গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ২৯

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_২৯

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


রাত ৩:০০


--তুলি:: তমাল ভাই তুমি কাদছো কেনো  

--তমাল তুলির কন্ঠ শুনে সামনে তাকায় দেখে তুলি ওর সামনে মিষ্টি একটা হাসি লেগে আছে তার ঠোটের কোনে 

--তমাল:: তুলি তুই ঠিক আছি তো তোর কিছু হয় নি তো...? 

--তুলি:: আমি তো তোমার সামনেয় আছি। 

--তমাল তুলিকে ছুতে গেলে তুলি কিছুটা পিয়েছে যায় 

--তমাল:: এই জানপাখি আয়না আমার কাছে। 

--তুলি:: আমার খুব কষ্ট হচ্ছে তমাল ভাই। 

--তমাল:: আমার কাছে আয় আমি তোর সব কষ্ট দূর করে দিবো। আর তুই উঠে এসেছিস কেনো...?

--তুলি:: আমার কি দোষ তুমি কাদছো আমি তা সয্য করতে না পেলে চলে এলাম। আমি তোমায় খুব কষ্ট দিয়েছি তাই না এতোদিন। কিন্তু এখন আর দিবো না এখন থেকে আর তোমার পিছনে ঘুর ঘুর করবো না। এটা করো ওটা করো আমাকে এটা এনে দাও ওটা এনে দাও আর বলবো না। আজ থেকে তোমাকে মুক্তি দিয়ে দিলাম।

--তমাল:: তুলি কি কথা বলছিস এগুলো। বুঝতে পেরেছি আমি তোর কাছে ছিলাম না বলে রাগ করেছিস তাই তো। এখানে দাড়াতে হবে না চল তোকে বেডে দিয়ে আসি। তমাল এগোতেই তুলি আবার পিছিয়ে যায়। 

--তমাল:: জানপাখি কি হয়েছে তোর এমন করছিস কেনো...?? 

--তুলি:: তমাল ভাই বিশ্বাস করো আমি তোমাকে এতোটা কষ্ট দিতে চাইনি কিন্তু দেখো আমি তোমাকে কতো কাদাচ্ছি। 

--তমাল:: এখন এসব কথা না বলে আমার কাছে আয়। 

--তুলি:: আগে আমার কথা গুলো শনো। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি তমাল ভাই। আমি চেয়েছিলাম তোমার সাথে ছোট্ট একটা সংসার হবে। কিন্তু দেখো কিছুই হলো না। 

--তমাল:: কি বলছিস জান পাখি তুই সুস্থ হয়ে গেয়ে আমাদের বিয়ে হবে আমাদের ঘরে ছোট্ট রাজকন্যা আসবে তুই আর আমি এক সাথে বুড়ো বুড়ি হবো। 

--তুলি:: এটা আর হবে না তমাল ভাই আমি চলে যাচ্ছি তোমাকে ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে আমি আর সয্য করতে পারছি না। আমি তোমাকে ওই দূর আকাশ থেকেই ভালোবাসবো। আমি যে তোমাকে ছেড়ে যেতে চাই না কিন্তু কিন্তু আমার হাতে যে আর সময় নেই। আমি চলে যাচ্ছি তমাল ভাই অনেক দূরে চলে যাচ্ছি তোমাকে ছেড়ে। তোমার জানপাখি তোমাকে খুব ভালোবাসে খুব। 

--তমাল:: তুলি এই তুলি কোথায় যাচ্ছিস তুই তুলি আমিও তোকে ভালোবাসি খুব ভালোবাসি যাস না আমাকে ছেড়ে জানপাখি। হঠাৎ অন্ধকারে হারিয়ে যায় তুলি। তমাল তুলি বলে চিৎকার দিয়ে উঠে বসে।


 তুলি কোথায় তুই তুলি আমি ডাকছি তোকে তুলি। অনেক বুঝিয়ে তমালকে বাড়ি নিয়ে এসেছে তমালকে। তমাল তুলিকে হাসপাতালে একা রেখে কিছুতেয় আসবে না সে ওখানেয় থাকবে। ঘন্টা দুয়েক বুঝিয়ে বাড়ি দিয়ে গেছে আশিক।তমাল তুলির রুমে গিয়ে তুলির একটা ছবি বুকে নিয়ে বসে ছিলো চোখ দিয়ে অনবরত পানি পরেয় যাচ্ছে। কাদতে কাদতে ঘুমিয়ে পরেছে। সপ্ন দেখে উঠে বসে। তমাল খেমে একাকা অবস্থা। তমাল আর এক সেকেন্ড না বসে দৌড়ে নিচে নামে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায় হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। তমাল হাসপাতালে এসেই হন্তদন্ত হয়ে তুলির কেবিনে যায়। 

তমাল তুলির পাশে একটা টুল টেনে বসে। হাত বুলিয়ে দেয় তুলির মলিন মুখে। তুলি এখনো অচেতন অবস্থায় শুয়ে আছে। নাম হাতে সেলাইন চলছে। তমাল তুলির ডান হাটতা নিজের হাতের উপর নিয়ে ঠোঁট ছোয়ায়। তুলির হাত ধরেয় বলতে শুরু করে 


--তমাল:: জানপাখি আর কতো ঘুমাবি এবার তো ওঠ।  দুপুর থেকে ঘুমোচ্ছিস এবার উঠে পর আমি কিন্তু রেগে যাবো এবার তুলি শুনতে পারছিস আমার কথা। আমি যে তোকে এভাবে দেখতে পারছি না। তুই আমাকে ছেড়ে যাস না জানপাখি। আমি যে তোকে ছাড়া থাকতে পারছি না আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমাকে একটা বার তমাল বলে ডাক জানপাখি। আমি কথা দিচ্ছি তুই যখন যা বলবি আমি তাই করবো। আচ্ছা কি খাবি বল আমি নিয়ে আসছি তুই একবার বল শুধু আমি কিচ্ছু বলবো না তোকে কথা দিচ্ছি এই তুলি কথা বল না আমার সাথে। আমি আর পারছি না তোকে এভাবে দেখতে আমার বুকে পচন্ড ব্যাথা করছে তুই কথা না বলা পযন্ত এই ব্যাথা সারবে না। তমালে দু চোখের পানি বাল বেয়ে তুলির হাতের উপর পরে দু ফোটা পানি পরতেই তমালের হাতের উপরে থাকা তুলির হাতের দু আঙুল নরে ওঠে। 


-তুলির আঙুল নরে উঠতেই তমাল তুলির দিকে তাকিয়ে বলে 

--তমাল:: তুলি এই তুলি শুনতে পারছিস আমার কথা। একটি বার চোখ খুলে তাক আমার দিকে আমি জানি তোর কিছু হবে না। তাকা না একবার আমার দিকে। কিন্তু তুলি আর কোন সারা দেয় না। তমাল উঠে গিয়ে ডক্টরকে ডেকে আনে। ডক্টর এসে তুলির চেকআপ করে বলে 

--ডক্টর :: এতো মিরাক্কেল হয়েছে পেসেন্ট রেসপন্স করেছে আসা করি কাল সকালের মধ্যে জ্ঞান ফিরে আসবে। 

ডক্টর এর কথায় তমালের ঠোঁটের কোণে একটু হাসি দেখা যায়। ডক্টর চলে গেলে তমাল আবার তুলির পাশে বসে থাকে। 


সকাল ৭:০০ 

তমাল বসে থেকেয় তুলির পাশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে গেছে। তুলি চোখ পিটপিট করে খলে প্রথমে সব ঝাপসা দেখে আবার চোখ বন্ধ করে খলে তারপর সব পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছে আসে পাশে তাকাতে তমালের ঘুমন্ত চেহার দিকে চোখ পরে। এই এদিনে তমালের চেহারার মলিনতা কমে গেছে না খেয়ে দুর্চিন্তা করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পরেছে। তুলি কাপা কাপা হাতে তমালের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ডাকে 

--তুলি:: তমাল ভাই ( আস্তে আস্তে বলে) 

--তমাল:: কারো ছোয়ায় চোখ খুলে তাকায় । 

তুলির জ্ঞান ফিরেছে দেখে তমালের ঠোঁটে হাসি ফটে। 


( গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসবেন। গল্প পরতে ভালোবাসলে আইতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ। )


#চলবে

#ভুল_ত্রুটি_মার্জনীয়

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

0 Comments:

Post a Comment