#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#পার্ট_২২
#লিখনিতে_Rodela_Islam
--------পরের দিন সকালে--------
তুলি ঘুম থেকে উঠে বসতেই তুলির চক্ষু চড়কগাছ।তুলি চোখ কোচলে পুরো ঘরটাকে ভালোকরে দেখে অবাকের শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পুরো ঘরে রং বেরং এর বেলুন দিয়ে সাজানো। তুলি এদিক ওদিক তাকিয়ে কাওকে খুঁজছে। সে জানে এসব কার কাজ।
তমাল তুলির কাছে এসে তুলির সামনে বসে এক সাথে অনেক গুলো বেলুন বেধে তুলির ওর হাতে দেয়।
--তমাল:: Good Morning Janpakhi
--তুলি:: Good Morning.
--তমাল:: কেমন হয়েছে সাজানো....??
--তুলি:: ভালো কিন্তু। কেনো সাজিয়েছো এমন করে...??
--তমাল:: কাল তুই এই বেলুনের জন্য আমাকে রেখে চলে গিয়েছিলি তাই তোর জন্য নিয়ে এসেছি। জানপাখি তোর কোন কিছু লাগলে আমাকে বলিস আমি সব এনে দিবো কিন্তু আমার থেকে দূরে যাস না কোথাও।
--তুলি:: তাই জন্য এগুলো করবে।
--তমাল:: হুম করবো আগে তো তোর কোন পছন্দের কথা ভাবি নাই তাই কিছু করি নি কিন্তু এখন থেকে তোর পছন্দের সব জিনিস আমি এনে দেবো।
--তুলি:: সব দিবে...??
--তমাল:: হুম কি চাস সেটায় দিবো কি চাই বল।
--তুলি:: তাহলে আমার রিংটা দাও। যেটা তুমি সেদিন খুলে নিয়েছিলে।
--তমাল:: ওইটা তো আমি ফেলে দিয়েছি।
--তুলি:: কি.......ফেলে দিয়েছো কোথায়.....??
--তমাল:: হ্যাঁ ফেলে দিয়েছি আমি চাই না তুই আমার দেওয়া জিনিস ছাড়া অন্য কারো কিছু তুই নিতে পারবি না।
--তুলির চোখ ছলছল করছে শুধু পানি গড়িয়ে পরার অপেক্ষা
--তমাল:: তুলি তুই ওই রিংটার জন্য আবার কাদছিস কেনো কি আছে ওটাতে।আচ্ছা চল আজকেই তোকে নতুন রিং কিনে দিবো।
--তুলি:: না আমার নতুন রিং চাই না। ওটাই চাই আমার।
--তমাল:: আগে বল ওই রিংটার জন্য কাদছিস কেনো।
--তুলি:: (কাদতে কাদতে বলে ) ওই রিংটা তুমি আমায় দিয়েছিলে ওটা আমার খুব পছন্দের রিং ছিলো। তোমার দেওয়া প্রথম গিফ্ট ছিলো আমার জীবনের সব সৃতির সাক্ষী ওটা আমার না বলা অনুভুতির সঙ্গী।
--তমাল:: সেদিন কেনো বলিস নি ওটা আমি দিয়েছি আমি তো রাহাত দিয়েছে ভেবে ফেলে দিয়েছিলাম।
--তুলি:: দিয়ে দাওনা রিংটা প্লিজ।
--তমাল:: ওকে দিবো আগে কান্না বন্ধ কর।
--তুলি:: এটা তোমার কাছেয় আছে তাই না...??
--তমাল:: হ্যাঁ আমি সেদিন রিংটা খুলে নিয়ে গিয়েছিলাম ফেলে দিবো বলে কিন্তু পরে ভালো করে দেখতেই বুঝতে পারি এটা আমি দিয়েছিলাম তাই আমার কাছেয় রেখে দিয়েছিলাম।
--তুলি:: তাহলে কেনো বললে ফেলে দিয়েছো..??
--তমাল:: দেখলাম তোর রিয়াকশন কেমন হয়।
--তুলি তমালের বুক বরাবর কয়েকটা ঘুসি দিয়ে বলে
--তুলি:: তুমি খুব খারাপ তোমার সাথে আমার কোনো কথা নেই যাও।
--তমাল তুলিকে নিজের কাছে এনে বলে
--তমাল:: তুই বলে দিলেয় হতো ওটা আমি দিয়েছি তাহলে এতো কিছু হতো না।
--তুলি:: ছাড়ো আমায় তুমি আগেও আমায় কষ্ট দিতে এখনো দাও তাই তোমার সাথে আমার আরি আর কথা বলবো না তোমার সাথে ।
--তমাল:: আচ্ছা সরি জানপাখি আর যাই কর কথা বলা বন্ধ করিস না।
--তুলি:: তহলে কানে ধরে ১০ বার উঠ বস করো।
--তমাল:: কি......?
--তুলি:: কানে না ধরলে আমি কিন্তু সত্যি সত্যি কথা বলবো না বলে দিলাম।
--তমাল:: আচ্ছা আচ্ছা ধরছি।
--তুলি:: হুম তাড়াতাড়ি।
--তমাল মনে মনে বলে ছি: তমাল ছি: তুই কিনা ভার্সিটির টিচার হয়ে এই বাচ্চা একটা মেয়ের কথায় কানে ধরে উঠ বস করছিস কেও জানতে পারলে তোর মান সম্মানের বারোটা বেজে যাবে। যাকে ভার্সিটির সবাই ভয় পায় আর তাকেই নাকি পিচ্চি একটা মেয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
--তুলি:: কি হলো দাড়িয়ে আছো কেনো শুরু করো।
--তমাল কি আর করবে উঠ বস করতে শুরু করে তুলি তো তমালের মুখ দেখে হেসে গড়া গড়ি খাচ্ছে।
--তমাল:: দাতে দাত চেপে বলে ) বেশি হাসিস না তোকে যদি ভার্সিটির সবার সামনে কানে না ধরিয়েছি তাহলে আমার নাম তমাল আহমেদ না।
--তুলি::( হাসতে হাসতে বলে ) তাহলে ছয় মাস দুই বছর কেনো তোমাকে আমি কোন দিনও বিয়ে করবো না তখন বুঝবে মজা। এখন যা করছো তাই করো।
--তমাল:: শুধু একবার বিয়েটা হতে দে তারপর তোর মজা দেখাবো আমি। বিরবির করে বলে।
--তুলি:: কিছু বলছো...??
--তমাল:: না কিছু না।
-এক মাস কেটে গেছে এই একমাসে তুলি যখন যা বলেছে তাই করেছে। তুলি চেয়েও তমালকে কষ্ট দিতে পারে না কারণ তমালকে কষ্ট দিলে তমালের থেকে বেশি কষ্ট তুলির হয়। এই এক মাসে তমাল তুলির প্রতি আরো বেশি দূর্বল হয়ে পরেছে। তুলির ছোট ছোট আবদার গুলো তমালের পূরণ করতে ভালোই লাগে।
------একদিন রাতে ------
রাত ২:০০ টা বাজে তুলির ঘুম ভেঙে গেছে তুলি তমালের রুমে গিয়ে দেখে তমাল শান্তিতে ঘুমোচ্ছে। তমালকে শান্তিতে ঘুমোতে দেখে তুলির একটুও ভালো লাগে না। তুলি তমালের পাশে বসে খাটের পাশে রাখা টেবিলের উপর থাকা পানির জগ নিয়ে তমালের গায়ে ঢেলে দেয় । তমালের শরীর ভিজে গেছে পানিতে। তমাল ধরফর করে উঠে বসে তুলিকে দেখে বলে
--তমাল:: এতো রাতে তুই এখানে...?? আর এটা কি করলি...??
--তুলি:: ঘুম ভেঙে গেছে তাই এসেছি আর কি করেছি আমি...??
--তমাল:: কি করেছিস আমাকে ভিজিয়েছিস কেনো....??
--তুলি:: ওহ্ আসলে আমার ঘুম আসছিলো না তোমার ঘরে এসে দেখি তুমি আরাম করে ঘুমচ্ছ তোমার এই আরামের ঘুম আমার সহ্য হচ্ছিল না তাই।
--তমাল:: তা ডাকলেও তো পারতি আমায়।
(আইডিতে ১০০ টা লাইক ২৫ টা কমেন্ট না হলে পরের পার্ট দিবো না।)
( গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসার অনুরোধ রইলো। আর পরের পর্ব সবার আগে পেতে আইডিটা ফলো করে রাখুন। ধন্যবাদ। )
#চলবে
#ভুল_ত্রুটি_মার্জনীয়
#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#রোদেলা_ইসলাম
0 Comments:
Post a Comment