গল্প Crazy_for_you পর্ব ২৯

 #কঠোর_১৮+_এল্যার্ট।

#Crazy_for_you🦋

#পর্বঃ২৯

#অনামিকা_রহমান (লিখনিতে)


সুজন রিও র কথা শুনে মেহমেদকে চাটি মেরে বলল, দেখ তোর পাখিটাও বিয়ে করতে চায়, ওরেও একটা বিয়া দে, ওর বিয়াডাও খাই। বেচারা আর কত কাল একা থাকবে। 

এর মাঝেই এন্ট্রি হয় তন্ময়ের। তন্ময়ের কাধ হতে ব্যাগটা ছুড়ে মারে মেহমেদের শরীরে, " শালা তোরে তো মন চাইতাছে তাল গাছের লগে রশি দিয়ে আটকাইয়া আংকেলের মতো মাইর দিতে। চোখের পলকে কেমনে কি করলি ভাই। আমি তো বাপের কাছে তানজিলার কথা এখন অবধি বলতেই পারি নাই,কইতে গেলেই পা কাইপা ওঠে  "

মেহমেদ দাঁত বের করে হাসে, ব্যাগটা পাশে রেখেই জবাব দেয়, "তোর বাপেরে আমি কইছি তুই তানজিলার সাথে প্রেম করো, নে শালা এখন আমারে চুমা খা "

তন্ময়ের চোখ গোল গোল হলো মেহমেদের কথা শুনে। অতঃপর সুজনের গলা থেকে  শোনা গেলো, "ভাই তন্ময়! ও যে হারামীর হারামী। ও যা কিছু করতে পারে, তার চাইতে শোনো, আমরাও তাড়াতাড়ি বিয়ে কইরা ওরে দেখাইয়া দেই, আমরা ও বিয়ে করতে পারি।"


 সুজনের কথা শেষে আবারও রিও র কন্ঠ শোনা গেল," হো দেখাইয়া দিমু আমরাও বিয়ে করতে পারি। "

 

তারপর মেহমেদের দিকেই তাকালো তন্ময় আর সুজন, তন্ময় আর সুজনের তাকানো দেখেই মেহমেদ আবার হেসে ফেলল, তারপর দুজনেই মেহমেদর উপর হামলা করলো, অতঃপর বলে উঠল,

 "শালা নিজেও একটা ফাজিল, পাখিডারেও লেখাপড়া করাইয়া বানাইসছ ফাজিল। সিরিয়াস টাইমেও তুইও ঘাবলা মারছ, আর তুই কিছু না কইলে তোর পাখিডায় মারে। "

 

তারপর কক্ষে শোনা গেলো হু হা করে হাসার লাগাতার শব্দ। সেই হাসির প্রতিধ্বনি যেনো বারি খেতে থাকলো দেয়ালে। 

______


কমিনিউটি সেন্টারে বরের আসনে বসে আছে মেহমেদ। পুরো ভেন্যুতে মেহমান  গিজগিজ করছে। রিও মুরাদের কাধে বসে আছে।এই মাত্রই তারা এসেছে জুমার নামাজ  আদায় করে। কনে পক্ষের কেউ এখনও আসে নি। মেহমেদ তার শুভ্র বধুকে দেখার অপেক্ষায়। হাত ঘড়িতে সে আবার হাত বুলায়। আত্নীয় স্বজন একে একে এসে দেখা করে যাচ্ছে। এর মাঝেই মুরাদের কাধ থেকে রিও উড়ে গিয়ে মেহমেদের কাধে বসল। শেরোয়ানির কলারে ঠোট কামড়ে রিও মেহমেদ কে শুধালো,

 পরীই বস পরীই।

  অতঃপর সামনে তাকাতেই দেখলো হুরিজিয়ান ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে আসনে বসতে। মেহমেদ যেন নির্লজ্জের মতো যেনো তাকিয়ে রইল হুরের পানে। অতঃপর সাইকার তুড়ির শব্দেই মেহমেদ জ্ঞান আসলো বুঝি দেহে। তার পাশেই বসে আছে তার শুভ্র বধু। ফোটো সেশন হচ্ছে। ছবি তুলতে তুলতেই যেনো লজ্জা পেলো মেহমেদের কথায় হুর। কথাটা যেন ফিসফিস করে বলল মেহমেদ, মাথাটাই নষ্ট করে দিলে বউ। একদম চোখ ফেরাতে পারছি না। অতঃপর এমন টুকিটাকি কথা বলার মাঝেই সম্পন্ন হলো ফোটো সেশন। 

তারপর কাজি সাহেব আসতেই তাকে তার নির্দিষ্ট স্থানে বসানো হলো।  তারপর কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করলো। অতঃপর রেজিস্ট্রার পেপারে সই করলো হুর আর মেহমেদ। সই শেষ হতেই কাজি মেহমেদের উদ্দেশ্যে কবুল বলতে আহবান করতেই মেহমেদ কবুল বলল। তারপর কাজি হুরিজিয়ানকে ও কবুল করতে বলল, তারপর হুরিজিয়ান ও কাপাকাপা কন্ঠে কবুল বলল। 

কবুল ফরমালিটিস পালন শেষ হতেই মুরাদের কাধ থেকে রিও উড়ে গেলো মেহমেদের কাধে, তারপর তার কন্ঠে বার বার শোনা গেলো একটা কথা, "বস বলছে কবুল, পরী বলেছে কবুল,বিয়ে কমপ্লিট,বিয়ে কমপ্লিট "

রিও র  কথা শুনে সবাই হেসে উঠল। অতঃপর কাজি সাহেব সকলেকে শুধালেন, মোনাজাতে সামিল হতে। তারপর বিয়ে কার্যক্রম শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হলো। 


বিদায়ের পালা চলছে। হুরিজিয়ান তার বাবার বুকে মুখ গুজে কেদেই চলেছে। আয়শা বেগমকে হায়াত সামলাচ্ছে। বিষন্ন পরিবেশ। কবীর চৌধুরী ও কাদছে। ছোট মেয়েটা বুঝি কলিজা, তার বুকটা খালি করেই যেন হুর চলে যাবে অন্যের ঘরে। অতঃপর মেহমেদের কাছে আবদার করে বসলেন কবীর চৌধুরী, " আমার মেয়েটাকে আদরে রেখো বাবা, ওকে আমি হাতে করে বড় করেছি, কখনও কষ্ট দিও না। "


মেহমেদ কবীর চৌধুরীর চোখ মুছলেন, "একদম চিন্তা করবেন না, বাবা। হুরকে আমি যত্নেই রাখবো। এবার আমাদের বিদায় দিন।বিদায়ের সময় কাদতে নেই "

অতঃপর কনে পক্ষ হতে বিদায় দেওয়া হলো বরপক্ষকে। হুরকে কোলে তুলেই গাড়িতে বসল মেহমেদ। হুরিজিয়ান চুপটি করে বসে আছে। তার চোখে পানির রেখা এখনও দেখা যাচ্ছে। মেহমেদ কিছুই বলছে না। শুধু হুরের হাতটা নিজ হাতে আবদ্ধ করলো। তড়িৎ ছোয়ায় চাইলো হুর। মেহমেদ মৃদু হাসল, তারপর হুরের মাথাটা হেলিয়ে দিলো মেহমেদের কাধে। গাড়ি চলছে আপন গতিতে। পৌছানোর ঠিকানা চৌধুরী প্যালেসে। 

_____

বর পক্ষের বাড়িতে মানুষের আনাগোনা। সকলে এসেছে নতুন বউকে দেখতে। পরিবার-পরিজনদের সাথে ইতোমধ্যে হুরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিচয় পর্ব শেষ হতেই মুনিবা বেগম সাইকাকে যেনো আদেশ করলো হুরকে মেহমেদের কক্ষে এগিয়ে দিতে। সাইকা মাথা দুলালো। চলল হুরকে নিয়ে কক্ষে। কক্ষে পৌছোতেই মুনিবা বেগম আসলেন হাতে কিছু বক্স নিয়ে। ততক্ষণে হুর বিছানায় বসেছে। মুনিবা বেগম হুরের গালে হাত বুলিয়ে বলল, মাশাল্লাহ, আমার ঘরের পরী। হুর ও হাসলো হাত টেনে বসালো নিজ শাশুড়িকে। অত:পর বক্স গুলো খুলল, সাথে সাইকাও সহযোগীতা করল, গহনা গুলোয় হালকা হাত বুলালো হুরিজিয়ান। হেসেই জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতেই হুর বলল, এইগুলা কার আম্মু? 

মুনিবা হাসল, "তোমার, হ্যা তোমার ভাগেরটা বুঝিয়ে দিতে আসলাম। "


মুনিবা বেগমের কথা শেষ হতেই মুরাদের কণ্ঠ শোনা গেলো, "আমার বউয়ের ভাগের ডা কই। "

মুনিবা বেগম কান টানলেন মুরাদের, বলে উঠলেন, এই ফাজিল! তুই এখানে কি করিস। 


মুরাদ খিলখিল করে হাসলো,বেয়াইন ভাবির সাথে একটু সাক্ষাত করতে আসলাম আরকি। 

মুরাদের কথা শুনে হেসে উঠল হুর আর সাইকা। 

অতঃপর মুনিবা বেগমের ডাক পড়তেই জায়গা ছেড়ে উঠলেন। সাইকাকে সবটা বুঝিয়ে দিয়ে। 

তারপর হুরের সাথে সাইকা আর মুরাদ আড্ডা দিতে দিতেই তারা বুঝতে পারলো মেহমেদ কক্ষে আসছে। মুরাদ যেনো আলমেরীতে ডুকে পড়লো, সাইকা লুকালো পর্দার পেছনে। 

হুরিজিয়ান সাইকা আর মুরাদের লুকানো দেখে হাসতে চাইলেও যেনো হাসতে পারে না। 

সে চোখ নিচু করেই বসে। 

অতঃপর মেহমেদ কক্ষে ঢুকেই একবার অবোলকন বলে উঠল, "সাইকা পর্দার পেছন থেকে বের হো, এ মুরাদ আলমেরী দিয়ে বের হো। আমি যদি বের করি একটাও আস্ত থাকবি না। "

কোনো উপায় না পেয়ে বের হলো দুজন, তাদের মুখে ফুটে উঠল দুষ্টু হাসি। সাইকা মেহমেদকে শুধালো, কেমনে বুঝলা ভাই আমরা এইখানে।

মেহমেদ বিছানা বসে জবাব দিলো," যে লেহেঙ্গা পড়ছস, পর্দার পেছনে না লুকাইয়া বিশাল পাহাড়ের পেছনে লুকালেও তোরে খুইজা পাবে। "

"আচ্ছা বুঝলাম, তাহলে মুরাদকে পাইলা কেমনে বলো বলো? "

"ওর পাঞ্জাবি বের হয়েছিল। এখন যাতো তোরা।আমি ক্লান্ত।  "

 তারপর দুজনেই মেহমেদের সামনে এসে হাত পেতেই বলল, ভাই আমাদের ভাগের টা বুঝাইয়া দেও, আমরা যাইগা, থাকলাম না এখানে "

 মেহমেদ দুজনকে ধরেই যেনো কক্ষের বাইরে বের করলো, কাল হুরের কাছ থেকে বুইঝা নিস। এখন মাফ কর। 

 কথাটা শেষেই কক্ষের দরজা বন্ধ হলো। কিন্তু সাইকা আর মুরাদ বসে থাকলো না। দৌড়ে গেলো মুরাদের কক্ষের বারান্দায়। তার পাশের বারান্দা মেহমেদের। অতঃপর সেখানে গিয়েই হাড়ি পাতলো দুজন। 

 ওদিকে মেহমেদ মুচকি হেসেই হুরের নিকট আগালো। হুর এখন ও নিচু হয়ে বসে আছে। 

 তার খুব লজ্জা করছে। মেহমেদের ডাকেই চোখ তুলে তাকালো হুর। 

 

 "মাশাল্লাহ আমার পরীটা"

 

 "কে পরী? "

 

 "কে আবার আমার বউ।"

 

 "তাই"

 

 হুম উত্তর দিয়ে মেহমেদ নিজ শেরোয়ানীর পকেটে হাত চালালো, অতঃপর বের করলো একটা বক্স। বক্সটা খুলে বের করলো একটা সোনার লকেট সহ চেন। হুরকে ইশারা করতেই হাত বাড়িয়ে নিলো হুর। 

 

 "অনেক সুন্দর "

 

 "আর তুমি আমার কাছে সবচাইতে সুন্দর, আমি ফ্রেশ হয়ে বের হই, তুমি ততক্ষণে গয়না খুলতে থাকো, আমি বের হলেই, তুমি নাহয় ফ্রেশ হতে যাবে।  এতো বারি কাপড় আর পড়তে হবে না। আমি আলমেরীর তাকে তোমার জন্য সব কিনে রেখেছি। "

হুর যেন হাফ ছেড়ে বাচলো ২০ কেজির লেহেঙ্গাটা যেন শরীর থেকে বোধহয় নামবে। 

হুরিজিয়ান বিছানায় বসেই গহনা খুলতে লাগলো, আর মেহমেদ চলে গেলো ওয়াশরুমে। হুরিজিয়ান দোপাট্টা খুলে রাখলো পাশে। তারপর হাত ভরা চুড়ি গুলো খুলতে লাগলো । কয়েক গাছি চুড়ি খুলে আর চুড়ি খুলতে পারলো না হুর। ওদিকে চুড়ি না খুলতে পারলে গলা থেকেও গহনা খুলতে পারছে না৷ 

চুড়ি পড়ার সময় এতো ঝামেলা তো হয় নি। হায়াতই তাকে পড়িয়ে দিয়েছে। না কিছু করতে পেরে বসে রইল হুর। এর মাঝেই মেহমেদ বের হলো। হুরিজিয়ানকে সেই আগের মতো দেখতে পেয়েই শুধালো, কি হয়েছে? 

হুরিজিয়ান দিশেহারা হয়েই বলল, চুড়ি খুলতে পারছি না। 

মেহমেদ টাওয়ালটা নিজ ঘাড়ে রাখল। অতঃপর এগিয়ে গেলো হুরের নিকট। তারপর এক হাতের চুড়ি খুলে দিয়েই ব্যথায় আর্তনাদ করে উঠল হুর ,

" ব্যথা লাগছে মেহমেদ "


"চুপ করো"


তারপর আরেক হাতের চুড়ি খোলা শেষ হতেই শোনা গেলো রিও র কন্ঠ, 

"আহা, আহা,ব্যথা লাগছে মেহমেদ ! চুপ করো। ব্যথা লাগছে মেহমেদ ! চুপ করো। "


বাক্যটা যেন পুরো রুমময় জুড়েই ওড়াওড়ি করে বলতে লাগলো রিও। 

তখনই যেনো হুরিজিয়ান লজ্জায় মাটি ছিড়ে ঢুকে পড়ে। মেহমেদ ও খুব লজ্জা পেল।

এই কথা যদি শোনে কেউ কি না লজ্জায় পড়তে হবে। তড়িৎ উঠে দাড়ালো মেহমেদ এবং ডাকলো রিও কে। রিও কে ডাকতেই ওড়ে এসে বসল মেহমেদের হাতের বাহুতে। তাড়াতাড়ি বারান্দায় গিয়ে খাচায় ডুকালো রিও কে। তখনও রিও একই কথা বলে যাচ্ছে। মেহমেদ রিওকে ধমক দিলো, 

"চুপ একদম"

রিও ও জবাব দিলো, "ওকে ব্রো। কাম ডাউন "

মেহমেদ চলে গেলো, কিন্তু অন্য বারান্দায় থাকা সাইকা হেসেই মুরাদকে বলে উঠল," ভাই তো প্রথম রাতেই ছক্কা মাইরা দিলো, তুমি কি জীবনে করলা মুরাদ। "

মুরাদ ও সাইকাকে বারান্দায় রেলিং এ আবদ্ধ করলো এবং শুধালো, "তুমি রেডি থাকো, আমিও প্রথম রাতেই ছক্কা মারবো।"

 

কথাটা শুনতেই লজ্জায় মুখ ডাকলো সাইকা। মুরাদকে ঠেলেই পালাল মুরাদের রুম থেকে। 

তারপর মুরাদ ও ফ্রেশ হতে গেলো নিজ কক্ষে। 

ওদিকে মেহমেদ বারান্দায় দরজা আটকে রুমে ঢুকতেই চোখ ছানা-বোড়া হলো। হুর ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসেই গহনা খুলে রেখেছে। চুলের খোপাটা খুলতেই বাজ ভেঙে চুল গুলো হাটু ছুই ছুই হলো। স্লিং ফ্যানের বাতাসে চুল গুলো উড়ে গিয়ে দেখা যাচ্ছে উন্মুক্ত পিঠ। মেহমেদ নিজেকে আর সামলাতে পারলো না। ধীর পায়ে এগিয়ে গেলো হুরের কাছে, অতঃপর  আঙুল দিয়ে চুল সরিয়ে চুমু খেলো হুরের উন্মুক্ত পিঠে। পুরুষালি ছোয়ায় সারা শরীর জুড়ে বয়ে গেলো এক শীতল স্রোত। জেগে উঠল হুরের লোমকূপ। চোখ বন্ধ হয়ে আসলো অনায়াসে। তারপর মেহমেদ হুরের কোমড়ে আলতো হাতে স্লাইড করে নিজের দিকে ফেরালো। ফেরাতে গিয়েই ড্রেসিং টেবিলের রাখা চুড়ি গুলো হাত লেগে পড়ে গেলো, সে দিকে মেহমেদের কোনো খেয়ালই নেই। হুরের যৌবনপৃষ্ট ওঠানামা করছে। তার সে সাহস নেই মেহমেদের দিকে তাকানোর, লজ্জায় সে আরো চোখ খিচে রাখে। কিন্তু সে কাপা কন্ঠে শুধায়, "মেহমেদ আমি প্রস্তুত নই, আমায় একটু সময় দাও "

কিন্তু উম্মাদ মেহমেদ। সে তো নেশায় পড়েছে। সে হুরের চুলে হাত চালায়,নেশাক্ত গলায় বলে ওঠে -

"অনেক সময় দিয়েছি, আর পারবো না। আই ওয়ানা ইউ রাইট নাও,দিস মোমেন্ট।এন্ড আই উইল টর্চার ইউ উইথ লাভ,ইউ উইল বেয়ার ইট। "

অতঃপর মেহমেদ হুরের অধর ছুয়ে দেয়। মেহমেদের ছোয়া সহ্য করতেই যেনো মেয়েটা মেহমেদের টিশার্ট খামচে ধরে। ক্ষনিক সময় যেতেই মেহমেদ হুরের অধর থেকে নিজ অধর আলাদা করে। অতঃপর হুরের ঘাড়ে অধর ছুয়ে দিতেই  হুরিজিয়ান শ্বাসরত অবস্থায় কাপা কাপা  কন্ঠেই শুধায়, "মেহমেদ নিজেকে কন্ট্রোল করো "

মেহমেদ হুরের ঘাড় হতে নিজ মুখ তোলে, নেশাক্ত মাখা কন্ঠেই জবাব দেয়, কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলেছি হুর, আমাকে সামলে নেও!

তারপর আবারো অধর ছুয়ে দেয় মেহমেদ। টাল সামলাতে না পেরে হুরিজিয়ান দেয়ালে আবদ্ধ হয়।হুরের ঘাড়ে চুম্বন করতে করতেই মেহমেদ কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলে হুরের দেহ থেকে পোশাক আলাদা করে। মেয়েটা মেহমেদের ছোয়ায় জর্জরিত হয়। তার নিঃশ্বাস কক্ষের দেয়ালে বুঝি বারি খায়। অতঃপর পাজাকোলে তুলে বিছানা ফেলে হুরকে। তখনও লজ্জায় চোখ বন্ধ করে রাখে হুর। তারপর মেহমেদ হুরের নাকে হাত ছুয়ে দিয়ে কর্নে বলে উঠল, নাউ স্টার্ট বেইব। মেহমেদের গভির ছোয়া পেয়েই যেন খামচে ধরে বিছানার চাদর। হুরের জীবনে শুরু হয় কন্ট্রোললেস মেহমেদকে সহ্য করার অধ্যায়। শুরু হয় দুই কপোত-কপোতীর একান্ত নিজের করে গ্রহণ করার অধ্যায়। 

~চলবে। 


0 Comments:

Post a Comment