গল্প চারুর_সংসার পর্ব ৯

 #চারুর_সংসার

#Written_by_Nowshin_Noor

#পর্ব_৯

.

🍂

.


চারু এইসব আর ভুলে যায়।|||||||পুরো পরিবার মিলে প্লান করে কক্সবাজার যাবে ১ সপ্তাহের জন্য।সবাই খুশি!সবাই পেকিং করছে।কিন্তু নীলিমা একটু বেশিই খুশি।পরশুদিন তাদের ফ্লাইট।চারু নিজের পেকিং শেষে করে আনাফের টা পেকিং করছে।


পেকিং করচিলো চারু আর গল্প করছিলো আনাফের সাথে।


চারুঃআচ্ছা নীলিমা কী যেন বলল!আপনি চোখে কী দেখেন নাকি না এসব!

আনাফঃমানেএএএ! নীলিমা এসব বলেছে?(রেগে)

চারুঃহ্যা।

আনাফঃআচ্ছা।

চারুঃআপিনাদের ছাদে যে ছোট স্টোর রুম রয়েছে সেটি....

আনাফঃতুমি অখানে গিয়েছিলে?(রেগে)

চারুঃহ্যা।

আনাফঃআর কোনদিন যদি তোমাকে ওই রুমে যেতে দেখেছি! আমার থেকে খারাপ কেউ হবে না মনে রেখো।


চারুঃকী আছে ওই রুমে?যে আমি যেতে পারবো না!আমি তো ওইই রুমে যাবইইই যাবো।চাবি আমাকে খুজে বের করতেই হবে।(মনে মনে)


তখনি সেখানে শবনম আসে।


শবনমঃআপু এদিকে একটু আসো তো!একটু কথা আছে।

চারুঃআচ্ছা আসছি।


চারু শবনমের রুমে যায়।


চারুঃহুম বলো।

শবনমঃআপু তোমার কী আগের কিচ্ছু মনে নেই?  

চারুঃনা তো!!মানে তুমি কী বলতে চাইছো?ভালো করে ক্লিয়ার করে বলো!

শবনমঃনা এমনিতেই বল্লাম।আচ্ছা আমি আসি আপু।


চারুঃএই,এই শবনম শুনো!!


শবনম চলে যায় সেখান থেকে।হঠাৎ চারুর মনে পড়ে আহান নামটার কথা!সে ভাবে আনাফকে জিজ্ঞেস করবে তাই রুমে চলে যায়।


🔥🔥🔥


চারুঃআচ্ছা আহান কে?

আনাফঃহু?

চারুঃআহান কে?

আনাফঃজানিনা!হয়তো কারো নাম হবে।তুমাকে কে বলেছে?

চারুঃমা-ই তো বললো আহান কোথায়।

আনাফঃকী জানি!হয়তো মা মজা করে বলেছে।

চারুঃহুউউউ!


চারু ভাবে হচ্ছেটাকে।আনাফ |আহান?অন্যদিকে সেই ছবি!নীলিমার প্রশ্ন?স্টোর রুমে যাওয়ায় আনাফের রাগ করা!!নিশ্চয়ই কোনো রহস্য আছে।


সবাই ঘুমিয়ে পড়ে একটু তাড়াতাড়ি কারণ কাল কক্সবাজারের উদ্দেশ্য রওয়ানা দিবে সবাই।


পরেরদিন সকালে.....


সবাই উঠে পড়ে তাড়াতাড়ি।চারু ও আনাফ ফ্রেশ হয়ে রেডি হচ্ছিলো।আনাফ চারুকে বলে যে তার চুল গুলো আচড়ে দিতে চারু প্রথমে পারবে না বল্লেও পরে রাজ্বি হয়ে যায়।চারু যত্ন করে আনাফকে চুল আচড়িয়ে দিচ্ছিলো হঠাৎ আনাফ চারুর কোমড় জড়িয়ে ধরলো আর চারু কেপে উঠলো।


চারুঃছাড়ুন বলছি!দেখছেন না চুল আচড়াচ্ছি।অসভ্য কোথাকার!

আনাফঃঅসভ্যতামির দেখলে কী?


তখনি নীলিমার উপস্থিতি ঘটে। নীলিমাকে দেখে চারু চুল আচড়ানো শুরু করে আর আনাফ চারুর কোমড় ছেড়ে দেয়।


আনাফঃরোমান্সের সময় সবসময় এই বেডি আইসা হাজির হয় যত্তসব(মনে মনে)


নীলিমাঃআরে চারু তুমি আনাফের চুল আচড়িয়ে দিতে পারছই না দাড়াও আমি দেই।আমার কাছে চিড়ুনি টা দাও।


চারু নীলিমার হাতে দেয়।যখনি নীলিমা আনাফের মাথায় হাত দিতে যাবে তখনি শবনম ডাক দেয় নীলিমাকে।


উফফফফ(নীলিমা)


নীলিমা চলে যায় আর চারু আনাফের ওয়াড্রবে হাত দেয় কী একটা খুজতে খুজতে।তখনি কাপড়ের চিপায় একটা লকেট পায়।যেটা সে অনেক আগে দেখেছে বলে মনে হচ্ছে কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছে না অনেক ভাবলো তবুও মনে করতে না পেরে আনাফকে জিজ্ঞেস করলো---------


চারুঃআচ্ছা দেখেন তো এই লকেট টা কার। আমার মনে হচ্ছে আমি কোথাও এটা দেখেছি কিন্তু কিছুতেই মনে করতে পারছিনা।

আনাফঃ_______________

চারুঃঅহহ হ্যা আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আপনি দেখতে পারবেন না!সর‍্যি।

আনাফঃতুমি কী এটা আমার ওয়ার্ড্রব থেকে নিয়েছো?

চারুঃহ্যা!!


এটা শুনতেই আনাফ ছু মেরে চারুর হাত থেকে লকেট টি নিয়ে নেয়।


আনাফঃতুমি কেনো এগুলো দেখতে গেলএ?এটা কার এসব তুমাকে জানতে হবে না ওকে?

চারুঃপ্লিজ্জজ্জজ্জজ বলেন না এটা কার প্লিজ্জজ্জ!


আনাফ কিছু না বলে চলে যায়।আর চারু অবাক হয়ে যায়।লকেট  টি কার আর সে কোথায় দেখেছে এসব ভাবতে ভাবতে তার মাথা ব্যাথা চলে আসে।


চারুঃনা আর ভাবতে পারছি না!!উফফফফ!


চারু আর কিছু না বলে চলে যায়।



সবাই বাসা থেকেবের হয় বিমানবন্দরের উদ্দেশ্য। সবাই পৌছে সব ঝামেলা শেষ করে সবাই প্লেনে উঠে। 


প্লেনে♥


চারু ঘুমিয়ে গেছে আনাফের কাধে মাথা রেখে  আর আনাফও  বসে আছে চুপটি করে।আনাফ চারুর শান্তশিষ্ট ঘুমন্ত চেহারার দিকে তাকিয়ে আছে।হঠাৎ আনাফ আনমনেই চারুর কপালে ভালোবাসার পরশ একে দেয়।কেউ খেয়াল না করলেও নীলিমা ঠিকই খেয়াল করেছে।নীলিমা সারা পথ দুজনের দিকে কড়া নজর দিয়ে রেখেছে।এই রোমাঞ্চকর দৃশ্য দেখে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে নীলিমা।


নীলিমাঃআর বেশি দেরি নয় চারু তুমি মরতে।দেখবো আমার হাত থেকে তুমাকে কে বাচায়?(শয়তানি হাসি দিয়ে)


🔥🔥🔥🔥


কক্সবাজার  পৌছিয়ে........


মোট ৩ টা রোম নেওয়া হয়েছে।একটিতে চারু,আনাফ।অন্যটিতে মা,শবনম।আর অন্যেকটিতে নীলিমা একা।


তারা পৌছাতেই প্রচুর বৃষ্টি হয়।থামার কোনো নাম নেই। তাই আজ আর ঘুরতে বের হওয়ার প্লান করে না তারা।


পরেরদিন.........


সবাই  বের হওয়ার প্লান করে।সবাই বিচে যাবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়।খালি আনাফ বাদে সবাই যাবে।আনাফের যেতে ভালো লাগছে না তাই সে যাবে না।সবাই আর জোর করেনা!


নীলিমাঃআচ্ছা আমি একটু পরে যাবো তোমারা চলে যাও।আমি কাজ শেষ করেই চলে আসবো।


সবাইঃআচ্ছা ঠিকাছে।।


🔥🔥🔥


সবাই বের হয়ে যায়।


সবাই বিচে পৌছায়।অনেক্ষন ঘুরাঘুরি করলো সবাই।তারা ভুলেই যায় যে নীলিমা এখনো আসেনি।শবনম ও মা ছবি তুলছিলো আর চারু অন্যদিকে দৌড়াতে থাকে।চারু দেখে সে  উনাদের থেকে অনেক দূরে চলে আসছে এসব তোয়াক্কা না করে সে বালি দিয়ে এই সেই বানাতে লাগলো!!


🔥🔥🔥🔥


হঠাৎ.........


কেউ পিছন থেকে চারুর মুখ চেপে ধরে।চারু চিৎকার করতে নিলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে!



চোখ খুলতেই নিজেকে অন্ধকার রুমে আবিস্কার করে চারু।বুঝতে পারে তার হাত,পা,সব বাধা।সে সামনের দিকে তাকায় দেখে নীলিমা কপালে হাত দিয়ে, পায়ের উপর পা রেখে বসে আছে।আর হাতে একটি গান।


চারুঃনীলিমা তুমিইইইইই??

নীলিমাঃহ্যা আমি!

চারুঃকী চাও তুমি? কেনো এমন করছো তুমি আমার সাথে?

নীলিমাঃআমি আনাফকে চাই আনাফকে।তুমি আমার পথের কাটা হয়ে আছো।তুমি আমার সবচেয়ে বড় শত্রু!আমি তুমাকে মেরে আনাফের হবো।

চারুঃছি!ছি!নীলিমা তুমি এতো নিচু?লজ্জা করে না তোমার?খালি একবার এখান থেকে ছাড়া পাই আমি দেখ বে  তোমার কী হাল করি আমি।(রেগে)

নীলিমাঃতুমি এখান থেকে ছাড়া পাবে কিভাবে ভাবলে?এখনি মৃত্যু হবে তুমার!বাই বাই ফরএভার (গান সামনে এনে শয়তানি হাসি হেসে)


নীলিমা শ্যুট করতে নিলেই কেউ একজন এসে নীলিমার হাত ধরে ফেলে এবং গান টান মেরে হাত থেকে নিয়ে নেয়!!!


চলবে...........


গঠনমূলক কমেন্ট না করলে চারুকে মেরে আনাফকে বিধবা বানিয়ে দিয়ে বজ্জাত নীলিমার সাথে বিয়ে দিবো কিন্তু😁😁

0 Comments:

Post a Comment