গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ২৪

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_২৪ 

#লিখনিতে_Rodela_Islam


--আশা:: তুলি আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারবো না। 

--তুলি:: আপনি ওকে ছাড়া থাকতে পারবেন না। আর আমি ওকে না পেলে বাঁচাতে পারবো না। আর তার থেকেও বড় কথা আমি আর তমাল দুজন দুজনকে ভালোবাসি। তাই আমাদের দুজনের মাঝে আসবেন না। আপনি ওর বন্ধু বন্ধু হয়েই থাকুন। 

--আশা:: তমালকে আমি ভালোবাসি আর ওকে আমি আমার করেয় নিবো। 

--তুলি:: পারবেন না আমি বেঁচে থাকতে তমালকে আমি কারো হতে দিবো না। 

-আশা:: আমিও দেখে নিবো তমাল কি করে তোমার হয়। 

--তুলি:: তমাল শুধু আমার আর আমারি থাকবে তাহলে আর নতুন করে আমার হওয়ার কি আছে। 

আমার তমালের দিকে হাত বাড়ালে ওই হাত ভেঙে দিতে আমি দুবার ভাববো না। 

-আশা:: আমি তোমাকে দেখে নেব।বলে হনহন করে চলে যায়। 


--অভি:: কিরে আশা কোথায় ছিলি এতোক্ষণ। 

--আশা:: আরে আমি তো চলেয় আসছিলাম তুলির সাথে দেখা হয়ে গেলো তাই একটু কথা বলছিলাম। 

--অভি:: ওহ্ আচ্ছা। 

--আশিক:: ( তমালের কানের কাছে গিয়ে বিরবির করে বলে ) এই তমাল তুলি আশার সাথে কথা বলেছে এটাকি সত্যি। এর আগের বার তো একটুর জন্য অঘটন ঘটেনি। 

--তমাল:: আমিও একি কথা বলছি কি কথা বললো কে যানে। 


তুলি নিচে এসে তমালকে ডাকে 

--তুলি:: তমাল ভাই একটু শুনে যাও। 

--তমাল:: কি হয়েছে ডাকছিস কেনো। কথা বলছি তো। 

--তুলি:: আগে এদিকে এসো পরে কথা বলো।

--আশিক:: আরে যা না কি বলছে শুনে আর তা নাহলে আবার কি না কি করে বসে। 


তমাল উঠে তুলির কাছে গিয়ে বলে 

--তমাল:: কি হয়েছে ডাকছিস কেনো....??

--তুলি:: তোমার বন্ধুকে বলে দিলো আমাদের মাঝে না আসতে আর একবার যদি উল্টো পাল্টা কিছু বলে আমি কিন্তু চুপ করে থাকবো না বলে দিলাম।

--তমাল:: ( ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলে ) কেনো কি বলেছে  ও তোকে.....??

--তুলি:: ও বলছে তোমাকে নাকি আমার কাছ থেকে কেরে নিবে তোমাকে আমার হতে দিবে না। ও যদি আমার কাছ থেকে তোমাকে কেরে নিতে চাই আমি কিন্তু ওকে খুন করে ফেলবো। তুমি শুধু আমার আর কারো না। ( তুলি দু চোখ বেয়ে নোনাজল গড়িয়ে পরছে ) 


--তমাল:: ( তুলির চোখের পানি মুছে আলতো করে তুলিকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলে ) আরে বোকা জানপাখি কাদছিস কেনো আমি তো তোর শুধু তোর। তুই চিন্তা করিস না তোর ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকবো তাও কোনো পেত্নীকে ভালোবাসবো না। বুঝতে পারছিস জানপাখি। এই পেত্নীকে আগেয় ভালোবাসি নাই আর এখনতো তুই আছিস তাহলে ওই পেত্নীর দিকে কে তাকাবে। 


--তুলি:: ফিক করে হেসে দিয়ে বলে ) আসলেই একটা পেত্নী অন্যের জিনিসে ভাগ বসায়।

--তমাল:: আচ্ছা আমি দেখিছি কি করা যায়। চল আমার সাথে। 

--তুলি:: আচ্ছা। 

তমাল তুলির হাত ধরে আশিক দের সামনে এসে বলে 

--তমাল:: আশা তুই তুলিকে কি বলেছিস। 

--আশা:: আমি তো কিছুই বলি নি। 

--তমাল:: আশা তুই ভালোকরে শুনে রাখ। আমি তুলিকে ভালোবাসি আর ওকে ছাড়া আমি কাওকে ভালোবাসতে পারবো না তাই তুই আর এসব কথা বলবি না। যদি আবার এই সব বলিস তাহলে তোর সাথে আমি আর বন্ধুক্ত রাখতে পরবো না। 


--আশা:: তমাল তুই এই মেয়েটার জন্য আমাকে কথা শুনাচ্ছিস। 

--তমাল:: আশা ওকে ওই মেয়েটা বলার সাহস হয় কি করে তোর। 

আশা তুলির সামনে এসে রাগে কটমট করে বলে 

-আশা:: তোমার জন্য তমাল আমাকে এতো কথা শুনালো। আমি তো তোকে বলে তুলিকে থাপ্পড় মারার জন্য হাত উঠায় তুলি ভয়ে চোখ বন্ধ করেফেলে তমাল আশার হাত ধরে বলে


--তমাল:: তোর সাহস হয় কি করে ওর হায়ে হাত দেওয়ার। আমি তো তোকে আজ খুন করে ফেলবো।(রাগি কন্ঠে চেচিয়ে বলে )  তমাল আশার হাত মুচরে ধরে আশা আর্তনাদ করে ওঠে 

--আশা:: তমাল লাগছে আমার হাত ছাড়।

তুলি আশার চিৎকারে চোখ খুলে তাকায়। 

--তমাল:: লাগুক তুই কি করতে যাচ্ছিলি তুই আমার জানপাখির গায়ে হাত দিতে যাচ্ছিলি। 

তোর হাত আমি ভেঙে দিবো। আরো জোড়ে চেপে ধরে। আশা চিৎকার করে ওঠে রুম থেকে লতা বেগম আর রাহিলা বেগম ছুটে আসে 


--তুলি:: তমাল ভাই ছেড়ে দাও কি করছো কি তুমি...??

--তমাল:: তুলি তুই সরে জা। আজ ওকে আমি 

আশিক অভি ওরা এসে তমালকে ছাড়িয়ে দূরে নিয়ে আসে। 

--তমাল:: আশিক ছেড়ে দে আমায়। 

-তুলি তমালের কাছে গিয়ে দাড়িয়ে বলে 

--তুলি:: তমাল ভাই শান্ত হও। 

--তমাল:: ওর সাহস হয় কি করে তোর গায়ে হাত তোলার। 


--লতা বেগম :: তমাল তুই কি পাগল হয়ে গেছিস মেয়েটার সাথে এমন করছিস কেনো...??

--তমাল:: ও আমার তুলিকে থাপ্পড় মারতে এসেছিলো। ইচ্ছে করছে ওকে 

--আশিক:: অভি তুই আশাকে নিয়ে বাইরে যা আমি আসছি। 

আশা বাইরক যেতে যেতে বলে 

-আশা:: তোমাদের দুজনকে আমি শান্তিতে থাকতে দিবো না। তুলি তোমাকে তো পরে আমি দেখে নিবো। 

তমাল আশার দিকে এগোতে গেলেয় আশিক তমালকে আটকে দেয়। তুলি তমালকে বুঝিয়ে শান্ত করে। আশিক অভিদের যাওয়ার পর চলে যায় তমালকে বুঝিয়ে। 


-----রাত ৯:০০ টা ------

--তুলি তমালের রুমে গিয়ে তমালের পাশে বসে বলে 

--তুলি:: আমার চকলেট দাও। 

--তমাল:: কিসের চকলেট আর আমি চকলেট কোথায় পাবো। 

--তুলি:: আমি জানি তোমার কাছে আছে এখন তাড়াতাড়ি দিয়ে দাও তো। 

--তমাল:: আমি কি চকলেটের দোকান যে তুই যখন বলবি তখনি দিতে পারবো। 

--তুলি:: তুমি যে ভার্সিটি থেকে ফেরার সময় আমার জন্য চকলেট আনো যেটা আমি জানি প্রতিদিন দাও কিন্তু আজ দেও নি কেনো। 

--তমাল:: আজ আনি নাই তাই দেই নি। 

--তুলি:: ঠিক আছে তাহলে এখন এনে দাও 

--তমাল:: পারবো না আমি 

--তুলি:: তুলি দেবে কি না বলো 

--তমাল:: না দিবো না কি করবি তুই....??

--তুলি:: চকলেট না দিলে তোমার হাতে কামরে দিবো আমি। 

--তমাল:: কি.....?? দিবো না আমি। 

তুলি তমালের হাতে জোড়ে একটা কামর দেয় কিন্তু তমালের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা যায় না। তুলি আর জোড়ে কামর দেয়। তমাল এবার আ: বলে ওঠে

--তুলি:: দিবে নাকি আরো জোড়ে কামরাবো....??

--তমাল:: আচ্ছা বাবা দিচ্ছি তোর কামর খাওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই আমার। তমাল তুলির জন্য দুটো চকলেট এনে তুলির হাতে দেয়। 


( গল্পটা ভালোলাগলে আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসার অনুরোধ রইলো। গল্প পরতে ফালো লাগলে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন।ধন্যবাদ। )


#চলবে

#ভুল_ত্রুটি_মার্জনীয়

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment