গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ২৩

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_২৩

#লিখনিতে_Rodela_Islam


--তুলি:: আমার ডাকতে ইচ্ছে করেনি তাই ডাকি নাই। আমার খিদে পেয়েছে। 

--তমাল:: খিদে পেয়েছে তো নিচে গিয়ে খেয়ে আয়। 

--তুলি:: খাওয়ার কিছু নেই আমি দেখে এসেছি। তাই তুমি এখন আমার জন্য খাবার রান্না করে আনবে। 

--তমাল:: কি... এতো রাতে আমি রান্না করবো....?

--তুলি:: হ্যাঁ করবে তোমার জানপাখির খুব খিদে পেয়েছে। তুমি তোমার জানপাখির জন্য একটু কষ্ট করতে পারবে না।তুমি কি চাও আমি না খেয়ে মরে যাই। 


--তমাল:: হয়েছে আর নাটক করতে হবে না তুই বস আমি চেন্জ করে আসছি। পুরো ভিজিয়ে দিয়েছিস। 

তমাল চেন্জ করে এসে কিচেনে যায় তুলিও যায় তমালের সাথে। 

--তমাল:: কি খাবি বল..?? 

--তুলি:: নুডলস খাবো। 

--তমাল:: নুডলস তো তুই নিজেও বানিয়ে খেতে পারিস। 

--তুলি:: আমার বানাতে ইচ্ছে করছে না। 

--তমাল:: তা কেনো ইচ্ছে হবে সব আমাকে খাটুনি খাটানের ধান্দা। 


--তুলি:: আমাকে এতো গুলো কথা শুনাচ্ছো শুধু একটু রান্না করে খাওয়াতে বলেছি বলে। থাক তোমার রান্না করতে হবে না আমি খাবো না।  ( কাদো কাদো মুখ করে )বলে চলে যেতে নিলে তমাল তুলির হাত ধরে আটায়। 


--তমাল:: আরে জানপাখি কোথায় যাচ্ছিস আমি মজা করছিলাম। 

--তুলি:: ছাড়ো আমাকে আমি ঘরে যাবো তোমাকে রান্না করতে হবে না। আমি খাবো না। 

--তমাল:: সরি বললাম তো আচ্ছা এমন কথা বললো না। সরি 

--তুলি:: আচ্ছা এবারের মতো মাফ করে দিলাম। 

তমাল রান্না করছে আর তুমি দাড়িয়ে দাড়িয়ে তমালকে দেখছে। রান্না শেষে খাবারটা টেবিলে উপর রেখে বলে 


--তমাল:: খেয়ে নে এবার। 

--তুলি:: তুমি খাইয়ে দাও

--তমাল:: এখন আবার খাইয়েও দিতে হবে.....?? 

--তুলি:: হুম 

তমাল তুলিকে খাইয়ে দেয় তুলিও তমালকে কিছুটা খাইয়ে দেয়। খাওয়া শেষে তুলি তমারের সাথে কিছুক্ষন গল্প করে ঘুমতে চলে যায়। 


----- ১০ দিন পরে ------

--বিকেলে--


তুলি ডইং রুমে বসে টিভি দেখছিলো। তখনি কেও কলিং বেল বাজায় তুলি গিয়ে দড়জা খুলে দেয়। 

তমালের কয়েকটা বন্ধু এসেছে। তুলি তাদের ভেতরে আসতে বলে। 


--আশিক:: কেমন আছো তুলি...?? 

--তুলি:: আলহামদুলিল্লাহ ভালো। আপনি কেমন আছেন ভাইয়া..?? 

--আশিক:: আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তমাল কোথায়...??

--তুলি::  তমাল ভাই ঘরে আছে। আপনারা বসুন আমি ডেকে দিচ্ছি।

--আশিক:: আচ্ছা যাও।


তুলি তমালকে ডাকতে ওর ঘরে যায়। তমাল কাজ করছিলো। তুলিকে দেখে বলে 

--তমাল:: কি ব্যাপার জানপাখি এই সময় তুই আমার ঘরে আবার কিছু করতে হবে নাকি। 

--তুলি:: না কিছু করতে হবে না। তোমার বন্ধুরা এসেছে তাই ডাকতে এলাম। 

--তমাল:: আশিকরা এসেছে কই আমাকে তো বললো না ওরা আসবে। 

--তুলি:: আমি কি যানি। সাথে ওই মেয়েটাও এসেছে আজ যদি ওই মেয়েটা বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ওর একদিন কি আমার একদিন। আর তুমাকেও সাবধান করছি। 

--তমাল:: আরে জানপাখি সেদিন তো ইচ্ছে করেই বলেছিলাম ওকে ওমন করতে। আজ আর কিছু করবে না। তুই চিন্তা করিস না। 


তমাল নিচে এসে কিছুক্ষন গল্প করে। তারমধ্যে সবার জন্য নাস্তা দিয়ে গেছে। 

-অভি:: তা বিয়ে করছিস কবে....?? 

--তমাল:: এখনো ৫ মাস ২০ দিন। 

-জিহাদ: এতো দেড়ি কেনো তোর পরিবারের সবাই তো রাজি। 

--তমাল:: হ্যাঁ সবাই রাজি কিন্তু যার সাথে বিয়ে হবে সে বাদে তুলি আমাকে বলেছিল ছয় মাস পরে বিয়ে করবে তার কথা আমি ওকে এতো দিন কষ্ট দিয়েছি তার প্রতিশোধ নিবে। 

--আশিক:: ঠিক আছে মেয়েটাকে কম কষ্ট দেস নাই। 

--তমাল:: হুম তা এখন হারে হারে বুঝতে পারছি। 


আশা এতোক্ষণ চুপচাপ কথা শুনছিলো।

-আশা:: তমাল আমার তোর সাথে কিছু কথা আছে।

--তমাল:: কি কথা বল না। 

-আশা:: এখানে না একটু একা কথা কথা বলা যাবে......??

--তমাল:: কি এমন কথা যা সবার সমনে বলা যাবে না.....??

--আশা:: দরকারি কথা আছে চল না তোর ঘরে। 

--তমাল:: আচ্ছা চল। 


আশা তমালের ঘরে যায়। 

--তমাল:: কি বলবি বল...??

-আশা:: তমাল তুই কি সত্যি সত্যি তুলিকে বিয়ে করবি। 

--তমাল:: হ্যাঁ কেনো..?? 

--আশা:: তাহলে আমার কি হবে..?

--তমাল:: মানে কি বলতে চাচ্ছিস তুই....? আমি তোকে আগেও বলেছি এখনো বলছি তুই শুধু আমার বন্ধু এছাড়া অন্য কিছু না তাও কেনো বার বার এক কথা বলছিস।

--আশা:: কেনো এমন করছিস একটু বোঝার চেষ্টা কর। 

--তমাল:: আমি কিছু বুঝতে বা শুনতে চাই না।তুই বন্ধু বন্ধুই থাকবি এর বেশি কিছু না। বলে তমাল ঘর থেকে বেড়িয়ে যায়। 


আশা কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে তুলির রুমে যায়। 

আশ:: আসতে পারি...? 

--তুলি:: আশা আপু আসুন ভেতরে আসুন। 

--আশা:: তুলি আমি তোমাকে একটা কথা বলতে এসেছি। 

--তুলি:: কি কথা বলুন না আপু...?

--আশা:: তুলি তুমি তমালকে ছেড়ে দাও আমি ওকে অনেক ভালোবাসি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না আমি.।


আশার কথা শুনে তুলি নিশ্চুপ হয়ে গেছে। সে যানতো আশা তমালকে পছন্দ করে। কিন্তু ও ভেবেছিলো তমালের বিয়ের কথা হলে আর কিছু বলবে না। 

কিছুক্ষন চুপ থেকে বলে 

--তুলি:: দেখুন আশা আপু আপনি হয়তো ওকে ভালোবাসেন কিন্তু ও বাসে না। আর তার থেকেও বড়ো কথা আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আর কি বললেন ওকে ছেড়ে দিবো আমি বেচে থাকতে তা সম্ভব না। আমি ওর দেওয়া হাজার যন্ত্রণা সহ্য করে এখনো বেচে আছি কারণ আমি ওকে ভালোবেসেছি বলে আর ওকে আমার করে পাওয়ার অপেক্ষায়। আপনি আমার জায়গায় থাকলে এতো দিনে পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতেন। আমি পাড়বো না ওকে ছেড়ে দিতে তাই ওর দিকে অন্য নজরে তাকাবেন না। 


(গল্পটা ভালো লাগলে আমার মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসবেন। সবার কাছে অনুরোধ রইলো। ধন্যবাদ )


#চলবে

#ভুল_ত্রুটি_মার্জনীয়

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment