গল্প তোমার_জন্য_সিন্ধুর_নীল পর্ব ৫

 তোমার_জন্য_সিন্ধুর_নীল

পর্ব_৫

সারিকা_হোসাইন


―হেই  মিস নাম না জানা অপ্সরা তুমি এখানে?আর তোমায় আমি কোথায় কোথায় খুঁজে চলেছি।


অপরিচিত কন্ঠে তুমি সম্বোধন শুনে ভ্রু কুঁচকে ফোন টেপা বাদ দিয়ে উপরে মুখ তুলে তাকালো স্বর্গ।

সেই অসভ্য ছেলেটা আবার এখানে?

উফ আর বাঁচা গেলো না।


―কি বিড়বিড় করছো এমন করে?


―আপনি কি আমার আত্মীয়?আমাকে চেনেন?আমি কি আপনাকে চিনি?


এক বাক্যে কতোগুলো প্রশ্ন করে দম ফেললো স্বর্গ।


-আরেহ রিল্যাক্স এতো হাইপার কেনো হচ্ছো ?


―হাইপার তো করছেন আপনি আমাকে।চেনেন না জানেন না একটা মেয়েকে সারাক্ষন দৃষ্টিতে দৃষ্টিতে রাখছেন আবার তুমি তুমি করছেন।একটা মেয়ের জন্য এটা কতোটা আনকম্ফোর্টেবল এটা আপনি বুঝেন?


―ওহ এই কথা? আচ্ছা' পরিচিত হয়ে নিচ্ছি


―হ্যালো আম আহিয়ান চৌধুরী আহির, ওনার অফ চৌধুরী  গ্রুপস এন্ড কোং কোম্পানির মালিকের এক মাত্র ছেলে।যাকে সবাই এক নামে চেনে কিন্তু তুমি ,ওপস সরি আপনি চেনেন না।

 বলে স্বর্গের দিকে হাত বাড়ালো আহিয়ান।


হেই আম মেজর মুহিত ওয়াসিফ ,নাইস টু মিট ইউ।

আকস্মিক ভরাট গম্ভীর পুরুষালী কন্ঠ আর হাত চেপে ধরায় আহাম্মক হয়ে গেলো আহিয়ান।


―আমি তো আপনার সাথে পরিচিত হতে চাইনি মেজর মুহিত ওয়াসিফ?


―আপনি যার দিকে হাত বাড়িয়েছেন আমি তার পার্সোনাল বডিগার্ড, উনার বাবা মানে  মেজর জেনারেল নাফিজ মাহমুদ আমাকে নির্দেশ দিয়েছে একটা ফুল ও যাতে উনাকে স্পর্শ করতে না পারে তাহলে আমি একটা আস্ত মানুষের হাতের স্পর্শ কিভাবে পেতে দেই মিস্টার আহিয়ান?


―তাচ্ছিল্য ভরা হাসি দিয়ে আহিয়ান বলে উঠলো

―হাহ, হাসালেন মেজর হাসালেন, যখন আপনার স্যার জানবে হাত টা আমার ছিলো ,উনি নিজেই উনার মেয়ের হাত আমার হাতের সাথে স্পর্শ করিয়ে দিবেন।


― মুহিত ফিচেল হেসে গম্ভীর কন্ঠে বলে উঠলো 

―তাহলে আপনি সেই স্বপ্ন দেখতে থাকুন আহিয়ান সাহেব।


এতোক্ষন চুপচাপ সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিলো স্বর্গ,হঠাৎ সে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো আমি মাম্মার কাছে যাবো মেজর।


―সিউর হুয়াই নট ?বলে সামনের দিকে হাত ইশারায় নির্দেশ করলো মুহিত।


আমাদের আবার দেখা হবে আহিয়ান চৌধুরী,আসি ।

বলে দুই আঙুল  দিয়ে সালামের মতো করলো মুহিত।


মুহিত দের যাবার পানে তাকিয়ে কিটকিটিয়ে হেসে উঠে আহিয়ান।


―দেখা তো করতেই হবে মেজর,মুখের সামনে থেকে খাবার তুলে নিয়ে গেলে,দেখা না হলে এমন দুঃসাহসিকতার দাম কিভাবে দেবে?


―আপনি মিথ্যে বললেন কেনো মেজর?আপনি কি আমার বডিগার্ড?


―শুধু বডিগার্ড নয় মিস স্বর্গ আপনার সব কিছুর গার্ড আমি।

এই বলে একটা শপিং ব্যাগ এগিয়ে দিলো মুহিত।


―এখানে আপনি যেই টাইপের কাপড় পড়েন সব আছে,চেঞ্জ করে নিন আমি আপনাদের খাওয়াদাওয়া শেষ হলে বাসায় পৌঁছে দেব।স্যার এখান থেকে একটা মিটিংয়ে চলে যাবেন,উনার সাথে আপনাদের দেখা হবে না।সো প্লিজ একটু হারি করে সব কিছু করবেন ।


শপিং ব্যাগ হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে দাঁড়িয়ে আছে স্বর্গ এক অদ্ভুত ভালো লাগায় ছেয়ে যাচ্ছে তনু মন।পড়াশোনার তাগিদে বহু ছেলে ফ্রেন্ডস,ক্লাসমেটস এর সংস্পর্শে আসা হয়েছে কিন্তু কখনো মনে এমন ভালোলাগার ফিল হয়নি।তবে কেনো মেজর মুহিত কাছে এলে শরীর শিরশির করে,বুকে ধুকপুকুনি হয়?কি নাম এই অনুভূতির?


নিমিষেই সকল ভাবনা বন্ধ করে ঝটপট পোশাক পাল্টে নিলো স্বর্গ।ফ্লোরাল প্রিন্টের অফ হোয়াইট লং স্কার্ট,সাথে ম্যাচিং শার্ট আর স্কার্ফ।চয়েস আছে বলতে হবে মেজরের বলে মুচকি হাসলো স্বর্গ।


মুহিত কপালে বার বার আঙ্গুল স্লাইড করছে,আহিয়ান কে সে ভুলতে পারছে না কোনো ভাবেই।মুহিত খুব ভালো করেই আহিয়ান কে চেনে।নিজের রূপের জ্বালে ,টাকা পয়সা অভিজাত্যের লোভ দেখিয়ে  ভালোবাসার নাটক করে মেয়েদের ফাঁসিয়ে বাইরে  পাচার করে দেয়াই তার কাজ।কিন্তু সমাজে তার বাবা আর তার মতো সম্মানিত ব্যাক্তি দ্বিতীয়টি নেই।


গোপন সূত্রে শুধু এসব খবর পাওয়াই গিয়েছে কিন্তু পোক্ত প্রমাণের অভাবে কেউ আহিয়ান এর দিকে আঙ্গুল তুলতে পারেনি।তার বাবার নাম ডাকে প্রশাসন পর্যন্ত ভয়ে কাপে।সেখানে মুহিত সামান্য একজন মেজর হয়ে প্রমান ব্যাতিত কিভাবে তাকে জব্দ করবে?


এই নরঘাতক স্বর্গের মতো নিষ্পাপ একটি মেয়ের দিকে হাত বাড়িয়েছে, মুহিত কিভাবে সামাল দিবে সবকিছু?নাহ আর ভাবতে পারছে না মুহিত,অস্থির লাগছে।যেভাবেই হোক নাফিজ মাহমুদ কে সব জানাতে হবে,চুপ থাকা যাবে না।


খুব বেশি কি দেরি হয়ে গেলো মেজর?


স্বর্গের ডাকে হুশ ফিরলো মুহিতের।

পিছন ফিরে নিজের পছন্দের মানুষের সাজসজ্জা হীন স্নিগ্ধ মুখ দেখে নিজের মনকে শান্ত করলো মুহিত।মনে মনে সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো এমন অপরূপ সৌন্দর্য্যের দর্শন করানোর জন্য।


―আপনাকে সদ্য প্রস্ফুটিত ভোরের  শিশির মিশ্রিত বেলি ফুলের মতো লাগছে স্বর্গ।


লজ্জায় মাথা নিচু করে দাঁত দিয়ে ঠোঁট কামড়ে ধরলো স্বর্গ।


―চলুন দেরি হয়ে যাচ্ছে বলে মুহিত সামনে পা বাড়ালো।


কোয়ার্টারের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মুহিতের জলপাই রঙা মিলিটারি  জিপ।গেট কিপার খলিলকে আশেপাশে কোথাও দেখা যাচ্ছে না।এতো রাতে দুজন মেয়ে মানুষকে গাড়িতে বসিয়ে অপেক্ষা করাতে রাগে মাথার শিরা ফেটে যাচ্ছে মুহিতের।


সুখ বিয়ের ভেন্যু থেকেই মিলিটারি একাডেমিতে ফিরে গিয়েছে,জরুরি দরকারে।

বার দশেক কল করার পর  কোথা থেকে যেনো খলিলের আগমন ঘটলো।

―ইদানিং এই খলিল কে ব্যাপক সন্দেহ হয় মুহিতের।একটু নজরদারিতে রাখতে হবে ব্যাটাকে।


তনুজা মাহমুদের সামনে কোনো সিনক্রিয়েট করতে চাইলো না মুহিত।


তাই কোনো প্রশ্ন না করে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো মেজর জেনারেল এর বাংলো তে।


তাদের কে বাসায় নামিয়ে আবারো গাড়ি হাকালো মুহিত।

 গন্তব্য গোপন আস্তানা।


কানে ব্লুটুথ ইয়ার প্যাড লাগিয়ে নিলো মুহিত,ডায়াল প্যাড থেকে কল করলো সৌম্য কে

~হ্যালো ক্যাপ্টেন কি খবর ওখানের?


―স্যার কেলানি খেয়েও কিছু বলছে না


―ঠিক আছে আধ ঘন্টার মধ্যে আসছি আমি।বলে লাইন কেটে দিলো।


শহর থেকে একটু দূরে পরিত্যক্ত একটি বিল্ডিং।দিনের বেলাতেও ভুতের ভয়ে এই গলি কেউ মাড়ায় না।মানুষের ভ্রান্ত ধারণা এখানে ভুত প্রেত রয়েছে।যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনীর মানুষ  নাকি সাধারণ মানুষ কে এখানে ধরে ধরে এনে নৃশংস ভাবে হত্যা করতো। আশেপাশের মানুষ নাকি এখনো তাদের চিৎকার চেঁচামেচি করার আওয়াজ পায়।এসব ভ্রান্ত ধারণাকে পথে ঠেলে সেই বাড়িটাকেই নিজেদের গোপন আস্তানা বা মুখোশ পরা জানোয়ারদের জন্য টর্চার সেল বানিয়েছে মুহিত।


উহু শুধু মুহিত বললে ভুল হবে।কিছু সৎ আর্মি অফিসাররা মিলে।যারা ক্ষমতার দাপটে অন্যায় করেও প্রশাসন কে ঘুষ দিয়ে বুক ফুলিয়ে হাওয়া খেয়ে অপকর্ম করে বেড়ায় তাদের জন্য কিছু অফিসার মিলে গোপনে এই সেল বানিয়েছে।সরকার বা আইন ছেড়ে দিলেও গোপনে তারা তাদের প্রাপ্য শাস্তি দিয়ে দেয়।


অজ্ঞাত এক ব্যাক্তিকে চেয়ারে বসিয়ে শক্ত দড়ির সাহায্যে হাত পা মুড়ে বাধা হয়েছে।মুখে স্কচটেপ।সৌম্য যে তাকে তথ্য বের করতে বেদম প্রহার করেছে তা তার দেহ জুড়ে প্রকাশিত।

লোকটির সামনে হাটু মুড়ে বসলো মুহিত


―পানি দাও সৌম্য।


সৌম্য স্টীলের একটি মগে করে পানি এনে মুহিতের হাতে দিলো,মুহিত পানি নিয়ে সাথে সাথেই ছুড়ে মারলো অজ্ঞাত ব্যাক্তির মুখে।লোকটি নড়ে উঠলো এবং অল্প কিছুক্ষনের মধ্যেই হুঁশে ফিরলো।


এক টানে মুখের টেপ খুলে ফেললো মুহিত।

সাথে সাথেই লোকটি  ব্যাথায় ককিয়ে চিল্লিয়ে কান্না জুড়ে দিলো


―আমাকে ছেড়ে দিন স্যার আমাকে ছেড়ে দিন।আমি কিচ্ছু করি নি,আমি কিচ্ছু জানিনা।


–এখনো তো আমি তোকে কোনো প্রশ্নই করিনি এতোই তাড়া তোর বলে হাত পায়ের দড়ি গুলো চাকু দিয়ে কেটে দিলো মুহিত।


ধমকের সুরে মুহিত হুংকার করলো ― উঠে দাঁড়া.

লোকটি ভয়ে ভয়ে দাঁড়াতে নিলে পায়ের ব্যাথায় ফ্লোরে ধপ করে বসে পরে।


কেমন ডোজ দিয়েছো ক্যাপ্টেন দাঁড়াতেই পারছে না?


―সৌম্য কাচুমাচু করে বললো হকি স্টিক টা ভেঙে গেছে স্যার।


সৌম্য কে পিঠ চাপড়ে সাবাস জানালো মুহিত।

এরপর চোখ গরম করে রক্ত চক্ষু নিয়ে দাঁত পিষিয়ে বলে উঠলো


 ―আমাকে কেনো ফলো করেছিস সেদিন রাতে?


–আমি কিচ্ছু জানিনা স্যার,আমাকে শুধু বলা হয়েছে আপনার ছবি দেখিয়ে ফলো করতে।আপনার প্রতিনিয়ত চলাফেরার আপডেট জানাতে।

―কিন্তু কে বা কারা আমি কিচ্ছু জানিনা স্যার আমি তাদের চেহারা দেখিনি বলে হাটু মুড়ে মুহিতের পায়ের কাছে বসে কান্না জুড়লো লোকটি।

ঘরে আমার অসুস্থ স্ত্রী,

―যিনি আপনার ছবি দেখিয়েছে সে বলেছে  আমি আপনার তথ্য জোগাড় করে তাদের দিতে পারলে আমাকে অনেক টাকা দিবে।আমি টাকার লোভে এমন করেছি স্যার।আমাকে মারবেন না।আমাকে মারলে আমার স্ত্রী বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে।


লোকটির মুখে এসব আকুতি ভরা কথা শুনে মুকিতের অসহায়  মায়াবী মুখ টা মনে পড়ে গেলো মুহিতের।মুকিত ও কি এভাবে আকুতি করেছিলো।নাহ মুহিত আর কিছু মনে করতে চায়না।এসব ঘটনা মনে রেখে কতোদিন আর এভাবে জিন্দা লাশ হয়ে বেঁচে থাকবে,?


পাশে থাকা ভাঙা একটি বেঞ্চে জোরসে লাথি মেরে সৌম্যকে ডেকে বলে―

ওকে ছেড়ে দাও আর নজরদারি তে রাখো।


আর তোকে কেনো ছেড়ে দিলাম জানিস?

তুই এখন আমার কাছে আলাদিনের দৈত্য।তোকে দিয়ে আমি আমার বাকি না হওয়া কাজ উদ্ধার করবো -বলে ঝড়ের গতিতে ধপাধপ পা ফেলে বেরিয়ে আসে মুহিত।


ক্যান্টিনে বসে লাঞ্চ সাড়ছে পিউ আর স্বর্গ। কাটা চামচ দিয়ে চাউমিন প্যাচাতে প্যাচাতে পিউ স্বর্গকে জিজ্ঞেস করলো ক্যাপ্টেন সৌম্য কে চিনিস?

―ঐযে লম্বা ফর্সা হ্যাঙলা মেজরের বডিগার্ড টা?

―এভাবে বলিস না দোস্ত

―তাহলে কিভাবে বলবো?আচ্ছা যা ভালো ভাবে বলছি

মেজর মুহিতের সাথে সারাক্ষন চিপকে থাকে যেই ক্যাপ্টেন সে?

পিউ মিনমিন করে বলে উঠে" হ্যা"


স্বর্গ কৌতূহলী হয়ে জানতে চায় ওই ক্যাপ্টেন এর সাথে তোর কি কাজ?


―আই থিংক আই এম ইন লাভ উইথ হিম!বলে মাথা নিচু করে ফেললো পিউ।


সফট ড্রিংকস টা কেবলই এক চুমুক দিয়েছে স্বর্গ,পিউয়ের কথা তা নাকে মুখে বিষমের উদ্রেক করলো।


সাট সাট বলে পিউ স্বর্গের পিঠে হালকা চাপড় দিলো।

স্বর্গ নিজেকে স্বাভাবিক করে রিল্যাক্স হয়ে জিজ্ঞেস করলো― কবে থেকে?


―পিউ দাঁত কেলিয়ে বললো যেদিন প্রথম তোর চেম্বারে দেখেছি সেদিন থেকেই।


তলে তলে এসব চলছে তাহলে ?এই জন্যই সময় পেলেই সিএমএইচ এ আসা?


ঠিক এজন্য না আবার এজন্যই বলতে পারিস।আরেকটা কথা তোকে বলতে ভুলে গেছি,বলে চাউমিন চিবুতে চিবুতে বললো পিউ


―তুই কি জানিস মেজর মুহিতের মা যে এই হসপিটাল এ দীর্ঘদিন ধরে ভর্তি?রিসেন্টলি উনার হার্টে সার্জারি হয়েছে,আইসিইউতে আছে,যদিও কন্ডিশন ক্রিটিক্যাল কিন্তু প্রফেসর বলেছে রিকভার করবে।


―তুই এতো খবর কিভাবে জানিস? অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলো স্বর্গ।

আরো একটা কথা জানি,কিন্তু সত্যতা কতোখানি সেটা বলতে পারবো না

―কি কথা?

―চার পাশে সন্তপর্নে চোখ বুলিয়ে পিউ ফিসফিস করে বলে উঠলো

―মেজর এর পুরো ফ্যামিলি কে কেউ খু*ন করে দিয়েছে!


কথাটি শোনা মাত্র স্বর্গের হাতে থাকা কাটা চামচ ফ্লোরে পরে ঝনঝন শব্দে আলোড়ন সৃষ্টি করলো

চোখের কোনে জমা হলো জল।

―যিনি সারাক্ষন এমন গম্ভীর হয়ে থাকেন,শক্ত মনের খোলস পরে থাকেন,যাকে দেখলেই মনে হয় অহংকারী একটা লোক, তার মনে এমন দগদগে ঘা ?

কারো উপরের আবরণ দেখে কি ভেতরের স্বত্বার খবর অনুধাবন করা যায়?


স্বর্গ কাঁপা কাঁপা কন্ঠে পিউকে জিজ্ঞেস করলো 

―মেজর মুহিতের মায়ের কেবিন নম্বর কতো?

―পিউ উত্তর দিলো

―রুম নম্বর চার শত চল্লিশ!


চলবে।

0 Comments:

Post a Comment