গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ১৫

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_১৫

#লিখনিতে_Rodela_Islam


- হঠাৎ হাতের রিংটার  দিকে চোখ পরে তুলির। তুলি ভালোভাবে রিংটা দেখে একবার তারপর। তমালের দিকে তাকিয়ে দেখে তমাল মিটি মিটি হাসছে তুলি তমালকে প্রশ্ন করে 


- --তুলি:: আমার রিংটা কোথায় তমাল ভাই......??

- [ ] --তমাল:: তমাল তুলির হাতের দিকে তাকিয়ে বলে ) তুই কি চোখে দেছিস না তোর রিংটা তো তোর হাতেয় আছে। 

- [ ] --তুলি:: এটা আমার রিং না আর এটা আমার হাতে কি করে এলো.....?? 


- [ ] --তমাল:: সেটা আমাকে জিজ্ঞেস করছিস কেনো....?? 

- [ ] --তুলি:: কারণ আমি ভালো করেয় জানি তুমি আমার রিংটা নিয়েছো। 

- [ ] --তমাল:: তোর রিং দিয়ে আমি কি করবো 

- [ ] --তুলি:: রিংটা আমার খুব পছন্দের দিয়ে দাও না তমাল ভাই। ( কাদো কাদো মুখ করে )


--তমাল:: তোর হাতে তো রিং আছে একটা সেটা নিয়ে থাক না যেটা হারিয়ে  গিয়েছে সেটা নিয়ে না ভেবে। 

--তুলি:: দিয়ে দাও না ওটা আমায় আমি আর তোকামে জালাবো না সত্যি বলছি। 

--তমাল:: কি এমন আছে ওই রিংটায় যার জন্য কেদে এমন গঙ্গা যমুনা বানাছিস.....??


--তুলি:: (মনে মনে বলে আমি জানি এখন আমার আঙুল যে রিংটা আছে সেটা তুমি দিয়েছো কাল রাতে কিন্তু তুমি যেটা খুলে নিয়েছো সেটা যে তুমি আমাকে প্রথম গিফ্ট দিয়েছিলে সেটার সাথে আমার অনেক সৃতি জড়িয়ে আছে আমার কতো না বলা মনের কথা সবটার সাক্ষী ওই রিংটা ) 


--তমাল:: কি হলো বল.......?? 

--তুলি:: চোখ মুছে বলে ) আসলে এটা রাহাত আমাকে ভালোবেসে দিয়েছিলো ওটা তাই দিয়ে দাও না। 

--তমাল:: তোকে বলেছি না আমার সামনে ওর নাম নিবি না। 

--তুলি:: কেনো নিবো না ও আমার বর তাই আমার মুখে ওর নামটাই বেশি শুনতে হবে। 

তমাল খুব জোরে ব্রেক করে গাড়িটা। তুলি আর একটু হলে মাথায় ব্যাথা পেতো। 


--তমাল:: বেরিয়ে যা আমার গাড়ি থেকে। 

--তুলি:: কি.....

--তমাল:: বললাম গাড়ি থেকে নাম 

-তুলি গাড়ির বাইরে তাকিয়ে দেখে ভার্সিটির সামনে চলে এসেছে। তুলি গাড়ি থেকে নেমে তমালের দিকে আর না তাকিয়ে চলে যায়। 


------ক্লাস রুমে ------


তমাল পড়া বোঝাচ্ছে আর তুলি শিমু আর রুপার সাথে কিছু একটা নিয়ে কথা বলছিলো। তখন তমাল তুলির দিকে তাকিয়ে রাগিয়ে কন্ঠে বলে ওঠে 


--তমাল:: এই যে মিস তুলি আপনি কি এখানে গল্প করতে এসেছেন। 

--তুলি::~ সরি স্যার আসলে..... 

--তমাল:: আমি কোনো কথা শুনতে চাই না। এর পর কথা বলতে দেখলে বাইরে রোদের মধ্যে দাড় করিয়ে রাখবো। বলে তমাল আবার পড়ানো শুরু করে। 


রুপা :: তুলি স্যার কি এখনো তোর সাথে খারাপ ব্যাহার করে....??

--তুলি:: পরে সব বলবো তোদের এখন চুপ কর নাহলে বের করে দিবে ক্লাস থেকে। তুলির কথা সম্পূর্ণ করার আগেই তমাল এসে তুলির সামনে দাড়িয়ে বলে 


--তমাল:: তুলি রুপা আর শিমু তিন জনেই বাহিরে দিয়ে দাড়িয়ে থাকো। 

--তুলি:: কিন্তু স্যার 

--তমাল:: আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না তারাতাড়ি যাও ( রাগি স্বরে )


-তুলি আর কিছু বললো না মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকে তিন জনে 

--রুপা::~ ধুর বাবা কি হলো এটা..? 

--তুলি:: বেশ হয়েছে তোর জন্য এখন আমাকেও শাস্তি পেতে হচ্ছে। 

-শিমু::এখন শাস্তি যখন পেতেই হচ্ছে তখন বলতো কাল দেখা করতে আসবি বলেও আসলি কেনো। 


--তুলি:: আর বলিস না আমি তো আসার জন্য রেডি হয়েছিলাম কিন্তু হঠাৎ ঘুমিয়ে গিছে আর অবাক করার বিষয় হলো টানা ৫ ঘন্টা ঘুমিয়েছি। 

-রুপা:: কিইইইই....... চেচিয়ে বলে 

--তুলি:: আরে ষারের মতো চেচাচ্ছিস কেনো 

--রুপা:: তুই ভাবতে পারছিস তুই অসময়ে ৫ ঘন্টা ঘুমিয়েছিস বেপারটা সাভাবিক না। 


--তুলি:: আমিও ভেবেছি কিন্তু বুঝতে পারছি না। 

--শিমু::~ তুলি তুই কি কিছু খেয়েছিলি.....??

--তুলি:: হ্যা শুধু কফি খেয়ে......বাকি কথা বলার আগেই তুলি কিছু একটা ভেবে বলে ) তমাল ভাই 

-শিমু::স্যার এলো কোথা থেকে 

--তুলি:: আমার কাছে এখন সব পানওর মতো পরিষ্কার। এর মধ্যে ক্লাস শেষ করে বাইরে বেরি এসে তুলির পাশে দাড়িয়ে আস্তে আস্তে বলে ওঠে 


--তমাল:: এই শাস্তিটা তোর কথা বললার জন্য না এটা আমার সামনে বর বর করার জন্য এরপর আর এমন করবি না ভুলেও তাহলে তোকে অনেক বড় শাস্তি পেতে হবে আর তোর ওই বরের কি অবস্থা করবো তা তুই ভাবতেও পারবি না।  বলে নিচের চেম্বারের দিকে চলে যায়। 


--তুলি:: এতো কথা বলতে পারে কিন্তু ভালোবাসি কথা বলতে পারবে না। যেখানে একটা কথা বললেই সব সমস্যা সমাধান হয়ে যায় যেখানে এতো গুলো কথা বলবে কাজের কথা না বলে। উফফ বাদর একটা। 


তুলিরা সবাই ক্লাস শেষ করে মাঠে এক কোণায় বসে গল্প করছিলো তখন তমাল এসে তুলিকে বলে


--তমাল:: তুলি উঠ বাড়ি যেতে হবে। 

--তুলি:: তুমি চলে যায় আমি পরে যাবো। 

--তমাল:: তুই এখন যাবি আমার সাথে। বলে তুলির হাত ধরে উঠিয়ে নিয়ে যায়। 


------বাড়িতে------ 


তমাল বাড়ি এসে ফ্রেশ হয়ে বসতেই হঠাৎ সামনে থাকা টেবিলের উপর কাল তুলির রিংটা খুলে এনে রেখেছি হঠাৎ সেটা হাতে নেয় তমাল সেটা ভালোভাবে দেখতেই মনে পরে এটা তমাল তুলিকে দিয়েছিলো  


--তমাল:: এটা তো আমি দিয়েছিলা আরো তিন বছর আগে। তাহলে তুলি আমায় মিথ্যে বললো কেনো আর এই জন্যই এতো কষ্ট পাচ্ছিলো। কিন্তু তুলি আর বাড়ির লোক যে অন্যকিছু বললো। তমাল কিছু একটা ভাবে মনে মনে। তারপর রিংটাকে সযত্নে নিজের কাছে রেখে দেয়। 


দুদিন কেটে যায় তুলি তমালকে দেখিয়ে দেখিয়ে রাহাতের সাথে কথা বলে হাসে তমালকে ইগনোর করে চলে তা দেখে তমালের রাগ হয় প্রচুর কিন্তু কিছু বলতে পারে না। একদিন বিকেলে তমাল তুলির রুমে গিয়ে বলে


--তমাল:: তুলি নিচে চল তোর জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে। 

--তুলি:: আমার জন্য সারপ্রাইজ....?? 

--তমাল:: হুম অনেক বড় সারপ্রাইজ তারাতাড়ি চল। তমাল তুলিকে নিয়ে নিচে যায়। 

তুলি নিচে গিয়ে দেখে সবাই উপস্থিত যেখানে। 


( কি মনে হয় আপনাদের তমাল তুলিকে কি সারপ্রাইজ দিতে পারে ) গল্পটা ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট সেয়ার করবে। ধন্যবাদ। 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment