গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ২৫

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_২৫ 

#লিখনিতে_Rodela_Islam


 --তুলি:: তুমি বললে চকলেট আনো নাই তাহলে এখন কি করে এলো.......??


--তমাল:: ছিলো আমার কাছে। 

--তুলি:: আমি ভাবছি তোমার শাস্তিটা না বিয়ের পরে দিবো। 


--তমাল:: ( কপাল কুচকে বলে ) মানে.....??

--তুলি:: মানেটা নিচে গেলেয় বুঝতে পারবে। 


--তমাল:: তুই আবার কিছু করেছিস তাই না। কি করেছিস......?? 


--তুলি:: আমি কিছু বলবো না যা বলার আব্বু আর চাচ্চুই বলবে। 


--তমাল:: বলবি তুই ঠিক কি বলতে চাচ্ছিস। 

--তুলি:: ভাবলাম বিয়েটা আগে করে নেই তারপর না হয় বাকি শাস্তিটা দিবো। 


--তমাল:: তোর দুদিন পর পর কি হয় বল তো....?

 

--তুলি:: কিছুই হয় না। দেখো আমি যদি এখন তোমাকে বিয়ে করে নেই তাহলে তাহলে আশা আপু তোমাকে আমার কাছ থেকে কেরে নিতে পারবে না। তাই ভাবলাম বিয়েটা করেই ফেলি। 


--তমাল:: তুলি তুই শুধু শুধু ভয় পাচ্ছিস আমাকে তোর থেকে কেও আলাদা করতে পারবে না। তাই তুই শুধু শুধু চিন্তা করে শরীর খারাপ করিস না। 


--তুলি:: আরে তুমি বুঝতে পারছো না। আমি তোমাকে অনেক কষ্টের পরে আমার করে পেয়েছি এবার যদি তুমি আমাকে ছেড়ে অন্য কারো কাছে চলে যাও তাহলে আমার কি হবে। না না আমি কোনো রিকছ নিতে চাই না। তাই বাড়ির সবাইকে বলেছি ১৫ দিনের মধ্যে বিয়েটা করতে চাই। 


--তমাল:: কি...?? তাই বলে এতো তাড়াতাড়ি। 


--তুলি:: হ্যাঁ। আমি যা বলেছি তাই হবে তুমি কিন্তু বেশি কথা বলবে না। 


--তমাল:: তোকে না পাবনা রেখে আসা দরকার। পাগলের মতো কখন কি বলিস কি করিস নিজে জানিস।


--তুলি:: কি আমি পাগল....?

--তমাল:: হুম তুই পাগলা।

--তুলি:: তাহলে তুমি পাগলের স্বামী।


--তমাল:: আচ্ছা তুই যা বলবি তাই হবে। আম্মু খেতে ডাকছে চল। 

--তুলি:: হুম চলো। 

সবাই খাবার টেবিলে উপস্থিত। 


আলিফ আহমেদ :: তোমারা সাবাই হয়তো জানো তুলি কি বলেছে তাও আবার বলছি। তুলি চাই ১৫ দিনর মধ্যে বিয়েটা শেরে ফেলেতে। আর তমালের মনে হয় কোন অসুবিধা নেই। আর আমরা সবাই যেখানে রাজি আছি তাই ভাবলাম এখন কাবিন করিয়ে রাখি পরে না হয় বড় করে আনুষ্ঠান করা যাবে। কি বলো তোমরা।


-লতা বেগম :: এতো তাড়াহুড়ো করার কি দরকার ছিলো....?? 


--আলিফ আহমেদ :: দেখো তুলি সেদিন রাজি হলে বিয়েটা আরো আগে হয়ে যেতো। তাই এখন ও যখন চাইছে বিয়েটা করতে এতে তো কোনো সমস্যা দেখতে পারছি না। তমাল তোমার কোনো আপত্তি আছে.......? 


--তমাল:: না আব্বু আমার কোনো আপত্তি নেই। 


--আসিফ আহমেদ :: তাহলে আর কি কারোই কোনো আপত্তি নেই তাহলে শুভ কাজে দেড়ি কিসের। 


--রাহিলা বেগম :: এই মেয়ের মাথায় কখন কি চলে ;কখন কি বলে ;কি করে ;ওই জানে। 


সবাই খাবার শেষ করে যে যার মতো ঘরে চলে গিয়েছে। তুলি রুমে যাওয়ার একটু পরে তমাল তুলির রুমে যায়। তুলি খাটের সাথে হেলান দিয়ে বসে ফোন দেখছিলো। তমাল এসে ধপ করে তুলির কুলে শুয়ে পরে। 


--তুলি:: ( কপাল কুচকে তাকিয়ে বলে ) কি হলো এতা তুমি আমার কুলে শুয়েছো কেনো....?? 


--তমাল:: আমার ইচ্ছে হয়েছে তাই। তোর কি সমস্যা...?? 


--তুলি:: কি চাই এখানে এসেছো কেনো.......??


--তমাল:: আমি আমার হবু বউ এর রুমে এসেছি তোর কি তাতে...?? 


--তুলি:: যতো সব ঢং। কি বলতে এসেছো বলে যাও তো আমি ঘুমাবো। 


--তমাল:: তাহলে শেষ মেস তুই আমাকে বিয়েটা করছিস। 


--তুলি:: বিয়ে করছি বলে এতো লাফানোর কিছু নেই। বিয়ে করছি ঠিক কিন্তু তোমাকে আমার কাছে আসার অনুমতি দেই নি। বিয়ের পর তুমি তোমার ঘরে আমি আমার ঘরে থাকবো বুঝতে পেরেছো। 


--তমাল:: তাই না কি। আচ্ছা দেখা যাবে আগে বিয়েটা হতে দে। 


--তুলি:: মানে কি বলতে চাচ্ছো তুমি.....?? 


--তমাল:: বেশি কিছু না। একবার বিয়েটা হতে দে জানপাখি তারপর দেখবো কে কোথায় থাকে। (তুলির হাতে ঠোঁট ছুইয়ে বলে) বিয়েটা হয়ে গেলে তোকে আমার কাছ থেকে দূরে যেতেই দিবো না সারাক্ষণ বুকে জড়িয়ে থাকবো। 


তুলি তমালের কাছ থেকে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে বলে 

--তুলি:: ইসস শখ কতো তোমার এই ইচ্ছা এতো তাড়াতাড়ি পূরণ হওয়ার নয়। 


--তমাল:: সেটা আমি পরে বুঝিয়ে দিবো কোনটা হওয়ার আর কোনটা না। 


--তুলি :: তুমি যাও তো আমার ঘর থেকে তোমার উল্টো পাল্টা কথা শুনার কোন ইচ্ছে আমার নেই। 


--তমাল:: কেনো জানপাখি একটু থাকি না তোমার কাছে। 


--তুলি তমালকে ধাক্কা দিয়ে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে দিয়ে বলে 

--তুলি:: না আমার কাছে থাকার কোনো প্রয়োজন নেই। 


--তুলি তমালের হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় ঘরের বাইরে বের করে দিয়ে দড়জা লাগিয়ে দেয়।

--তুলি:: এই সব চিন্তা মাথা থেকে বের করে ঘুমতো যাও সকালে ভার্সিটিতে যেতে হবে। 


--তমাল:: তোকে কিছু না বলায় বেশি সাহস হয়ে গেছে আমার মুখের উপর দড়জা বন্ধ করলি কেনো দড়জা খোল বলছি। 


--তুলি:: খুলবো না কি করবে তুমি......??


--তমাল:: ঠিক আছে খুলিস না আমি আশার কাছে চলে যাচ্ছি। 


আশার কথা শুনা মাত্র তুলির বুকে ধুক করে ওঠে। 

--তুলি:: একদম ওর কাছে যাবে না বলে দিলাম তাহলে কিন্তু ভালোহবে না। 


--তমাল:: তুই ঘুমিয়ে থাক জানপাখি আমি ঘুরে আসছি ওর কাছ থেকে। ( ঠোঁট চেপে হাসছে) 


তুলির দড়জা খলার শব্দ পেয়ে লুকিয়ে পরে তমাল। 


-তুলি দড়জা খুলতে খুলতে বলে

--তুলি:: না তুমি যাবে না ওর কাছে। তুমি শুধু আমার কাছে থাকবে। তুলি দড়জা খুলে তমালকে দেখতে পায় না তুলি আশে পাশে তাকিয়ে দেখে তমাল আছে কি না। কিন্তু তমালকে দেখতে পায় না। তমালকে দেখতে না পেয়ে সেখানে দাড়িয়েই কান্না করে দেই। তুলির কান্নার শব্দ পেয়ে তমাল তুলির সামনে এসে বলে 


--তমাল:: এই জানপাখি কাদছিস কেন। আমি তো শুধু মজা করছি। আমি কি জানপাখিকে রেখে ওই পেত্নীর কাছে যেতে পারি। 


--তুলি:: (কাদতে কাদতে অস্পষ্ট স্বরে বলে ) কেনো বলেছো তুমি ওর কাছে যাবে। তুমি যানো না তোমার মুখে অন্য কোনো মেয়ের কথা শুনলে আমার কষ্ট হয়। 


--তমাল:: আচ্ছা আর বলবো না তবে তুই কথা দে আমি তোর কাছে আসলে দূরে সরিয়ে দিবি না। 


( গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসার অনুরোধ রইলো। গল্প পড়তে ভালো লাগলে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন।ধন্যবাদ.।সবাই রামাদান মুবারক 🌙✨)


#চলবে

#ভুল_ত্রুটি_মার্জনীয় 

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment