গল্প Crazy_for_you পর্ব ৩১ সমাপ্ত

 #Crazy_for_you🦋

#অন্তিম_পর্ব।

#অনামিকা_রহমান(লিখনিতে)


(প্রাপ্তবয়স্ক ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত) 


মেহমেদের কপালের রগ ফুলে উঠেছে। সে কিছুতেই তার মনকে বোঝাতে পারলো না। ১ সপ্তাহ পর সে কাজের সাময়িক চাপ থেকে মুক্তি পেয়েছে। দুদিন সরকারি ছুটি থাকায় সে হুরের সাথে সময় কাটাবে বলে বহু প্লান করেছিল। সেইসব প্লান যেনো চোখের পলকে ধুলিৎসাত হয়ে গেলো। 

অতঃপর মেহমেদ টাওয়াল টা নিয়েই ওয়াশরুমে চলে গেলো। 

হুরিজিয়ান কাঁদতে কাঁদতেই চোখের পানি মুছে। অঙ্গে জড়ায় কাপড়, মনে একরাশ কষ্ট নিয়েই কক্ষ ত্যাগ করে সে। সে পা ফেলে ফিরে আসে রান্না ঘরে।খাবারের ট্রেটা নিয়ে তারপর আবার হেটে চলে রুমে রেখে আসতে। তখনও মেহমেদ ওয়াশরুম থেকে বের 

হয়নি। সে আজ খুব কষ্ট পেয়েছে, সে তো কিছু করে নি। মেহমেদের বোঝা উচিত ছিল। নাহ মেহমেদ বেরোলে তাঁকে সে বুঝাবে।সেই ভেবেই হুরিজিয়ান বসে রইল। তারপর মেহমেদ বের হতেই হুরিজিয়ান মেহমেদের সামনে দাড়ালো, মেহমেদ গম্ভির কন্ঠে বলে উঠল,

" কি সমস্যা, এভাবে দাড়িয়ে আছো কেন?"


 "মেহমেদ বিশ্বাস করো, আমি কিছু করিনি। হয়তো কেউ মজা করেছে। একটু বোঝার চেষ্টা করো।"


 মেহমেদের তরফ থেকে শুধু একটা কথাই

বের হয়,

 "তোমার কোনো কথাই আমি শুনতে চাই না, আমায়

একা থাকতে দেও, লিভ মি এলন। "


কথাটা হুরের কানে যেতেই হুর আবারো নিরবে কেঁদে ওঠে। তবে মুখ থেকে আর কোনো কথা উচ্চারন করে না। সে রুম থেকে বের হয়। সে আবার রান্না ঘরে পা বাড়ায়। সব অবলোকন করে দেখতে পায় রাতের রান্না করা আছে। হুরিজিয়ান দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে ঘড়ির পানে চোখ বুলিয়ে দেখে ৭.৫০, বেজেছে। তাকে

রুমে যেতে বারন করেছে মেহমেদ, এখন হুর কি করবে।


কথাটা মনে পড়তেই হুরের মনে জেদ চেপে বসে সে ওই রুমে আর কখনই ঢুকবে না। অতঃপর বসার ঘরে গিয়ে সে টিভি অন করে সময় কাটাতে চায় কিন্তু পারে

না! মনে নানা কথা ভাসতে থাকে, অনেকদিন পর মেহমেদ তার খুব কাছে এসেছে। কিন্তু পুরোপুরি যেন আসলো না। ভাগ্যের কি পরিহাস। 


তারপর সেই কথা ভেবেই আবার  কেঁদে ওঠে হুর । কিন্তু কান্নার শব্দ কেউ শুনতে পায় না। টিভির আওয়াজ তার কান্নাকে শুনতে দেন না। ক্ষানিক ক্ষনের মধ্যেই হুর ঘুমের ঘোড়ে আছন্ন হয় দুঃখকে আগলে ধরে। ওদিকে মেহমেদের গলা দিয়ে কোনো খাবার নামছে না। সেও বিশ্বাস করতে পারছে না, হুর তাকে ছাড়া অন্যকাউকে ..না না কখনই না।


মেহমেদ বিছানা থেকে উঠে দাড়ায়। তারপর হুরিজিয়ানের ফোনটা খুঁজে বের করে সে । তড়িৎ কললগ থেকে নাম্বারটা বের করে মেহমেদ। তারপর, নিজ ফোন থেকে কাউকে কল দেয়, কল রিসিভ হতেই শোনা যায়,

"  দোস্ত বল?"


"একটা নাম্বার দিচ্ছি। সব ডিটেইলসে আমায় জানা।"


"এখন তো, সম্ভব হবে না, একটু আমায় সময় দে কাল

সকাল ১০ টা মধ্যে খবর দিচ্ছি। জানিস তো অফিস কাল বন্ধ । শুধু তোর জন্য কাল গিয়ে ইনফরমেশন নিয়ে আসবো "


" ঠিক আছে”। 


মেহমেদ নিজের কাছেও নাম্বারটা রেখেদিলো। মেহমেদ 

ঘড়িতে চোখ বুলিয়ে দেখলো ৯টা বেজেছে। হুরকে  সে 

বহুক্ষন দেখেনি। মেয়েটাকে অনেক বকেছে, অনেক কষ্ট দিয়েছে মেহমেদ। 


তখন মুড নষ্ট হওয়ায় মাথা ঠিক ছিল না। তাই যা মুখে এসেছে তাই বলেছে। সে দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে। 


মেহমেদ রুম থেকে বের হয়ে, সারা ঘর খুজতে থাকে হুরিজিয়ানকে। কিছুক্ষনবাদেই  বসার ঘরে এসে দেখতে পেল, তার পরী কাঁদতে কাঁদতেই ঘুমিয়ে পড়েছে। চোখের কার্নিশ ভিজে আছে। মেহমেদ

কতক্ষন চেয়ে রইল হুরের দিকে। কপোলে চুমু খেয়ে

একাই একাই বলে উঠল, আমি তোমায় ভুল বুঝিনি,

আমায় একটু সময় দাও সবটা ঠিক করে দিব।


 অতঃপর কোলে তুলে নিলো হুরকে মেহমেদ। বিছানায় নিয়ে শুইয়ে দিলো। তারপর আবার বারান্দায় গিয়ে সেই অচেনা নাম্বারে আবার কল করল, কিন্তু শোনা গেলো নাম্বারটি সুইচ অফ। তারপর একরাশ চিন্তা নিয়ে নিশাচরের মতো জেগে রইল মেহমেদ। পাশ ফিরে দেখতে লাগলো,

তার প্রিয়তমার আবছা আলোয় ফুটে ওঠা মহোনীয় সেই অবয়ব।

____


হুর  সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলো, সে রুমেই ঘুমিয়ে আছে। কিন্তু তার পাশে কেউ নেই। মোবাইলটা হাতড়েই দেখলো ৯টা বেজেছে। হন্নতন্ন হয়ে সে সারা বাসা খুঁজেও যখন মেহমেদকে খুঁজে পেলনা তখন সে মেহমেদকে কল করল, কিন্তু মেহমেদ কোনো রেসপন্স করলো না। চিন্তিত হয়েই  দারোয়ানকে কল করল।

কলের ওপাশে শোনা গেলো, 

"জ্বি বড় মালকিং বলেন "


"তোমাদের স্যার কি বেরিয়েছে নাকি, যদি গিয়েও থাকে কখন গিয়েছি"


"এইতো কিছুক্ষন আগে, বাইক নিয়ে বের হয়েছে।”


মোবাইল কেটে গেলো।  হুরের দিশেহারা লাগছে  

কি করবে হুর,কিছু তার ভালো লাগছেনা।

সে ওয়াশরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হলো। তারপর নাস্তা রেডি করে খেলো সে নিজে। তার মধ্যেই দারোয়ানের গেইট খেলার আওয়াজে  ভাবলো বোধ হয়,মেহমেদ এসেছে। 


কিন্তু না এসেছে শশুড় ও শাশুড়ি, সাথে মুরাদও। তারপর হুর মুখে জোড় পূর্বক হাসি ফুটিয়ে ঘরের ভেতরে খুলল হয়। 


তারপর মুনিবা বেগমকে মুরাদ ও সাইকার ব্যাপারে জানতে চাইলো হুর। 

মুনিবা বেগম হাসলেন, সে হুরের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, প্রস্তুত হয় সামনের মাসেই মুরাদের বিয়ের ডেট ফিক্স করেছি। হাতে সময় খুবই কম, অনেক কিছু প্লান করতে হবে। হুরিজিয়ান মুনিবা বেগমের কাধে মাথা হেলিয়ে দেয়। তার নিকট বলে ওঠে ,


 "আম্মু আমি একটু বাসায় যাবো, মাকে

দেখতে খুব ইচ্ছে করছে "


" আচ্ছা যাও, মেহমেদকে বলেছ?”


"উনি তো কল ধরছে না মা "


"আচ্ছা যাও, মেহমেদ এলেই আসলে আমি জানিয়ে 

দেব, প্রয়োজন হলে ও তোমাদের বাসায় চলে যাবে। "


হুরিজিয়ান উঠে দাঁড়ালো। তড়িৎ সে রুমে সব কিছু গোছালো বাসায় যাওয়া জন্য । তারপর সকলকে বিদায় জানিয়েই বের হলো হুর। অতঃপর এখন হুরের গন্তব্য নিজ বাসা যাওয়া।

.

.


কিছুক্ষন বাদেই হুরিজিয়ান গিয়ে পৌঁছোলো  বাসায়। 

মেয়েকে এমন ভাবে আসতে দেখে চমকায় আয়শা বেগম। হুরের অবয়বে হাত বিচরন করে শুধায়, 


”কি হয়েছে আম্মু? ”


হুরিজিয়ান  হু হু করে কেঁদে উঠে, আয়শা বেগমকে জড়িয়ে ধরে,

"মা তোমার জমাই আমায় ভুল বুঝেছে। আমি অভিমান করেছি। তোমায় অনেক দেখতে ইচ্ছে করছিল তাই ছুটে এসেছি। 

আয়শা বেগম হাসেন মেয়ের কথায় বলেন ,"

 সংসার জীবনে একটু আধটু ঝামেলা হবেই,

তাই বলে কি আভিমান করতে হবে। সর্বদা শক্ত থাকতে হবে। যাও ফ্রেশ হও, তা কদিনের জন্য এলে তুমি?"


"যতদিন না তোমার জামাই নিতে আসবে, আমি আর যাচ্ছি না। " 


"ভালো করেছিস হায়াত কাল আসবে। ওর তো ডেলিভেরী টাইম চলে আসছে। তুই থাকলে ওর ভালো লাগবে।"


হুরিজিয়ান কথা শেষ করে রুমে প্রবেশ করে হুর। তার

কত স্মৃতি এই রুমটায়,  মনে পড়তেই যেনো হেসে

ওঠে। তারপর আবার মন বিষণ্ন হয় কালকের ঘটনা

মনে করতেই। এর মাঝেই হুরের মোবাইল বেজে উঠল। 


মোবাইলের পানে চাইতেই দেখলো কালকের সেই আননোন নাম্বার। মনে মনে সে কিছু গালি দেয়। সে আজ এর ১৪ গোষ্ঠি উদ্ধার করবে। 

কলটা রিসিভ করতেই, অপাশ থেকে শোনা গেলো তানজিলার কণ্ঠ, 

"কিরে দোস্ত ভয় পাইছিস, কেমন ভয় দেখালাম বল, কালই সিমটা কিনলাম, তাই আর সুযোগটা ছাড়লাম না, ভয়েজ চেঞ্জ করে কেমন দিলাম বল তো। "


হুরিজিয়ান হু হু করে কেদে উঠল, 

" তানজু তোর একটা ভুলের কারনে মেহমেদ আমায় ভুল বুঝলো। তোর অভ্যাসটা আমার জন্য আজ কাল হয়ে দাড়ালো রে তানজু। মেহমেদ আমায় ভুল বুঝলো। "

হুরিজিয়ানের কান্নারত কন্ঠ শুনে, অবাক হলো তানজিলা। সে তো বুঝতেই পারে নি। এমন কোনো ঘটনা হতেই পারে। সে তো এভাবে নতুন সিম কিনলেই হুরকে জ্বালাতন করত। আজ তার কারণে মেহমেদের সাথে হুরের সম্পর্ক নষ্ট হবে। কখনই  না। 

তানজিলা কল কাটে তড়িৎ। 

ওদিকে এতক্ষন ধরে তানজিলা আর হুরের কথাগুলো শুনলো মেহমেদ ও তার বন্ধু। ইনফরমেশন গুলো মিলিয়ে বুঝলো তানজিলার আইডি কার্ড দিয়ে সিম রেজিষ্ট্রেশন করা। মেহমেদ স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লো। 

সে আর এক মূহুর্ত দাড়ালো না। 

হাত ঘড়িতে দেখলো দুপুর ২ টা বাঝে। সে বাইক নিয়ে ছোটে চৌধুরী প্যালেসে। ওদিকে তানজিলা মেহমেদকে কল করছে। বার বার কল আসাতে সে বিরক্ত হয়। বাইক থামিয়ে সে কল রিসিভ করে বলে ওঠে," আমি জানি হুর কিছু করে নি, এখন রাখো পড়ে কথা বলছি। "

তারপর আবার মেহমেদ বাইক চালাতে শুরু করলো। 

৪ টার মধ্যেই সে গিয়ে পৌঁছে যখন দেখলো হুরিজিয়ান বাসায় নেই। সোজা সে মায়ের কাছে জিজ্ঞেস করলো, "মা হুর কোথায়?"


"ও তোমায় কল করেছিল, তুমি নাকি ধরনি। ও বাড়িতে গিয়েছে"


মেহমেদ দিশেহারা হয়েই মাথার চুল খামচে ধরে। 

তারপর মেহমেদ একদ্বন্দ না দাড়িয়ে আবার বেড়িয়ে গেলো। 

১ঘন্টা পরেই সে পৌঁছায় হুরদের বাসার নিকট। ততক্ষণে সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। চারপাশে যেনো বাতাস ছুটতে রইল, ঘন ঘন বিদ্যুৎ চমকাতে লাগলো, তবুও যেনো মেহমেদ হুরের কক্ষের সামনের রাস্তায় বসেই রইল। ক্ষনিক সময় যেতেই বৃষ্টি শুরু হলো। সে যেনো প্রবল বৃষ্টি। বৃষ্টিতে ভিজতে লাগলো মেহমেদের দেহ। 

মেহমেদ মোবাইল বের করেই হুরিজিয়ানকে কল করল, এদিকে হুরিজিয়ান দরজা বন্ধ করেই কেদেই চলেছে। মোবাইলে কল আসতেই চাইলো হুর। সে মেহমেদের কল আসা করেনি। সে চোখের পানি মুছেই কল রিসিভ করলো। 

কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের নিরবতা কাটিয়েই মেহমেদ ওপাশ থেকে বলে উঠল, 

"অভিমান করেছ,এই নির্লজ্জ ছ্যাচড়া পুরুষের উপর? "


"হুম"


"অভিমান কিভাবে ভাঙ্গাবো বলো? 


" আমায় নিতে আসুন"


"তোমার বাসার নিচেই আছি "


কথাটা শুনতেই বারান্দায় গিয়ে হুর দেখতে পেলো মেহমেদকে বাইকে হেলান দিয়ে বসে থাকতে। 


অতঃপর হুর জবাব দিলো, 


"তাহলে এবার চলে যান "


"এই না বললে এসে নিয়ে যেতে? "


"আমি তো মনে করেছি আপনি আসবেন না "


"তাই "


"রাখছি, আমি আর কখনও যাবো না ও বাসায় "


ফোন কেটে গেলো। কিন্তু আর মেহমেদ ফের কল করলো না। সে ঠায় সেখানেই বসে রইল। 

বৃষ্টির চাপ বাড়ছে।। 


পাশের বারান্দায় আয়শা বেগমকে আর কবির চৌধুরী  গল্প করছিলো। হঠাৎই যেনো চোখে পড়লো মেহমেদকে কবির চৌধুরীর।

সে আয়শা বেগমকে শুধালো, নিচে ওইটা মেহমেদ বসা না। এই ছাতিটা দেও তো গিয়ে নিয়ে আসি। 

আয়শা বেগম আটকালেন, সে হেসেই বললেন, দুজনের মাঝে মান- অভিমান চলছে। দেখ, হুরই গিয়ে নিয়ে আসবে। 


তার কিছুক্ষন বাদেই তারা দেখতে পেলো হুরিজিয়ান ছাতাটা নিয়ে চলে গিয়েছে মেহমেদের নিকট। 

আয়শা বেগম হেসেই কক্ষ ত্যাগ করলেন, জামাইয়ের জন্য খাবার বানাতে। 


.

হুরিজিয়ান ছাতা নিয়েই এসে দাঁড়ায় মেহমেদের নিকট, কাট গলায় শুধায়, 

"এখনও বসে আছেন কেনো, বলেছি তো বাসায় যাবো না, আপনি চলে যান "


"বর্জ্যপাতে যেনো আমার মৃত্যু হয় "


"পাগল হলেন নাকি "


"হ্যা" 


"কয়েকদিন পর বাচ্চার বাপ হবেন, পাগালামি আর গেলো না "


হুরের কথা শুনে বিস্ময় চোখে মেহমেদ তাকালো,


"সত্যি!"


হুরিজিয়ান লজ্জা পেল সে ছাতাটা রেখেই দৌড়ে বাসায় ডুকে পড়লো। মেহমেদ ও বাইকটা সাথে নিয়েই ঢুকলো। 


হুরিজিয়ান গিয়ে কক্ষে লজ্জায় মুখ লুকালো।ওদিকে মেহমেদ ভেজা অবস্থাতেই ঢুকলো বাসায়। আয়শা বেগমকে সালাম জানিয়ে তরতর করে ডুকলো কক্ষে। 


হুরিজিয়ান মেহমেদের দিকে না তাকিয়েই টাওয়াল এগিয়ে দিল, মেহমেদকে বলল, জামা কাপড় ছাড়তে। 

টাওয়ালটা নেওয়ার আগেই শরীর থেকে শার্ট টা খুলল মেহমেদ। 

হুরিজিয়ানেকে হেচকা টেনেই বসালো স্টাটি টেবিলে। হুরের গলায় মেহমেদের হাত স্লাইড করলো। তারপর শুধালো মাথাটা মুছে দেও।

হুর লজ্জা পেলো, সে এদিক ওদিক তাকিয়েই মুছতে লাগলো মেহমেদের দেহ, মাথা। অতঃপর মেহমেদ হুরকে শুধালো, "সত্যিই কি বাবা হচ্ছি! "

"হু"

কথাটা শুনতেই মেহমেদ হুরের অধর ছুলো।

তারপর আবারো শুধালো, আবার বলো?

হুরের পক্ষ থেকে আবার হ্যা জবাব আসতেই আবার ও অধর ছুলো হুরের। 

তারপর মেহমেদ বলল,"আবার বলো কি বললে মাত্র"

হুরিজিয়ান বিরক্ত হয়েই বলল, বললাম তো হ্যা, অতঃপর মেহমেদ আবার হুরের অধরের চুমু খেলো, তারপর বলল, এতো বড় সারপ্রাইজ আমায় দিলে বউ, তার বিনিময়ে আমি কিছু দিবো না, তা কি করে হয়। তাই সারপ্রাইজের রিটার্ন গিফট যে আমি দিবো, সেই গিফট, এখন তোমায় সহ্য করতে হবে এই মেহমেদের পাগলামি। যা ভোগ করবে তুমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।  Now let's start।

( সমাপ্ত) 



গল্পটা সবার কেমন লেগেছে, অবশ্যই জানাও। আমার পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। অবশ্যই গল্পটা ভালো লাগলে রিভিউ দিয়ে সহযোগিতা করবেন। তাহলে আমার ভুল -ত্রুটি বুঝতে পারবো।

0 Comments:

Post a Comment