গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ১০

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_১০

#লিখনিতে_Rodela_Islam


-তমাল আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে 


-তমাল::তুলি কি রাজি এই বিয়েতে.....?? 


-লতা বেগম :: তুই জানিস কি না তা আমি জানি না ও তোকে ভালোবাসে তাই এই বিয়েতে প্রথমে মত দেয়নি তবে অনেক বুঝানোর পর রাজি হলো এই বিয়েতে। তুই কি বলিস...?? 


-তমাল::  তোমরা যা ভালো মনে করো তাই হবে। 


-লতা বেগম :: তুই এখনো কিছু বলবি না....??


-তমাল:: কি বলবো আমি....?? 


-লতা বেগম :: ছেলের কাধে হাত রেখে বলে ) তমাল তোর কিছু দিনের আচরণে আমি বুঝেছি তুই তুলিকে পছন্দ করিস তাহলে কেনো বলছিস না বাবা....??


-তমাল:: আমি নিজেও জানি আম্মু আমি ওকে ভালোবাসি কি না......??


-লতা বেগম :: ( দীর্ঘ শ্বাস ফেলে বলে ) এখনো সময় আছে নিজের মনকে জিজ্ঞেস কর কি চায়.....?? আমি তোর মা তোকে জন্ম দিয়েছি তাই চাইনা তুই নিজের করা একটা ভুলের জন্য সারাজীবন কষ্ট পাস। সময় থাকতে সিদ্ধান্ত নে পরে অপছোস করেও লাভ হবে না। আসছি আমি তুই নিজেকে সময় দে আর ভাব কি করবি। 


তমালের আম্মু চলে গেলে তমাল কিছুক্ষন নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে। বিরবির করে বলে এই জন্যকি তুলি বিকেলে বললো ও চলে যাবে না না এটা হতে পারে না ওতো আমাকে ভালোবাসে তাহলে ও কি করে অন্য কাওকে বিয়ে করতে পারে আমি জানি ও এমন কিছুই করবে না। তমাল তুলির ঘরে যায় কিন্তু ঘরে গিয়ে তুলিকে পায় না। তুলির ঘর থেকে বেরোতেই গিটারের টুংটাং শব্দ শুনতে পায়। তমাল ছাদের দিকে পা বাড়ায় তুলি গিটারে সুর তুলে গাইছে....


            কেনো রোদের মতো হাসলে না 

আমায় ভালোবাসলে না 

                  আমার কাছে দিন ফুরালেও আসলে না 

এই মন কেমনের জন্মদিন 

              চুপ করে থাকা কঠিন তোমার কাছে খ্ররোস্রতো গতি হিন 

              নতুন সকালগুলো কপাল ছুলো তোমারে 

দূরে গেলেও মেটায় সত্যি তুলি আমারি 

                    শুধু আমারি 

রোদের মতো হাসলে না 

                        আমায় ভালোবাসলে না 

আমার দিন ফুরালেও আসলে না 


( বাকিটুকু নিজ দায়িত্বে শুনে নিন )


-তমাল তুলির পিছনে দাড়িয়ে গান শুনছিলো 


-তমাল:: এতো কষ্টের গান কে গাইছিস তুলি। 


-তুলি:: পিছনে ঘুরে তমালকে দেখে বলে ) তুমি এখানে। 


-তমাল:: হ্যাঁ তোকে খুজছিলাম। 


-তুলি::কেনো কিছু বলবে......?? 


--তমাল:: তুলি তুই কি সত্যি রাহাতকে বিয়ে করতে রাজি। 


-তুলি:: তুমি বলো কি করা উচিৎ আমার...?? 


-তমাল:: তোর যদি ইচ্ছে হয় তাহলে বিয়ে করবি আমার কি তাতে। 


-তুলি:: তমাল ভাই তুমি একবার বলো তুমি আমাকে ভালোবাসো তাহলে আমি অন্য কাওকে বিয়ে করবো না। 


-তমাল:: আমি আগেও বলেছি তোকে ভালোবাসি না। 


-তুলি:: আচ্ছা মেনে নিলাম ভালোবাসো নি আর বাসতেও হবে না আমি আর কোন দিন বলবো না তোমায় ভালোবাসি আর বিরক্ত করবো না। তুলি চলে যায় নিজের ঘরে। তমাল কি করবে ওতো নিজেও যানেনা ও তুলিকে কতটা ভালোবাসে। রাতে এক সেকেন্ডের জন্যও দু চোখের পাতা এক করতে পারে নি তমাল।  


------পরদিন সকালে -------


তুলি আজ আর ভার্সিটি যায়নি। মনটা খুব খারপ তুলি ভেবেছিলো বিয়ের কথা শুনলে হয়তো বলেবে না তাও হলো না। তুলি ইচ্ছে করে বাড়ির সবাইকে দিয়ে শুনিয়ে শুনিয়ে বলিয়েছে তুলি কিন্তু কিছুই হলো না। তাই মন খারাপ করে বসে আছে সোফায়। 


-রাহেলা বেগম::( মেয়ের পাশে বসে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করে ) কি হয়েছে মা মন খারাপ কেনো....??


-তুলি:: কিছু হয়নি আম্মু। 


-রাহেলা বেগম:: মন খারাপ করিস না সব ঠিক হয়ে যাবে আর তুই তো ভালোকরেই বুঝতে পারছিস তমাল তোকে পছন্দ করে। 


-তুলি:: আম্মুকে জড়িয়ে ধরে বলে ) তাহলে কেনো বলছেনা আম্মু......??


-রাহেলা বেগম:: ওকে একটু সময় দে মা ওকে বুঝতে দে সময় হলে নিজেই বলেবে তোকে ভালোবাসার কাথা। 


-তুলি:: হ্যা ভালোবাসা বুঝতে বুঝতে আমিই না মরে যাই। 


-রাহেলা বেগম:: এসব কি কথা এমন কথা আর বলবি না  মা। 


-তুলি:: আচ্ছা বলবো না। 


তমাল ভার্সিটিতে গিয়েও শান্তি পাচ্ছে না কেনো জানি মনে হচ্ছে ওর কাছের কিছু হারিয়ে যাচ্ছে কেমন অস্থির অস্থির লাগছে। সে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে আশিকের বাড়িতে যায়। কলিং বেল দিলে আশিকের আম্মু এসে দড়জা খুলে দেয় 


-তমাল:: আসসালামু আলাইকুম আন্টি কেমন আছেন....?? 


আশিকের আম্মু :: ওয়াআলাইকুম সালাম আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। তুমি কেমন আছো বাবা....??


-তমাল:: আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি আন্টি। 


-আশিকের আম্মু :: ভেতরে আসো বাবা। 


-তমাল:: আন্টি আশিক আছে বাড়িতে। 


-আশিকের আম্মু :: হ্যাঁ ও ঘরে আছে যাও। 


তমাল আশিকের রুমে চলে যায়। আশিক তমালকে দেখে বলে 


আশিক:: তমাল তুই এখানে। 


-তমাল:: তোর সাথে আমার কথা আছে। 


ভালোলাগলে লাইক কমেন্ট সেয়ার করবে। ধন্যবাদ। 


#চলবে

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment