#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#পার্ট_১৮
#লিখনিতে_Rodela_Islam
-তমাল তুলিকে খাইয়ে দিচ্ছে আর তুলি চুপ চাপ খেয়ে নিচ্ছে। খাওয়া শেষে তমাল বললো
--তমাল:: এবার বল কি শর্ত আছে তোর।
--তুলি:: তমাল ভাই আমার না মাথা ব্যাথা করছে আমি একটু রেষ্ট নেই পরে না হয় বলবো শর্তের কথা।
-তুলির মাথা ব্যাথা করছে শুনে তমাল আর কিছু বললো না।
--তমাল:: তুই শুয়ে থাক আমি মাথা টিপে দিচ্ছি। তুলি শুয়ে আছে তমাল তুলির মাথা টিপে দিচ্ছে এক সময় তুলি ঘুমিয়ে যায়। তুলি ঘুমিয়ে গেলে তমাল তুলির কপালে ভালোবাসার পরস একে দিয়ে বিরবির করে বলে
--তমাল:: সরি জান পাখি আমাকে মাফ করে দিস। আমি ভাবিনি তুই আমার কথাতে এতোটা কষ্ট পাবি আমি তোকে আর কষ্ট দবো না জান পাখি তোকে ভালোবেসে আমার বুকের মধ্যে আগলে রাখবো তোর সব ইচ্ছে পুরোন করবো আমি। শুধু আমাকে ছেড়ে কোথাও যাস না। তুই হয়তো যানিস না তোকে কষ্ট দিতে দিতে কবে যে তোকে ভালোবেসে ছেলেছি তা আমার নিজেরও অজানা। তমাল আরো কিছুক্ষন থেকে নিজের রুমে চলে যায়।
------পরের দিন সকালে------
তুলি ঘুম থেকে উঠে দেখে ওর পাশে বড় লাল গোলাপের একটা তোরা কয়েকটা চকলেটের বক্স।
তুলি গোলাপের তোরাটা হাতে নিতেই দেখে একটা চিরকুট
Good Morning Janpakhi 🕊️🕊️
তোমার জন্য আমার অল্প কিছু উপহার আমার তরফ থেকে। আমি এই জীবনে তোকে কোন গিফ্ট দেই নি ভালোবেসে তাই আমার জানপাখির জন্য ছোট্ট উপহার। I Love you Jan ❤️❤️
তুলি গোলাপগুলোর উপর আলতো হাত বুলিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে বলে
আমার কাছে সব চেয়ে দামি উপহার তো তুমি মি: তমাল তুমি যে আমাকে ভালোবেসেছো এতেই আমার সব পাওয়া হয়ে গেছে। I love you too 💞 💞 My love
তুলি সব কিছু গুছিয়ে রেখে ফ্রেশ হয়ে নিচে যায়। আসিফ আহমেদ সোফায় বসে খবরের কাগজ পরছিলো মেয়েকে নিচে নামতে দেখে বলে
--আসিফ আহমেদ :: তুলি আম্মু এখানে এসে বসো।
-তুলি হাসি মুখে আব্বুর পাশে গিয়ে বসে বলে
--তুলি:: Good Morning Abbu
--আসিফ আহমেদ :: Good Morning তোমার শরীর কেমন এখন।
--তুলি:: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আব্বু।
--আলিফ আহমেদ :: আজ আর ভার্সিটিতে যেতে হবে না আম্মু তুমি বাড়িতেই রেস্ট নাও কয়েক দিন।
--তুলি:: আচ্ছা আব্বু।
আসিফ আহমেদ উঠে রুমে যায়। তুলি একা বসে ছিলো তখন তমাল এসে তুলির সামনে দাড়িয়ে বলে
--তমাল:: Good Morning JanPakhi কেমন আছো এখন।
--তুলি:: Good Morning . ভালো আছি।
--তমাল:: এই নে এটা খেয়ে নে।( তুলির সামনে দুধের গ্লাস দিয়ে বলে )
--তুলি:: ঢোক গিলে তমালের দিকে তাকিয়ে বলে ) তমাল ভাই এটা আমায় দিচ্ছো কেনো তুমি এনেছো তুমি খাও না।
--তমাল:: এটা তোর জন্য এনেছি ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করবে না দুদিন পর পর প্রেসার কমে সেন্স লেস হয়ে যাবে।
--তুলি:: আমি ঠিক মতো খাই তো।
--তমাল:: হুম সেটা আমি খুব ভালো করেয় জানি। এবার তাড়াতাড়ি এটা শেষ কর।
--তুলি:: আমি খাবো না এটা ভালোলাগে না খেতে।
তমাল তুলির কোনো কথা শোনে না জোর করে খাইয়ে দেয়।
--তুলি:: তুমি খুব খারাপ তোমার সাথে আমি আর কোনো কথা বলবো না বলে সেখান থেকে উঠে চলে যায়।
তারপর আর সারাদিন তুলি তমালের সাথে কথা বলেনি দেখা হলেও তমালকে এরিয়ে গেছে। আজ সাত দিন তুলি তমালের সাথে ঠিক করে কথা বলে না তমাল কথা বলতে আসলেও তুলি এড়িয়ে যায়। ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় তমালের সাথে যায় না অন্য গাড়িতে যায়।
-------একদিন রাতে --------
তুলি নিজের রুমে বসে পরছিলো। তখন তমাল তুলির রুমে তুলির পাশে দাড়ায়। তুলি মাথা উঠিয়ে দেখে তমাল দাড়িয়ে আছে।
--তুলি:: কিছু বলবে তমাল ভাই......??
--তমাল:: হ্যাঁ তুই আমাকে এরিয়ে চলছিস কেনো....??
--তুলি:: কেনো কষ্ট হচ্ছে আমি তোমাকে এড়িয়ে চলছি দেখে....??
--তমাল:: তুই কেনো বুঝতে পারছিস না তোর সাথে একটু কথা বলার জন্য কতটা ছটফট করি আমি।
--তুলি:: ( ত্যাচ্ছিলের হাসি দায়ি বলে ) আহারে কত ভালোবাসা।
--তমাল:: তুই কিনো এমন করছিস জানপাখি....??
-তুলি উঠে দাড়ান্দার দিকে চলে যায়। তমালও যায় তুলির পিছনে। দোলনায় বসে দোল খেতে খেতে বলে
--তুলি:: তা মি: তমাল এতটুকুতেই যদি হাল ছেড়ে দেও তাহলে বাকি দিন গুলো কি করবে....??
--তমাল:: বিশ্বাস কর জানপাখি আমার খুব কষ্ট হয় তোর সাথে কথা বলতে না পারলে।
--তুলি:: সাতদিনেই তোমার এই অবস্থা তাহলে একবার ভেবে দেখো আমি যেদিন তোমার কাছে আমার ভালোবাসা প্রকাশ করেছিলাম যেদি থেকে ঠিক দু মাস আমার সাথে কথা বলাতো দূরে থাক আমাকে দেখলেই তুমি যেখান থেকে চলে যেতে।
তুমি একবারের জন্য ভাবেছিলো তোমার এই ইগনোর করা আমাকে ঠিক কতটা কষ্ট দিয়েছে। প্রতিটা দিন রাত আমি কতোটা যন্ত্রণা সহ্য করেছি।
--তমাল:: ( অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে বলে ) সরি তুলি আমি বুঝতে পারি নি ভালোবাসার মানুষের থেকে অবহেলা কতটা কষ্টদায়ক। এই কদিনে আমি তা হারে হারে বুঝতে পারছি।
--তুলি:: তুমি যখন আমাকে মারতে তার পর যখন নিজেই আমার যত্ন করতে। তোমার এই এতটুকু ভালোবাসা যত্ন পাওয়ার জন্য আমি ইচ্ছে করে তোকামে রাগাতাম।
--তমাল:: আমি ভুল করেছি আমাকে মাফ করে দে প্লিজ।
--তুলি:: আমি তোমাকে মাফ করে দিয়েছি সেই কবেই কিন্তু এত তাড়াতাড়ি তোমাকে আমার ভালোবাসা দিচ্ছি না। তুমি সেদিন জিজ্ঞেস করেছিলে না কেন তোমাকে রাগিয়ে দেই কেন তুমি আমায় মারলেও আমি বাড়ির কাওকে কিছু বলি না। তার কারণ হলো আমি বাড়িতে বললে সবাই তোমাকে বকা দিবে আর তার জন্য তুমি আমাকে আর মারবেও না আর যত্ন ও করবে কিন্তু আমার ত তোমার ঔ টুকু ভালোবাসার খুব লোভ হতো আমার তা কি করে হাত ছাড়া হতে দেই।
--তমাল:: আমি বুঝতে পারি নি তোর ভালোবাসা আমি ব্যার্থ ছিলাম। কিন্তু একবার আমার ভুলটা সুধরে নিতে দে। দেখবি আমার ভালোবাসা দিয়ে সব কষ্ট দূর করে দিবো।
--তুলি:: এত তাড়া কিসের আর কিছু দিন আমার ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা কর।
--তমাল:: #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় থাকতে থাকতে একদিন আমি মরেই যাবো।
#চলবে
#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#রোদেলা_ইসলাম
0 Comments:
Post a Comment