#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#পার্ট_১৯
#লিখনিতে_Rodela_Islam
--তমাল:: তোর ভালোবাসার অপেক্ষায় থাকতে থাকতে একদিন মরেই যাবো আমি।
--তুলি:: চিন্তা করো না তোমাকে এতো তাড়াতাড়ি মরতে দিবো না আগে আমার ভালোবাসার জন্য পাগল হবে তারপর তোমার সেই ভালোবাসায় নিজে পাগল হবো তারপর দুজন একসাথে মরবো বুঝতে পেরেছো মি: তমাল।
--তমাল:: খুব বুঝতে পেরেছি। আমাকে কষ্ট দিয়ে খুব মজা পাচ্ছিস তাই না
-তুলি:: হ্যাঁ খুব ভালো লাগছে তোমাকে কষ্ট পেতে দেখতে। তুমি যেমন আনন্দ পেতে আমাকে কষ্ট দিয়ে ঠিক তেমনি আনন্দ হচ্ছে আমার।
--তমাল:: জানিস তোকে কষ্ট দিয়ে একটা সময় পযন্ত খুব আনন্দ পেতাম। কিন্তু একটা সময় পর তোকে কষ্ট দিলে আমারও কষ্ট অনুভব হতো। কখন যে নিজের অজান্তেই তোকে ভালোবেসে ফেলেছি।
--রুহি তমাল আর তুলিকে ডাকতে আসে।
--রুহি:: আপু আম্মুরা তোমাদের নিচে ডাকছে।
--তমাল:: কেনো.....??
--রুহি:: আমি কি জানি বললো তোমাদের দুজনকে ডেকে দিতে তাই আমি ডাকতে এলাম।
--তুলি:: তুই যা আমরা আসছি।
-রুহি চলে যেতেই তমাল তুলির দিকে তাকিয়ে বলে
--তমাল:: আমাদের ডাকলো কেনো বল তো....??
--তুলি:: তুমি যেখানে আমিও সেখানে তাহলে আমি কি করে বলবো...??
--তমাল:: আচ্ছা চল গিয়ে দেখি।
--তুলি:: হ্যাঁ চলো।
তলাম আর তুলি নিচে যেতেই আলিফ আহমেদ তুলিকে বলে
--আলিফ আহমেদ :: তুলি আম্মু আমার কাছে এসে বসো তো।
--তুলি মিষ্টি হাসি দিয়ে চাচ্চুর পাশে গিয়ে বসে।
আলিফ আহমেদ :: আমরা সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন তুলি আর তমাল যদি রাজি থাকো তাহলে এক মাস পরে তুলি আম্মু আর তমালের বিয়ের দিন ঠিক করতাম। তমাল তোমার কি কোনো অসুবিধা আছে।
--তমাল:: না আমার কোনো অসুবিধা নেই তোমরা যা ভালো মনে করো তাই করো।
--আলিফ আহমেদ :: তুলি আম্মু তোমার কিছু বলার আছে...??
--তুলি:: হ্যাঁ চাচ্চু আমি এতো তাড়াতাড়ি বিয়েটা করতে চাচ্ছি না।
-তুলির কথা শুনে সবাই তুলির দিকে তাকায় রাহেলা বেগম বলে ওঠে
-রাহেলা বেগম:: কেনো বিয়ে করবি না শুনি...??
--তুলি:: আমি বিয়ে করবো না এটা তো বলে নি আমি বলেছি এত তাড়াতাড়ি করবো না।
--আলিফ আহমেদ :: তা কি চাচ্ছো তুমি....??
--তুলি:: আমি বলতে চাচ্ছি ছয় মাস পরে বিয়ে দিন ঠিক করো এর আগে নয়।
-লতা বেগম :: ছয় মাস পর কেনো তুলি...??
--তুলি:: সটা তোমার ছেলের সাথে আমি বোঝা পরা করে নিবো এই নিয়ে আমি আর কোনো কথা শুনতে চাই না।
--আলিফ আহমেদ :: ঠিক আছে তুলি যা বলছে তাই হবে। তাহলে আজ থেকে ছয় মাস পরেই তুলি আর তমালের বিয়ে হবে। আশা করি এতে তমালের কিছু বলার নেই কারণ তুমি ভালো করেই যানো তুলি যা বলেছে তাই করবে ও।
--তমাল তুলিকে এক পলক দেখে বলে তুলি যা চায় তাই হবে আমার কোন অসুবিধা নেই।
তমাল মনে মনে একটু খুশি হয় কারণ তুলি তাকে বলেছিলো দুই বছরের আগে বিয়ে করবে না। সেখানে ছয় মাস বলায় তমালের আনন্দ হতে থাকে। তুলি তমালের পাশে এসে বিরবির করে বলে
--তুলি:: এতো খুশি হওয়ার কিছু নেই আমি বলেছি ছয় মাস পরে বিয়ে করবো কিন্তু ভালোবাসবো এটা বলি নি তাই এতো খুশি হয়ে লাভ নেই। আমি রুমে যাচ্ছি তুমিও এসো তোমার সাথে আমার কথা আছে।
তুলির কথা শুনে তমালের মুখটা বেলুনের মতো চুপসে যায়। তমাল মনে মনে ভাবে ( কি কথা বলতে চায় ও কি চলছে ওর মনে । সেদিন বললো কি শর্তের কথা কিন্তু তারপর থেকে আর কোনো কথাই তো হলো না ওর সাথে উফফ পাগল হয়ে যাবো এই কদিনে।) তমাল তুলির রুমে যায় কিছুক্ষন পরে।
-তমাল তুলির রুমে গিয়ে দেখে তুলি ফোন দেখছিলো। তমাল ঘরে ঢুকে বলে
--তমাল:: জানপাখি আমি চলে এসেছি।
--তুলি:: ফোন রেখে তমালকে উদ্দেশ্য করে বলে ) বসো এখানে
তমাল তুলির পাশে বসে বলে
--তমাল:: কি বলবি জান পাখি....?
--তুলি:: বলবো তার আগে তোমাকে আমায় নিয়ে এখন বাইরে যেতে হবে।
--তমাল:: ( কপাল কুচকে বলে ) এখন এতো রাতে....??
--তুলি:: এতো রাত কোথায় মাত্র ৯:০০ টা বাজে। এখন তুমি নিয়ে যাবে কি না বলো।
--তমাল:: কাল নিয়ে যাবো নে তোকে।
--তুলি:: ঠিক আছে নিতে হবে না আমি আব্বু চাচ্চুকে বলে দুই বছর পরেই না হয় বিয়ে করবো। এখন তুমি ভেবে দেখো কি করবে।
--তমাল:: ( কিছু ক্ষন চুপ করে থেকে বলে ) আচ্ছা তুই রেডি হয়ে নে আমি ঘরে যাচ্ছি রেডি হয়ে ডাক দিস।
--তুলি:: আচ্ছা তুমি রেডি হয়ও গিয়ে।
তমাল নিচের রুমে চলে যায়। তুলি রেডি হয়ে তমালকে ডাকতে ওর ঘরে যায়।
--তুলি:: তমাল ভাই আর কতক্ষণ লাগবে....?
--তমাল:: আমি রেডি চল ( হাতে ঘড়ি পরতে পরতে বলে ) চোখ তুলে তাকাতেই তুলির দিকে চোখ আটকে যায়। লাল একটা থ্রি পিস পরেছে। চোখে হালকা কাজল ঠোঁটে হালকা লাল লিবিস্টিক দিয়েছে। মুখে কোনো মেকাপ নেই। তমাল পলক হীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তার জানপাখির দিকে।
#চলবে
#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়
#রোদেলা_ইসলাম
0 Comments:
Post a Comment