#মহীপতি👑
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_৩০
( পূর্ণ এবং প্রাপ্ত বয়স্ক দের জন্য)
আরহাম জহিরুল ইসলামের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
দু'জনই এই মুহুর্তে চিন্তিত।
" এত বড় ঘটনা৷ এসবও সম্ভব? "
" হ্যাঁ সবই সম্ভব। "
" আমি আমার জায়গায় ঠিক থাকব৷ "
" সেটাইত সমস্যা। রাতারাতি আপনার মৃত্যুর খবর আমরা শুনতে পারব না। "
" তাহলে উপায়? "
" শত্রুকে প্রথম বিশ্বাস করাতে হবে আমরা ছাড়া তাদের কেউ নেই। এরপর সেই বিশ্বাস টা তাদের জীবনের মত কেড়ে নিতে হবে। "
" হ্যাঁ... বুঝতে পেরেছি।
আপনি খুব ভালো মানুষ। "
" ধন্যবাদ স্যার৷ "
" প্লিজ স্যার বলবেন না৷ মি.জহিরুল বললেই হবে। "
" ওকে মি.জহিরুল। "'
আরহাম তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলে আসে।
,
,
,
হৃদি দাঁড়িয়ে আছে ইরফান খানের বাসার সামনে।
তার পাশেই দুটো ছেলে।
" আমার কথা বুঝতে পেরেছো?"
" জি ম্যাম। "
" এখন কাজে লেগে পড়ো। "
" জি ম্যাম আপনি যা বলবেন। "
হৃদি হেসে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়।
,
,
ইরফান খানের রুমে মিস্টার চই সং-উন বসে আছে।
ইরফানও পাশে বসে আছে,
" আমি বুঝলাম না উনি কি করে এভাবে বদলি হয়ে যেতে পারে রাতারাতি। "
" পলিটিসিয়ান আর সরকারি কর্মকর্তা দের ভেতর এই একটা সমস্যাই ত আছে।
পলিটিসিয়ান রা যাকে খুশি তাকে পছন্দ না হলেও ট্রন্সফার করিয়ে দিতে পারে। "
" কিন্তু স্যার আমিত ওই এমপি কে মোটা অংকোর টাকা দিয়েছি। "
" তোমার টাকা দেওয়ার মানে হলো তুমি ডিল করতে চাও।
তার গ্রহণ করার মানে হলো সে ডিলে রাজি।
এবার বুঝো তার ভেতর তার পেশা নিয়ে কোন ইমান নেই।
আর যার ইমান নেই সে বার বার বিক্রি হতে পারে। "
" ওয়াউ স্যার আপনিত অনেক ইন্টেলিজেন্ট।"
" হ্যাঁ তোর থেকে বেশি৷ "
" কিন্তু এখন কি করব?"
" অপেক্ষা। "
" মানে?"
" আজকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আজ রাতের প্লান ক্যান্সেল করো। কাল উ এন ও এর সঙ্গে আমি নিজে দেখা করব৷ এরপর বাকি পদক্ষেপ। "
" ঠিক আছে স্যার। "
" সবাইকে ইনফর্ম করে দেও। "
" জি স্যার। "
,
,
,
হৃদি দের বাড়িতে,
হৃদির বাবাকে আরহাম ঢাকায় রেখে এসেছে।
তার বয়স হয়েছে এসব মারামারি হলে তিনি হয়ত সামলাতে পারবে না।
এর থেকে বড় কথা তার সেফটি প্রয়োজন।
,
হৃদি বাড়ির সদর দরজা খুলে ভেতরে আসে।
তার হ্যান্ডসাম হাসবেন্ড চুলায় কফি বানাচ্ছে।
হৃদি মৃদু হেসে আরহাম কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে,
" আই লাভ উ। "
" তুমি চলে এসেছো?"
" হ্যাঁ। "
" আই লাভ উ টু। "
হৃদি আরহামের পিঠে চুমু খায়।
আরহাম হেসে হৃদিকে সামনে আনে,
" পিঠে কেন চুমু খাচ্ছো? এখানে খেতে পারো। "( হাত দিয়ে ঠোঁটের দিকে ইসারা করে)
হৃদি আরহামের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট রাখে।
আরহাম চোখ বন্ধ করে হৃদির কোমড় ধরে নিজের কাছে এগিয়ে আনে।
দু'জন দু'জনকে সমান ভাবে ভালোবাসা দিয়ে আমন্ত্রণ জানাতে থাকে।
পুরো বাড়িতে হৃদি আর আরহাম ছাড়া কেউ নেই।
গার্ড আছে বাইরে কিন্তু সাধারণ পোশাকে।
কারণ গ্রামের মানুষ দের ভয় দিতে চায় না তারা৷
আরহাম হৃদিকে নিজের আরেকটু কাছে টেনে আনে।
এমন সময় কফির দুধ উতলে পড়ে।
হৃদি সরে আসে।
গ্যাস বন্ধ করে দেয়।
" আল্লাহ পুড়ে গেল। আমি আবার বানিয়ে দিচ্ছি আপনি ঘরে জান। "
তবে আরহামের এখন কফি খাওয়ার মন মানসিকতা একেবারে নেই।
সে হৃদিকে কোলে তুলে নেয়
" আরে কফি খাবেন না? "
" উহু চাই না কফি। "
হৃদিকে নিয়ে বেডরুমে চলে যায়।
হৃদিকে খাটে শুইয়ে নিজে হৃদির উপরে চলে আসে।
" আই লাভ উ। "
" লাভ উ টু। "
আরহাম হৃদির গলায় মুখ ডোবায়।
হৃদির নিশ্বাস ভারি হয়ে আসে।
দেখতে দেখতে হৃদির আর্তনাদ আর আরহামের গো**ঙ্গা** ভরে যায় চারিদিক।
,
,
বিকাল বেলা।
হৃদির বুকের উপরে আরহাম ঘুমিয়ে আছে।
হৃদি চোখ খুলে দেখে ঘড়িতে বাজে বিকাল ৪ টা৷। ওরা কেউ কিছু খায় নি।
হৃদি আরহামের ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকায়।
কি মায়াবী।
আরহামের কপালে চুমু খায় হৃদি।
আরহামের মাথাটা বুকের উপর থেকে সরিয়ে বালিসে রাখে।
বিছনা ছেড়ে উঠে চুলটা বেঁধে নেয়।
এরপর ফ্রেশ হয়ে কিচেনে চলে আসে।
ফ্রিজে বাবা তাদের জন্য কত রকম বাজার করে রেখেছে।
হৃদি হাসে। তার বাবা পারেও বটে।
সেখান থেকে হাঁসের মাংস আর একটা মাছ বের করে ভিজিয়ে রাখে।
ওগুলো গলতে গলতে বাকি কাজ গুলো সেরে নেয় হৃদি।
কিছুক্ষণ পর ভাতের চাল ধুয়ে চড়িয়ে দেয়।
গ্যাসে কড়াই চেপে মসলা উঠিয়ে দেয়।
মসলা ভাজার ঘ্রাণে ঘর মো মো করছে।
হৃদি দ্রুত জানালা খুলে দেয়।
হাওয়াটা বের হবার জন্য।
ধিরে ধিরে হৃদি রান্নার প্রায় শেষ পর্যায়ে।
এমন সময় আরহাম উঠে এসে হৃদিকে জড়িয়ে ধরে,
" উঠে গেছেন?"
" হ্যাঁ। "
" ফ্রেশ হয়ে আসুন খাবেন। "
" হুম যাব। "
" ছাড়ুন জান ফ্রেশ হয়ে আসুন৷ "
" যাচ্ছি। তোমার ঘ্রাণ আমাকে শান্ত করে। "
হৃদি এবার ভ্রু কুচকে তাকায়,
" কোন স্বপ্ন দেখেছেন?"
" উহু৷ "
" তাহলে?"
" এমনি. "
" আচ্ছা জান দেখুন কি ভালো রান্না পারি আমি। "
" হুম ঘ্রাণ সুন্দর এসেছে। "
" তাহলে জান ফ্রেশ হয়ে আসুন। "
" ওকে। "
আরহাম ফ্রেশ হয়ে আসে।
দু'জন মিলে খাবার খেয়ে নেয়।
আজকের দিনটা এভাবেই কেটে যায়।
,
,
,
মিসেস ইউন -সুহ আজিজ রহমানের সামনে বসে আছে।
আজিজ রহমান অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে মিসেস ইউন -সুহ এর দিকে,
" আপনি?"
" হ্যা আমি। আরহামের মা আমিই."
" দেখুন মিসেস খান। আমি চাইনা আমাদের অতীতের কারণে আমাদের বর্তমান বাচ্চাদের জীবনে কোন প্রভাব পড়ুক। "
" ভয় পাবেন না আমিও চাই না৷ এমন কিছু হোক। "
" আমি সব ভুলে গেছি আপনিও ভুলে যাবেন৷"
আজিজ রহমান নিজের জায়গা থেকে উঠে রুমে চলে যায়।
মিসেস ইউন-সুহ সেখানেই বসে রয়।
ঘটনার বিস্তার,
মিসেস ইউন -সুহ বিয়ের পর থেকে আসিফ খান প্রায় তার কদর করা ভুলে গেছিল।
এমন নয় তাকে অবহেলা করত৷।
অবহেলা করত না তবে সেই ভালোবাসাটা কখনো ছিল না।
মিসেস খান আসিফ খানকে ঠিক করার জন্য প্লান করে তারা ভ্যাকেশনে যাবে। পরিবার যদি এক জায়গায় থাকে তাহলে হয়ত সবটা ঠিক হবে।
হৃদয়পুর গ্রামে ওদের যে বাংলো বাড়ি আছে সেখানে বেশ সুন্দর পরিবেশ।
তিনি আসিফ খান আর আরহাম কে নিয়ে সেখানে যায়৷
,
তখন হৃদি তার মায়ের পেটে।
আজিজ রহমান আর অতুসী বেগমের অনেক সাধনার বাচ্চা
আজিজ রহমানের কিছু ফিজিক্যাল সমস্যার কারণে তাদের বাচ্চা হতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
অনেক ডক্টর দেখানোর পর ওদের বাচ্চা হবে।
আজিজ রহমান গ্রামের মাথা৷। তাই কোন কাজে তাকে সবাই বিশ্বাস করে।
আসিফ খান তাই এখানে আসার পর আজিজ রহমান এবং তার স্ত্রী কে খাওয়ার দাওয়াত দেয়।
তারা দাওয়াত গ্রহণ করে যথাযথ সময়ে চলে যায় ।
,
,
চলবে?
0 Comments:
Post a Comment