গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ১৪

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_১৪

#লিখনিতে_Rodela_Islam


তমাল তুলিকে কোলে করে ওয়াসরুমে নিয়ে গিয়ে শাওয়ারের নিচে একটা টুলে তুলিকে বসিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দেয়। অল্প সময়েই তুলি ভিজে চুপচুবে হয়ে গেছে। 


-তুলি:: এটা কি হলো তুমি আমাকে ভিজালে কেনো। 

-তমাল:: আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই চুপচাপ বসে থাক উঠবি না। 

-তমাল তুলির থেকে একটু দূরে দাড়িয়ে ছিলো। তুলি একটা মগে পানি নিয়ে তমালের গায়ে ছুড়ে দেয়। তমাল বুঝে উঠতে পারে নি তুলি এমন কিছু করবে। 


-তমাল:: কি করলি এটা। 

-তুলি:: যা করেছি বেশ করেছি তুমি আমাকে ভিজিয়েছো তাই আমিও ছিয়েছে দিয়েছি। 

-তমাল:: তুই ঘুমে ঢুলছিলি তাই তোকে ভিজিয়েছি যাতে তোর ঘুম কেটে যায়। এই জন্য বলে কারো ভালো করতে নেই। তুই দাড়া আমি তোর ড্রেস নিয়ে আসছি। তমাল তুলির আরমারী থেকে একটা ড্রেস এনে তুলিকে দিয়ে বলে। 


-তমাল:: চেন্জ করে ঘরেই বসে থাকবি বাইরে বের হবি না আমি আসছি। 

তমাল নিজের ঘরে গিয়ে চেন্জ করে নিচে আসে। 

সবাই খেতে বসেছে লতা বেগম তমালকে দেখে বলে ওঠে 


-লতা বেগম :: রাহাত তুলি মনে হয় এখনো ওঠে নি তুমি কি ওকে একটু ডেকে আনবে.....?? 

-রাহাত::হ্যা আন্টি আমি যাচ্ছি। 


--তমাল খাবার টেবিলে এসে একটা প্লেটে খাবার নিতে নিতক বলে 

-তমাল::কাওকে কোথাও যেতে হবে না আমি তুলির খাবার নিয়ে যাচ্ছি ও ঘরেই খাবে। 

-রাহিলা বেগম : কেনো তুলি ঘরে খাবে কেনো। 


-তমাল:: আমি ওকে ডাকতে গিয়েছিলা ও বললো ওর নিচে এসে খেতে ইচ্ছে করছে না তাই আমি বললাম আমি খাবার নিয়ে আসছি। 


-আলিফ আহমেদ :: তমাল তুমি খেতে বসো তুলি আম্মুর খাবারটা না হয় রাহাত নিয়ে যাক দুদিন পর তো তুলির সব দায়িত্ব রাহাতকে নিতে হবে। 


-তমাল:: যেতে যেতে বলে ) যখন দায়িত্ব নিবে তখন দেখা যাবে এখন আমারটা আমাকে বুঝতে দাও বলে তুলির রুমে চলে যায়। 


সবাই তমালের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। 

আলিফ আহমেদ :: এখনো কিছু বললো না এই ছেলেকে নিয়ে যে কি করবো। ছেলের বুক ফাটবে তবু মুখ ফুটে বলবে না যে তুলিকে ভালোবাসে। 

আসিফ আহমেদ :: আমার কেনো যানি ননে হচ্ছে আমরা ভুল করছি ছেলেটাকে এতো প্রেসার না দিয়ে সময় দিলিও পারতাম আমরা। 

আলিফ আহমেদ :: চিন্তা করিস না যা হবে ভালোই হবে। 

আর কেও কোন কথা না বলে খাওয়ায় মন দেয়। 


------তুলির রুমে------


তুলি চেন্জ করে এসে খাটে বসে ঘরির দিকে তাকিয়ে অবাক হয়ে যায়। 

-তুলি:: আমি এতোক্ষণ ঘুমালাম কি করে। আমি তো অসময়ে কখনো ঘুমাই না তাহলে কেনো তখন এতো ঘুম পাচ্ছিলো তাও এক টানা ৫ ঘন্টা ঘুমালাম কি করে সম্ভব এটা। 


তমাল এসে তুলির সামনে খাবারের  প্লেট  রেখে তুলির পাশে বসে বলে 

-তমাল:: নে খাবারটা খেয়ে নে। 

-তুলি:: তমালের দিকে তাকিয়ে বলে ) আমি নিচে গিয়ে খাবো তোমাকে আমি বলেছি খাবার আনতে।


-তমাল:: তোকে এতো বেশি কথা বলতে বলি নি খেতে বলেছি। 

-তুলি:: আমি এখানে খাবো না নিচে গিয়ে রাহাতের পাশে খাবো। ( কথা বলে উঠে যেতে নিলে তমাল তুলির হাত ধরে আবার খাবে বসিয়ে বলে ) 


-তমাল:: কোথাও যাবি না তুই এখানে বসেই খাবি। 

-তুলি:: না আমি যাবো আমি আমার হবু বরের পাশে বসে খাবো। 

-তমাল:: ( এবার কিছুটা রেগে গিয়ে বলে) তোকে শেষ বারের মতো বলছি তুই আমার সামনে বেশি বর বর করবি না তাহলে তোর যে কি অবস্থা করবো তুই ভাবতেও পারছিস না। 


--তুলি:: তুমি আমার যা খুশি করো তাতে আমার কিছু আসে যায় না কিন্তু আমি তো আমার বরের কথা বলবোই। 

( তমাল কিছু না হঠাৎ তুলির দিকে এগিয়ে তুলির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট মিলিয়ে দেয়। দুজনের তপ্ত নিশ্বাস দুজনের মুখে আছরে পরছে সাথে বুকের মধ্যে ঢোল পেটানোর আওয়াজ হচ্ছে। তমালের হঠাৎ কান্ডে তুমি হতবিহ্বল হয়ে যায়। তুলির মস্তিষ্কে তমালের হঠাৎ কান্ড করা ছাড়া আর কিছু নেই। তমাল দু মিনিট পর তুলিকে ছেড়ে দিয়ে বলে)


-তমাল::  এর পর বেশি বর বর করলে এর থেকেও বেশি কিছু হবে। এখন বর বর না করে চুপ চাপ খেয়ে নে। 

-তুলি তো তমালের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে কি হলো এটা এখনো বুঝতে উঠতে পারছে না। তমাল যে এমন একটা কান্ড করবে তা তুলির ধারণাই ছিলো না। 


-তমাল:: কি হলো তমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেনো খেতে বললাম তো ( একটু ধমকের স্বরে)

-তমালের ধমক খেয়ে নরে ওঠে তুলি। 

-তমাল:: আমি এখন আসছি জানপাখি তুমি খেয়ে ঘুমিয়ে পরো। গুড নাইট জানপাখি। 

তমাল তুলির রুম থেকে বেরিয়ে যায়। 


--তুলি  আঙুল দিয়ে নিজের ঠোঁটে স্পর্শ করে। তুলি উঠে আয়নার সামনে গিয়ে দাড়ায় আয়নায় চোখ পরতেয় লজ্জায় দু হাতে নিজের মুখ ঢাকে। 


------পরদিন সকালে ------


তুলি রেডি হয়ে নিচে নামে ভার্সিটি যাবে বলে তখন রাহাত তুলির সামনে এসে বলে


রাহাত :তুলি চলো আজ আমি তোমায় ভার্সিটিতে দিয়ে আসি। 

তুলি কিছু বলার আগেয় তমাল পেছন থেকে বলে ওঠে 


-তমাল :: রাতহ তুলি আমার সাথে যাবে। তোমার কষ্ট করতে হবে না। 

-রাহাত :: ভাইয়া কোন অসুবিধা নেই আমার বরং আমার ভালাই লাগবে। 

-তুলি:: হ্যাঁ আজ না হয় রাহাতের সাথেই যাই আমি চলুন রাহাত আমরা এগোই। 


-তমাল:: তুলির হাত ধরে নিয়ে যেতে যেতে বলে) রাহাত তুমি তুলির  আশে পাশে আসবে না বলে দিলাম তাহলে কিন্তু ভালো হবে না। 

-তুলি:: তুমি আমার বরকে হুমকি দিচ্ছো। 

-তমাল:: এখন তো শুধু হুমকি দিচ্ছি পরে কি করবো নিজেও জানি না জানপাখি। 

-তুলি:: এই কি বললে তুমি আমায়।

-তমাল:: যা শুনলি তাই বললাম। 


তমাল গিয়ে তুলির জন্য গাড়ির দড়জা খুলে দিয়ে বলে 

-তমাল:: গাড়িতে উঠে বসো জানপাখি। 

তুলি বেশি কথা না বলে গাড়িতে উঠে বসে। তমাল ড্রাইভিং ছিটে বসে গাড়ি স্টাট দেয় । হঠাৎ তুলির নিজের হাতের দিকে নজর পরে। 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment