#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#পার্ট_১৩
#লিখনিতে_Rodela_Islam
রাহাত তমালের দিকে তাকিয়ে আছে হা হয়ে। তুলি রাহাতকে তার পরিকল্পনা জানিয়ে রাজি করিয়েছে রাহাত রাজিও হয়েছে কিন্তু রাহাত তুলিকে দিয়ে তার গালফ্রেন্ডকে বুঝিয়ে বলেছে । তমাল তুলিকে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তুলির পাশে বসে তুলির গালে হাত বুলিয়ে বলে
-তমাল:: সরি জানপাখি আমি তোর সাথে এমন করতে চাই নি কিন্তু কি করবো তুই তো আমার কথা না ভেবে কোথাকার কোন ছেলের সাথে ঘুরতে যেতে চাইলি তাই তো তোকে ঘুম পারিয়ে রাখলাম তুই চার-পাঁচ ঘণ্টা ঘুমেয়ে থাক এবার।
( তমাল তুলির জন্য কফি আনার সময় কফিতে Chlorine 5 এর একটা ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয় )
আমি কথা দিচ্ছি কাল ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে তোকে ঘুমতে নিয়ে যাবো কথা দিচ্ছি কিন্তু তোকেও কথা দিতে হবে তুই রাহাতের সাথে কোথাও যাবি না কথা দে। ওহ্ তুই তো ঘুমিয়ে আছিস আচ্ছা তোকে কথা দিতে হবে না আমি সামলে নিবো সব। তমাল ঝুঁকে তুলির কপালে আলতো করে ঠোঁটের ছোয়া দিয়ে সোজা হয়ে বসে তুলির বাম হাত নিজের হাতে নিয়ে রিংটা খুলে ফেলে তমালের কিনে আনা রিংটা তুলির হাতে পরিয়ে দিয়ে হাতে চুমু খেয়ে বলে তোর সব ইচ্ছে আমি পূরণ করবো। তাও তুই কারো থেকে কিছু নিতে পারবি না বলে দিলাম তাহলে কিন্তু খাবাপ হয়ে যাবে। আচ্ছা জানপাখি তুমি ঘুমাও আমি আসছি এখন পরে আসবো আবার। তলাম তুলির মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে চলে যায়।
-------ডইং রুমে -------
রাহাত তুলির রুমে যেতে নিয়েও যেতে পারেনি কারন তমাল সেখানে ছিলো বলে সাহস করে উঠতে পারে নি রাহাত তমালকে আগে থেকে ভয় পায়। তাই রাহাত সোফায় বসে ফোন দেখছিলো। লতা বেগম আর রাহেলা বেগম রান্না ঘরে যাচ্ছিল তখন রাহতকে দেখে বলে
-রাহেলা বেগম : : রাহাত বাবা তুমি আর তুলি না বললে বাইরে যাবে যাও নি.....??
-রাহাত :: না আন্টি তুলির না কি শরীর খারাপ তাই ঘুমিয়ে গেছে।
-রাহেলা বেগম :: তুলির শরীর খারাপ আমাকে তো কিছু বলে নি।
-লতা বেগম :: তুলি বলেছে তোমায় আর তুলি কি ওর ঘরে।
-রাহাত:: তমাল ভাইয়া তুলিকে নিয়ে গিয়েছে রুমে।
-লতা বেগম :: তমাল নিয়ে গেছে......??
-রাহাত:: হ্যাঁ।
-রাহেলা বেগম:: আপা চলো তো গিয়ে দেখি কি হলো মেয়েটার।
-লতা বেগম :: হ্যা চলো তমাল আবার কিছু করলো না তো ওর ভাব গতি আমার ভালো ঠেকছে না কাল থেকে।
রাহেলা বেগম আর লতা বেগম গিয়ে দেখে তুলি ঘুমিয়ে আছে রাহেলা বেগম মেয়ের মাথার কাছে গিয়ে বসে কপালে হাত রেখে দেখে জ্বর এসেছে কি না। কিন্তু না শরীর ঠান্ডা। লতা বেগম তুলিকে কয়েক বর ডাকে কিন্তু কোন সারা পায় না। রাহেলা বেগমের একটু ভয় হয় কি হলো মেয়ের তা ভেবে। তমাল এদিক দিয়ে যাচ্ছিলো তখনি মামনী আর আম্মুর গলা পেয়ে তুলির রুমে এসে বলে
-তমাল:: ওকে ডেকো না মামনী ও ঘুমোচ্ছে দেখতে পাচ্ছ না।
-রাহিলা বেগম আর লতা বেগম পিছনে ঘুরে তাকায় তমালে দিকে লতা বেগম তমালকে প্রশ্ন করে
-লতা বেগম :: তুলির কি হয়েছে রাহাত বললো ও নাকি অসুস্থ কি হয়েছে ওর......??
--তমাল:: তেমন কিছু না মাথা ব্যাথা করছিলো তাই ঔষধ দিয়েছি সেটা খেয়ে ঘুমিয়ে ঘুমের থেকে উঠলে ঠিক হয়ে যাবে তোমরা চিন্তা করো না। তুলিকে একবার দেখে নিজের গন্তব্যে চলে যায়।
-রাহেলা বেগম:: ছেলেটা মনে মনে কষ্ট পাচ্ছে খুব।
-লতা বেগম :: তাতো পাবেয় নিজের মনের কথা বলতে না পরলে। পাক কষ্ট ওর কষ্ট পাওয়াই উচিৎ মেয়েটাকে তো আর কম কষ্ট দেয় নি।
-রাহেলা বেগম:: আচ্ছা চলো ও ঘুমাক একটু।
-লতা বেগম :: হ্যাঁ চলো।
-------রাত ৮:৩০------
তমাল তুলির রুমে এসেছে তুলি উঠেছে কিনা তা দেখতে । তার ধরনা অনুযায়ী তুলির এতোক্ষণে উঠে পরার কথা।কারন বিকেল ৪:০০ এখন রাত ৮:৩০। কিন্তু তুলি এখনো বেঘোরে ঘুমোছে। তমাল তুলির পাশে বসে তুলেকে ডাকে কিন্তু তুলির কোনো সারা শব্দ পায় না। কিছুক্ষন ডাকার পরেও যখন তুলি উঠলো না তখন তমালের ভয় হতে থাকে।
তমাল বিরবির করে বলে কি হলো এটা ওর তো এতোক্ষণে উঠে পরার কথা তাহলে উঠছে না কেনো আমি কি কোন ভুল করে ভেললাম কিন্তু আমি তো একদম কম পাওয়ারের ঔষধ দিয়েছিলাম তাহলে আমার কি ডক্টর আঙ্কেলকে কল করা দরকার কি করবো আমি এখন তমাল গিয়ে আবার তুলির পাশে বসে তুলেকে ডাকে হঠাৎ কি মনে করে পানি এনে তুলির মুখে ছিটিয়ে দেয় পানি ছিটায় ঘুম কিছুটা হালকা হয় চোখ বন্ধ রেখেয় বলে
--তুলি:: আমার খুব ঘুম পাচ্ছে আমাকে একটু ঘুমোতে দাও বিরক্ত করো না। মাথাটা ভার হয়ে আছে।
-তুলির কথা শুনে তমাল শান্তির নিশ্বাস নেয়। তুলি নরে চরে আবার ঘুমিয়ে পরে। তমাল নিচে গিয়ে দুটো লেবু এবং তেতুল দিয়ে এক গ্লাস শরবত বানায় তুলির জন্য নিজের হাতে । তমালকে লেবু তেতুলের শরবত বানাতে দেখে তমালের আম্মু জিজ্ঞেস করে রাতের বেলায় শরবত দিয়ে কি করবে আর কার জন্য। তমাল কোনো উত্তর না দিয়ে চলে যায়। লতা বেগম কিছুটা অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
-------তুলির রুমে -------
-তমাল:: তুলি শুনতে পারছিস আমার কথা তুলি।
-তুলিতো নিজের মতো ঘুমোচ্ছে। তমাল পানি এনে তুলির মুখে ছিটিয়ে দেয় তুলি পিট পিট করে তাকিয়ে দেখে তমাল বসে আছে।
--তুলি:: একটু ঘুমোতে দাও না তমাল ভাই।
-তমাল:: আগে উঠে বস আবার পরে ঘুমোবি।
-তুলি:: না আমার এখন ঘুম পাচ্ছে।
তমাল তুলিকে ধরে উঠিয়ে বসিয়ে বলে
-তমাল:: চুপ কোন কথা বলবি না আমি যা বলবো তাই করবি। তুলি ঘুমে ঢুলে পরছে। তমাল এক হাত দিয়ে তুলিকে ধরে আর এক হাতে শরবতের গ্লাসটা তুলির সামনে বলে
-তমাল:: কোনো কথা না বলে চোখ মুখ বন্ধ করে খেয়ে নে এটা।
-তুলি:: না আমি খাবো না ঘুমাবো।
-তমাল:: আগে এটা খেয়ে নে তারপর ঘুমাস তোকে আর ডিস্টার্ব করবো না।
-তুলি:: সত্যি
-তমাল:: হুম সত্যি।
তুলি একটু মুখে দিতেই চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নেই।
-তুলি:: আমি এটা খাবো না খুব বাজে খেতে। বলে আবার শুয়ে পরতে নিলে তমাল তুলিকে জোড় করে খাইয়ে দেয়। একেই তো ঘুমের জন্য তাকাতে পারছে না তার উপর তমাল জোর করছে। তুলি হঠাৎ কেঁদে দেয়। তমাল তুলিকে কোলে করে নিয়ে ওয়াসরুমে নিয়ে গিয়ে তুলিকে একটা টুলের উপর বসিয়ে শাওয়ার ছেড়ে দেয়।
#চলবে
#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#রোদেলা_ইসলাম
0 Comments:
Post a Comment