#আমার_রুদ্রাণী
#লেখিকা : শুভ্রতা আনজুম শিখা
#part: 45
🍂🍂🍂
এক রাশ বিরক্তি নিয়ে মিটিং এ বসে আছে রুদ্র। সামনেই আয়মান প্রেজেন্টেশন দিচ্ছে কিন্তু তাতে বিন্দু মাত্র মনোযোগ নেই তার। বসে বসে শুধু মিটিং শেষ হওয়ার অপেক্ষা করছে সে। আপাতত মেহেরের ওপর তার বেশ রাগ লাগছে। সে আজ অফিসে আসবে না জানিয়েও দিয়েছিল। কিন্তু আসতেই হলো।
🍂সকালে 🍂
~ইম্পর্ট্যান্ট মিটিং থাকতেও আপনি অফিসে যাবেন না কেনো?
রুদ্র টিভির থেকে মনোযোগ সরিয়ে মেহেরের দিকে তাকালো। পুনরায় টিভিতে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে বললো,
ভালো লাগছে না, যাবো না।
মেহের তেতে উঠে বললো,
ফাজলামো করছেন! আমার প্রেগনেন্সির খবর পেয়েছেন পর থেকে দেখছি আপনি অফিসে ঠিক মতো যেতে চাইছেন না। এভাবে করলে চলে!
রুদ্র টিভি বন্ধ করে মেহেরের দিকে ঘুরে বসলো। গাল ফুলিয়ে বললো,
তোমাকে এই অবস্থায় বাড়িতে একা রেখে যেতে মন চায় না মেহেরজান। তোমার ডেলিভারী এর ডেটও চলে আসছে। যদি দরকার পড়ে যায়? ডেলিভারি না হওয়া পর্যন্ত আমি কোথাও যাচ্ছি না।
মেহের দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো। রুদ্রর গালে হাত ঠেকিয়ে বললো,
আমার কিছু হবে না রুদ্র। আপনি প্লীজ আমার জন্য এভাবে কাজ ফেলে রাখবেন না। এমনিও আমি বাড়িতে একা না। মামনি, বাবা, দিয়া, স্নেহা তো আছেই। আবার আপনি অফিসে গেলে তীব্র ভাইয়াও বাড়িতে চলে আসে। কাব্য আহিল ও রোজ বিকেল হতেই দেখা করতে আসে। আপনি অযথা চিন্তা করবেন না। আমার কাছে সবাই ই আছে।
~সবাই থাকলেও আমি তো নেই। মেয়েদের কাছে পৃথিবীর সবার কাছে থাকা এক দিকে আর তার স্বামীর কাছে থাকা এক দিকে। এদিকে আমি থাকতে চাইছি আর তুমি ঠেলে দূরে পাঠাচ্ছে কেনো?
রুদ্রর গাল ফুলানো দেখে এবার বেশ হাসি পাচ্ছে মেহেরের। সত্যিকারের ভালোবাসা নাকি এ যুগে খুজে পাওয়া দুঃষ্কর তবে সে কি করে রুদ্রর মত পাগল প্রেমিক পেয়ে গেলো? রুদ্রর পাগলামি দেখে ভালো লাগলেও ডেলিভারি এর কথা মনে হলে তার মনেও খুব ভয় হয়। যদি তার কিছু হয়ে যায়? মেহের নিজের মনকে বুঝালো এমন কিছুই হবে না, সব ঠিক হবে। রুদ্রকে অনেক বুঝিয়ে অবশেষে অফিসে পাঠাতে সক্ষম হলো মেহের।
🍂বর্তমানে🍂
মিটিং এর মাঝে রুদ্রর ফোনটি বেজে উঠায় সকলেই তার দিকে তাকালো। মিটিং এর সময় সবার ফোন সাইলেন্ট রাখতে হবে এটা রুদ্রর ই বলা নিয়ম আর আজ সে নিজেই এই নিয়ম ভঙ্গ করছে! বেশ ভাবার বিষয়! রুদ্র দেখলো স্ক্রিনে তীব্রর নাম জ্বলজ্বল করছে। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে সকলের উদ্দেশ্যে বললো,
সরি এভরিওয়ান, আজকের মিটিংটা এখানেই শেষ করা লাগছে। খুব শীঘ্রই মি. হাসান আপনাদের মিটিংয়ের নেক্সট ডেট জানিয়ে দিবে।
রুদ্রর কথায় সকলেই চুপচাপ রুম থেকে বিদায় নিলো। রুদ্র কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে তীব্রর তটস্থ কণ্ঠস্বর,
রুদ্র! রুদ্র জলদি আয়মানকে নিয়ে হাসপাতালে আয়। আমরা মেহেরকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছি।
ওপাশ থেকে মেহেরের চিৎকার, আর্তনাদ স্পষ্ট শুনতে পেলো রুদ্র। রুদ্রর বুক ধকধক করছে। প্রিয় মানুষটাকে হারানোর ভয় জেকে ধরছে। এই মুহূর্তে মেহের হয়তো নিজের পাশে তাকেই খুঁজছে। রুদ্র আয়মানকে নিয়ে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলো।
________________________________
হাসপাতালে আসতেই তীব্রর কথা মত অপারেশন থ্রিয়েটারের কাছে এসে দাঁড়ালো রুদ্র। রুদ্রর চোখে মুখে ভয় স্পষ্ট। রুদ্রকে দেখতেই তীব্র এগিয়ে এলো। রুদ্রকে আশ্বাস দিয়ে বললো,
ভয় পাস না। মেহের আর বেবি দুজনেই সুস্থ হবে ইন শাহ্ আল্লাহ।
রুদ্র মাথা নেড়ে সায় জানালো। একজন নার্স এসে মেহেরের গার্ডিয়ানকে ডাকতেই রুদ্র দৌড়ে তার কাছে গেলো। রুদ্র মেহেরের অবস্থার কথা জিজ্ঞেস করলে নার্স জানালো,
আপনারা দ্রুত রক্তের ব্যবস্থা করুন।
মেহের আর আয়মান এর রক্ত এক গ্রুপের হওয়ায় আয়মানই রক্ত দিতে চলে গেলো। অন্যদিকে মেহেরের অবস্থা ক্রিটিক্যাল ভেবে নিয়েই রুদ্র থম মেরে দাড়িয়ে রইলো। তীব্র গিয়ে রুদ্রর কাধে হাত রাখতেই রুদ্র জ্ঞান হারিয়ে ঢলে পড়লো তীব্রর ওপর। হটাৎ এমন হওয়ায় তীব্র টাল সামলাতে না পেরে রুদ্রকে নিয়েই পড়লো পাশে থাকা চেয়ারের ওপর। তীব্রর অবস্থা এবার দেখার মতো। একদিকে বউ অপারেশন রুমে অন্যদিকে বউ এর টেনশনে বর বেহুঁশ। এদের কান্ড দেখে হাসবে না কাদবে বুঝে পাচ্ছে না তীব্র। অন্য দিকে দিয়া কান্না রেখে ফ্যালফ্যাল করে রুদ্রর দিকে চেয়ে আছে। এমনিই নাহয় ফাইজলামি করে বলতো রুদ্র বেহুঁশ হবে, জ্ঞান হারাবে তাই বলে সত্যি সত্যি! ঘণ্টা কয়েক পর রুদ্রর জ্ঞান ফিরলো। জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে হাসপাতালের বেড এ আবিষ্কার করে লাফ দিয়ে উঠে বসলো রুদ্র। সামনেই দিয়া আর আয়মান টাওয়ালে কিছু একটা পেঁচিয়ে কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছে আর রুদ্রর দিকে চেয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। আয়মানকে দেখতেই রুদ্র প্রশ্ন করলো,
আমার রুদ্রাণী কেমন আছে?
~আলহামদুলিল্লাহ্ সে এখন সুস্থ আছে। কেবিনে রেস্ট নিচ্ছে।
~আমাদের বাচ্চা? ও... ও কেমন আছে? ও সুস্থ আছে?
রুদ্রর প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আবারো মুচকি হাসলো আয়মান। আয়মানকে অকারণেই হাসতে দেখে রুদ্রর আপাতত মন চাইছে আয়মানকে এক লাথি মেরে সামনে থেকে বিদায় করতে। ধমকে বললো,
জবাব দিচ্ছিস না কেনো? আর হাসছিস কেনো? জবাব দে! আমিই যাচ্ছি ওদের সাথে দেখা করতে।
রুদ্রর ধমকে উঠতেই বাচ্চার কান্নার আওয়াজ কানে এলো রুদ্রর। মুহূর্তেই বুঝতে পারলো আয়মানের কোলে টাওয়াল পেঁচানো তারই সন্তান। আয়মান এগিয়ে এসে বাচ্চাটিকে রুদ্রর দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,
আপনার আর ভাবিমার ছেলে।
রুদ্রর চোখ ছল ছল করে উঠলো, কম্পনরত হাতে কোলে নিলো তার সন্তানকে। বাচ্চাটি রুদ্রর কোলে আসতেই কান্না থামিয়ে ফ্যালফ্যাল করে রুদ্রর দিকে চেয়ে রইলো। রুদ্র এক আঙ্গুল দিয়ে বাচ্চাটির গালে স্পর্শ করতেই সে খিল খিল করে হেসে উঠলো। বাচ্চাটি রুদ্রর আঙ্গুলটি তার ছোট্ট হাতে চেপে ধরলো। রুদ্র মুগ্ধ হয়ে চেয়ে রইলো তার সন্তানের দিকে। তার আর মেহেরের সন্তান, তাদের অস্তিত্ব।
~কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাবিমার জ্ঞান ফিরবে। আপনি যাবেন না?
রুদ্র ফট করে উঠে দাড়ালো। হাসি দিয়ে বললো,
যাবো না কেনো? অবশ্যই যাবো।
________________________________
মেহের বেড এ হেলান দিয়ে বসে আছে। সামনের সোফায় মেহরিশ, তিথি, আর মেহেরের নানি বসে আছে। মেহেরের নানি বেবিকে কোলে নিয়ে নানান কথা বলছে, আর তিথি আর মেহরিশ আড্ডায় মশগুল। অন্যদিকে মেহেরের পাশের সিটে রুদ্র বসে আছে আর তার পাশে দাড়িয়ে আয়মান ফোন টিপছে। মেহের প্রশ্ন করলো,
বেবির কানে আযান দেওয়া হয়েছে?
রুদ্র ঘাড় ঘুরিয়ে আয়মানের দিকে চোখ পিট পিট করে তাকালো। আয়মান ফোনেই দৃষ্টি স্থির রেখে ঠোঁট চেপে হাসছে। দিয়া ফল কাটতে কাটতে বললো,
আয়মান আর তীব্র ভাইয়া দুজনের মধ্যে কে আগে আযান দিবে তা নিয়ে ঠেলা ঠেলি করছিলো। শেষে বাবা ওনাদের ঠেলাঠেলি থামাতে নিজেই আযান দিলো। আযান দিতে না পারায় এই নিয়ে আরও টানা ১৫ মিনিট একে অপরকে খুঁচিয়েছে এরা।
দিয়ার কথা শুনে হাসলো মেহের। রুদ্রকে বললো,
আপনি আযান দিতে চাননি?
মেহেরের প্রশ্নে দিয়া ফিক করে হেসে দিলো। মেহের তাকাতেই দিয়া বললো,
ভাইয়া হুশ এ থাকলে না আযান দিবে। তোর রক্ত লাগবে শুনেই ভাইয়া জ্ঞান হারিয়েছে।
মেহের অবাক হয়ে তাকালো। রুদ্র মাথা নিচু করে বসে রইলো। রুদ্রর কোলে তাদের ছেলেকে দিয়ে বেরিয়ে এলো রুদ্র বাদে সকলেই। স্বামী স্ত্রী একান্ত কিছু সময় কাটাক, কথা বলুক।
~আমি আজ খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।
বাচ্চার গালে নিজের হাত ছুঁয়ে শান্ত কণ্ঠে বললো রুদ্র। মেহের চুপ করে ওদের দিকে চেয়ে রইলো। রুদ্র আবারো বললো,
আমরা আর বাবু নিবো না। প্রতিবার তোমার লাইফ রিস্ক নেওয়া দেখতে পারবো না আমি। এবারই মনে হচ্ছিলো জান হাতে নিয়ে ঘুরছি। পরবর্তীতে মরে না যাই।
মেহের রুদ্রর মুখ চেপে ধরে বললো,
ইশ! এসব কি কথা!
রুদ্র আলতো হাসলো। মেহেরের ললাটে অধর ছুঁইয়ে বললো,
ধন্যবাদ মেহেরজান। আমাকে জীবনের এতো সুন্দর একটা অনুভূতির সাথে পরিচিত করানোর জন্য।
মেহের হাসলো। রুদ্রর বুকে মাথা গুঁজে বসে রইলো অনেকক্ষণ। এই যেনো তার শান্তির স্থান, তার ভরসার স্থান।
🍂 আট বছর পর 🍂
সকলেই আড্ডায় ব্যস্ত। আজ মেহেরের আর রুদ্রর বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে পুরো পরিবার আর বন্ধুরা সকলে এক হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে সকলেই আড্ডা দিতে বসলো। আড্ডার মূল টপিক হচ্ছে তাদের অতীতের স্মৃতি। সময়ের সাথে সাথে পাল্টেছে অনেক কিছু। দিয়া আর আয়মানের সাড়ে চার বছরের মেয়ে আয়ানা। কাব্যর এখন বেশির ভাগ সময়ই কাজের ক্ষেত্রে দেশের বাহিরে থাকা হয়। নিজের প্রিয় পাত্রীকে ইতিমধ্যে বাড়িতে পরিচয় করিয়েছে সে। খুব শীঘ্রই হয়তো ওদের বিয়ে হবে। আর আহিল! সে বাবা মাকে এতো বছর পর কাছে পেয়েছে বলে বিদেশে স্কলারশিপ পেয়েও যায়নি। পড়ালেখা শেষে বর্তমানে বাবার ব্যবসায় ই সামলাচ্ছে সে। আহিলের পছন্দের মেয়ের সাথেই আগামী মাসে বিয়ে। স্নেহা আর তীব্র বড় ছেলে তাজওয়ার আর ছোট মেয়ে স্নিগ্ধাকে সুশিক্ষা কিভাবে প্রদান করা যায় তা নিয়ে চিন্তায় মগ্ন। মেহেরের নানা নানীর মৃত্যুর পর রুদ্র আর আহমেদ ভিলার সকলেই জোর করে মেহরিশকে তাদের সাথে আহমেদ ভিলায় নিয়ে আসেন। মিসেস তিথি, রেদোয়ান, আর মেহরিশ এখন গল্প গুজব আর নাতি নাতনীদের সাথে খেলাতেই দিন পার করেন। রুদ্র আর মেহের! রুদ্রর ভালোবাসা বিন্দুমাত্র কমেনি মেহেরের জন্য। তাদের ভালোবাসা যেনো সময়ের সাথেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে তো প্রতিদিন, প্রতিক্ষণে, বার বার প্রেমে পড়ে তার প্রেয়সীর। এতো বছর পরেও এখনো অপলক চেয়ে থাকে তার রুদ্রাণীর পানে। হৃদযন্ত্রটি যেনো বার বার চিৎকার করে বলে,
তুমি শুধুই #আমার_রুদ্রাণী।
________________________________
কোমড় এ হাত ঠেকিয়ে পেছনে ঘুরে দাঁড়াতেই একটা বাচ্চা মেয়ে ফোকলা দাতে হেসে বললো,
~লুদলাণী আনতি! তোমাতে থোতো তাততু দাকতে।
আয়ানার কথা শুনে ফিক করে হেসে উঠলো মেহের। আয়ানাকে কোলে নিয়ে ঘরে এসেই রুদ্রর উদ্দেশ্যে ক্ষিপ্ত কণ্ঠে বললো,
আপনাকে কতবার বলেছি ওদের আমাকে রুদ্রাণী ডাকতে বলবেন না!
রুদ্র ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে বললো,
আমি শিখিয়েছি? দেখলি রওনক তোর মা আমাকে কত বড় অপবাদ দিলো!
~নিজের মিথ্যায় আমার ছেলেকে সাক্ষী বানালে আজকে আপনার খবর আছে।
রওনক এগিয়ে গিয়ে মেহেরের সামনে দাড়ালো। মেহেরের মতো কোমড় এ হাত রেখে বললো,
এই পিচ্চির কথায় বিশ্বাস করো রুদ্রাণী আম্মু! এই পিচ্চি তো কি বলতে কি বলে ফেলে।
মেহের আয়ানাকে নামিয়ে রওনককে কাছে ডাকলো। রওনক কাছে যাবে না বললে মেহের চোখ গরম করে তাকায়। রওনক কাছে যেতেই তার কান টেনে বলে,
বজ্জাত ছেলে! বাবার মতো ফাজিল হয়েছিস! নিজে পিচ্চি হয়ে আরেকজনকে পিচ্চি বলিস।
রওনক কান ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো,
আহ! আম্মু! ও তো আমার থেকে সাড়ে তিন বছরের ছোট। তাহলে ও তো পিচ্চিইইইই!!!
~ইশ! কেমন দজ্জাল মহিলার মত চেপে ধরেছে আমাদের ছেলে! দেখো দেখছি! (রুদ্র)
মেহের চোখ গরম করে তাকাতেই রুদ্র ওদের হাতে দুটো চকলেট ধরিয়ে ওদের নিচে পাঠিয়ে দিলো রুদ্র। মেহের রাগান্বিত কণ্ঠে বললো,
আপনি ওদের রুদ্রাণী ডাকতে শিখাচ্ছেন কেনো!
~বাচ্চাদের মুখে তোমার এই নামটা শুনতে অনেক কিউট লাগে তাই।
রুদ্র মেহেরের কোমড়ে হাত ছোঁয়াতেই মেহের নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে করতে বললো,
কি করছেন কি! ছাড়ুন!
রুদ্র ছাড়লো না। আরেকটু কাছে টেনে বললো,
ভালোবাসি রুদ্রাণী।
মেহের লজ্জায় আড়ষ্ট হয়ে তাকালো রুদ্রর দিকে। রুদ্র মুচকি হাসলো। মেহেরের হাত ধরে বারান্দায় গিয়ে বসলো সেই প্রথম রাতের মতোই। আজও আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে। রুদ্র মেহেরের কাধে মাথা রেখে বসে রইলো দীর্ঘক্ষণ। লহুস্বরে ডেকে উঠলো,
রুদ্রাণী!
~হু?
~মাঝে মাঝে ভাবতেই অনেক ভালো লাগে এই তুমি পুরোটাই আমার, একান্তই আমার।
মেহের লজ্জায় চুপ করে রইলো। রুদ্র আবারও বললো,
ভালোবাসি।
মেহেরকে এবারও চুপ থাকতে দেখে রুদ্র বললো,
বলবে না কিছু?
~আমিও
~আমিও কি?
মেহের রুদ্রর বুকে মাথা রেখে বললো,
ভালোবাসি আমার রুদ্রকে।
মুহূর্তেই রুদ্রর ঠোঁটে এক বিস্তর হাসি ফুটে উঠলো। মেহেরকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললো,
ভালোবাসি রুদ্রাণী, #আমার_রুদ্রাণী।
~সমাপ্ত~
(ইয়ে!!! হ্যাপি এন্ডিং~~~ সম্পুর্ণ গল্পটা কেমন লেগেছে অবশ্যই জানাবেন। গঠনমূলক কমেন্টস করবেন। খুব শীঘ্রই নতুন গল্প নিয়ে ফিরবো ইন শাহ্ আল্লাহ। আমাকে আবার কেউ ভুলে যাবেন না। হ্যাপি রিডিং~)