গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৭

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_7

#collected Sk Galib 

দীর্ঘ ১৫ দিন পরে যখন শুভর জ্ঞান ফিরে তখন তার পাশে  আদিলার বাবা আর মা কে দেখতে পাই 


আদিলার বাবা// বাবা তর জ্ঞান ফিরছে এখন কেমন লাগছে 


শুভ// ভালো 


আদিলার বাবা/// বাবা আমাকে তুই মাফ করে দিস আজ আমার জন্যই তর এই অবস্থা আমি বুঝতে পারিনাই আমার মেয়েটা এত খারাপ এত জগন্য 


আমি তাকে তর হাতে তুলে দিয়ে অনেক ভুল করেছি সে তর মত ছেলে তার লাইফ পাটনার হিসেবে পাওয়ার যোগ্য না 


কোন বাবা চাইনা তার মেয়ের সংসার ভেঙ্গে যাক , ঠিক আমিও চাইতাম না কিন্তু এখন তার অবস্থা দেখে আমি আর চাইনা তদের সংসার টিকে থাকুক তকে আবার সে কষ্ট দেয় 


আমি বাবা হয়ে তদের ডিভস করিয়ে তকে ভালো একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করাবো তবুও তুই আমাকে মাফ করে দে 


শুভ// আংকেল আপনি এগুলা কি বলছেন পাগল হয়ছেন নাকি 


আপনি আমার বাবার মত আর বাবার সন্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়া এটা শুভা পাইনা আংকেল আর আপনি কোন ভুল করেন নি  

তাহলে কেন আমার কাছে মাফ চাইতেছেন  আমি তাকে ভালোবেসে ছিলাম আর ভালোবেসেই যাবো 


আমার কপাল টাই খারাপ যাকে ভালোবাসলাম যাকে নিয়ে ঘর বাধার সপ্ন দেখতাম সে আমাকে দেখতেই পারেনা জানিনা কেন আমার উপর তার এত জিৎ আজ হয়তো বুজতে পারতেছেনা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে একদিন ঠিকই বুঝে আসবে তার সেই দিনটা অপেক্ষায় আছি যদি সে আমাকে আরো মারতে চাই কষ্ট দিতে চাই দিবে আমি তার পিছনে আঠার মত লেগেই থাকবো একদিন তো সে আমার ভালোবাসা বুঝবে 


আর আংকেল এমন কথা আর কখনো মুখে আনবেন না জন্ম মৃত্যু একবারই হয় তেমনি  বিয়ে টাও আমি তাদের মধ্যেই ধরি 


আদিলা যত পারুক আমাকে কষ্ট দিক একদিন তো আমাকে ভালোবাসবে আমি সেই অপেক্ষাই থাকবো আংকেল আপনার কাছে হাত জুর করে বলছি আমাদের সংসার আপনি ভাংবেন না যদিও সে আমারে আরো কষ্ট দেয়


আদিলার বাবা // শুভর কথা শুনার সাথে সাথে শুভকে জড়িয়ে ধরে কেদে দেই তুই অনেক ভালো রে আমার মেয়েটা কেন বুঝতেছে না সে কাকে সে হারাতে চলছে 


তখনই একটা ডাক্তার রুমে আসে 

ডাক্তার//  আপনারা এখন বাহিরে যান রুগীরে চেকাপ করবো 


ডাক্তারের কথা শুনে তারা বের হয়ে যাই 


কিছুক্ষন পর ডাক্তার শুভকে চেকাপ করে বের হলে 


আদিলার বাবা// ডাক্তার সাহেব তাকে কি আমরা বাসায় নিতে পারি 


ডাক্তার// আজ পারবেন না আগামি কাল নিয়ে যাবেন এই বলে ডাক্তার চলে যাই 


পরের দিন আদিলার বাবা শুভকে বাসায় নিয়ে আসে 


এদিকে আদিলার শুভর কথা একটি বারেও মনে পরেনি সে চলছে তার মত বিন্দাস লাইফে 


১৫ দিন পর শুভ মোটামুটি সুস্থ হয়ে উঠে 


এদিকে আদিলা তার ফ্লাটে একাএকা থাকতে তার ভালো লাগছেনা তাই সে তার  বাবার বাসাই চলে আসে 


অতপর সে তার নিজের রুমে গিয়ে শুভকে তার রুমে শুয়ে থাকতে দেখতে পাই এতে আদিলা রেগে যাই কুত্তার বাচ্চা তর সাহস কি করে হলো আমার রুমে আমার বিছানায় শুয়ে থাকার তকে আজ আমি মেরেই ফেলবো   আমার বিছানায় অনুমতি ছাড়া তুই কেন শুয়েছিস আর  আর তর মত ছোট লোকের এরকম বেডে শুয়ে থাকা মানাই না তুই অনেক বড় অন্যায় করে ফেলছিস 


তর জন্য বাবা আমার গায়ে হাত তুলছে যে বাবা কখনে আমাকে ধমক দিয়ে কথা বলে নাই 

আমার মা আমাকে ভুল বুঝছে আমার সাথে কথা বলেনা 


তকে আজ আমি মেরেই ফেলবো এই বলে সে লাঠি খুজতে লাগে 


অতপর লাঠি নিয়ে মারতে যাবে তখনই হঠাৎ সে মাথা ঘুরে মাটিতে পরে সেন্সলেস হয়ে যাই 


অতপর শুভ তাকে ধরে হাসপাতালে নিয়ে সাথে তার বাবা মা ও যাই 


অতপর ডাক্তার আদিলাকে চেকাপ করে বের হয়ে আসে 


আদিলার বাবা// কি হয়ছে ডাক্তার আমার মেয়েটার 


ডাক্তার /// মিষ্টি মুখ করান আপনি নানা হতে চলছেন 


আদিলার বাবা মা /// কিহহ্হ্  


ডাক্তার // হুম 


ডাক্তারের কথা শুনে  তারা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই 

এই হিসেবে যে আদিলা তার সন্তানের দিকে তাকিয়ে হলেও শুভকে মেনে নেবে 


অতপর আদিলার বাবা// তোমরা থাকো আমি মিষ্টি নিয়ে আসি 


আদিলার মা// আমিও যাবো তোমার সাথে 


আদিলার বাবা // আচ্ছা চলো 


অতপর শুভকে রেখে তারা মিষ্টি আনতে চলে যাই 


এদিকে শুভ গিয়ে আদিলার পাশে বসে জ্ঞান ফিরার অপেক্ষায় বসে থাকে 


কিছুখন পর আদিলার জ্ঞান ফিরলে 


আদিলা// এই ছোট লোকের বাচ্চা আমি এখানে কেন আমি তো রুমে ছিলাম আমাকে এখানে কে নিয়ে আসলো 

আর আমার বাবা মা কোথাই 


শুভ// আপনার বাবা মা মিষ্টি আনতে গেছে মানুষ দের খাওয়াবে বলে 


আদিলা// কিহহ্! কি জন্য 


শুভ// আপনি মা হতে চলছেন তাই সবাই কে মিষ্টি খাওয়াবে 


আদিলা// কি বললি আমি মা হতে চলছি তার মানে সেদিনের জন্যই তর বাচ্চা আমার পেটে 


আমি তর মত নির্লজ্য বেহায়ার  এই বাচ্চা আমার পেটে লালন পালন করতে পারবো না  আমি এখনই নষ্ট করে দিবো এই বলে আদিলা বেড থেকে উঠে বের হতে লাগে তখনই শুভ,,,,,,________/////////_______________

যারা আমাকে রিকু দেন তারা মেসেজ দিয়ে জানাবেন নইতো ঝুলেই থাকবেন 


পর্বটি ছোট হয়ছে কেউ বলবেন না 

একটা সমস্যাই ছিলাম তাই এতটুকু লিখছি 

আগামি পর্ব বড় করে দিবো 


চলবে,,,,,,,


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼



গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৬

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_6

#collected Sk Galib 

এই জানু কি করছো পিছন থেকে শুভর গলা ধরে কে যানি বলল


শুভ// পিছন দিক তাকাতেই ভুত দেখার মত চমকে উঠে কারন মেয়েটি ছিল আদিলা 


শুভ তার দিকে তাকিয়ে থেকে ভাবতেছে 

ভুতের মুখে রাম নাম 


যে তাকে এক সেকেন্ডের জন্য সহ্য করতে পারেনা সে আজ তাকে জানু বলে গলা ধরছে 


আদিলা// এই জানু এভাবে তাকিয়ে কি দেখ তুমি কি আমাকে কখনো দেখনি আচ্ছা দাড়াও 


এই বলে আদিলা শুভর কুলে এসে বসে 

তার ঠোটের কাছাকাছি ঠোট নিয়ে গিয়ে

এখন আমাকে তুমি মন ভরে দেখ আর আমাকে তুমি আদর করো আজ না তোমার আদর পেতে মনটা ব্যাকুল হয়ে আছে প্লিজ জানু তুমি আমাকে একটু আদর করো 


তুমি অনেক খারাপ আমাকে একটুও আদর করো না 


শুভ// এই আপনার মাথা ঠিক আছে মনে তো হচ্ছে আপনি নেশা করে আসছেন আপনার নেশা ধরেছে তাই এমন আবল তাবল কথা বলছেন 


আদিলা// হুম আমার সত্যি নেশা পেয়েছে তোমার আদর পাওয়ার জন্য প্লিজ শুভ আদর করো আমাকে 


শুভ// দেখেন আপনার মাথা ঠিক নাই এখান থেকে জান বিছানাই গিয়ে শুয়ে পরেন 


আদিলা// তুমি আমাকে আদর করো তুমি না আমার স্বামী আজ তোমাকে নিয়েই শুবো এই বলে শুভর ঠোটের সাথে আদিলার ঠোট লাগিয়ে দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে 


শুভর কাছে এটা ভালো লাগলেও তার মন চাচ্ছেনা শুভ ভালো করেই জানে এখন আদিলা হুশের মধ্যে নেই 


আদিলার হুশ ফিরলে এর পরিনাম ভালো হবেনা 


তাই শুভ তাকে কুলে নিয়ে  বিছানায় দিয়ে আসতে যাবে তখনই আদিলা আরো শক্ত করে শুভর গলা জড়িয়ে ধরে 


শুভ ছাড়ানোর  চেস্টা করেও আদিলার কাছে পেরে উঠেনা 


তাই বাধ্য হয়ে শুভ তার সাথেই শুয়ে পরে 

যদিও সে বুঝতে পারে সকালে আদিলা তাকে কিছু একটা করে 


পরে তাদের মাঝে কি হয়ছে আমি জানিনা 😁😁


আপনারা তাদের কে জিজ্ঞেস কইরেন 😝😝


পরের দিন সকালে যখন আদিলার ঘুম ভাঙ্গে তখন দেখতে পাই সে শুভকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছে এবং তাদের উভয়ের মাঝে কোন বিন্দু পরিমান কাপড় নেই 


তা দেখে আদিলা জুরে চিৎকার করে উঠে এতে শুভর ঘুম ভেঙ্গে যাই 

শুভ নিজেও ভাবতে পারেনা এগুলো কি ভাবে হলো 


তাই তারাতারি করে কাপড় পড়ে নিয়ে সরি আমি জেনে বুঝে কিছু করিনাই


আদিলা/// কুত্তার বাচ্চা আমাকে নষ্ট করে বলছিস সরি তকে তো আমি আজ মেরেই ফেলবো কোন সাহসে তুই আমার সাথে এমন করলি বল

এই বলে আদিলা উঠে গিয়ে লাঠি নিয়ে এসে শুভকে অনবরত মারতে থাকে 


শুভ // চিৎকার করে বলতে থাকে আমি জেনে বুঝে  কিছু করিনাই আমাকে মাফ করে দেন 


কে শুনে কার কথা আদিলা যেন আজ পাগল হয়ে গেছে শুভর কোন চিৎকার তার কানে যাচ্ছেনা  অনাবরত মারতে থাকে 


এক সময় আদিলা শুভর মাথায় আঘাত করে এতে শুভ জুরে একটা চিৎকার করে সেন্সলেস হয়ে যাই 


ঠিক সেই সময় আদিলার বাবা মা তার রুমে যাই তখন আদিলার বাবা শুভর অবস্থা দেখে মাথায় হাত দিয়ে বসে পরে 


এই ছিলো তর মনে সইতানি বুদ্ধি আমি যদি আগে কখনো জানতাম তুই তার সাথে এমন করবি তাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমাদের থেকে পৃথক থাকবি  তাহলে কখনো তর মত বজ্জাত মেয়ের কাছে   শুভকে  পাঠাতাম না

জানিনা এতদিন তুই তার সাথে কেমন আচরন করছিস 


আজ যদি সকালে তর এখানে না আসতাম তাহলে হয়তো তর পরিচয় টা জানতে পারতাম না


তকে আজ আমার মেয়ে ভাবতেও ঘৃন্যা হচ্ছে ছিহ আদিলা ছিহ


আজ শুধু তোমার  জন্য মেয়েটা এত জগন্য হয়ছে আরো আদর দিয়ে মাথায় তুলে নাচো ((আদিলার মা কে উদ্দেশ্য করে ))


ছেলেটা তর কি ক্ষতি করছে যার জন্য তার এই অবস্থা করছিস 


একদিন বুজে আসবে তর ,কাকে কষ্ট দিছিস তুই কাকে হারিয়েছিস তুই সেদিন চিৎকার করে কান্না করে চখে জল শুকিয়ে ফেলবি তবুও তুই ফিরে পাবিনা তাকে


আদিলা// তুমি এই ছোট লোক টার জন্য আমাকে গালি দিচ্ছো 


আদিলার বাবা// ঠাসস ঠাসসস তকে আমি কখনো হাত তুলিনাই আজ তুললাম  এখনো সময় আছে তুই ভালো হয়ে যা


এই বলে আদিলার বাবা শুভকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসে 


এদিকে আদিলার মা// তুমি এতটা খারাপ হয়ে গেছো আমার জানা ছিলনা কি অপরাদ করেছিল সে তোমার সাথে যার জন্য তার অবস্থা এমন করেছো


আদিলা// সে আমার সাথে কেন ফিজিক্যাল রিলেসন করলো 


আদিলার মা// দেখ মা সে তোমার স্বামী আর তোমার উপর তার এটা হক 


শুভ যতই গরিব  হক বা কালো লেংড়া লুলা হক সে তোমার স্বামী 


একটা কথা মনে রেখ একটা মেয়ের জন্য তার স্বামী সব 


তুমি অনেক বড় অন্যাই করে ফেলছো মা 


আদিলা// শেষ মেশ তুমি ও বললে আমি খারাপ তুমি বল যাকে দেখতে পারিনা যাকে স্বামী হিসেবে মানি না সে আমার সতিত্ব নষ্ট করছে তাকে কি করে মেনে নেই বল 


আদিলার মা // তুমি কখনো ভালো হবে না তোমার যা মন চাই তুমি করো কোন দিন শুভর জন্য আমাদের কাছে কিছু বলোনা এই বলে আদিলার মা ও চলে যাই 


আর  আদিলা// মনে মনে বলতে থাকে কুত্তার বাচ্চা তুই ভালো হয়ে আসই আগে তরে আমি দেখে নিমু আজ তর জন্য বাবা আমার গায়ে হাত তুলল মা আমাকে ভুল বুঝলো 


এদিকে আদিলার  বাবা শুভকে নিয়ে হাসপাতালে আসে 


ডাক্তার রা তাকে ইমার্জিন্সিতে নিয়ে চিকিৎসা করতে থাকে 


দীর্ঘ সময় পরে ডাক্তার বের হয়ে আসলে 

আদিলার বাবা // ডাক্তার রুগীর কেমন অবস্থা


ডাক্তার // অবস্থা বড়ই নাজুক 

মাথার আঘাত টা বেশ জুরে লেগেছে 

বলা যাচ্ছেনা তার জ্ঞান ফিরবে কি না 

হতে পারে সে কোমায় চলে যাবে 


চলবে,,,  ,


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৫

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ

#part_5

#collected Sk Galib 

ডাক্তার এসে শুভকে দেখা মাত্রই একি এর অবস্থা এরকম কি করে হলো 


সমস্ত শরীর তো ঠোসা পরে গেছে 


পরে আর কিছু না বলে টিটমেন্ট শুরু করে 


কিছুক্ষন পর ডাক্তার তার শরীরে ঔষধ লাগিয়ে দিয়ে 


আদিলাকে আবার জিজ্ঞেস করে এর অবস্থা কি করে হলো 


আদিলা// আমি তাকে গরম পানি নিয়ে আসতে বলছিলাম আর সে পানি নিয়ে আসার সময় পা পিছলে পড়ে যাই আর তাতে সমস্ত পানি তার শরীরে পড়ে এমন হয়ে যাই


ডাক্তার // আদিলা আমি কিন্তু ডাক্তার তাই বলতে পারি কোন টা অনিচ্ছা সত্যে  পরে এমন হয় আর কোন টা টর্চার করার কারনে এমন হয় 


যদি তার পা পিছলে পড়ার কারনে তার শরীরে গরম পানি পড়ে এমন হয় তাহলে তার শরীরে এত মাইরের দাগ কোথা থেকে আসলো 


আদিলা তুমি জিতের বশে অনেক বড় একটা ভুল করতেছো 


আমি জানি তুমি তাকে ছোট থেকেই দেখতে পারোনা সে গরিব তোমার বাবা তাকে রাস্তা থেকে তুলে আনছে বলে


এখন তো সে তোমার স্বামী তাই এমন করা তোমার একদমই ঠিক হয়নি 


যদি তার উপর কোন জিৎ থেকে থাকে তাহলে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে নতুন করে শুরু করো এতেই তোমার জন্য মঙ্গল

আদিলা ছেলেটা অনেক ভালো তোমাকে সে অনেক সুখে রাখবে 


যদি তুমি এরকম তাকে আরো টর্চার করো 

তাহলে হয়তো অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সে দুনিয়া ত্যাগ করবে 


আদিলা একটা কথা মনে রাখবে সে গরিব হলে মানুষ 

মারলে ব্যাথা তোমারো লাগে তারো লাগে 

জিতের বসে এমন কিছু করো না যে সারা জিবন আফসুস করতে হয় সারা জিবন তার জন্য কাঁদতে হয়


আদিলা/// আংকেল আপনাকে এত জ্ঞান দিতে হবেনা আপনাকে যেটার জন্য নিয়ে আসছি সেটা করে চলে যান আর খবর দার এগুলো যেন আমার আব্বু না জানতে পারে তাহলে কিন্তু আপনার অবস্থাও খারাপ হবে 


ডাক্তার // তা করতে পারো কারন তোমাদের টাকা আছে 


কিন্তু একটা কথা মনে রাখবে টাকাই সব কিছু করতে পারে না তুমি এখন অবুজ বুঝতে পারছো না একদিন আমার কথা মনে পরবে সেদিন হয়তো তোমার কাছে কাদা ছাড়া কোন রাস্তা থাকবেনা তুমি সেদিন হাজার চেস্টা করলেও ফিরাতে পারবে না এখনো সময় আছে আদিলা তাকে মেনে নিয়ে সুখে সংসার করো 


আদিলা// আংকেল আপনি আমাকে হাসালেন এই ছোট লোকের জন্য আমি আফসুস করবো 😁😁😁


তা হয়তো এই জিবনে না 


আর কি বললেন তাকে মেনে নিয়ে সুখে সংসার করবো হা হা তাকে আমি দেখতেই পারিনা তার সাথে আবার সংসার 😂😂

তাকে তো আমি স্বামী হিসেবে মানিই না তাকে যাস্ট আমার পা চাটা গোলাম ভাবি 

তাকে মারবো আদর করবো সেটা আমার ইচ্ছা 


ডাক্তার// তোমার যা ইচ্ছা করতে পারো মনে রেখো একদিন এই ডাক্তারের কথা তোমার মনে পরবে যা আমি আজ বললাম 


আজ আমার কথাই যেমন তুমি হেসে উড়িয়ে দিলে  সেদিন আমি  তোমার মত তোমার অবস্থা  দেখে সেদিন হেসে উড়িয়ে দেব 


 আচ্ছা আমি চললাম যে ঔষধ গুলো লিখে দিছি সেগুলো নিয়মিত তাকে খাওয়ায়ো আর যদি বেশী ভেজাল মনে করো তাহলে বাজার থেকে বিষ কিনে এনে  খাওয়ায়ো তাহলে হয়তো  চিরজিবনের জন্য ভেজাল মুক্ত হয়ে যাবে


এই বলে ডাক্তার চলে যাই 


অতপর আদিলা ঐ ঔষধ গুলি আনার জন্য যাই  যেগুলো ডাক্তার লিখে দিয়েছে 


তার চিন্তা হলো তাকে তারাতারি সুস্থ করে আবার কষ্ট দিতে 


অসুস্থকে তার কষ্ট দিতে মন চাইনা 


 অতপর আদিলা ঔষধ গুলি নিয়ে এসে 

শুভ এমন সেবা যত্ন করতে থাকে যেন সে সব কিছু ভুলে তাকে মেনে নিয়েছে 


তার এরকম করার কারন হলো ২ টি 


(১) তাকে তারাতারি সুস্থ করে আবার কষ্ট দেওয়া 


(২)সে শুভকে এটাই দেখাতে চেয়েছে যে সে অহংকারী হলেও তার ভিতরে মন নামক একটি জিনিস আছে যেখানে আছে কারো জন্য পরিপুর্ন ভালোবাসা 

কিন্তু সেই ভালোবাসা  শুভর জন্য নই 


এভাবে প্রায় একমাস কেটে যাই এর মধ্যে শুভ ও মোটামুটি সুস্থ হয়ে যাই


হঠাৎই একদিন আদিলার মোবাইল আসে


আদিলা/// বল মায়া কেমন আছিস 


মায়া// হুম ভালো আছি তুই 


আদিলা/// আমিও ভালো আছি 


মায়া// ভালো তো থাকবেই এত সুন্দর একটা জামাই পাইছো সারাদিন তাকে নিয়ে পরে থাকো আমাদের কথা তো আর মনে হয়না 


আদিলা// এসব বক বক না করে কি জন্য  ফোন দিছস সেটা বল


মায়া// বলছি ব্যস্ত হয়ছিস কেন ফোনে টাকা আমার কাটতেছে তর না 


আদিলা// আমি রাখলাম তুই বক বক করতে থাক 


মায়া// এই শুন আদিলা


আদিলা // হুম বল


মায়া// আজকে এই ,,,,,,,,, নাইট ক্লাবে আসতে পারবি 


আদিলা // কেন ?!


মায়া// আজ মাদার তেরেসা আসবে ডেন্স করতে অনের মজা হবে 😁😁😁 


আদিলা// আচ্ছা তাহলে যাবো যখন মাদার তেরেসা আসবে😁😝😝


আপনারা আবার এটা নিয়ে ট্রল কইরেন না তেরেসা আসবে বলে 😂😁😂😁


মায়া// তাহলে সন্ধায় রেডি থাকিস 


আদিলা// হুম 


পরে ফোন কেটে দেই 


সন্ধার সময় আদিলা রেডি হয়ে যেতে লাগে তখন 


এই ছোট লোক শোন তকে এত দিন সবসময় আমার চখে চখে রাখছি তর আদর যত্ন করছি তকে সুস্থ করে তুলে আবার কষ্ট দেওয়ার জন্য 


 তকে যে কষ্ট দিয়েছি সেটা যেন বাবা মা জানতে না পারে 


এখন আমি বাইরে যাচ্ছি এই সুযোগে যদি তাদের কে কিছু বলিস তাহলে কিন্তু তর জান থাকবেনা এক দম মেরে ফেলবো


শুভ// আমাকে এভাবে সবসময় এভাবে কষ্ট দেওয়ার থেকে বিষ দিয়ে একবারে মেরে ফেলতেই তো পারেন 


আদিলা// চুপ থাক তকে আমি তিলে তিলে মারবো 


একবারে মেরে ফেললে তো আমার জালা মিটবে না তর সাথে পরে কথা বলবো আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে 


এই বলে চলে যাই 


অতপর আদিলা সেখানে গিয়ে আনন্দ ফুর্তি করে আর পচুর পরিমানে ড্রিংস করে 


এদিকে শুভ একটা চিয়ারে বসে কিসের জানি পেপারে সাইন করছে এমন সময় পিছন থেকে কে যেন তার গলা ঝড়িয়ে ধরে বলে এই জানু কি করছো 


চলবে__________///////_____________


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼



গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৪

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ    

#part_4                                     

#collected Sk Galib 

 শুভ রুমে ঢুকতেই আদিলা কলার ধরে ঠাসসস ঠাসসসস কু,,,,বাচ্চা তর সাহস কি করে হলো আমাকে ভালো বাসার 


আমার জিনিস খেয়ে বেচে আছিস এখন আমার বিয়ে নামক ফাদে ফেলে সব কিছু তর করে নিতে চাস কু,,,,বাচ্চা সেই আসা তর কখনো পূরন হবেনা তকে তো কইটা দিনের মধ্যেই ডিভস দিব আর এই কই দিনে 

তর এমন অবস্থা আমি করবো যাতে জিবনে কখনো আমার দিকে চখ তুলে তাকাতে না পারিস 


তকে আজ বুজাবো এই আদিলা কি জিনিস কাকে জিবন সঙ্গি বানাতে চাইছিস তর কি যোগ্যতা আছে আমাকে বিয়ে করার বল 


শুভ/// বিশ্বাস করো আমি তোমার ধন সম্পদ কিছুই চাইনা আমি শুধু তোমাকে চাই তোমাকে ভালোবেসে বাচতে চাই তোমার মনে হিংসা দুর করে সে গুলো ভালোবাসায় পরিনত করতে চাই


আদিলা// ঠাসসস ঠাসসস তর সাহস কি করে হলো আমাকে তুমি করে বলার আমাকে ভালোবাসিস সেটা বলার 


আর কি বললি আমি অহংকার করি 

তকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো এই বলে দরঝার আড়াল থেকে একটা লাঠি নিয়ে 

শুভকে মারতে শুরু করে 


শুভ মারতে মারতে রক্তাক্ত করে ফেলে 


 কিছুখন পর আদিলা আবার বলতে শুরু করে 


বল কি জন্য তুই আমার বিয়ে ভাঙ্গছিস মামুন কে কি ভুল বাল বলছিস তার জন্য সে আমাকে বিয়ে করতে না করলো 

বল কি বলছিস না বললে তকে আজ একেবারে মেরেই ফেলবো

  


শুভ// বিশ্বাস করেন আমি মামুন কে কিছু বলিনাই সে কি জন্য মানা করছে আমি জানিনা 


আদিলা// চুপ ছোট লোকের বাচ্চা তদের মত ছেলেদের আমার ভালো করে চিনা আছে 


বড় লোক দির পিছন পিছন ঘুরিস তাদের কে এটা সেটা বুঝিয়ে তাদের কে প্রেমের ফাদে ফেলে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিস


তকে যদি আগে দুই এক টা চর থাপ্পর না দিয়ে যদি আজকের মত লাঠি পিটা করতাম তাহলে হয়তো কখনো এমন সাহস  তর হতো  না


আর শোন তকে নিয়ে তো আমি 

কখনো সংসার করতে পারবো না  তকে দেখলেই আমার শরীরের রক্ত টগবগ করে 


 এই মাসে তর জিবনের বারোটা আমি বাজিয়ে দেব বাবাকে বলছি তারা যাতে এক মাসে আমাদের খুজ খবর না নেই 

আমি বাবার থেকে সময় নিয়েছি শুধু তকে কষ্ট দেওয়ার জন্য


তুই জানতি আমি তকে দেখতে পারিনা তাহলে কেন আমাকে বিয়ে করলি এর শাস্থি আমি তকে দেবই

যা এখন ঘর থেকে বের হহহ আজ এতটুকুই আগামি কাল আবার ধরবো 


এই বলে আদিলা গিয়ে খাটের উপর শুয়ে পরে 


শুভর আদিলার ব্যবহার দেখে যেন তার বাক শক্তি হারিয়ে ফেলছে কোন কথাই সে বলতে পারছে না 


আদিলার কথা শুনে কষ্ট করে উঠতে যাবে কিন্তু সে সারা শরীর ব্যাথার কারনে উঠতে পারছেনা 

তবুও কষ্ট করে উঠে সোফার দিকে যেতে থাকে 


👉🏽👉🏽👉🏽 যারা গল্প পড়ার জন্য রিকু দেন তারা মেসেজ দিয়ে জানাবেন নইতো ঝুলেই থাকবেন👈👈👈👈👈


তখনি আদিলা এই ছোট লোক কই যাস সোফাতে তর মত ক্ষেতের বসার যোগ্যতা হয়নি তুই ওখানে বসলে ঐ টা ময়লা হয়ে যাবে যা বারান্দায় যাহ 


অতপর শুভ ঘর থেকে বের হতে যাবে তখনই 

আদিলা// এই ছোট লোক শুন সকালে ঘুম থেকে উঠে  যদি আমি আমার কফি না পায় তাহলে বুঝবি কিন্তু 


আর এগুলো শাস্তি যে তকে দিতেছি সেগুলো  যদি কোন ক্রমে আব্বু জানতে পারে তাহলে  তকে বালিশের মধ্যে চাপা দিয়ে মেরে ফেলবো 


শুভ কোন কথা না বলে ঘর থেকে বের হয়ে বেলকনিতে  আস্তে আস্তে এক জায়গাই শুয়ে পরে কিন্ত সারা শরীর ব্যথার কারনে ঘুম আসেনা এদিক সেদিক করতে করতে রাতের শেষ সময়ে ঘুমিয়ে যাই 


এদিকে সকালে আদিলা ঘুম থেকে উঠে তার কফি না পেয়ে সে পচন্ড রেগে যাই


অতপর বিছানা থেকে উঠে বেলকনিতে এসে দেখতে পাই শুভ ঘুমিয়ে আছে


আদিলা , কুত্তার বাচ্চা আমার কফি না দিয়ে এখানে আরাম করে ঘুমাচ্ছিস দাড়া তর এমন অবস্থা আজ আমি করবো 


এই বলে সে রান্না ঘরে চলে যাই 


কিছুখন পর ফুটন্ত পানি নিয়ে এসে শুভর শরীরের উপর ফেলে দেয় 


এতে শুভ একটা চিৎকার দিয়ে সেন্সলেস হয়ে যাই


আদিলা// এবার দেখলি তো আমার শাস্থি যা উঠ কফি বানিয়ে নিয়ে আয় 


কিন্তু শুভ আর উঠেনা বার বার গালি দিয়ে ডাকতে থাকে তবুও শুভর কোন সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছেনা 


তখন আদিলা ভয় পেয়ে যাই বেশি করে ফেললাম না তো আবার ছোট লোকটার কি হলো কথা বলছে না কেন 


অতপর আদিলা তাদের পারিবারিক ডাক্তার কে ফোন দিয়ে আসতে বলে 


ডাক্তার এসে শুভর অবস্থা দেখেই,,,,,,,


চলবে,,,,


পাঠক দের কোন সাড়া পাচ্ছিনা হয়তো গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগছে না

যদি ভালো লাগে তো লাইক কমেন্ট করে জানাবেন 

 💖💖💖💖


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ৩

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ    

#part_3                                     

#collected Sk Galib 

শুভ দরঝা খুলেই সামনে আদিলার বাবাকে দেখতে পাই


শুভ ভয়ে ভয়ে আংকেল আপনি কখন আসলেন 


আদিলার বাবা/// তুমি ভয় পাচ্ছো কেন 

আর এই মাত্র আসলাম তোমাকে তারাতারি নিচে যেতে বলছিলাম তুমি যাওনি তাই তোমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আসলাম 


শুভ// যাক বাচা গেল আংকেল মনে হয় দেখতে পারেনাই ,, তাহলে কথা গুলো কে বলল এসব মনে মনে ভাবছে 


আদিলার বাবা/// কি চিন্তা করছো দেখ যা চলে যাবে বা গেছে তা নিয়ে ভেবে সময় নস্ট করোনা 


নিচে আসো তাড়াতাড়ি বর মনে হয় চলে আসবে 


তুমি ভিতরে যাও আমি এখানে দাড়িয়ে আছি 


অতপর শুভ ভিতরে গিয়ে কিছুখনের মধ্যে রেড়ি হয়ে আসে 


অতপর তারা দুইজন নিচে যাই 


তখনই আদিলার বাবার মোবাইলে একটা ফোন আসে বর নাকি আসবে না আদিলা কে সে বিয়ে করবেনা এই কথা শুনে 


বিয়ে বাড়ির আনন্দ যেন কিছুখনের জন্য  নিস্তব্ধ হয়ে যাই 


আদিলার বাবা কি করবে কিছুই মাথাই আসতেছে না তার কত বড বড় বিজন্যাস পাটনার আসছে তার মেয়ের বিয়েতে এখন যদি তার বিয়ে না হয় তাহলে সে আর তাদের সামনে মাথা তুলে দাড়াতেই পারবেনা  

কি করবে সে কোন উপাই না পেয়ে পেরেসানির ভাব নিয়ে আদিলার কাছে যেতে যেতে  ভাবতে থাকে যে শুভ তার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হবে কিন্তু আদিলা কি রাজি হবে তাকে বিয়ে করতে আদিলা তো তাকে দেখতেই পারেনা এখন যদি আদিলা ঘুরে বসে কি করবে কিছুই তার মাথায় আসতেছেনা 


অতপর আমজাদ তার মেয়ের রুমে যাই


আমজাদ// মা রে তুই আজ পারিস আমার সম্মান টুকু রাখতে যদি আজ তর বিয়ে না হয় 


তাহলে আমি মাথা তুলে কারো সামনে দাড়াতে পারবোনা 


আদিলা// ,,,,,, নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে কি বলবে সেও ভাবতে পারেনা 


আমজাদ/// আমি চাচ্ছি মা তকে আজ এই মুহুর্তে শুভর সাথে বিয়ে দেব 


আদিলা// কি বলছো বাবা যাকে দেখতেই পারিনা তাকে নিয়ে কি ভাবে সারাজিবন সংসার করবো বাবা আমি তাকে বিয়ে করতে পারবো না তুমি অন্য কোন ছেলে দেখে তারপর বলিও


আমজাদ /// শুভ তাকে অনেক ভালোবাসে তকে অনেক সুখে রাখবে 


আদিলা/// কি বললে ঐ ছোট লোক টা আমাকে ভালোবাসে 

আমজাদ// হুম মা তকে সে অনেক আগে থেকেই ভালোবাসে 


আদিলা/// আচ্ছা বাবা মামুন কেন আমাকে বিয়ে করবে না সেটা কি কিছু বলছে !?

আমজাদ/// না 


আদিলা// তার বাবার না শব্দ শুনে মনে মনে ভাবতে থাকে নিশ্চয় এই ছোটলোক টা মামুন কে ভুলভাল কিছু বুঝিয়ে ছে 

তার জন্য সে আমাকে বিয়ে করতে চাইছে না যাক ভালই হয়ছে কিন্ত মাঝে আব্বু কেন এই ছোটলোক টাকে টানছে 


যদি তর সাথে আব্বু আমাকে বিয়ে দেয় তাহলে তকে বুঝাবো তুই কোথাই হাত দিছস


 সেটি তুই হারে হারে টের পাবি তকে বুঝাবো এই আদিলা কি জিনিস তুই আমাকে ভালোবাসার সাহসই বা  কই পাস সেটি আমি দেখবো  


আমজাদ// কি হলো মা 


আদিলার বাবার কথা শুনে তার ধ্যান ভাঙ্গে 


বাবা আমি তাকে বিয়ে করতে রাজি আছি তবে আমার একটা শর্ত আছে 


আমজাদ/// তুমি যে শর্তই দিবা আমি রাজি আছি তবুও তুমি আমার সম্মান টুকু রাখো বলো তোমার শর্ত কি 


আদিলা/// আমি তাকে বিয়ে করলে এখানে থাকবো না  তার সাথে বাসর এখানে করবো না আমি আমার ফ্লাটে চলে যাবো সেখানেই  আমরা এক সাথে দুইজন থাকবো যদি তুমি এতে রাজি থাকো তাহলে তুমি বিয়ের ব্যবস্থা করো 


আদিলার মনের শয়তানি চিন্তা আমজাদ খান কিছুই বুঝতে পারেনা যদি সে বুঝতে পারতো তাহলে কখনই সে তার শর্তে রাজি হতো না 


আমজাদ/// আচ্ছা তুমি যা ভালো মনে করো তাই করো আমি নিচে চলে গেলাম 


অতপর সে নিচে এসে  শুভকে নিয়ে একটা জাইগাই চলে আসে 


আদিলার বাবা/// শুভ অনেক কষ্ট করে আদিলা কে রাজি করিয়েছি তোমার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য 


আর এতগুলি নাটক করার কারন হলো তোমার সাথে আদিলা কে বিয়ে দেওয়া 


শুভ// মানে আপনার কথা কিছুই বুঝলাম না 


আমজাদ// আমি বুঝিয়ে বলছি 


কোন বাবা চাইনা যে তার মেয়ের সংসার ভেঙ্গে যাই 

ঠিক তেমনি আমিও চাইনি যে আমার মেয়ের সংসার ভেঙ্গে যাক 


আমি জানি আমার মেয়ে অনেক টা অহংকারি এবং রাগি সে কারো সাথে মিলিয়ে নিয়ে সংসার করতে পারবেনা 

এতে হতে পারে তার সংসার ভেঙ্গে  যাবে 

তা আমি চাইনা 

আর তুমি এগুলো জানা থাকা সত্যেও তাকে তুমি ভালোবেসেছো 

তুমিই পারবে তাকে মিলিয়ে নিয়ে চলতে 

তার করা অন্যায় তাকে ক্ষমা করে দিয়ে তাকে ভালোবাসতে 

তাই আমি মামুনকে দিয়ে এরকম   একটা নাকট করি তাকে দিয়ে বিয়ে ঠিক করা বিয়ের দিন আসতে না করা


শুধু তোমার সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য 

যাতে আদিলা আমার সম্মানের কথা চিন্তা করে তোমাকে বিয়ে করে 


এমনি তোমারে বিয়ে করতে বললে সে কশ্মীন কালেও রাজি হয়তো না তাই এমন করতে হয়ছে 


পারবে না শুভ আমার অহংকারি মেয়েটা কে  আর দশ পাচটা সাধারন মেয়ের মত বানাতে  তুমি তার অপরাধ গুলি ক্ষমা করে তার সাথে সুখে সংসার করতে ??


শুভ/// পারবো 


অতপর আমজাদ খান তাদের কে যথা সময়ে কাজি দিয়ে বিয়ে পরিয়ে দেয় 


আদিলা তার শর্ত অনুযায়ী শুভকে নিয়ে তার ফ্লাটে চলে যাই 

আর তখনই আদিলা শুভর কলার ধরে ,,,,


সামনে কি হবে অভিনয় টা ছিল বাবার 

ভুল টা বুঝলো শুভর 


চলবে,,, 


পাঠক দের কোন সাড়া পাচ্ছিনা হয়তো গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগছে না

যদি ভালো লাগে তো লাইক কমেন্ট করে জানাবেন 


নাতে পরের পর্ব আর দিবোনা 💖💖💖💖


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন💅💅


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 👏🏼👏🏼👏🏼


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ২

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ    

#part_2                                      

#collected Sk Galib 

শুভ গাড় ঘুরিয়ে আমজাদ খানকে দেখে চমকে উঠে 


আমজাদ// একি শুভ তোমার চখে পানি , আর তুমি বেলকনিতে দাড়িয়ে থেকে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি ভাবছো 


সকলে কত সুন্দর আনন্দ করছে আর তুমি এখানে দাড়িয়ে থেকে কান্না করছো 

কেন কি হয়ছে তোমার ?? জানা থাকা সত্যেও


শুভ/// আংকেল আব্বু আম্মুর কথা খুব মনে পরছে তাই চোখদিয়ে পানি ঝরছে 


আমজাদ// তোমাকে ১০, ১৫ বছর ধরে দেখে  আসছি তুমি যে মিথ্যা কথা ঠিক ভাবে বলতে পারোনা 


এত বছরে তোমাকে কোন দিন দেখিনি তোমার আব্বু আম্মুর জন্য কান্না করতে 

আজ তুমি বলছো তাদের কথা মনে পরছে


তুমি আজ কেন এমন করছো আমি জানি শুভ 


তুমি যে আদিলার জন্য কান্না করছো 

তুমি যে আদিলাকে ভালোবাসো ভাবতেছো যাকে ভালোবাসি সে চলে যাবে আজ অন্যের ঘরে বউ হয়ে 

,তুমি কি করে সেটি সহ্য করবে তুমি না পারতেছো আমাকে বলতে না পারতেছো আদিলা কে বলতে 


তুমি আজ সেগুলো ভেবেই চখের জল ফেলতেছো 


আমি আগে থেকেই জানতাম তুমি আমার মেয়েকে ভালোবাসো তাকে নিয়ে সুখে সংসার করতে চাও 

সেই জন্য তুমি আদিলার  আশে পাশে সব সময় ঘুরঘুর করতে তাকে বুঝানোর জন্য যে তুমি তাকে ভালো বাসো কিন্তু সে কিছুতেই তা বুঝতো না আরো উল্টা তোমাকে কষ্ট দিত 


তোমাকে আদিলা নানা রকম ভাবে কষ্ট দিলেও সেটি তুমি ভালোবাসা হিসেবেই নিতে তার উপর কখনো রাগ করতে না 


যেদিন থেকে আদিলার  বিয়ে ঠিক হয়েছে সেদিন থেকেই তোমার প্রতি লক্ষ্য করছি তুমি সারাদিন মন খারাপ করে বসে থাকো 


তুমি বড্ড বোকা তোমার সাথে আমি বন্ধুর মত ব্যবহার করি তুমি যদি একটি বার মুখ ফোটে আমাকে বলতে আমি আদিলাকে ভালোবাসি তাকে আমার হাতে তুলে দেন 

 বিশ্বাস করো আমি একটুও রাগ করতাম না আমি আদিলাকে হাসি মুখে তোমার হাতে তুলে দিতাম 


কিন্তু তুমি কখনো আমাকে বা তাকে মুখ ফোটে বলতে পারোনি তাই আমি আদিলার বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি 

অন্য জাইগাই


শুভ// তখন শুভ আদিলার বাবাকে   জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে বলে আংকেল তাকে অন্য  কোথাও বিয়ে দিয়েন না আমি তাকে ছাড়া বাচবোনা তাকে বড্ড বেশি ভালো বাসি আংকেল তাকে না পেলে আমি মরে যাবো


আদিলার বাবা /// তুমি এই কথা বলতে বেশি দেরী করে ফেলেছো আমার এখন কিছু করার নাই তাদের কে কথা দিয়ে ফেলেছি  আর তুমি জানও আজ তাদের বিয়ে


আর শুন এই পাঞ্জাবি টা পরে নাও আদিলার শশুর বাড়ি তোমাকেই যেতে হবে তারাতারি রেড়ি হয়ে নিচে আসো 

এই বলে আমজাদ খান চলে যাই 


আদিলার বাবার কথা শুনে শুভ পাথরের মত হয়ে সেখানেই দাড়িয়ে থেকে ভাবতে থাকে যাকে ভালোবাসি 

যাকে নিয়ে সারা জিবন সুখে সংসার করবো বলে শপ্ন দেখতাম আজ তার আত্মীয় হয়ে তার শশুর বাড়ি যেতে হবে না না তা কখনই হতে পারে না আমি তা কখনই পারবো না আমি পারবো না আদিলার শশুর বাড়ি যেতে 


যার জন্য আমার এই জিবন সেই যদি আমার না হয় তাহলে এ জিবন রেখে আমার কি লাভ কি করবো আমি বেচে থেকে 


তাকে ছেড়ে চলে যাবো না ফেরার দেশে 

আর কখনো কখনো বলবো না তাকে  ভালোবাসি 


 শুভ এই বলে সেখান থেকে ঘরে চলে আসে 


এদিকে সবাই আনন্দ করছে আর ঐ দিকে শুভ তার রুমে গিয়ে জুলন্ত ফ্যানের সাথে দড়ি পেচিয়ে গলাই দিবে আত্মহত্যা করার জন্য 


ঠিক সেই সময় তার কান একটা আওয়াজ ভেসে আসে 


এত তাড়াতাড়ি তুমি পরাজয় বরন করে নিলে তোমার ভালোবাসার কাছে 

শুভ পরিস্থিতির সাথে মোকাবেলা করতে শিখ 

নইতো চুরের মত এভাবেই আত্মহত্যা করে জিবন টা শেষ করে দিতে হবে 


এখনো অনেক সময় আছে যার জন্য জিবন দিতে চাচ্ছো তাকে   তুমি আপন করে নিতে পারো 


শুভ// কথা গুলি শুনে এদিক সেদিক তাকাই কে বলছে তাকে খোজার জন্য 

কিন্তু কাওকে দেখতে পাইনা সে 

হঠাৎ দরজার কাছে কিছু যেন একটা দেখতে পাই 

তাই শুভ দরজা খুলে যাকে দেখে তাকে দেখে শুভর গলা শুকিয়ে যাই 


চলবে ______////////_______


বিঃদ্রঃ আদিলার বাবা শুভর ভালোবাসা জানা সত্যেও সে শুভকে কেন এমন কথা বলল 


আর বিয়ে ই বা কেন ঠিক করলো 


এ নিয়ে কোন কমেন্ট করবেন না 

তা আগামি পর্বে খুলাছা করা হবে 


পর্বটি কেমন হয়েছে জানাবেন


আর ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন 


গল্প অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস পর্ব ১

 #অহংকারি_Ex_বউ_যখন_অফিসের_বস 

#writer_আরিয়ান_আহমেদ_শুভ    

#part_1                                        #saif_1216

#collected Sk Galib 

আজ আদিলার বিয়ে সকলেই তার বিয়ের কারনে আনন্দে মেতে উঠেছে


 বাড়ি টা একটা রাজ প্রাসাদের মত করে সাজিয়েছে দেশের টপ বিজন্যাসম্যান আমজাদ খান তার এক মাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা 


এমনিতেই তাদের বাড়ি একটা রাজপ্রাসাদের চেয়ে কম না পাচ তলা বাসা আর বাড়ির চতুর দিকে লাল নীল বাতি গুলো আলো দিচ্ছে কতই না অপুর্ব সেই দৃশ্য অনেক মানুষ তা দেখতে আসছে 


এদিকে আদিলার বান্ধবীরা সুন্দর করে তাকে  থাকে সাজিয়ে 


আর অন্য পাশে বেলকনিতে দাড়িয়ে থেকে একটি ছেলে আকাশের দিকে তাকিয়ে চখের পানি ফেলছে আর তার অতিত নিয়ে  ভাবতেছে 

ছেলেটি আর কেউ না এই গল্পের নাইক ((আরিয়ান আহমেদ শুভ)))


এই ছেলে এভাবে গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছো কেন যাও তোমার কাজে যাও 

অনেক ক্ষন ধরে দাড়িয়ে থাকতে দেখে লোকটি বলল


ছেলেটি/// দৌড়ে এসে লোকটির পা জড়িয়ে ধরে সার আপনাকে দেখে মনে হচ্ছে আপনি অনের বড় লোক মানুষ আমাকে একটি কাজ দিবেন আজ দুই ধরে কিছু খাইনি 


লোকটি // পা ছেড়ে উঠো 

অতপর ছেলেটি উঠে দাড়াই 

লোকটি // আসো তোমাকে আগে কিছু খাওয়ায় তার পরে দিব কাজ


লোকটি// চল আমার সাথে 

অতপর ছেলেটি লোকটির সাথে চলতে থাকে


কিছুখন পর লোকটি তাকে ভালো একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে যাই 


লোকটি // তোমার যা ইচ্ছা তা খাও 

তারপর ছেলেটি তার পছন্দের খাবার খায়


লোকটি// এখন বলো তোমার নাম কি 


ছেলেটি// আরিয়ান আহমেদ শুভ 


লোকটি// তোমার বাসা কোথাই  তোমার বাবা মা কি করে 


শুভ// আমার বাসা কোথাই আমি জানি না

আমি এতদিন একটা এতিমখানায় থাকতাম  সেখান কার দাদু আমাকে বলেছে আমার বাবা মা নাকি একসিডেন্ট

করে মারা গেছে তখন গ্রামের লোক ঐ খানে রেখেগেছে 

আমি এতদিন সেখানেই ছিলাম আজ দুইদিন ধরে সেখান থেকে এসে পরেছি 


লোকটি// কেন আসছো ?? 


শুভ// সেখানে আগে যে দাদু ছিল সে আমাকে অনেক আদর করতো কিন্তু দাদু মারা যাওয়ার পর আরেক টা আসছে সে আমাকে অনেক কষ্ট দিত মারতো তাই সেগুলো সহ্য করতে না পেরে পালিয়ে আসছি 


লোকটি// আচ্ছা চল তাহলে আমার সাথে আমার বাড়িতে তোমাকে কাজ দেব 


পরে লোকটি তাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাই 


অতপর শুভকে দেখা মাত্রই  আদিলা বলে উঠে বাবা এই টুকাই কে কই থেকে নিয়ে আসলে যাক ভালোই করছো আমার জুতা কালি করে দিতে পারবে বাগানে পানি দিতে পারবে মোট কথা কাজের লোক হয়ে থাকতে পারবে


লোকটি তথা আদিলার বাবা আমজাদ খান ধমক দিয়ে 


তোমার সবে মাত্র ৮ বছর আর এই বয়সেই এত অহংকারি হয়ে গেছো জানিনা বড় হলে কি হবে 

আর শুন আজ থেকে একে তোমার ভাই মনে করবে 

আদিলা/// ওয়াক থু এই টুকাই কে আমি ভাই উয়া😤😤

এই বলে আদিলা সেখান থেকে চলে যাই


আমজাদ// তুমি কিছু মনে করো না 

মায়ের সাথে থাকতে থাকতে এমন হয়ে গেছে 


আজ থেকে তুমি এখানেই থাকবে আমার ছেলের মত হয়ে 

তোমার কোন কাজ নাই তুমি লেখা পড়া করবে অনেক বড় হবে 


শুভ// আচ্ছা আংকেল 


 আমজাদ/// তুমি কি লেখা পড়া করেছে


শুভ// আমি class four  পর্যন্ত পড়েছি


আমজাদ// তাহলে কাল তোমাকে আদিলার স্কুলে ভর্তি করে দেব সেখানে লেখাপরা করবে 


শুভ// আচ্ছা আংকেল


এরপর থেকে শুভ আদিলাদের বাড়িতে থাকা শুরু করে 


দিন যত যেতে থাকে তত আদিলা ও তার মা নানা প্রকার অত্যাচার করতে থাকে 


শুভ// সেগুলো সব সহ্য করে তাদের মাঝেই বড় হয়ে উঠে 


এর মাঝেই যখন  থেকে শুভ ভালোবাসা বুঝতে পারে তখন থেকেই শুভ আদিলাকে ভালোবাসতে শুরু করে 

আদিলা যতই তাকে কষ্ট দিত সে গুলো সে ভালোবাসা হিসেবেই নিত 


((আদিলা শুভর সাথে কেমন ব্যবহার করতো পরে তুলে ধরা হবে )))


আজ তার বিয়ে সেগুলো ভাবতেই তার চখের কোনাই পানি চলে আসে যে আজ থেকে আদিলাকে আর সে দেখতে পারবে না 

কাউকে সে বলতেও পারবেনা যে সে আদিলাকে ভালোবাসে 

কি ভাবেই বা বলবে যে আদিলাকে আমি ভালো বাসি কিছুই তো তার নেই সে যে এক অসাহায় গরিব 


এসব ভাবছে আর চখের পানি ফেলছে 

তখনই পিছন থেকে কে যেন তার গাড়ে হাত দেই


শুভ তখন পিছনে তাকিয়েয় চমকে উঠে ,,,,,,,, ,,,


চলবে,


আজ পর্বটা ছোট করে দিলাম সারা পেলে পরের পর্ব দিবো 


আশা করি আগের গল্পের থেকে এটি বেশি ভালো লাগবে 


পর্ব টি কেমন হয়েছে জানাবেন