক দেয় 


তাবাস্সুম // বলেন স্যার 


শুভ// তুমি আদনান রে কি বলেছো 

শুনে রাখ আমি তোমাকে আমার ব্রেস্টফ্রেন্ড ভাবি অন্য কিছু না

তাবাস্সুম /// এখন থেকে অন্য কিছু  ভাববেন 

শুভ// দেখ তাবাস্সুম তোমাকে আমি বিয়ে করতে পারবো না কেন পারবো না তা তুমি জিজ্ঞেস করো না 


তাবাস্সুম /// আচ্ছা স্যার আমি আপনাকে জুর করবো না জুর করে কোন কিছু হয়না আমি আপনাকে ভালোবাসতাম দেখে আপনার চাকরি করেছি এখন যখন আপনি আমাকে বিয়ে করবেন না তাহলে তো আর এখানে থেকে লাভ নেই এই বলে তাবাস্সুম সেখান থেকে উঠে আসে তার ক্যাবিনে বসে রিজাইন লেটার লিখে  শুভর কাছে  দিয়ে চলে যেতে লাগে তখন স্যার যাওয়ার আগে একটা কথা বলে যাই যদি আমাকে আপনি ভালোবাসেন বা বিয়ে করতে চান তাহলে আগামি কাল দুপুর ১২ টার মধ্যে এই ঠিকানাই চলে আসবেন বাই ভালো থাকবেন এই বলে তাবাস্সুম চলে যায়


অতপর শুভ কাজে মন দেওয়ার চেস্টা করে  কিন্তু কিছুতেই শুভ তার কাজে মন দিতে পারেনা 

 বার বার তাবাস্সুমের চিন্তা তার মাথায়

ঘুরপাক খায় আমি কিছু ভুল করে ফেললাম না তো 

ধুর এসব কি চিন্তা করছি যা হওয়ার তা হবেই এই বলে কাজে মন দেয় 


কিছুখন পর পিয়ন কে শুভ ডাক দেয় 

পিয়ন /// বলেন স্যার 

শুভ// আদনান কে স্কুল থেকে নিয়ে আসেন 

অতপর পিয়ন  স্কুলে যায় আদনান কে নিয়ে আসার জন্য


আদনান/// আংকেল আপনি কেন আসছেন আমার আন্টি কোথায় 


পিয়ন /// তোমার আন্টি আর কখনো তোমারে নিতে আসবেনা তোমার আব্বু তোমার আন্টিকে বকা দিছে তাই সে কান্না করে  চলে গেছে 


আদনান // তাহলে চলেন 

অতপর পিয়ন আদনান কে নিয়ে অফিসে চলে আসে 


শুভ অফিসে কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে 

রাতে ডিনার করতে গেলে আদনান কে ডাক দেয় 


আদনান// আমি খাবোনা যতক্ষন না আমাকে আন্টি খাওয়ায় দিবে 

শুভ// জিৎ করো না 

আদনান কোন কথা না বলে বিছানায় শুয়ে পরে শুভ হাজার চেস্টা করেও আদনান কে খাওয়াতে পারেনি 

না খেয়ে আদনান ঘুমিয়ে যাই 


পরের দিন সকালে ঘুম থেকে উঠতে শুভর দেরী হয়ে যাই 

তাই তারাতারি উঠে সকালের নাস্তা করে চলে যেতে লাগে তখনই আদিলার মা দেখ বাবা এখনো আদনান না খেয়ে স্কুলে চলে গেছে আমরা চেস্টা করেও তাকে খাওয়াতে পারিনা 


দেখ বাবা তুমি আদনানের কথা মানো তোমার জন্য না হলেও আদনানের জন্য তুমি তাবাস্সুম কে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসো 


আদনান ছোট মানুষ কাল রাত থেকে এখন পর্যন্ত কিছু খায়নি এতে আদনানের কোন ক্ষতি হয়ে যেতে পারে 


আদিলার মায়ের কথা শুনে শুভ চিন্তায় পরে যাই কি করবে সে ভাবতে পারছেনা 

অতপর সে অফিসে এসে ভাবতে থাকে কি করবে সে তাবাস্সুম কে বিয়ে করবে 

না করবে না 


কিছুখন পর শুভ আদনানের স্কুলে চলে যাই 

আদনান কে খাওয়ানোর চেস্টা করে কিন্তু কোন ভাবেই সে খাওয়াতে পারছেনা 


তাই তার সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ফায়ছালা করে সে তাবাস্সুম কে বিয়ে করবে 

বাবা তুমি আগে খাও আমি তোমার আন্টি কে মা বানিয়ে ঘরে আনবো 


আদনান /// না বাবা আমি খাবো না আমি আন্টির হাতেই খাবো 


শুভ আচ্ছা আমি তোমার আন্টির কাছেই নিয়ে যাচ্ছি এই বলে তাবাস্সুমের বাসার 

দিকে পা বাড়াতেই তখনই গড়ি টুট করে বেজে উঠে 


শুভ ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখতে পাই ১টা বেজে গেছে এখন কি করবে সে তাবাস্সুম বলে গেছে ১২ টার মধ্যে তার বাড়িতে যেতে 


তবুও শুভ তাবাস্সুমের বাড়ির দিকে রওনা হয় 


বিপদ যখন আসে সব দিক থেকেই আসে 


শুভ তার গাড়ি নিয়ে যেতে জ্যামে আটকা পরে এতে তার  ৩ ঘন্টা লেট হয়ে যাই 


বিকাল চারটাই শুভ গিয়ে কলিং বেল বাজায় 


কিছুখন পর তাবাস্সুম এসে দরজা খুলে দেয় 


তাবাস্সুম /// স্যার আপনি এখানে ! আমার বিয়ের দাওয়াত খেতে আসছেন 

স্যার আজ আমার বিয়ে নই কাল কে আমার বিয়ে 


শুভ/// কি বলছো এসব তোমার বিয়ে মানে ??


তাবাস্সুম /// হুম স্যার বাবা আমার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছে 


শুভ/// তুমি রাজি আছো 


তাবাস্সুম /// হুম একজনের জন্য আর কত অপেক্ষা করবো 


শুভ// প্লিজ তাবাস্সুম তুমি এমন করোনা তোমার জন্য আমার ছেলেটা কাল থেকে না খেয়ে আছে তুমি এ বিয়ে ভেঙ্গে দাও তুমি আমার ঘরে চলো 


তাবাস্সুম /// সরি স্যার আমি এই বিয়ে ভাঙ্গতে পারবো না আপনি আসতে দেরী করে ফেলেছেন 


শুভ/// আমি তোমার কাছে হাত জুর করে বলছি আমার ছেলেটার জিবন তুমি ভিক্ষা দাও সে তোমাকে ছাড়া কিছুই খাচ্ছে না কাল রাত থেকে সে না খেয়ে আছে প্লিজ তাবাস্সুম তুমি আমার ঘরে চলো প্লিজ

বলতেই কেদে দেয় শুভ


তাবাস্সুম /// তার মানে আপনি আমাকে ভালোবেসে বিয়ে করতে আসেন নি আপনি আপনার ছেলেকে খাওয়ানোর জন্য আমাকে নিয়ে যেতে চাচ্ছেন বাহ ভালো স্যার ভালো , 


তবে স্যার  আমি এই বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে আপনার ঘরে যাবো তার আগে আমার দুই টা শর্ত আছে যদি মানতে পারেন তাহলে বিয়ে ভাঙ্গতে পারি 


শুভ// আমি তোমার দূইটা না হাজার শর্ত মানতে রাজি আছি বলো তোমার শর্ত কি 


তাবাস্সুম //(( ১ ))  আপনার নামে যত গুলো সম্পদ যদ গুলি অফিস আদালত আছে তা আমাকে লিখে দিতে হবে পারবেন এই শর্ত মানতে 


২ হলো ,,,,,, 


চলবে©©©©©©©©©©©©©©©


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼,,