#দায়িত্বের_সংসার
#সৌরভে_সুবাসিনী(moon)
#পর্বঃ৪৫
পুরো পৃথিবী একটা সংসার। এখানে কারো জন্য কিছুই থেমে থাকে না। একজন না থাকলে অপর মানুষ ঠিক না থাকা মানুষের দায়িত্ব গুলো পালন করে। তাই হয়তো পৃথিবীকে জগৎ সংসার ও বলে। আমার মতে থাকুক না এই পৃথিবী দায়িত্বের সংসার হিসেবে ! যেখানে দায়িত্বগুলো নিতে হয় না চাইতেও,পালন করতে হয় হাসিমুখে কিংবা অধিকারে!
আজ সত্যি অতসীর সংসারে সুখ নেমে এসেছে। ছেলেরা খেতে বসেছে। সায়ান,ইফাদ,রেদোয়ান, আমিনুর সাহেব, দিহান। কিছুক্ষণ আগে বলা অনামিকার কথা হয়তো তোলপাড় করে চলেছে কারো কারো মনে। তবুও সবাই আড্ডায় মগ্ন।
কিন্তু দিহান স্থির বসতে পারছে না। একটা অজানা অস্থিরতা কাজ করছে মনে। খাওয়া প্রায় শেষের দিকে হলেও দিহানের প্লেটে খাবার তেমনি আছে। সহ্য না করতে পেরে ডায়নিং টেবিলের উপর সজোরে আঘাত করে দিহান বলল
"কেনো করলি এসব? কেনো? এসব করার খুব প্রয়োজন ছিলো? তুই কি সত্যি মানুষ? "
খাবার টেবিলে সবাই হতভম্ব হয়ে বসে আছে। দিহান কথা শেষ করতে করতে জোরে আবার আঘাত করে। কয়েক মুহুর্ত পর অতসীর হাত অনামিকা এগিয়ে নিয়ে আসছিলো। মেয়েটা কয়েক ঘন্টায় নুইয়ে পড়েছে। ওদের আসতে দেখে
দিহানের সামনে থাকা মানুষটা বেশ আয়েসি ভঙ্গিতে
চেয়ারে হেলান দিয়ে বসে। এঁটো হাত খাবারের থালায় রেখেই বলতে শুরু করে
"ওহ! মিস.অনামিকা ইসলাম তাহলে সব বলে দিয়েছে? হুম! ভালো, বেশ ভালো। শেষ পর্যন্ত" আমে দুধে মিশে গেলো,আটি গড়াগড়ি খেলো"।
এদিকে সায়ান খুব শক্ত করে অতসীর ডান আকড়ে ধরে আছে। চেয়ারে বসিয়ে আলতো করে মাথায় ডান হাত রেখে বললো
"যা হচ্ছে বা শুনবে শুধু হালকা ভাবে নিজে শুনবে। মাইন্ডে নিয়ে এগুলো চিন্তা করলে আরো ভেঙে পড়বে। তোমার থাকা প্রয়োজন। না হলে কখনো এখানে নিয়ে আসতাম না। "
সায়ানের কথা শুনে সামনে থাকা ব্যক্তিটি হাসলো। হেসে মৃদু কন্ঠে জিজ্ঞেস করলো
"এত প্রেম কোথায় থেকে আসে রে? তোর এই প্রেমেরে জন্য আজ এই দশা৷ তুই কি জানিস! এই মেয়ের জন্যই তোর মা কেল্লাফতে হতে যাচ্ছিলো?"
দিহান এই কথা শুনে এগিয়ে গিয়ে কলার ধরে উঠিয়ে জিজ্ঞেস করে
"শালা! জানোয়ার! লেডিকে আর একটা কিছু বললে মেরে এখানে পুতে দিব।
রাইমা খুব শক্তি দিয়ে দিহান কে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।
সামনের ব্যক্তি এক ঢোকে পুরো গ্লাস পানি শেষ করে। হাত ধুয়ে চেয়ারে পুনরায় আয়েসি ভঙ্গিতে বসে বলতে লাগলো
" ফাঁদ! আমার নামের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল তোদের জন্য পাতা ফাঁদ। অথচ তোরা বুঝিসনি। হ্যাঁ! আমি ইফাদ, এই পুরো পুতুল নাঁচ নাটকের সংলাপ আমি সাজিয়েছি, আর তোরা? তোরা তো আমার পুতুলনাঁচের সেই পুতুল, যাকে আমি যখন যেমন চেয়েছি, ঠিক তেমন নাঁচিয়েছি। ওয়েট, ওয়েট! প্লিজ কেউ কোন প্রশ্ন করবে না রাইমা! আমি সব বলবো। কিন্তু ডিস্টার্ব আমার মোটেও পছন্দ নয়।
তো মি.সায়ান মাহমুদ! তোর মনে আছে তুই কোথায় তোর মিসেস. মাহমুদ কে দেখেছিলি? আমার কিন্তু মনে আছে। কারণ আমি তোর সাথে ছিলাম।আমাকে লুকিয়ে চড়িয়ে সেদিন দুপুরে যখন তুই অতসীকে নদীর পাড়ে দেখছিলি তার ঠিক ৫৬ মিনিটের মাথায় অতসীর পরিবারের পুরো ডিটেইলস আমি পেয়েছিলাম। যদিও তখন এসব কিছুই প্ল্যান করিনি। কিন্তু ওই যে কপালে লিখন না যায় খন্ডন! তুই যেদিন আন্টিকে অতসীকে দেখিয়েছিলি? সেদিন মাত্র ৩৭ সেকেন্ডের মধ্যে তোর নিয়তি আমি পাল্টে দিয়েছিলাম। কিভাবে?
তুই যখন আন্টিকে দেখালি, ঠিক সে মুহূর্তে তোর ফোনে কল এলো, তুই পিছন ফিরলি, অতসী হঠাৎ কোন কারণে মাটিতে বসে পড়লো, ওর জায়গায় অনামিকা দাঁড়ালো। আন্টি অনামিকা কে দেখলো।,দেখ নিয়তির খেল! তুই পিছনে ফিরতে ফিরতে অনামিকা বসে আর অতসী দাঁড়িয়ে যায়। তুই মনে করিস আন্টি অতসীকে দেখেছে, আন্টি মনে করে তুই অনামিকা কে পছন্দ করিস। তারপরের কাহিনি সবার জানা। যেহেতু ওদের সব খবর আমার কাছে ছিলো তাই আমি খুব সহজেই এরপর অনামিকার সাথে যোগাযোগ করি। আমি জানতাম অনামিকার অতীত,বর্তমান। তাইতো ওকে হাত করতে আমার বেশি সময় লাগেনি। কিন্তু ঝামেলা হতো অনামিকার বাচ্চা। কি করবো বল! এত বছরের প্রতিশোধ কয়েক সপ্তাহের ভ্রুণের জন্য তো আর নষ্ট হতে দিতে পারি না। তাই জুসের সাথে মেডিসিন মিশিয়ে দিয়েছিলাম।যথারীতি অনামিকার মিসক্যারেজ হলো। ও মানষিক ভাবে আবার ভেঙে পড়লো। আমার জন্য সুবিধা হচ্ছিলো। কিন্তু মাঝেমধ্যে অতসীর জন্য দরদ দেখাতো তখন আবার ছোটবেলা থেকে না পাওয়ার লিস্ট ধরতে হতো।
আন্টি সায়ানকে বলেছিলো
মেয়ে ভালো না, তুই মেয়ের বোন বিয়ে করতে চাইলে আমি এনে দিব। এটা আরো ভালো খবর ছিলো আমার জন্য। ওই যে হিউম্যান সাইকোলজি! দুদিকেই খাটাতে লাগলাম। যখন যখন অনামিকা সায়ানের কাছে অতসীর নিন্দেমন্দ করতো তখন আমি আগুনে ঘি ঢালতাম আমার কথা দিয়ে। অনামিকার অসহায়ত্ব এমন ভাবে সায়ানের কাছে উপস্থাপন করতে লাগলাম যাতে সায়ান বাধ্য হয় অনামিকার সাথে যোগাযোগ রাখতে। এদিকে সায়ানকে আমি যতই বুঝিয়েছি অতসী খারাপ ততই সে ওর জন্য পাগল হচ্ছিলো তাইতো কিডন্যাপ করতে যাচ্ছিলো। ঠিক আগ মুহূর্তে অনামিকাকে অতসীর জায়গায় কিডন্যাপ করাতে হয়। আন্টি যেহেতু বিয়ের আগে কনে দেখেনি তাই আগে বুঝেনি। দেখেনি না আমি দেখতে দেইনি। একদম বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে অনামিকা বাড়ি পৌঁছে অনামিকাকে দেখে। আন্টি তখন চাইলেও কিছুই বলতে পারেনি, ছেলের খুশি আর অনামিকার সম্মানের জন্য। কিন্তু লাস্ট মোমেন্টে অনামিকা বললো সে বিয়ে করবে না। কোন ভাবেই রাজি হচ্ছিলো না। তাই মিথ্যে বিয়ের ড্রামা করতে হয়। তারপর সব নরমাল। কিন্তু এক্সিডেন্ট সব পাল্টে দিলো।ভেবেছিলাম অন্যভাবে দিহানের থেকে প্রতিশোধ নিবো কিন্তু এক্সিডেন্টের পর অতসীর প্রতি দিহানের কেয়ার দেখে অনামিকাকে বাঁচিয়ে রাখতে বাধ্য হলাম। না হলে অনামিকা কে মারা আমার জন্য কোন ব্যাপার ছিল না।
আচ্ছা দিহান? তোর কি এটা মনে হলো না? যে ইফাদ বিয়ের পর অতসীর সাপোর্ট হচ্ছে সে চাইলেই বিয়ে আটকাতে পারতো?
রাইমার সন্ধান তোকে আমি দিয়েছিলাম।অতসী, রাইমার মাঝে তুই যে কষ্ট পাচ্ছিস, বিশ্বাস কর! তোর কষ্টে এমন শান্তি আমি সারাজীবনে অনুভব করিনি।
হঠাৎ একসময় মনে হলো অনামিকা কে সরিয়ে দেওয়া উচিৎ। তাইতো সায়ান অতসী গ্রামে গেলে চেষ্টা করলাম।কিন্তু অতসীর মায়ের জন্য পুরো প্ল্যানে পানি পড়লো। এদিকে হাসপাতালে আবার সবার মিটমাট। শান্ত ভাবে আবার পুনরায় সাজানোর আগেই অনামিকা সুস্থ।কিন্তু কোনভাবে আমার মনে হলো অনামিকা সায়ানের সাথে নিজেকে আবদ্ধ করতে চাচ্ছিলো। হয়তো নিয়তি মেনে। তাইতো অতসীর রুমের ঠিকানা আমিই দিলাম অনামিকাকে। সায়ান ভুল করেনি। কথায় কথায় সায়ানকে এতটা মগ্ন করেছিলাম ও দরজা খোলা থাকার কথা ভুলেই যায়। ওই যে সব মস্তিষ্কের খেলা।
পরবর্তী সব সবার জানা। আমি চাইছিলাম অনামিকা যেনো কোনভাবে আমার নাম মুখে না আনে। অন্তত সেদিন৷ পরবর্তী পুতুল হলো রাইমা। ওকে দিয়ে সবটা এমন ভাবে উপস্থাপন করিয়েছিলাম যে সবাই বাধ্য হয় অনামিকাকে সহমর্মিতা দেখাতে।ইন্ডিয়া পাঠিয়েছিলাম আমি নিজে।সেখানেও চেষ্টায় ছিলাম ওকে সরিয়ে দেওয়ার কিন্তু পারিনি রেদোয়ানের জন্য। আজ সে না পারা আমাকে সত্যি বলতে বাধ্য করে দিলো।
এদিকে সায়ান বাবা হতে চলেছিস। এত সুখ তোকে দেই কি করে? তাইতো অতসীকে কাল রাতে সে মেডিসিন দিয়েছি যার ফলে ও অসুস্থ হবে, বাচ্চা এবোর্ট হয়ে যাবে।
ইফাদের কথা শুনে অতসী খুব জোরে সায়ানের হাত ধরে৷ সায়ান অতসী হাত ছেড়ে দিয়ে ইফাদের নাখ বরাবর ঘুষি মারলে ইফাদ পড়ে যায়।
আফরিন দ্রুত ইফাদকে টেনে তুলে শাড়ির আঁচল দিয়ে নাক থেকে পড়া রক্ত মুছে দিচ্ছিল।অঝোরে কাঁদছিল আফরিন।
দিহান শান্ত গলায় জিজ্ঞেস করলো কেনো করলি এমন?
উচ্চশব্দে গা দুলিয়ে হেসে ইফাদ উত্তর দেয়
মনে আছে মাধ্যমিকের পর আমাদের সাইকেল রেস? সেই রেসে তোরা হেরেছিলি, জিতেছিলাম আমি। কিন্তু ফিরে আসার সময় আমাদের এক্সিডেন্ট হয়। তোরা একজন আরেকজনের হাত ধরলেও আমার হাত ধরিস নি। আমি পড়ে যাই প্রায় ৭০ফিট উঁচু জায়গা থেকে।
আমার স্বপ্ন,সব শেষ হয়ে যায় সেরাতে। আমি কখনো সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে পারিনি। কেনো জানিস? আমার ডান পায়ের গোড়ালিতে সমস্যা হয়।আমি ঠিক মতো দৌড়াতে পারিনা। ঠিক যেদিন আমার সুখ আমার স্বপ্ন তোরা ছিনিয়ে নিয়েছিলি সেদিন থেকে আমিও প্রতিশোধ নিতে চেয়েছি। এবং আমি পেরেছি।
দীর্ঘ শ্বাস ফেলে সায়ান বললো
"ইফাদ! সেদিন যা হয়েছিলো সব এক্সিডেন্ট মাত্র। আমাদের কারো হাত ধরার সুযোগ তুই পেয়েছিলি না। দিহান আমাকে তুলে নেওয়ার পর হাত বাড়ানোর আগেই তুই পড়ে গিয়েছিলি। এতে কারো দোষ ছিল না।যা দোষ ছিল সব আমাদের নিয়তির।
বিনিময়ে হাসলো ইফাদ। কিন্তু কোন উত্তর দিলো না।
প্রায় দুইমাস পর
আজকে অতসীর প্রথম সোনোগ্রাফী রিপোর্ট হাতে পেলো। তিন তিনটে বাবু আসতে চলেছে। সায়ানের খুশীর থেকে চিন্তা বেশি। এই একটু পেটে তিনজনের জায়গা হবে কি করে?.
সায়ানের এমন মিষ্টি চিন্তায় অতসী শুধুই হাসে। ইদানীং তো রাইমা প্রতিদিন আসে। পেটের কাছে মুখ নিয়ে হাজারো গল্প করে। অতসী কে? অতসীকে তো রাইমা চিনেই না।
সেদিন সায়ান দিহানের ডান হাত নিয়ে অতসীর পেটে রেখে বলে
" তোর অনুভব করার অধিকার আছে। অন্তত অতসীর বন্ধু হিসেবেও তুই এই সুখ অনুভব করতে পারিস। "
দিহান সেদিন সবে মাত্র দুবাই থেকে ফিরেছে। ক্লান্ত শরীরে যেনো স্নিগ্ধতার বৃষ্টি হচ্ছিলো। মিনিট দশেক পর দিহান রাইমার দিকে তাকিয়ে বললো
"এবার তো রাই আমারো জুনিয়র মেহেবুব চাই। না হলে আমার এই বাবাইগুলো কার সাথে খেলবে? "
রাইমা লজ্জা পেয়ে অতসীর কাধে মুখ লুকালে অতসী বলে
"দিহান! আমাদের দুই বান্ধুবীর আগে থেকেই ডিল করা আছে। আমরা ভবিষ্যৎ কালে বেয়াইন হবো। আপনার আপত্তি আছে? "
"আরে আপত্তি? কিসের আপত্তি? আজকেই পাকা কথা দিয়ে দিলাম।দিহান তোর মেয়েকে আমার ছেলে দিয়ে আনবো। আপত্তি থাকলে তুলে আনবো। তারপর বিয়ে করিয়ে দরকার পড়লে ঘরে বন্দী করে রাখবো।"
"শালা! তুই এছাড়া আর পারিস টা কি? খালি গুন্ডামি? তবে আমি রাজী। কিন্তু তার আগে লেডি তোমার রাই কে বুঝাও! "
রাইমা মেকি রাগ করে দৌড়ে চলে যায়। তখন অতসী বলে
"আমাদের সবার সব গুছিয়ে উঠতেই দাদাভাইয়ের সব তছনছ হয়ে গেলো। সামনের মাসে হয়তো রেদোয়ান ভাই আপুর জন্য বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবে। বাবার অনুরোধ কিংবা আমরা মিলে হয়তো আপুকে রাজী করিয়ে দিতে পারবো। কিন্তু কখনো ভেবেছো? আফরিনের মনের অবস্থা? ও কি করে আপুকে মেনে নিবে? আর দাদাভাই?
" ইফাদ যা করেছে এর জন্য ওর যা শাস্তি হয়েছে উপযুক্ত শাস্তি। ও যদি ওর ভুল বুঝে অনুতপ্ত হয় তবে ফিরে আসার পর আমরা ওকে ফিরিয়ে দিব না। ভালোবেসে জড়িয়ে নিবো। কিন্তু আগে অনুতপ্ত হতে হবে। "
সায়ানের কথায় দিহান সহমত প্রকাশ করে বললো
"লেডি! এসব চিন্তা করো না।আমরা ইফাদ কে ফেলে দিবো না। কিন্তু ও প্রতিশোধের নেশায় মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছে৷ বিবেকহীন, মনুষ্যত্বহীন মানুষ যে পশুর থেকেও অধম। "
তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ইফাদের। অনামিকা মামলা দায়ের করে। ইফাদ সব দোষ স্বীকার করে। অনামিকা নিজের দোষের কথাও বলে সে নিজের শাস্তি চাইলেও ডক্টর নাতাশা জবানবন্দি দেয় অনামিকা তখন মানষিক ভাবে অসুস্থ ছিলো। ডক্টর নাতাশাকে ইফাদ স্বাক্ষী দিতে অনুরোধ করে।
মাঝেমধ্যে অতসী আসে ইফাদের সাথে দেখা করতে কিন্তু ইফাদ দেখা করেনা। সে বলেছে
"যেদিন পশু থেকে মানুষ হতে পারবো সেদিন তোমার কাছে আসবো। "
অতসী ওর দাদাভাইয়ের অপেক্ষায় আছে। হয়তো ইফাদ অনুতপ্ত! তাই হয়তো এমন বলে।
এত কিছুর মাঝেও আফরিন ইফাদকে ছেড়ে যায়নি। কারণ যে মানুষকে অন্তর থেকে ভালোবাসা যায় তাকে কখনো ঘৃণা করা যায় না। "
আফরিনের সাথে ইফাদ দেখা করলেই ইফাদ বলে
"তুমি অবশ্যই চাইবে না, জেল ফেরত আসামীকে তোমার জীবনসঙ্গী হিসেবে! তুমি নিজের জীবনে এগিয়ে যাও। আমি দাবী রাখবো না। "
আফরিন বাকা হাসি হাসে প্রতিউত্তরে। যতখানি হাত স্পর্শ যায়,ততখানি স্পর্শ করে বলে
"তুমি ফিরে আসা অবধি তোমার দায়িত্বগুলো না হয় আমার থাকুক।আমি নিলাম তো সব দায়িত্ব তোমার। তুমি শুধু ভুলগুলো শুধরে, পবিত্র হয়ে ফিরে এসো।
আমি অপেক্ষা করবো। "
(সমাপ্ত)
#ছবিয়ালঃহাফিজা
0 Comments:
Post a Comment