গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ১৪

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_14

#collected Sk Galib 

এই গল্পটি কপিবাজ দের খপ্পরে পরেছে 


তাই মাঝে মাজে আমার নাম লিখে দিবে 


তার জন্য ক্ষমা করবেন 👏👏👏


                    ((( আ))))


শুভ বিমান থেকে নেমে একটা মেসে উঠে আর তখনই  আদনান বলে উঠে 


আব্বু আমি এই ভাঙ্গা বাড়িতে থাকবো না 

আমার এখানে ঘুম আসবেনা 


শুভ// আব্বু তুমি এখানে দুইটা দিন কষ্ট করো তারপর তোমার জন্য একটা পাচতলা বাড়ি কিনবো পরে সেখানে আমরা থাকবো 


আদনান/// আচ্ছা বাবা 


অতপর তারা ক্লান্ত শরীরে ঘুমিয়ে যায় 


পরের দিন শুভ বাড়ি খুজার উদ্দেশ্যে বের হয় আর তখনই পিছন থেকে কে যেন শুভকে ডাক দেয় 


শুভ পিছন দিক তাকিয়ে দেখতে পাই এক লোক তার দিকেই আসছে 


                        (((((রি)))))


লোকটি শুভর কাছে আসতেই শুভ তাকে চিনে ফেলে 


লোকটি // আপনাকে আমার চিনা চিনা লাগছে কোথায় জেন দেখছি আপনাকে 


শুভ/// আরমান ভাই মনে করেন কোথাই দেখছেন আমাকে 


আরমান🤔🤔🤔🤔🤔কিছুখন চিন্তা করার পর ওহ শুভ ভাইয়া মনে পরছে আপনাকে লন্ডনে দেখেছি আমি যে কম্পানিতে চাকরি করতাম তার  ম্যানেজার ছিলেন অনেক আগে এসে পরেছি তাই চিন্তে একটু কষ্ট হচ্ছে 

         

              ((((য়া))))


তো দেশে কোন দিন আসলেন 


শুভ// গতকাল আসছি আর এখন এখানেই থাকবো ভাবছি 


ছোট খাটো একটা বাড়ি কিনবো আর কোন একটা কম্পানিতে চাকরি করবো 


আরমান/// কিহহহ্ এই ঢাকা শহরে এমন কোন কোন কম্পানি আছে যেখানে আপনি চাকরি করবেন 

আপনি চাইলে তো বড় বড় চার পাচ টা কম্পানি  একাই কিনে নিতে পারবেন 

আপনি করবেন আবার অন্যের আন্ডারে চাকরি! ভাই আপনার কথা শুনে খুব হাসি পাচ্ছে একটু হেসে নেই 

                   

                    (((ন)))


শুভ// আরে ধুর এত ভেজাল আমার ভালো লাগেনা ওখানে কষ্ট করে টাকা কামাইছি আপনি আশার একবছর পরে 

একজনের সাথে শিয়ার করে একটা কম্পানি দিয়েছিলাম সেটাতে অনেক ভেজাল ছিল এই করো সেই করো আমার এগুলো ভালো লাগেনা সেখান থেকে টাকা আসতো অনেক কিন্তু অনেক কষ্ট করতে হতো 


                ((( আ)))


এখন আর কষ্ট করতে মন চাইনা তাই রাকিব ভাই কে বুঝিয়ে দিয়ে চলে এসেছি 


এখন সেখান কার ব্যবসায় যা লাভ হবে তা তিন ভাগের একভাগ আমাকে দিবে আর দূইভাগ রাকিব নিবে 


আরমান// ওহহহ ভালো করছেন 

তো ভাই এখন কই যাচ্ছেন ??


শুভ// বাড়ি খুজতে বের হয়ছিলাম 

একটা বাড়ি কিনবো 


             ((((( হ ))))


আরমান// এদিকে তো কোন ভালো বাড়ি বিক্রি করবে এমন নেই 

তো আপনি এখন থাকছেন কই 


শুভ/// গতকাল মেসে উঠেছিলাম আদনান সেখানে থাকতে চাচ্ছেনা 

তাই বাড়ি খুজার সন্ধানে বের হয়ছিলাম 


আরমান// যদি কিছু মনে না করেন বাড়ি না পাওয়া পর্যন্ত যদি আপনি আমার বাসায় থাকতেন তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম 


               (((( মে )))


শুভ/// আরে আমার জন্য আপনি কেন কষ্ট করবেন 


আরমান// শুভ এটা কষ্ট হবেনা এটা আমার সু ভাগ্য যে আপনার মত একজন লোক আমার বাড়িতে কদম রাখবে

 প্লিজ ভাই না করবেন না 


শুভ/// কিছুক্ষন পর আচ্ছা থাকবো 


আরমান // ভাই তাহলে চলেন আমার বাসায় 


অতপর শুভ আরমানের বাসায় 


যা আদিলাদের বাসা থেকে ৫ ,৬কি,মি দুরে 

   

             (((( দ )))


অতপর বাসায় আসার পর নানা রকমের বিষয় নিয়ে গল্প করতে থাকে 


একসময় আরমান বলল ভাই আপনি যে বললেন চাকরি করবেন আপনি তো বসে বসেই সারাজিবন খেতে পারবেন চাকরি করার প্রয়োজন কি 


শুভ/// বসে বসে খেলে বুর হয়ে যাবো তাই একটা চাকরি করতে চাচ্ছি 

আছে কি কোন ভালো অফিস 


              ((( শু)))


   আরমান/// একটা ভালো কম্পানি আছে যেখানে গত  কাল লোক নিবে আপনি চাইলে ট্রাই করতে পারেন কিন্ত একটা সমস্যা ভাই


শুভ// কি সমস্যা 


আরমান/// সেখানকার বস মেয়ে তবে ব্যবহার একদম নরম তার ব্যবহারে সকল কর্মচারিরা খুশি থাকে ভালো ভাবে কাজ করে 


শুভ// এটা কোন সমস্যা না মেয়ে বস হতেই পারে আচ্ছা ঠিকানাটা দেন 


পরে আরমান ঠিকানা দেয় 


পরে আরো কিছুখন গল্প করে আরমান চলে যায়


রাতে শুভ আব্বু সকালে আমাকে জাগিয়ে দিও এক জায়গায় যেতে হবে


আদনান// আচ্ছা বাবা 


অতপর তারা বাবা ছেলে ঘুমিয়ে যাই 


              (((ভ)))


সকালে আদনান আব্বু উঠ কোথায় না  যাওয়ার কথা 


শুভ// হুম বাবা দাড়াও আমি আসছি এই বলে ফ্রেস হতে চলে যাই 


কিছুখন পর ফ্রেস হয়ে আসে 

অতপর বাবা ছেলে দুইজনই রেডি হয়ে 

সকালের নাস্তা করে অফিসের উদ্দেশ্যে রউনা হয় 


কিছুখনের মধ্যে অফিসে এসে পরে 

সেখানে এসে তারা দেখতে পাই 

অনের মানুষের ভীড় পরেছে মনে হচ্ছে তারা সকলে ইন্টারভিউ দিতে এসেছে 

একে একে অনেকেই যাচ্ছে কেউ হাসি মুখে বের হচ্ছে আবার কেও মন খারাপ করে 


//////আরিয়ান আহমেদ শুভ//////


সর্বশেষে শুভর ডাক পরে 


অতপর শুভ ভিতরে গিয়ে দেখতে পাই বস মাথা নিচ দিক দিয়ে কি যেন লিখতেছে শুভ চেহারা দেখতে পারেনা 


বস// চিয়ার টেনে বসেন আর আপনার ফাইল দেন মাথা নিচ করেই বলল


শুভ// তার ফাইল এগিয়ে দিয়ে মাথা নিচ করে ভাবতে লাগলো চাকরি কি দিবে নাকি দিবে না 


আর তখনই বস বলে উঠে শুভ তু,,,,,,,,,,,,


চলবে,,,,,,©©©© abdul motin©©©©©©©©


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ১৩

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_13

#collected Sk Galib 

শুভ তার ছেলেকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতেছে আর বলতেছে তর জন্য আজ এই দুধের শিশু কষ্ট করতেছে তকে কখনো ক্ষমা করবো না এসব ভাবতে ভাবতে শুভ কখন জানি মাঝ রাস্তায় চলে যাই আর তখনই একটা গাড়ি এসে তাদের বাবা ছেলে দুইজন কে উড়িয়ে নিয়ে যায় 


তা দেখে আদিলা চিৎকার করে উঠে না আমার শুভর কিছু হতে পারে না আমি তাকে কিছু হতে দিবো না 


আদিলার চিৎকার শুনে তার মা দৌড়ে আসে কি হয়ছে মা এভাবে চিৎকার করলি যে 


আদিলা//  মা মা শুভ একসিডেন্ট করেছে মা আমি শুভর কাছে যাবো মা 


আদিলার মা// মা তুই খারাপ শপ্ন দেখছিস তাকে নিয়ে ভাবতেছিলি তাই হয়তো খারাপ সপ্ন দেখছিস 


যা এখন ফ্রেস হয়ে কিছু খেয়ে নে না হলে শরীর খারাপ করবে 


আদিলা তার মায়ের কথা না শুনে ওখানেই মন খারাপ করে বসে থাকে 


এভাবেই আদিলার বন্দি ঘরেই খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়ে শুভর জন্য কান্না করতে করতে তার দিন কাটতে লাগলো 


এতে আদিলার অবস্থা দিন দিন খারাপ হতে থাকে শারীরিক আর মানুষিক উভয়ভাবে সে দুর্বল হতে থাকে


তা দেখে আদিলার বাবা মা চিন্তা করতে লাগলো যদি তার মেয়ে এভাবে রুমে বন্দি থাকে তাহলে হয়তো বেশ বড় কোন বিপদের সম্মুক্ষিন হতে হবে 


আদিলার  মা বাবা পরমর্শ করলো যে এই অবস্থা থেকে তাকে বের করতে হবে 

আর তার দুটি রাস্তায় রয়েছে


১/ শুভকে তার কাছে এনে দেওয়া 

কিন্তু এটা তো সম্ভম নই সে কোথায় আছে কোথায় খুজবো তাকে 


২/ তাকে কোন কাজের মধ্যে রাখা যাতে সে সবসময় কাজের মধ্যেই নিয়োজিত থাকে তাহলে হয়তো শুভর চিন্তা কিছুটা তার মাথা থেকে দুর হবে 


আদিলার মা/// তাহলে তাকে তোমার নতুন কম্পানিতে এমডি হিসেবে আদিলাকে বসিয়ে দাও যা তুমি শুভর জন্য কিনেছিলে 


যেই ভাবা সেই কাজ পরের দিনই তাকে  নতুন  কম্পানির এমডি বানিয়ে দেয় তার বাবা 


কিন্তু আদিলা কোন মতে রাজি হচ্ছিলো না দেখে আদিলার বাবা মা তাকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করাই 


অতপর সে রাজি হয়ে অফিসে যাওয়া আশা শুরু করে শুভকে ভুলার চেস্টা করলেও রাতের একাকিত্ত তাকে বার বার তার কথা স্বরন করে দেয় স্বরন করে দেই তার সব পুরনো সৃতি 


দেখতে দেখতে অতিবাহিত হয়ে যায় তার জিবন থেকে সাতটি বছর তবুও শুভর কোন সন্ধান পাইনা সে 


প্রত্যেক দিন রাতে শুভ ছবি বুকে নিয়ে  কান্না করতে করতে যেন আদিলার চখের পানি ও শুকিয়ে য়ায় আর বের হতে চাইনা তার চোখ থেকে 


শুধু একটা আশায় সে বেচে আছে তার ভালোবাসা একদিন তার জিবনে ফিরে আসবে তার জন্যই সে অপেক্ষার পহর গুনছে 


এদিকে শুভ আব্বু আগামিকাল আমরা দেশে ফিরবো তোমার যা যা দরকার তুমি এখান থেকে নিয়ে নাও 


আদনান// আব্বু তাহলে চলনা আজ শেষ বারের মত এই লন্ডন শহর টা ঘুরে আসি 


শুভ/// আচ্ছা চলো তাহলে 


পরে তারা বাবা ছেলে সেখানে সারাদিন ঘুরে বেড়াই 


👉👉👉এই পর্বে গল্পের কাহিনি অনেক সংক্ষিপ্ত করলাম না হলে গল্পের কাহিনিটা অনেক বড় হয়ে যেত বাস্তব জিবনে তারাতারি ফিরতে চাই 👈👈👈


পরের দিন দেশে ফিরার উদ্দেশ্যে বিমানে উঠে বাবা ছেলে  আনন্দ করছে


পাশেই থাকা একটি সুন্দরী মেয়ে তাদের বাবা ছেলের অবস্থা দেখে মিটি মিটি হাসতে থাকে 


কারন শুভ একবার একটা চিপস তার মুখে দিয়ে একটু খানি বের করে রাখে 

আর সেই বের হওয়া টুকু আদনান তার বাবার মুখ থেকে খায়


এরকম ভাবে একবার আদনান করে আরেক বার শুভ করে 


এভাবে তারা বাবা ছেলে ইনজয় করছে 

হঠাৎ একবার পিচ্ছি আদনান তার বাবার ঠোটে কামুড় দেয় 


এতে মেয়েটি জুরে হেসে উঠে 


মেয়েটির হাসার শব্দ শুনে শুভ মেয়েটির দিকে তাকিয়ে এভাবে হাসছেন কেন আমরা বরাবরি বাবা ছেলে এরকম করে খায় 


মেয়েটি // আপনাদের অবস্থা দেখে হাসিনাই কিন্তু আপনার এই পিচ্চি দুষ্ট ছেলের অবস্থা দেখেই হাসি পাচ্ছে 


আচ্ছা একটি কথা বলবেন 


শুভ// কি বলেন 


মেয়েটি/// যদি ভাই হন তো বলতে পারি 

শুভ// আচ্ছা 

মেয়েটি// আমার নাম তানযিলা 

আপনার নাম কি


আরিয়ান আহমেদ শুভ 


শুভ// কি যানি বলতে চাইলে


তানযিলা//আপনাদের দুইজন কে বিমানে উঠার আগে থেকেই ফ্লো করছি 

শুধু আপনাদের দুইজন কে দেখছি ভাবি কে তো দেখছি না  ভাবি কোথায় াপনি তো বাঙালি তো লন্ডনে কি জন্য আসছিলেন 


শুভ// সে অনেক বড কাহিনি 


তানযিলা// কাহিনির কথা শুনে তানযিলার মনে শুভর কাহিনি শুনার ইচ্ছা জাগে বলোনা ভাইয়া প্লিজ 


শুভ/// আচ্ছা শুনো তাহলে _*****


এরপর শুভ তার আদিলার ঘটে যাওয়া সমস্ত ঘটনা শুনাই


তানযিলা// ঘটনা শুনার পর একটা মেয়ে এতটা খারাপ কি ভাবে হতে পারে ??


বডলোক বলেই কি এত অহংকার করতে হবে 


এখন কি করছে সে তার কি কোন খবর জানো ভাইয়া 


শুভ// নাহ হয়তো কোন বডলোক ছেলেকে বিয়ে করে সুখে সংসার করছে 


তানযিলা/// তুমি বিয়ে করবে না 


শুভ// বিয়ে ,যাকে ভালোবাসলাম সুখে সংসার করতে চাইলাম তাকেই পেলাম না এখন আর বিয়ে করে কি করবো আমার বেচে থাকার সম্ভল তো একটা আছেই তাকে নিয়েই বাকি জিবন টা পার করে দেব


আচ্ছা কখন থেকে শুধু আমি একাই বক বক করছি তুমি তো তোমার ব্যপারে কিছুই বললেনা 


তুমি কি জন্য লন্ডনে আসছিলা ??


তানযিলা// লেখাপড়া করতে আসছিলাম 

লেখাপড়া শেষ তাই চলে আসলাম 


পরে আরো কিছুখন গল্প করে ভাই বোনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে যাই 


অতপর শুভ বিমান থেকে নেমে একটা মেসে উঠে আর তখনই ,,,,,,


চলবে ,,,,


পর্ব টি হয়তো ভালো হয়নি 

তাই সবাই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 

আগামি পর্বে ইনশাআল্লাহ ধামাকা হবে


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ১২

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_12

#collected Sk Galib 

অতপর তাকে যখন ডাক্তার রিলিজ দেয় তখন তাকে নিয়ে আসতে যাবে তখনই হাসপাতাল থেকে আসতেই দেখতে পাই সেই ডাক্তার কে যাকে আদিলা একবার শুভর চিকিৎসা করার জন্য তার বাসায় নিয়ে গিয়েছিল  


ডাক্তার /// আদিলা মনে আছে আমার কথা 

কি বলে ছিলাম তোমাকে 

একদিন সময় আসবে যেদিন তোমার কাছে কান্না করা ছাড়া কোন রাস্তা থাকবেনা 

আজ সময় টা ঠিকই এসেছে 


সেদিন তুমি আমার কথা হেসে উড়িয়ে দিয়েছিলে আমার কথা বিশ্বাস করোনাই 


সেদিন আমিও বলেছিলাম তোমার অবস্থা দেখে আমিও হাসবো একদিন মন খুলে হাসবো দেখ সেই সময় টা ঠিকই এসেছে 

কিন্তু আমি হাসবো না 

আমি যদি আজ তোমার অবস্থা দেখে হাসি তাহলে তোমার আর আমার মাঝে পার্থক্য কি হলো 


একটা কথা কি জানো আদিলা মেয়েরা যত অহংকারি বা দেমাগ দেখায় না কেন 

যদি কোন ছেলে তার পিছনে লেগে থাকে চাই সেই ছেলে গরিব হক বা বড়লোক 


মেয়েটি একদিন না একদিন তার প্রেমে পড়বেই 


আর শুভ তো তোমার স্বামী ছিল , আমি আগেই জানতাম  তুমি একদিন না একদিন তার প্রেমে পরতেই তাই তোমাকে আগেই সাবধান করেছি কিন্তু তুমি আমার কথা উপহাস করেছিলে 

টাকার গরম দেখিয়ে বলে ছিলে টাকাই সব সুখ দিতে তার মত ছোট লোক ছেলেকে দরকার নেই


আজ শুধু তোমার কাছে একটাই প্রশ্ন টাকা তোমাকে কতটা সুখ দিতে পেরেছে ??

এত টাকার অহংকার দেখিয়ে কি লাভ আজ যার জন্য মরতে বসেছো তাকে তোমার টাকা তোমার কাছে নিয়ে আসতে পারছেনা কি লাভ বল এত অহংকার করে


আদিলা/// আংকেল আমাকে মাফ করে দেন আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি প্লিজ আংকেল আমায় ক্ষমা করে দেন


ডাক্তার// আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কি আছে আমি সেদিন তোমার কথায় কিছু মনে করিনাই 

কিন্তু তুমি যে তোমার ভুলটা বুঝতে অনেক দেরী করে ফেলেছো না জানি শুভ এখন কোথায় 


আদিলা/// যদি তাকে কোথাও দেখতে পান তাহলে আমাদের একটু জানাবেন প্লিজ 


ডাক্তার/// আচ্ছা মা জানাবো নি


অতপর আদিলার বাবা মা তাকে নিয়ে বাড়িতে চলে আসে 


আদিলাকে তার রুমে দিয়ে আসে দেখ মা আমার কোন উল্টা পাল্টা কাজ করবি না যদি তর ভালোবাসা সত্যি হয়ে থাকে তাহলে তুই একদিন না একদিন  শুভ কে পাবি


 শুভর ভালোবাসা পাওয়ার জন্য হলেও তকে বেচে থাকতে হবে 


কথা দে আমায় যে তুই কোন উল্টা পাল্টা কাজ করবি না 


আদিলা/// আচ্ছা , কিন্তু  মা তাকে ছাড়া যে আমার ভালো লাগেনা 

একদমই বেচে থাকতে ইচ্ছা করতেছেনা আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে মা 

আমি কি করবো যদি তাকে না পাই তাহলে আমি মরে যাবো 


 ভালোবাসা এত পাষান কেন মা 

এত কেন এত কষ্ট দেয় 

আমি নিতে পারছিনা 

মা আমার বেচে থাকতে ইচ্ছা করছে না তোমরা আমার শুভকে এনে দাও মা 


আদিলার মা// জানি না মা ভালোবাসা বড্ড পাষান মানুষকে শুধু কষ্ট দিতে জানে যদি তারা তার মর্যাদা না দেয় 


আমি ও এই রকম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলাম 


যখন আমি কলেজে পরি তখন হঠাৎ একদিন তর বাবার সাথে আমার দেখা হয় 

আর সেদিনি তর বাবা আমাকে প্রথম দেখায় ভালোবেসে ফেলে আমাকে প্রপোজ ও করেছিলো সেদিন


কিন্তু আমি তার প্রোপজ একসেপ্ট করিনি কারন সে গরিব ছিল তা পোশাক দেখে বুঝে গিয়ে ছিলাম 


কিন্তু এর পর থেকে তর বাবা আমার পিছনে লেগেই থাকতো প্রত্যেক দিন তার ভালোবাসার কথা আমাকে বলতো 


আমি তাকে নানা রকম ভাবে অপমান করতাম তবুও সে আমার পিছন ছাড়তো না 


দেখতে দেখতে আমাদের কলেজ লাইফ প্রায় শেষ পর্যায় হয়ে আসে 


সবাই সবার মত কলেজ ছেড়ে চলে যাবে 


শেষ পরিক্ষার দিন তর বাবা আমার সামনে আসে 


আমি// এই তর লজ্যা সরম বলতে কিছু নেই তুই দুইটা বছর ধরে আমার পিছনে লেগে আছিস 


তর বাবা // যদি তোমার কাছে আমার কোন লজ্যা থাকতো তাহলে ১ম দিন যেদিন তুমি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলে সেদিনই চলে যেতাম তোমার পিছন পিছন ঘুরে বেড়াতাম না 


আজ শুধু তোমাকে একটা কথা বলবো তার পর থেকে আর কখনো তোমাকে জালাবো না তোমাকে ডিস্টাব করবো না 


আমি// আচ্ছা তারাতারি বলে এখান থেকে দুর হহহ


তর বাবা// আমি তোমার পিছনে এতদিন ধরে ঘুরছি আমার প্রতি তোমার একটুও ভালোবাসা হয়নি বা আমাকে কখনো তুমি ভালোবাসবেনা??


আমি// তুই হাসালি আমাকে তুই দুই বছর কেন আরো দুই হাজার বছর ও যদি আমার পিছনে ঘুর ঘুর করিস তবুও তকে আমি ভালোবাসবোনা 


তর বাবা//  আচ্ছা ভালো থেকো আর কখনো তোমাকে ডিস্টাব করবো না আর এতদিন তোমাকে বিরক্ত করার জন্য সরি 

আমাকে ক্ষমা করে দিও এই বলে সে চলে যাই 


কিছুদিন যাওয়ার পর থেকে আমি তাকে মিস করতে থাকি আমি কখনো বুজতেই পারিনি তাকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম 


১মাস কোন রকম তাকে না দেখে থাকতে পারছিলাম তারপর আর পারিনি তাকে পাগলের মত খুজে বেড়াতাম 


অনেক খুজাখুজির পর তর বাবার ঠিকানা পায় 


তারপর তর বাবার কাছে মাপ চেয়ে তাকে আমার মায়া চির জিবনের জন্য বেধে নেই 


সেই দিন গুলোতে আমি বুঝে গিয়েছিলাম 

যে ভালোবাসা বড্ড পাষান মর্যাদা না দিলে অনেক কষ্ট দেই তাই তকেও না করে ছিলাম তুই শুনিস নাই 


আদিলা/// মা তুমি তো তবুও কষ্ট করে হলেও বাবাকে পেয়েছিলে 


কিন্তু আমি কি পাবো আমার শুভ কে হারিয়ে ফেলবো নাতো আবার 


আদিলার মা // নিরাশ হবি না আল্লাহর কাছে তর করা পাপের ক্ষমা চেয়ে তার জন্য দোয়া কর সে যেন আবার তর জিবনে ফিরে আসে 


এখন একটু আরাম কর 


আমি গেলাম এই বলে আদিলার মা চলে আসে 


অতপর আদিলা শুভর কথা চিন্তা করে বালিশে মুখ গুজে দিয়ে কান্না করতে থাকে 


শুভ তার ছেলেকে নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাটতেছে আর বলতেছে তর জন্য আজ এই দুধের শিশু কষ্ট করতেছে তকে কখনো ক্ষমা করবো না এসব ভাবতে ভাবতে শুভ কখন জানি মাঝ রাস্তায় চলে যাই আর তখনই একঠা গাড়ি এসে তাদের বাবা ছেলে দুইজন কে উড়িয়ে নিয়ে যায় 


চলবে____""""""'©© ab, motin©©©©


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ১১

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_11

#collected Sk Galib 

আদিলা চিঠি খুলে পরতে থাকে 


আগেই আপনার কাছে ক্ষমা চাই এতদিন আপনাকে অনেক কষ্ট দিছি আপনার এই চাকর টা কে অন্তর থেকে ক্ষমা করে দিবেন 


আমি আপনার মনে আমার জন্য একটু ভালাবাসা তৈরি করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি বিনিময়ে শুধু আপনার থেকে মাইর ,গালি আর অবহেলাই পেয়েছি তা ছাড়া অন্য কিছু পাইনি 


আমি কি আপনার কাছে বেশি কিছু চেয়ে ছিলাম 

চাইছিলাম শুধু একটু ভালোবাসা ভাবছিলাম আমাদের ভালোবাসার ছোট্ট একটা ফসল হবে তাকে নিয়েই আমরা সারাদিন খুন শুটিময় ঝগড়া করবো 


তাতে রাগ অভিমান হলে রাতে দুইজন দুইজনের দোষ গুন বলে রাগ ভেঙ্গে আবার বুকে টেনে নিবো কিন্তু আমার আশা গুলি আশায় রয়ে গেল 


 বিনিময়ে পেলাম শুধু অবহেলা আর অবহেলা 


সেদিন যখন ডাক্তার বলল আপনি মা হতে চলছেন 

সেদিন আমি কতটা খুশী হয়ে ছিলাম তা আপনাকে বলে বুঝাতে পারবোনা 

ভেবেছিলাম আপনি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে মেনে নিবেন কিন্তু আমার ধারনা ভুল প্রমানিত করে সন্তান নস্ট করার হুমকি দিলেন 


পরে যখন আপনি  চাকর আর চলে যাওয়ার শর্ত দিয়ে ছিলেন  


সেটিও আমি মেনে নিয়ে ছিলাম কারন ভেবেছিলাম  চাকর হলে আমি সবসময় আপনার কাছেই থাকতে পারবো আপনার মনে আমার জন্য ভালোবাসা সৃষ্টি করতে পারবো 


কিন্তু আমি হাজার চেস্টা করেও ব্যর্থ হয়তো আমার ভালেবাসায় কমতি ছিল 

আমি পারলাম না আপনার মনে আমার জন্য বিন্দু পরিমান জায়গা করে নিতে তাই

আমি আপনার শর্ত অনুযায়ী আমার ছেলেকে নিয়ে চলে গেলাম আপনার জিবন থেকে 


আর হে শর্তের মধ্যে ডিভসের কথাও ছিল 

তা নিয়েও চিন্তা করতে হবেনা আপনার ডাইরির নিচে ডিভস পেপার রাখা আছে আমি সাইন করে দিছি আপনিও সাইন করে নিয়েন 


পরিশেষে শুধু একটি কথা বলতে চাই মেডাম 

আমার মত অন্য কাউকে এত কস্ট দিয়েন না ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে কষ্ট টা বড্ড যন্ত্রনা দায়ক হয় সহ্য করা যাইনা আমি কষ্ট করে সহ্য করেছি শুধু এই আশায় যে একদিন হয়তো সব কিছু ভুলে গিয়ে আমাকে আপন করে নিবেন বলবেন 

শুভ তোমাকে বড্ড বেশী ভালোবেসে ফেলেছি 

তোমাকে ছাড়া বাচবো না 

আমার এই আশা টাও পুরন হয়নি তার বিনিময়ে পেলাম শুধু আপনার অবহেলা যা দিন দিন আমাকে কুড়ে কুড়ে খেত


 আমার জিবন টা   তিলে তিলে শেষ করে দিত


আপনি  তা হয়তো বুঝবেন না কারন আপনি কখনো কাউকে ভালোবাসেন নাই

কারো থেকে অবহেলাও পান নাই

 শুধু মনে অহংকার টাই নিয়ে চলছেন মনে কারো জন্য ভালোবাসাও রাখেন নাই


আজ থেকে এই ছোট লোক টা আর আপনার রাগের কারন হবেনা আর কখনো তাকে দেখতে হবেনা চলে গেলাম অনেক দুরে ভেবেছিলাম ছেলেকে রেখে আসবো কিন্তু পারলাম না যেখানে বাবার প্রতি এত অবহেলা না জানি ছেলের প্রতি কেমন হবে তাই সন্তানের সুখের দিকে তাকিয়ে আমি তাকে নিয়ে আসলাম আমার বেচে থাকার উপায় হিসেবে 


আপনার কাছে একটাই আশা

আপনি বড়লোক কোন ছেলে দেখে বিয়ে করে সুখে সংসার করবেন আমার মত ছোট লোক যেন না হয় তাকে যেন আপনার হিংসার আগুনে জ্বলতে না হয় 


আমার কথার দ্বারা যদি মনে কোন কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে এই ছোটলোক টাকে ক্ষমা করে দিয়েন 👏👏👏


                       ইতি

                 ছোট লোক 


আদিলা চিঠি পড়ে চিৎকার করে কান্না করতে থাকে 


শুভ তুমি  কোথায় চলে গেলে ফিরে আসো তুমি ,তোমাকে আর কখনো কষ্ট দিবো না আমি 


আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি আমি যে তোমাকে বড্ড বেশি ভালোবেসে ফেলেছি 

তোমাকে ছাড়া আমি বেচে থাকতে পারবো না শুভ তোমাকে না পেলে মরে যাবো আমি 


তোমাকে না দেখলে আমার একেক টা মিনিট এক দিনের মত মনে হয় 

প্লিজ শুভ তুমি ফিরে এসো আমাকে একটা সুযোগ দাও 


এতক্ষনে আদিলার থেকে চিঠিটা তার মা নিয়েও পড়ে ফেলেছে


আদিলার মা // ছিহ্ আদিলা ছিহ্ তুই শেষ পর্যন্ত নিজের স্বামীকে চাকর বানাইছিস আল্লাহ ও তকে কখনো ক্ষমা করবে না কি অপরাধ করেছিল সে তকে তার জিবন থেকে বেশী ভালোবাসা টা নাকি  তার সন্তান তর গর্ভ আসা যখন এতটাই অপরাধ করেছে সে


 তাহলে আজ তুই কেন কান্না করছিস তর তো আজ খুশী থাকার কথা যে চাকর টা তর চখের কাটা হয়ে ছিল যাকে দেখতেই পারতি না সেই আপদ টা চলে গেছে এখন ঘরে বসে আনন্দের পার্টি কর কান্না করিস কেন??


তকে অনেক বুঝিয়ে ছিলাম তুই যা করছিস ভুল করছিস  ভালো হয়ে যেতে বলছিলাম যে সময় একদিন আসবে তর কান্না করা ছাড়া কোন রাস্তা থাকবেনা

সেদিন আমার কথা মানিস না আর আজ দেখ সেই সময় টা এসে গেছে 


 এখন বসে বসে কান্না কর 


আমি চললাম আর শোন শুভর ব্যপারে আমাদের কাছে আর কিছুই বলতে আসবি না এই বলে আদিলার মা বাবা চলে যাই 


অতপর আদিলা চিৎকার করে কিছুক্ষন কান্না করার পর তার মায়ের রুমে যাই 


মাগো আমি যে ভুল করেছি তা হয়তো তোমরা আমাকে ক্ষমা করতে পারবে না তাইতো আমাকে ঐ কথা গুলো বললে 

ভুল তো মানুষই করে তাইনা মা আর আমিও মানুষ আমারো তো ভুল হতেই পারে

 তুমি আমার মা হয়ে যখন আমাকে একটা সুযোগ দিলে না আমাকে ক্ষমা করলেনা তাহলে  এতদিন যাকে কষ্ট দিছি সে কি ভাবে আমাকে সুযোগ দিবে ??


আমি অনেক খারাপ মা অনেক বড় অন্যায় করে ফেলছি তোমাদের এই পাপি মেয়েটার মুখ দেখতে হবে না পারলে তোমার এই খারাপ মেয়েটাকে মাফ করে দিও


মাগো আজ আমার খুব ঘুম পাচ্ছে শেষ বারের মত তোমার কুলে একটু মাথা রেখে ঘুমাতে দিবে মা বল মা দিবে এই পাপি মেয়েটাকে আর কখনো এমন আবদার করবো না দিবে মা তোমার খারাপ মেয়েটার শেষ ইচ্ছাটা পুরন করবে বল মা বলো


আদিলার কথা গুলো তার মায়ের কাছে ভালো লাগছে না 


আদিলার মা//  তুই কি করছিস কেন এমন কথা বলছিস বল কোথায় যাবি তুই 


ততখনে আদিলা ঠাস করে মাটিতে পরে যাই অতপর তার মুখ দিযে ফেনা বের হতে থাকে 


তা দেখে আদিলাম মা চিৎকার দিয়ে উঠে 


অতপর তাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে যাই 


ডাক্তার রা তাকে ইমার্জিন্সতে নিয়ে চিকিৎসা করতে থাকে 


বেশ কিছু সময় পরে ডাক্তার বের হয়ে আসলে 


আদিলার বাবা // ডাক্তার আমার মেয়েটার কেমন অবস্থা 


ডাক্তার // এখন সম্পুর্ন বিপদ মুক্ত আপনারা ঠিক সময়ে নিয়ে আসছিলেন দেখে রুগীকে বাচানো সম্ভব হয়ছে আরেক টু দেরী করলে কি যে হতো বলা যেতনা 


আদিলার বাবা // ডাক্তার আমরা কি এখন দেখা করতে পারবো 


ডাক্তার // রুগীর জ্ঞান ফিরলে দেখা করতে পারবেন আর হ্যা অল্প সময়ের মধ্যেই জ্ঞান ফিরে আসবে 


আদিলার জ্ঞান ফিরে আসলেই সে শুভ বলে চিৎকার করতে থাকে আমার কাছে শুভকে এনে দাও তাকে ছাড়া আমি বাচবো না কেন তোমরা আমাকে বাচালে 

আদিলার চিৎকার  নার্সেরা থামাতে পারছেনা 


তখন একটি নার্স আদিলার বাবার কাছে খবর দেই 

আদিলার অবস্থার কথা জানায় 


অতপর আদিলার বাবা সেখানে যেতেই 

আদিলা// বাবা তোমরা আমার শুভকে পাইছো

 কোথায় ও এখানে আসতে বলো 

আমার ছেলেটাকে আমার কুলে দাও বড্ড দেখতে ইচ্ছা করতেছে 


আদিলার  বাবা /// কেন এমন পাগলামি করছে বুঝমান মেয়ে হয়ে 


মারে একটা কথা মনে রাখ যে হারিয়ে যাই তাকে হয়তো খুজে পাওয়া যাই 

কিন্তু যে চলে যাই তাকে খুজে পাওয়া টা এতটা সহজ নই প্রায় অসম্ভব 


এমন পাগলামি আর  করোনা আমরা দেশের আনাচে কানাচে লোক লাগিয়ে দিয়েছি যেখানেই শুভকে দেখতে পারবে সে খান থেকেই তাকে নিয়ে আসা হবে 


তুই আর কখনো এমন পাগলামি করবিনা 

তুই ছাড়া আমাদের আরে কে আছে বল

তর সুখের দিকে তাকিয়ে আমরা আর কোন সন্তান নেই নি আজ তুই যদি আমাদের ছেড়ে চলে যাস তো আমরা কাকে নিয়ে বাচবো 

 এসব বলে আদিলার মা ও কেদে দেয় 


অতপর তাকে যখন ডাক্তার রিলিজ দেয় তখন তাকে নিয়ে আসতে যাবে তখনই হাসপাতালে দেখতে পাই ,,,,,


আপনারা অনেকেই আমার গল্প পড়েন 

কিন্তু লাইক কমেন্ট কিছু করেন না এতে খুব খারাপ লাগে 

আমি শত ব্যস্ততার মধ্যে সময় নষ্ট করে আপনাদের আনন্দ দেওয়ার জন্য গল্প লিখি আর আপনারা তা পড়ে সুন্দর করে পালিয়ে যান 

পারলে একটা মিনিট সময় করে এক কমেন্ট করে যাবেন 


চলবে_________???????


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ১০

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_10

#collected Sk Galib 

আমি কি তাহলে শুভকে ভালোবেসে ফেলেছি তাকেই কি আমি খুজতেছি তার শুন্যতাই কি আমাকে চিন্তায় ফেলছে কেন 

এমন মনে হচ্ছে আমার আমি কি তাকে হারিয়ে ফেলবো 


না না আমি পাগল টাকে হারাতে পারবো না 


এসব চিন্তা করতে করতে আদিলা ঘুমিয়ে যাই 


যখন আদিলার ঘুম ভাঙ্গে তখন জানালা দিয়েশুভকে নিচে  দেখতে পাই আদিলা 


তা দেখে রাজ্য জয় করার মত মুখে হাসি ফোটে উঠে তার 


আদিলা আগ বাড়িয়ে শুভর সাথে কথা বলতে যেতে লাগে কিন্তু কিছু পথ যাওয়ার পর সে আবার ফিরে আসে 


সে এভাবে তার ভালোবাসা প্রকাশ করতে চাইনা সে তার ভালোবাসা টা শুভ কে সারপ্রাইজ হিসেবে দিতে চাই 


শুভ আর কিছুদিন তুমি আমার কষ্ট সহ্য করো 


তারপর আর কখনো তোমাকে কস্ট দিবোনা সারা জিবন তোমাকে ভালোবেসে যাবো সবসময় তোমার সাথে ভালোবাসার 

খুনশুটি ময় দুস্টামি করবো(( মনে মনে))


এভাবে দেখতে দেখতে হঠাৎ একদিন আদিলার প্রসব ব্যথা শুরু হয় 


আদিলার মা /// শুভ তারাতারি এ্যাম্বুলেস ডাকো আদিলাকে হসপিটালে নিতে হবে 


শুভ বার বার ফোন দেয় কিন্তু বার বারই বি জি বলে কি করবে ভেবে পাচ্ছে না 


কারন বিপদের সময় কারো মাথায় কাজ করেনা তেমনি শুভর ক্ষেত্রেও তাই 


হঠাৎ মনে হয় তাদের নিজেরই তো গাড়ি আছে 


শুভ দৌড়ে গিয়ে গাড়ি বের করে আদিলাকে নিতে আসে তখনই তার কানে 


বাচ্চার কান্নার আওয়াজ আসে 


শুভ সাথে সাথে ওজু করে দুই রাকাত নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে 


অতপর শুভ আদিলার রুমে যাই তার সন্তান কে দেখতে 


আদিলা মা// বাবা শুভ এই যে নাও তোমার ছেলে 


শুভ,, তার ছেলে কে দেখা মাত্রই অনেক খুশি হয় কারন ছেলেটি হুবহু তার মতই হয়ছে 


অতপর শুভ কিছুক্ষন কুলে নিয়ে থাকার পর শেষ বারের মত আদিলার কাছে দেয় 


রাতে আদিলা তার ছেলেকে বুকে নিয়ে  মনে মনে বলতেছে শুভ তেমাকে আর কষ্ট দিবোনা আমি আগামি কাল বড় একটা অনুষ্ঠান করে আমার ভালোবাসা প্রকাশ করবো তোমার কাছে ক্ষমা চেয়ে তোমাকে সারাজিবনের জন্য আপন করে নিবো আমার মায়ায় তোমাকে সারা জিবনের জন্য বেধে রাখবো 


এসব ভাবতে ভাবতে আদিলা ঘুমিয়ে যাই 


সকালে আদিলার ঘুম ভাংলে পাশে তার ছেলে কে না দেখতে পেয়ে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দেয় 


আদিলার চিৎকারের কারনে তার বাবা মা তার রুমে যাই 


আদিলার মা /// কি হয়ছে মা এভাবে চিৎকার করছিস কেন 


আদিলা/// আমার ছেলে কোথায় তাকে দেখতে পারছিনা কেন 


আদিলার মা// দেখ হয়তো শুভর কাছে তুই থাক আমরা দেখছি বাড়ি খুজে শুভ কোথায় আছে 


এদিকে শুভ তাদের বাড়ি থেকে বের হয়ে তার গন্তব্যের দিকে চলতে থাকে যেখানে যাওয়ার জন্য সে সেদিনই করেছিল 

যেদিন আদিলার বাবা আদিলাকে নিয়ে তাদের বাড়িতে আসে


কিছুখন  পর তারা নিরাশ হয়ে ফিরে আসে 


পাইনি তো তাকে 

কোথাও হয়তো গেছে ফোন দিয়ে দেখ দেখি


আদিলা// মা শুভর নাম্বার তো আমার কাছে নেই 


আদিলার মা // কিহহহ্ তার নাম্বার তর কাছে নেই মানে এতদিন তাহলে তুই তাকে মেনে নিস নাই আমাদের দেখানোর জন্য মেনে নেওয়ার অভিনয় করতি বাহ আদিলা তর অভিনয়ের প্রশংসা করতে হয় 

তকে আমার মেয়ে ভাবতেও ঘৃন্যা হচ্ছে আজ তুই এতটা খারাপ হয়েগেছিস ভাবছিলাম শুভর মায়ায় পড়ে তুই তার মতই সাধারন একটা মেয়ে হয়ে গেছিস 

কিন্তু আমার ধারনা ভুল এখন তুই খুজে দেখ সে কই গেছে আমাদের আর বলবি না শুভর কথা এই বলে আদিলার মা বাবা চলে যেতে লাগে তখন


আদিলা গিয়ে দৌড়ে তার মায়ের পা ধরে মা আমি ভুল করেছি আমাকে মাফ করে দাও তাকে আমি আগে দেখতে পেতাম না কিন্তু এখন না দেখে থাকতে পারিনা আমি সত্যি শুভকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি তাকে ছাড়া আমি বাচবো না তোমরা তাকে আমার কাছে এনে দাও তাকে একটা ফোন দাও সে কই আছে দাও মা দাও 


আদিলার মা // আদিলার কাকুতিমিনতি দেখে ফোন দেয় শুভর নাম্বারে 


তখন ফোনটা আদিলার টেবিলের উপরেই  বেজে উঠে 


আদিলা সেখানে গিয়ে ফোনটা হাতে নিতেই নিচে দেখতে পাই একটা চিঠি পরে আছে 


আদিলা সেটি খুলে পরতে থাকে 


রাতে আরেক পর্ব দিব তাই ছোট হয়ছে কেউ বলবেন না 


চলবে______???????


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৯

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_9

#collected Sk Galib 

শুভ আদিলার মাথায় জল পট্টি দিতে যাই 

তখনই আদিলা তুই আমাকে স্পর্শ করবি না আমি জ্বরের কারনে মরবো না 


শুভ// প্লিজ আদিলা তুমি এখন অসুস্থ 

আজকের দিনের জন্য আমার উপরে সমস্ত রাগ অভিমান ভুলে যাও তুমি সুস্থ হও আগে তারপর যা কিছু করতো পারো আমি মাথা পেতে নিবো 


এখন একটু তোমার সেবা করতে দাও 

আর তুমি কথা দিয়েছিলে তুমি এমন কোন কাজ করবে না যাতে তোমার পেটে আমার সন্তানের ক্ষতি হয় এখন যদি তুমি এভাবে থাকো তাহলে আমার সন্তানের ক্ষতি হবে এটা কিন্তু কথা ছিলনা 


আদিলা,,,,,,,,,,,, চুপ করে থাকে 


তখন শুভ আদিলার মাথায় জল পট্টি দিতে থাকে 


এভাবে দুইদিন কেটে যাই


এক দিন রাতে জ্বর টা একটু হালকা হলে শুভ তুমি এভাবেই শুয়ে থাকো আমি তোমার জন্য কিছু নরম খাবার রান্না করে আনছি 


একটা কথা বলতে ভুলে গেছি এতদিনে শুভ অনেক খাবার রান্না করা শিখেগেছে 


কিছুখন পর শুভ আদিলার জন্য খাবার নিয়ে এসে আদিলাকে নিজ হাতে খাওয়ায় দিতে থাকে কিন্তু শুভ তাকে এক সাইড থেকে দেওয়ার কারনে আদিলা ভালো করে খেতেও পারেনা তাই শুভ আদিলার মাথা নিজ রানের উপর নিয়ে তাকে খাওয়ায় দিতে থাকে 


খাওয়া শেষ হলে শুভ তাকে জ্বরের ঔষধ খাওয়ায় দেই 


আদিলা ঔষধ খেয়ে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে যাই 


এদিকে শুভ আদিলার মুখের দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকে কি সুন্দর এই মায়াবি  চেহারা দেখতে একদম নিষ্পাপ মনে হচ্ছে কেন যে সে এমন করে আমাকে একটু ভালবাসলে কি এমন ক্ষতি হতো শুধু মনের ভিতরে অহংকার নিয়েই বড় হয়ছে


এসব ভাবতে ভাবতে শুভ ও ঘুমিয়ে যাই


পরের দিন শুভ ঘুম থেকে উঠে আদিলাকে কুলে নিয়ে ওয়াশরুমে যেতে লাগে তখন


 আদিলা/// আমাকে কুলে নিতে হবেনা আমি একাই যেতে পারবো এখন আমার জ্বর নেই শুধু একটু মাথা ব্যাথা করছে 

তাও হয়তো ঠিক হয়ে যাবে 


শুভ// আপনি কি ভাবছেন আমি এগুলো করছি আপনাকে ইমপ্রেস করার জন্য তাহলে হয়তো ভুল ভাবছেন আমি এগুলো করছি যাতে আপনার পেটে আমার সন্তানের কোন কষ্ট না হয় 


শুভর এই কথাটা কেন যানি আদিলার একটু খারাপ লাগে তার খেদমত করছে তাকে ভালোবেসে না তার সন্তান কে ভালোবেসে 


অতপর আদিলা কুল থেকে নেমে নিজেই আস্তে আস্তে ওয়াশ রুমে চলে যাই 


কিছুখন পর বের হয়ে আসলে 


শুভ//  এদিকে আসেন আপনার মাথা একটু মাসাজ করে দেয় এতে কিছুটা আরাম অনুভব করবেন


আদিলা// লাগবেনা তর মাসাজ যাহ তুই এখান থেকে আমার সেবা করতে হবেনা 


শুভ// রাগ করলেন আমার উপর 


আদিলা// তর উপর রাগ করবো কোন দুঃখে তুই আমার কে ???


শুভ// ও তাও ঠিক মন খারাপ করে আচ্ছা আপনি শুয়ে থাকেন আমি খাবার নিয়ে আসছি 


কিছুখন পর শুভ খাবার নিয়ে এসে আদিলাকে দেয় 


আদিলা হালকা কিছু খেয়ে ঔষধ খেয়ে ঘুমানোর চেষ্টা করে কিন্তু মাথা ব্যথার কারনে ঘুমাতে পারতেছেনা শুধু এপাশ ওপাশ করছে তা দেখে শুভ বিছানাই উঠে আদিলার মাথা নিজের রানের উপর রাখে মাথায় হাত বুলাতে থাকে 


এতে আদিলা কিছুই বলে না সে হয়তো এমনই চাচ্ছিলো যেন কেউ তার মাথা টা একটু টিপে দেয় অতপর আদিলা কিছুখন   শুভর দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ বন্ধ করে নেই 


তখন হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠে 


শুভ/// কে দরঝা খুলা আছে ভিতরে আসেন 


লোকটি ভিতরে আসলে 

শুভ চমকে উঠে আংকেল আপনারা এত সকাল সকাল 


আদিলার বাবা// তোমরা তো আমাদের কথা ভুলেই গেছ তাই আমরা তোমাদের দেখতে এবং নিতে আসলাম 


জানো তোমাদের এমন অবস্থা দেখে আমার অনেক আনন্দ হচ্ছে যে আমার মেয়েটা তোমাকে মেনে নিয়েছে আমি চাই তোমরা সারা জিবন এভাবে থাকো 


তাদের কথার কারনে আদিলা জেগে যাই 


অতপর সে শুভর কুল থেকে উঠার চেষ্টা করে তখন শুভ তার মাথা ধরে তুলে দেয় 


আদিলার বাবা // মা কেমন আছিস তুই শুভকে পেয়ে আমাদের তো ভুলেই গেছিস 


আদিলা,,,,,     ,,,,,, চুপ 


আদিলার বাবা/// কি হলো মা কথা বলবি না রাগ করছিস আমাদের উপর 


শুভ// না মানে আংকেল আদিলা অসুস্থ জ্বর  মাথা ব্যথা তাই  হয়তো কথা বলতেছে না 


আদিলার মা // কত দিন ধরে 

শুভ// এই তো তিন দিন 


আদিলার বাবা// সে অসুস্থ আমাদের একটুও জানানোর প্রয়োজন মনে করোনি 


শুভ// এই সামান্য বিষয়ে আপনাদের চিন্তায় ফেলতে চাইনি তাই বলিনী

 এখন তার জ্বর নেই একটু মাথা ব্যথা আছে 


আদিলার মা // আচ্ছা তাহলে তাকে ঘুমাতে দাও পরে কথা বলবো আর আজ বিকালে তোমাদের এখান থেকে নিয়ে যাবো 


এই বলে তারা অন্যরুমে চলে যাই 


বিকালে তাদের নিয়ে যেতে চাইলে শুভ না করে দেয় যে সে যাবে না তার নাকি এখানে কিছু কাজ আছে 


তাই আদিলার বাবা মা তাকে আর জুর করে নাই 


তারা আদিলাকেই নিয়ে চলে যায় 


২ দিন পর আদিলার মনে শুন্যতা অনুভব করে কি যেন তার কাছে নেই কি জেনো তার জিবন থেকে হারিয়ে যাচ্ছে 

কি সেটা কাকে সে খুজতেছে এসব ভাবতে থাকে

 আমি কি তাহলে শুভকে ভালোবেসে ফেলেছি তাকেই কি আমি খুজতেছি তার শুন্যতাই কি আমাকে চিন্তায় ফেলছে কেন 

এমন মনে হচ্ছে আমার 


চলবে,,,,,,,,,,_____??????_________


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৮

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_8

#collected Sk Galib 

আমি বাচ্চা এখনি নষ্ট করে দিব তর এই বাচ্চা আমি আমার পেটে লালিত পালিত করতে পারবোনা এই বলে আদিলা বেড থেকে উঠে বাহিরে যেতে লাগে 


তখন শুভ আদিলার পা জড়িয়ে ধরে আপনার দোহায় লাগে এই নিষ্পাপ বাচ্চাটার কোন দোস নেই তাকে নষ্ট করিয়েন না তার জিবনের বিনিময়ে আপনি আমাকে যা করতে বলবেন আমি করবো তবুও তাকে নষ্ট করবেন না 


আদিলা // আচ্ছা যদি তুই আমার দুইটা শর্ত মানতে পারিস তাহলে তর এই সন্তান পেটে রাখবো না হলে আমি তাকে নষ্ট করে দেব 


শুভ// বলেন আপনার শর্ত 


আদিলা/// ((১)) তর সন্তান দুনিয়াতে আসার আগ পর্যন্ত তুই আমার চাকর হয়ে থাকবি আমি তকে যা করতে বলবো তাই করবি এবং আমার বাবা মা কে তুই বুঝাবি যে আমি তকে কষ্ট দিলে তারা যেন কিছু না বলে 


তকে কষ্ট দিলে যদি আমার মা বাবা কিছু বলে তাহলে আমি তর এই সন্তান নষ্ট করে দিবো 


((২)) তর সন্তান এটা দুনিয়াতে আসলেই তাকে নিয়ে  তুই আমার জিবন থেকে চির জিবনের জন্য চলে যাবি ডিভস পেপারে সাইন করে 


যদি তুই এই দুই শর্তে রাজী থাকিস তাহলে আমি তর এই সন্তান আমার পেটে লালিত পালিত করবো 


শুভ // কিছুখন ভাবার পর আমি আপনার দুটি শর্তে রাজি তবে আপনি কথা দেন যে আপনি এমন কোন কাজ করবেন না যে আমার সন্তানের ক্ষতি হয়   


আদিলা// আচ্ছা কথা দিলাম তর সন্তানের কোন ক্ষতি হবেনা 


এখন আমার পা ছাড় 


আর শুন তুই যে ভাবে পারিস আমার বাবা মা কে রাজি করিয়ে  তুই আমার ফ্লাটে চলে আসবি  কিন্তু ভালো করে খেয়াল রাখিস তারা যেন আমাকে আবার ভুল না বুঝে যদি ভুল বুঝে তাহলে কিন্তু তর খবর আছে 


তুই এই বাড়িতে থাকলে তকে আমি কিছুই করতে পারবো না  না পারবো  তোকে গোলাম বানাতে না পারবোনা তকে কষ্টও দিতে কি হলো পারবি তো 


শুভ// হুম আমি আমার সন্তান কে বাচানোর জন্য সবই পারবো 


আদিলা// গুড় 


এখন তুই সামনে থেকে সর 


শুভ// আচ্ছা একটা কথা বলবেন 


আদিলা// বল দেখি 


শুভ// আপনি আমার সাথে এমন করেন কেন ??


আদিলা// জানিনা তকে দেখলেই আমার গা গিন গিন করে করে তকে একটুও আমার সহ্য হয়না 


শুভ// এগুলো ভুলে কি আমাকে একটুও ভালোবাসা যাইনা কি এমন অপরাধ আমি করেছি যার জন্য আমার সাথে এমন করেন আমি গরিব বলেই আমার দোষ আমি কি কারো ভালোবাসা পেতে পারিনা 


আদিলা// তুই হাসালি আমাকে তকে দেখতেই পারিনা আবার ভালোবাসবো


আর হ্যা তুই ভালোবাসা পেতে পারিস তর মত কোন ছোট লোকের আমার না 


শুভ// মেডাম টাকাই কি সব টাকাই কি সুখ দিতে পারে 


আদিলা/// হুম পারে টাকাই সব কিছু দিতে পারে তুই এখন আমার সামনে থেকে সর না হলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে


শুভ // আর কোন কথা না বলে মন খারাপ করে ক্যাবিন থেকে চলে আসে 


কিছুখন পর আদিলার বাবা মা অনেক গুলো মিস্টি নিয়ে এসে মানুষের মাঝে বিতরন কর 


অতপর তারা আদিলাকে নিয়ে বাসায় চলে আসে 


আদিলা// যাহ ছোট লোক আমার বাবা মা কে বুঝিয়ে আয় যে আমরা এখানে থাকবো না 


শুভ// মেডাম এখন যদি এগুলো বলি তারা কিছুতেই আমাকে আপনার সাথে ছাড়বে না আপনি অন্তত কিছু দিন এখানে আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেন যেন তারা মনে করে আপনি আমাকে মেনে নিছেন 


আপনি যদি কিছুদিন আমার সাথে ভালো ব্যবহার করেন তাহলে পরবর্তিতে আংকেল কে বললেই আমাকে ছেড়ে দিবে 


আদিলা// তার মানে তুই আমার আবার একই বিছানায় থাকতে চাইতেছস আবার সুযোগ খুজতেছস 


যাহ তর বলতেও হবেনা আমি তর এই বাচ্চাও রাখবোনা 


শুভ// আমি বিশ্বাস করেন আমি এমন কিছুই করতে চাচ্ছিনা শুধু আপনি একটু দিনে  তাদের সামনে আমার সাথে ভালো ব্যবহার করবেন 


আর রাতে কখনো আপনার কাছে আসবোনা 


আমি দরজার কাছে বিছানা ফেলে শুয়ে থাকবো 


এর বিনিময়ে আপনি আমাকে যা শাস্থি দেওয়ার দিবেন আমি মাথা পেতে নিবো 


আদিলা// আচ্ছা তাহলে আমি তর সাস্থি দিগুন দিবো 


৭ দিন পর 


এই সাত দিনে আদিলা শুভর কথা মতই তার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে এতে আদিলার বাবা মা ও অনেক খুশি কারন তারা দেখতে পাচ্ছে তাদের মেয়ে এখন শুভকে মেনে নিয়েছে তার সাথে ভালো মত সংসার করছে 


একদিন শুভ ও আদিলা তার বাবা মার রুমে যাই 


আদিলার বাবা/// কিছু বলবা তোমরা


 আদিলা/// তোমার জামাই এখানে থাকতে চাইতেছেনা সে নাকি আমার ঐ ফ্লাটে থাকবে কত বার বুঝালাম বুঝতেছে না 


আদিলার বাবা// তুমি যখন তাকে মেনে নিয়েছো এখন আমার তাকে তোমার হাতে ছেড়ে দিতেও সমস্যা নাই 


আর শুভ যখন চাইতেছে নিয়ে যাও তাহলে 


আর একটা কথা খেয়াল রেখ তুমি কিন্তু এখন মা হতে চলছো তাই একটু নিজের যত্ন নিও আর আমরাও তোমাদের প্রায় দেখে আসবো 

আর শুভ তুমি আমার মেয়েটাকে দেখে রেখ সে এতদিন তোমাকে কষ্ট দিছে সেগুলো ভুলে তাকে আপন করে নিও 


শুভ মনে মনে কাকে দেখে রাগবো আমি যে সব সময় আমাকে অপমান আর মাইরের উপর রাখে কাকে আপন করে নিবো  যে আমাকে দেখতেই পারেনা 


আদিলার বাবা// কি হলো কি ভাবছো শুভ 


শুভ// কিছুনা আংকেল 


আদিলার বাবা//  তো যাও তাহলে 


অতপর তারা সেখান থেকে চলে আসে আদিলার ফ্লাটে 


তখনই আদিলা যাহ ছোট লোক তর সাথে এতদিন অভিনয় করতে করতে বুর হয়ে যাচ্ছিলাম এখন একটু বিন্দাস ঘুরতে পারবো এই বলে শুভকে গাড় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় 


এই শুন আজ থেকে তকে আর মারবো না  কারন তর পুটি মাছের জিবন একটু মারলেই হাসপাতালে নিতে হয় তকে এখন থেকে জালিয়ে মারবো তর জিবন আমি নরকে পরিনত করবো 


যাহ এখন বাড়িটা পরিপুর্ন পরিষ্কার করে আমার জন্য খানা বানাবি যদি কিছু কম হয় তাহলে বুঝবি এই সাতদিনে তর সাথে নাটক করার শাস্তি টা কেমন হয় 


আদিলার কথা মত শুভ কাজে লেগে যাই 


কাজ করতে করতে প্রায় রাত হয়ে যায় 

তখন ঘরের কাজ ফেলে রেখে রান্না করার কাজ শুরু করতে যাই কিন্তু কি দিয়ে কি করবে ভাত আর ডিম ভাজি ছাড়া কিছুই  সে করতে জানেনা কারন কোনদিন সে রান্না করেনি 


++((আমি আবার অনেক কিছুই রান্না করতে পারি😁😁😁)))


অতপর  এগুলো রাতে আদিলার সামনে দেয় 

আদিলা সেগুলো দেখেই রেগে যাই এই কুত্তার বাচ্চা তুই জানোস না আমি এগুলা খাইনা আর এটা কি ভাজি করছস পুড়ে কালো করে ফেলছিস যাহ ভালো কিছু রান্না করে নিয়ে আসবি এই বলে ভাতের প্লেট শুভর মুখের উপর ছুড়ে মারে 


এতে শুভর অনেক খানি কপাল কেটে যাই 


কি রে এভাবে দাড়িয়ে থাকলি যে যাহ তারাতারি খুদার কারনে পেটে ইদুর লাফাচ্ছে না হলে তকে এখন খুন করে ফেলবো 


এভাবেই আদিলা শুভকে প্রত্যেক দিন একটা না একটা কাজে ভুল ধরে কষ্ট দিতে থাকে 


অবশেষে ডেলিভারির দিন যত কাছে আসতে থাকে তত আদিলা দুর্বল হতে থাকে 


একদিন আদিলার পচন্ড জ্বর আসে 


চলবে,,,___________///////_________????


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼