গল্প Crazy_for_you পর্ব ৭

 #Crazy_for_you🦋

#পর্বঃ৭

#অনামিকা_রহমান (লিখনিতে)


(হালকা ১৮+ কন্টেন্ট যুক্ত। তাই নিজ দ্বায়িত্বে হজম করবেন।)


এভাবেই চলতে লাগলো পাসওয়ার্ড নিয়ে চুলাচুলি। অতঃপর হুরিজিয়ান বাধ্য হয়েই মেহমেদের কক্ষ ত্যাগ করলো। নিজ কক্ষে এসে ফোনটা আচাড় মারতে গিয়েও থেমে গেলো সে। 

অতঃপর সে বুঝতে পেরেই তড়িৎ মোবাইলের পাওয়ার বাটনে চাপ দিতেই ভেসে উঠল পাসওয়ার্ড বার। সেখানে সে টাইপ করল, "বলবো না"।তার পরেই খুলে গেলো মোবাইল। তারপর খুব ঘাটাঘাটি করেই বুঝতে পারলো, মেহমেদ তার মোবাইলে চিরুনি তল্লাশি করেছে। লাইট অফ করে সে মশারীর ভেতর ঢুকেই, মেহমেদকে মেসেজ টাইপ করলো, আচ্ছা সমস্যা কি আপনার? 

মেহমেদ হুরের তরফ থেকে মেসেজ পেতেই মুচকি হেসে উঠল। সে মেসেজ টাইপ করে জবাব দিলো, বাহ! তুমি দেখছি বুদ্ধিমান, তা তোমার ওই বুদ্ধি খাটিয়েই তো আমার মনের কথাই বুঝে নিতে পারো!

হুরিজিয়ান মেসেজটা পড়ে নাক-চোখ কুচকালো, সে জবাব দিলো -আমার বুদ্ধির খুব দাম তাই আপনার উপর সেই বুদ্ধি খাটিয়ে আমার বুদ্ধির মান-সম্মান নষ্ট করতে চাইছি না।। 

সেন্ড করতেই কোনো জবাব আসলো না, কিন্তু আসলো ভিডিও কল। হুর কেটে দিতেই আবারো কল দিলো মেহমেদ, তারপর বাধ্য হয়েই কল রিসিভ করে হুরিজিয়ান। সুইচবোর্ডে হাত চালিয়ে অন করে লাইট হুর। ভিডিও কলের অপর পাশ থেকে মেহমেদ বলে ওঠে, "একটা কথা কান খুলে শুনে রাখো হুরিজিয়ান! যখন যেখানে যে অবস্থাতেই থাকো না কেনো, আমি কল দিলে তা যদি রিসিভ না হয় তখনকার অবস্থা কি হবে তুমি তা কল্পনাও করতে পারবে না। "

কথাটা শুনেই থমকে উঠল হুরিজিয়ান। কিন্তু মেহমেদকে বুঝতে না দিয়েই সে জবাব দিলো, ১০০ বার ধরবো না হাজার বার ধরবো না, যা ইচ্ছে করুন। কথাটা বলেই হুরিজিয়ান কল কেটে দিল। অতঃপর কক্ষের দরজা চাপানো দেখেই হুর বিছানা থেকে নামলো ছিটকানি দিতে, কিন্তু সে ব্যর্থ হলো। মেহমেদ সয়ং এসে হাজির হয়েছে তার সামনে এবং উলটো পিছন ফিরে লাগিয়ে দিলো দরজার ছিটকানি।হঠাৎ মেহমেদের এমন আগমনে হুরিজিয়ান ভয়ে পাথর হলো বুঝি। কি সব হচ্ছে তার সাথে। এভাবে একটা ছেলে মানুষ... না না কিচ্ছু ভাবতে পারছে না হুরিজিয়ান। কেনই বা এই মেহমেদ এমন পাগলামি করছে, তার তো সুজনের সাথে দেখা হয়েছে, মুরাদ ও তো ঠিকই আছে। তাহলে এই মেহমেদ তার প্রেমে পড়লো নাকি। কোনো কিছু কাজ করছে না হুরিজিয়ানের মাথায়, তার মাঝেই মেহমেদের কাছে আসা দেখেই সারাশরীর কাপতে রইল হুরের, সেও ভয়ে পেছতে লাগলো, এবার না মান-ইজ্জত এই দামড়া ব্যাটা, মাঠে না মেরে দেয়। হুরিজিয়াকে মেহমেদ দেয়ালে আবদ্ধ করলো। পাশের সুইচবোর্ডে হাত দিয়ে নিভিয়ে দিলো আলো। ড্রিম লাইটে দেখা যাচ্ছে দুজনের অবয়ব ।আর নিতে পারছে না হুরিজিয়ান। হার্টবিট বেড়েই চলেছে। সে এবার তার হাত দ্বারা মেহমেদের বুকে ধাক্কা দিতেই মেহমেদ হুরিজিয়ানের হাত পাকড়ে ধরলো, এবার যেনো হুরিজিয়ান হাসফাস করতে রইল, মেহমেদ হুরিজিয়ানের অবস্থা দেখে খুব ইনজয় করতে লাগলো, অতঃপর মেহমেদ হুরিজিয়ানের কর্নে ফিসফিস করে বলল, আই লাইক ইট। বুঝতে পারছো না কিছুই! সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে এই তো? 

মেহমেদের প্রশ্ন করতেই হুরিজিয়ান ও ফিসফিস করে জবাব দিলো, সত্যিই বুঝতে পারছি না, কেনো আপনি এগুলো করছেন?হাতটা ছাড়ুন, আপনি এখান থেকে চলে যান,কেউ দেখলে খারাপ কিছু হয়ে যাবে! 

মেহমেদ নিজ বক্ষ থেকে হুরের হাতটা নামিয়ে না ছেড়ে দিয়েই হুরের পৃষ্ঠদেশে চেপে ধরতেই হালকা আর্তনাদ করে ওঠে হুরিজিয়ান। আরো কাছে টেনে নেয় মেহমেদ হুরকে।অতঃপর মেহমেদের  অন্যহাত দিয়ে হুরের রেশম কালো চুলে আঙুল চালালো। প্রথম কোনো পুরুষালী ছোয়ায় বেগতিক কাপতে লাগলো হুরিজিয়ান। মেহমেদ হুরিজিয়ানের ঘারে অধর ছুয়ে দিতেই হুরিজিয়ান মেহমেদের টিশার্ট খামচে ধরেই  কাপা কন্ঠে বলে উঠল , আহ! মেহমেদ! লাগছে ছাড়ুন। 

নেশালো কণ্ঠেই মেহমেদ জবাব দিলো, এখনও কি তোমার বুঝতে বাকি আছে হুর। নাকি আরও বুঝাতে হবে তোমায়।তোমার কাছে কেনো আসি?

কিছুক্ষন আগে যে কলটা কেটে দিয়েছ,তা শাস্তি স্বরূপ এটাই পেয়েছ। আবারো বলছি কল যদি রিসিভ না হয়, তাহলে কিছুই বলবো না, সবটা নিজের চোখেও দেখবে আর অনুভব করবে। তুমি আমায় পাগল করেছ হুর। সারাদিন তোমার কথা ঘুরপাক খাচ্ছে মাথায়, তার মধ্যে যখনই তোমার কাছে আসি তখনই তুমি পালিয়ে যাও। তোমায় আর কিভাবে বোঝাবো বলো! তোমায় আমি ভালোবেসে ফেলেছি। 

এতোক্ষন ধরে হুরিজিয়ানের অতি নিকটে থেকে মেহমেদের বলা কথাগুলো শুনে আকস্মিক অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়লো মেহমেদের বুকে হুরিজিয়ান। 

হুরিজিয়ানের অজ্ঞান রত দেহটা বিছানা শুয়িয়ে দিয়ে, লোলাটে চুমু খেল মেহমেদ।অতঃপর মুচকি হেসে বলল,মেয়েটাকে ভয় পেলেও কতো কিউট লাগে। 

 অতঃপর দরজার ছিটকানি খুলে চাপিয়েই চলে গেলো নিজ কক্ষে। তবে যেতে যেতে মনে আচমকা ভালোলাগা শুরু হলো মেহমেদের, সে মুচকি হেসেই বুকে বার কয়েক চড় মেরে বলল, মেহমেদ তুই তো শেষ, একেবারেই শেষ।। 

______

ভোরের আযান কানে ভেসে আসতেই হুরিজিয়ান ধরফরিয়ে উঠে বসল। গত রাতের কথা মনে পড়তেই আবার ও শ্বাস ভারি হলো হুরিজিয়ানের। না এক মুহূর্ত এই বাসায় থাকা যাবে না। মেহমেদ ঘুম থেকে ওঠার আগেই হুরিজিয়ান বাসায় চলে যাবে। আলো জ্বালিয়ে ড্রেসিং টেবিলে তাকাতেই দেখা মিলল,সেই বাইটের চিহ্ন। যেনো ছুয়ে দিলেই রক্ত টলমল করে উপছে পড়বে। সে কক্ষ থেকে  বের হয়ে মোড় ঘুড়তেই মেহমেদের কক্ষের ড্রিমলাইটের আলোয় দেখতে পেলো, মেহমেদ উলটো হয়ে ঘুমিয়ে আছে।

হুরিজিয়ান বেশি সময় দাড়ালো না, বসার ঘরের দিকে পা বাড়াতেই হায়াতের সাথে দেখা হলো তারপর.... 

~চলবে।


(আল্লাহ এই মেহমেদ এতো রোমান্টিক ক্যান। খাইছে তোমাদের লিখিকা তো এই ব্যাডার প্রেমে পইড়া গেছে।তোমাগো কি হালচাল জানাও।আজকের পর্ব কেমন হয়েছে অবশ্যই জানাও)

0 Comments:

Post a Comment