গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ১৬

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_১৬

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


-লতা বেগম :: তমাল কি এমন কথা বলবি যার জন্য আমাদের এক সাথে বসিয়ে রেখেছিস.....??


--তমাল:: বলছি আম্মু একটু অপেক্ষা করো আগে রাহাতকে আসতে দাও তাকে নিয়েই তো কথাটা। 


--তুলি মনে মনে ভাবছে কি করছে চাচ্ছে তমাল ভাই আর সবাইকেই বা এখানে কেনো এনেছে। 


--তমাল:: ওই তো রাহাত চলে এসেছে। রাহাত তুমি দাড়িয়ে আছো কেনো বসো না। 


--রাহাত:: এখানেই ঠিক আছি কি বলবে বলো ভাইয়া....??


-আসিফ আহমেদ :: কি বলতে চাচ্ছ তাড়াতাড়ি বলো। 


--তমাল:: বলছি চাচ্চু। চাচ্চু তোমরা যে তুলির সাথে রাতাহের বিয়ে ঠিক করেছো তোমার কি রাতাহের বিষয় খোঁজ খবর নিয়েছো কিছু....?? 


--আলিফ আহমেদ :- কেনো রাহাত তো ভালো ছেলে। 


--তমাল:: হ্যা যেটা ঠিক কিন্তু তোমরা কি এটা যানো ওর গালফ্রেন্ড আছে যেটা কি তোমরা জানো...??


-তুলি তমালের কথা শুনে হা হয়ে যায় তুলি তমালের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বিরবির করে 


--তুলি:: তমাল ভাই কি করে যানলো এটা ধুর ভালো লাগেনা তীরে এসে তরী না ডুবলে হতো না কিন্তু কি যানলো এই কথা। 


-লতা বেগম :: কি বলছিস এসব.....?? 


--তমাল:: আমি জানি তোমাদের বিশ্বাস হয় নি দাড়াও প্রমাণ দেখাছি। তমাল পকেট থেকে ফোন বের করে কয়েকটা ছবি এবং একটা ভিডিও দেখায়। 


ছবি আর ভিডিও দেখে রাহাতের হেচকি উঠে যায়। আর তুলি মাথায় হাত দিয়ে সেখানেই বসে পরে। সবাই হতাশ হয়ে তুলির দিকে তাকিয়ে থাকে। 


--তমাল:: এর পরে আশা কর আর কোনো কথা থাকার কথা না। রাহাত তুমি বরং তোমার গালফ্রেন্ডকে নিয়ে থাকো আর তুলিকে আমরা সামলে নিবো। আর খালামুনি তুমি রাহাতের বিয়েটা না হয় ওর পছন্দের মানুষের সাথেয় দিও। 


--রাহিলা বেগম :: তুই কি করে জানলি এতো কিছু.....?? 


--তমাল:: কাল বিকেলে আমার একটা বন্ধুর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলম। সেখান থেকে ফেরার সময় দেখি রাহাত একটা মেয়ের সাথে রিক্সায় বসে আছে। প্রথমে ভেবেছিলাম আমি হয় তো ভুল দেখছি কিন্তু যখন ওদের দুজনকে রেস্টুরেন্টে দেখলাম এবং কথা শুনাম পরে বুঝতে পারলাম ওরা রিলেশনে আছে। 


তুলি রাহাতের দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকায়। আর মনে মনে বলে 

আর দুটো দিন পরো দেখা করলে কি হতো। এই ছেলেটার জন্য আমার সব শেষ হয়ে গেলো। 


--তমাল:: এবার তোমরাই ভেবে দেখো কি করবে 


--তমাল:: তবে তোমাদের নাটকটা কিন্তু ভালোই ছিলো। 


-লতা বেগম :: কি.... কিসের নাটক....?? 


--তমাল:: তোমরা কি মনে করেছিলে আমি কিছু বুঝি নি  তোমরা কি মনে করেছো এসব করলে আমি বলবো তুলিকে ভালোবাসি না এটা সম্ভব হয় কেনো বুঝতে পারছো না তোমরা তুলি শুধু আমার বোন আর কিছু না। আর এমনটা করবে না কোনো দিন বলে নিজের রুমে চলে যায়।  তমাল চলে যেতেই তুলি রাহাতের সামনে দাড়িয়ে বলে


--তুলি:: এটা কেনো করলেন আমার সাথে.....?? 


--রাহাত:: ( অসহায় মুখ করে বলে) বিশ্বাস করো তুলি আমি বুঝতে পারি নি তমাল ভাইয়া আমাদের দেখে ফেলবে। 


--তুলি:: আর দুটো দিন পরে দেখা করলে কি হতো আমার সাথে এমনটা না করলেও পারতেন। 


--রাহাত:: আগে আমার কথাটা তো শুনো 


--তুলি:: আমি আর কোন কথা শুনতে চাই না ( বলেই কান্না করে দেই )


-লতা বেগম :: এভাবে কাদে না আম্মু সব ঠিক হয়ে যাবে। 


--তুলি:: আমি না মরা পযন্ত কিছু ঠিক হবে আমি থাকবো না এখানে চলে যাবো সবাইকে রেখেয় চলে যাবো। বলে দৌড়ে ঘরে গিয়ে দড়জা লাগিয়ে দেয়। 


-লাহেলা বেগম :: মেয়েটা আবার কিছু করে না বসে। চলো তো গিয়ে দেখি। 


রাহেলা বেগম আর লতা বেগম রুহি তুলির ঘরের সামনে গিয়ে বলে 


-রাহেলা বেগম:: তুলি মা দড়াজাটা খোল না মা। লক্ষীটি। ( ভেতর থেকে কোন কথা শুনা যায় না )


--লতা বেগম :: তুলি আম্মু আমার দড়জাটা খোল আমি কথা বলবো তমালের সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে। তুলি দড়জাটা খোল সোনা। 


--তুলি:: তোমরা চলে যাও এখান থেকে চলে যাও আমার কাওকে চাই না কাওকে না ( ভাঙ ভাঙা কন্ঠে ) 


--রাহেলা বেগম :: দরজাটা খোল না মা। 


--তুলি:: আমাকে একটু একা থাকতে দাও তোমরা চেলে যাও এখন থেকে। 


সবাই জরো হয় তুলির দড়জার সামনে 


----তমালের রুমে ------


তমাল :: সরি জান পাখি  তোকে আজকের  রাতটাই কষ্ট দিবো কাল তুমি যা শুনতে চাও তাই বলবো। আর একটু কষ্ট দিবো তারপর তোকে আমি আমার ভালোবাসার দিয়ে নিজোর করে নিবো। আর কষ্ট পেতে দিবো না তোকে। 


--রুহি:: ভাইয়া তুই এখনো বসে আছিস আর তুলি আপু রুমের দড়জা লাগিয়ে বসে আছে বলছে ও নাকি মরে যাবে। 


রুহির মুখে এমন কথা শুনে। তমাল আতকে উঠে বলে 

( কি বলছিস এসব )


--রুহি:: তুলি আপুই তো বললো। 


তমাল আর কথা না বলে দৌড়ে তুলির রুমের দড়জার সামনে দাড়িয়ে বলে 


--তমাল:: তুলি এই তুলি দড়জা খোল। 


তুলি কোন কথা বলে না। তমাল আবার বলে 


--তমাল:: তুলি ভালোয় ভালোয় দড়জাটা খোল তা না হলে কিন্তু আমি দড়জা ভেঙে ঘরে ঢুকবো। 

 

--তুলি:: কেনো এসেছো তুমি এখানে চলে যায় এখান থেকে ( কিছুটা চেচিয়ে বলে ) 


--তমাল:: আগে দড়জাটা খোল তারপর যাবো আমি। 


--তুলি:: চলে যাও তোমরা আমাকে একা থাকতে দাও  একটু। 


--তমাল:: বললাম তো তুই দড়জা খুললেই চলে যাবো আমরা। 


তমালরা সবাই অনেক ডাকা ডাকি করার পর তুলি দড়জা খুলে দেয় তমাল তুলির মুখের দিকে তাকাতেই বুঝতে পারে এতোক্ষণ অনেক কেঁদেছে চোখ ফুলে গেছে নাক মুখ লাল হয়ে আছে। 


--তুলি:: কি হয়েছি কি কেনো ডাকছো বললাম না আমার ভালো লাগছে না একটু একা থাকতে চাই। 


রাহিলা বেগম :: ঘরে ঢুকে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বলে 

( কেনো এমন পাগলামি করছিস মা আমরা কতো ভয় পেয়ে ছিয়ে মিলাম )


--তুলি::  কি ভেবেছিলে তোমরা আমি সুই*সাইড করবো। চিন্তা করো না এমন কিছু আমি এখনো করবো না যতো দিন আমি নিজের দেয়া কথা রাখতে পারছি ততদিন কোথাও যাবো না আমি। 


-লতা বেগম :: ( তুলির মাথায় হাত দিয়ে বলে ) লক্ষী মা আমার আর কখনো এমন করিস না। 


--তুলি:: চিন্তা করো না চাচিআম্মু যত দিন না তোমার ছেলেকে আমার ভালোবাসার জন্য কাদাতে পারছি ততো দিন কিছু করবো না। ( চোখের পানি মুছে ) এবার তোমরা সবাই তোমাদের কাজে যাও আমি একটু রেষ্ট নিবো। 


--তমাল:: আম্মু তোমরা নিচে যাও আমার কথা আছে তুলির সাথে। 


--তুলি:: আমার কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না সবাই চলে যাও রুম থেকে ( চেচিয়ে বলে ) 


--তমাল:: কিছু একটা বলতে যাবে তার আগেই দেখে তুলি মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মাথা ঘুরছে তুলির তুলি পরে যেতে নিলে তমাল তুলিকে ধরে নেয় তুলি জ্ঞান হারিয়ে তমালে বুকে ঢোলে পরে 

তমাল আর্তনাত করে ওঠে। 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment