#Crazy_for_you🦋
#পর্বঃ৩০
#অনামিকা_রহমান (লিখনিতে)
(প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)
মধ্যরাত।
চারপাশ নিরব। কক্ষে ডিম লাইট জ্বলছে। হাওয়ায় মৃদু কাপছে শ্বেত বর্নের পর্দা গুলো। শোনা যাচ্ছে বার বার নিঃশ্বাস ফেলার শব্দ। কক্ষে জ্বালানো ডিম লাইটের আলোয় মোটামুটি চারপাশ আংশিক দেখা যায়। ল্যাম্প লাইটটা আচানাক জ্বলে উঠল। সেই আলো হুরের মুখে পড়তেই মুখ ঢাকল হুরিজিয়ান। তার দেহের উপরিভাগেই মেহমেদ ঝুকে আছে। মেহমেদ ও হুরের নগ্ন দেহ আবৃত চাদরে। মেহমেদ হাসে, হুরকে শুধায়, "কি হলো মুখ ঢেকে আছো কেনো?
হুরের যৌবনপৃষ্ট ওঠানামা করে, ভারি শ্বাস ফেলার কারণে , মেহমেদের কথায় লজ্জিত কণ্ঠে জবাব দেয়, " লজ্জা করছে, আমি তোমার দিকে তাকাতে পারছি না। ছিঃ কিসব করলে কিছুক্ষন আগে "
মেহমেদ ঠোঁট কামড়ে হাসে, নরম গলায় জবাব দেয়,"জান তাকাও বলছি, লুক এ্যাট মি জান। কিছুক্ষন আগেই তো লজ্জা ভেঙে দিয়েছি। "
তবুও হুর মুখে হাত দিয়ে আছে।
এবার যেন মেহমেদ হুরের কর্নে ফিসফিস করে বলল, আই লাইক ইট।
কথাটা হুরের কর্ণগুহরে যেতেই হুর বুঝতে পারলো সে শূন্য ভাসছে। টাল সামলাতে সে না পেরে মেহমেদকে জোড়োসড়ো হয়ে আকড়ে ধরে।তখনও হুর চোখ বন্ধ করে আছে। মেহমেদ হুরের পাতায় চুমু খায়। অতঃপর ব্যাপার টা বোঝার জন্যই চোখ মেলে হুর। মেহমেদ তাকে নিয়ে ওয়াশ রুমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। মেহমেদ হুরিজিয়ানকে ওয়াশ রুমে নিয়ে দাড় করায়। ওয়াশরুম লক করেই উড়ু চুমু খায় হুরকে। ঝর্নার নব খুলে দিয়েই মেহমেদের একটাই কথা যায়, লেটস স্টার্ট বেইব। তোমার লজ্জাটা না হয় আবার ভাঙা যাক।
.
.
বিবাহের রেশ কেটে গিয়ে প্রায় দু ১মাস কেটে গেলো। মেহমেদ ও জয়েন হয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট পদে। ওদিকে হুরের এক্সাম শেষের পথে। তানজিলার সাথে এর মাঝেই তন্ময়ের বাগদান হয়েছে। তাদের সামনের মাসেই বিয়ে। সময় ও চলে যাচ্ছে দ্রুত।
এর মাঝেই আকস্মিক ভাবে জানাজানি হলো মুরাদ ও সাইকার প্রেমের কথা। সেই সিচুয়েশনে সামলাতেই আজ বাসায় হুরকে রেখেই সকলে গিয়েছে সাইকাদের বাসায়,সাথে মুরাদ ও। হুরিজিয়ান ঘড়ির পানে চাইলো, মেহমেদের আসার টাইম হয়ে এসেছে। সন্ধ্যার নাশতা বানাতে ব্যস্থ হুর।আজকাল মেহমেদ যেনো কাজের চাপে দিশেহারা। হুরের মাঝে একদম সময় দিতে পারে না।
মেহমেদের ব্যস্ততা নিজ চোখে দেখে হুর। মানুষটার ব্যস্ততা দেখে হুর ও কিছু বলে না।
ভাবনার ঘোর কাটে হুরের দারোয়ানের গেট খোলার শব্দ পেয়েই।তারপর হুরিজিয়ান সদর দরজা খুলে দাড়িয়ে থাকে মেহমেদের জন্য। মেহমেদ ক্লান্ত মুখেই হুরকে দেখে নির্লিপ্ত হাসি হাসে। সে বলে ওঠে,
ঘেমে আছ কেনো বউ? বাসার সবাই কোথায়?
হুরিজিয়ান মেহমেদের হাতে লেবুর শরবত দিয়ে জবাব দেয়, ফুফুর বাসায় গিয়েছে। তারপর সব খুলে বলে মুরাদ সাইকার ব্যাপারে। অতঃপর হুর মেহমেদের কাপড় বের করে, যেনো অনুরোধ করে ফ্রেশ হয়ে বের হওয়ার জন্য।
হুর চলে আসে রান্না ঘরে। তার সন্ধ্যার নাশতা রেডি হয়েছে। ট্রেতে নাশতা সাজাতে সাজাতে যেনো মনে হলো তার কোমড়ে ঠান্ডা কিছুর অনুভব হলো, সে বুঝতে পারলো মেহমেদ তার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে।
"মেহমেদ ট্রেটা নিতে দাও "
মেহমেদের হুরের কথায় কর্নপাত করে না। কোলে তুলে নেয় হুরকে। কক্ষে গিয়ে হুরকে আবদ্ধ করে মেহমেদ। আলতো করে চুমু খায় হুরের গোলাপি অধরে। যেনো ঊন্মাদের মতো ছুয়ে দেয় হুরকে। হুরিজিয়ান ও শায় দেয়। ক্ষনিক সময় যেতেই যেনো লাগাতার কল বেজে ওঠে হুরিজিয়ানের ফোনে। কিন্তু মেহমেদ মত্ত থাকে তার হুরের মাঝে।
কিন্তু লাগামহীন হুরের ফোনে কল বাজতে থাকলেই মেহমেদের মনযোগ নষ্ট হয়। রাগে কিরমির করে ওঠে সে। হুরের ফোনটা হাতে রেখেই দেখে আননোন নাম্বার। সে ক্রুর দৃষ্টিতে তাকায় অর্ধনগ্ন হুরের পানে। হুরিজিয়ান শুকনো ঢোক গিলে।
কল রিসিভ হয়, অতঃপর ওপাশ হতে শোনা যায় পুরুষালি কন্ঠ। সেই কন্ঠে এও শোনা যায়, "হুর, আমার বেবিগার্ল তুমি কই, আমি তো তোমার জন্য কতক্ষন ধরে ওয়েট করে আছি। কি হলো কথা বলছ না কেন। নাকি নতুন বিয়ে করেছ বলে আমার সাথে ছিনিমিনি খেলছ। তোমায় আমি ছাড়বো না। প্লিজ সোনা, একবার কথা বল "
মেহমেদ কলটা কেটে দিয়ে সিংহের গর্জন তুলেই যেন হুরের নিকটে যায়, হঠাৎ আক্রমণে হুরের দেহ বিছানায় নেতিয়ে পড়ে। মেহমান অত্যাধিক রাগে ফুসে উঠেছে, হুরের গলা চেপে ধরে সে চেচায়,
"ছেলেটা কে বলো, আমার আগে তুমি কয়টা ছেলের সাথে প্রেম করেছো বলো, কি করে সাহস হলো তোমার।নাকি সময় দিতে পারছি না দেখে, অন্য কেউকে খুজে নিয়েছ, কবে থেকে হচ্ছে এসব। "
হুরিজিয়ান কাতরায়। কাতরানো দেখে মেহমেদ গলা ছাড়ে হুরের। হুর কেশে ওঠে। সে কেদেই বলে," প্লিজ বিশ্বাস করো মেহমেদ। আমি জানি না কে। আমি শুধু তোমায় ভালোবাসি, তোমায় ছাড়া আমি অন্যকাউকে কখনও ভাবতেই পারি না,আমি সত্যিই জানি এই ছেলেটা কে। "
মেহমেদের কপালের রগ ফুলে উঠেছে। সে কিছুতেই তার মনকে বোঝাতে পারলো না। ১ সপ্তাহ পর সে কাজের সাময়িক চাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। দুদিন সরকারি ছুটি থাকায় সে হুরের সাথে সময় কাটাবে বলে বহু প্লান করেছিল। সেইসব প্লান যেনো চোখের পলকে ধুলিৎসাত হয়ে গেলো।
অতঃপর.....
~চলবে।
0 Comments:
Post a Comment