#হৃদয়হরণী
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব- ২৯
- বাইরে প্রখর রোদ,,,আর সেই রোদের প্রতাপে সবকিছু যেন ঝলসে যাচ্ছে,,,,এইমত অবস্থায় সবার আশা শুধু একটাই ,যেন হঠাৎ করে ওই দীপ্তমান সূর্যকে মেঘরাজ ঢেকে নিক নিজের চাদরে আর কোমল বৃষ্টির জল যেন এই ধরণীর উপর আঁচড়ে পড়ুক,,, ঝলসে যাওয়া প্রকৃতিকে নিজের জল দ্বারা স্নান করিয়ে স্নিগ্ধ করে তুলুক,,,কিন্তু সেই মেঘরাজের দেখা মেলে না এই কদিন,,,বাইরে সূর্যের প্রখরতায় যেমন প্রকৃতি পুড়ছে ঠিক তেমনই নিজের করা ভুল গুলোর জন্যে অনুতাপের আগুনে পুড়ছে পেখমের মন,,,,
- পেখম স্তব্ধ হয়ে বসে আছে,,, চোখ দিয়ে অনবরত জল গড়িয়ে পড়ছে,,,, তীয়া বাঁধা দিচ্ছে না,,, কাঁদুক আজ মেয়েটা,,, কেঁদে যদি একটু হালকা হয়,,,
- আমি এত বড় একটা ভুল কি করে করতে পারলাম বৌমনি?? আমি উনার ভালোবাসাকে কি করে অপমান করতে পারলাম??( অঝোরে কাঁদছে)
- এখন চুপ কর,,,পাশের ঘরে মা আছে,,,আমি চাইনা তোদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যেকার কথা আর কেউ জানুক। ভুল যখন করেছিস সেই মানুষটার সাথে,,তখন ক্ষমা চাইবি তার কাছে,,, আমার বিশ্বাস দাদাভাই তোকে ক্ষমা করে দেবে,,,,এতটাও পাষাণ আমার দাদাভাই নয়,,
- আমি তার কাছে ক্ষমা চাইবো কি করে বৌমনি?? সেতো আমার ফোন রিসিভ করছে না,,টেক্সটের রিপ্লাই করছে না,,,
- করবে করবে,,,আচ্ছা সোহিনীর বিয়েতে আসছে না দাদাভাই??
- হ্যাঁ কেন??
- আরে বোকা মেয়ে,,তখন স্বামীর মান ভাঙাবি ,,,এবার যেন বলিস না কি করে ভাঙ্গাবি,,,(মুখ টিপে হেসে)
- হ্যাঁ তাই তো কি করে উনার রাগ মানে অভিমান ভাঙাবো বৌমনি??( চোখের জল মুছে)
- উফফফ ভগবান এই মেয়ের ঘটে কিছু নেই,, ঠিকই আছে দাদাভাই তোর উপরে রাগ করে আছে,,,
- ও বৌমনি বলো না,,, আচ্ছা আমি তোমার জন্যে কালকে ফুচকা আর চটপটি এনে দেবো ঝাল ঝাল করে,,,প্লিজ বলো,,,নাহলে কিন্তু আবার কাঁদবো,,,,(ঠোঁট ফুলিয়ে)
- ঠিক আছে এই দিকে আয়,,,তারপর তীয়া পেখমের কানে কানে বলে ****** যা শুনে পেখম লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে বলে,,,
- এসব কি বলছো বৌমনি?? আমার ভাবলেই লজ্জা করছে,,,তার সামনে দাঁড়াবো কি করে?? না না আমি এসব পারবো না,,, ইশশশশ,,,,
- ইশশশ করছিস কেন,,,ঠিক আছে যা আমার কথা শুনতে হবে না,,, তুই যা পারিস তাই কর,,,তোদের সম্পর্কটাকে আরো জটিল কর,,,( রাগ করে বলে)
- তুমি রেগে যাচ্ছো কেন?? আচ্ছা ঠিক আছে,,, তুমি যা বলবে তাই হবে,,,এখন চলো খাবে,,,,
- ঠিক আছে ধর আমাকে,,,তোদের চ্যাম্প এখন বেশ কষ্ট দেয় আমাকে,,, এক এক সময় এমন লাথি মারে,,জীবন চলে যাওয়ার মতো,,,,
- চ্যাম্প মাম্মা কে বেশি কষ্ট দিও না,,, আর শোনো তোমার এই পিপি+মিমি খুব ভালোবাসে তোমাকে,,,, তুমি শুধু একবার মার পেট থেকে বেরিয়ে এসো,,,তারপর দেখো এই পিপি+মিমি সব সময় তোমাকে নিয়ে রাখবে,,,আর শোনো পিসো+মামাই কে বকে দেবে আসলে ,,,সে আমাকে ভীষণ জ্বালায়,,,,( তীয়ার পেটে চুমু খেয়ে)
- এইই পেখু ও লাথি মেরেছে,,, দেখ পেখমের হাতটা পেটের মাঝে দিয়ে,,,
- এইই চ্যাম্প যেই মামার কথা বললাম ওমনি লাথি মারলি,,,আমার বোঝা হয়ে গেছে,, তুমি চাঁদু মামাই এর ভক্ত হবা,,,
-পেখমের কথা শুনে তীয়া খিলখিল করে হেসে ওঠে,,,
__________________________________________
- সেইদিনের পর থেকে পেখম রোজ দিনে তিন থেকে চার করে আবিরকে ফোন করে,, কিন্তু দুঃখের বিষয় এটা যে ওপাশের ফোন কেউ রিসিভ করে না,,,
- আজ সোহিনীর বিয়ে,,,পেখম সেই সন্ধ্যেবেলার থেকে সাজতে বসেছে,,, আজ ও আবিরের মনের মতো করে সাজবে,,,কচি কলাপাতা রঙের শাড়ির সাথে ম্যাচিং করে সোনার চুড়ি,হার আর কানের দুল পড়েছে যেগুলো অনুপমা দিয়ে গিয়েছিল। শাশুড়ি আর বৌমাকে একি সাজে দেখে তো অশোক বাবু অনেকটা সময় চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন ওদের দিকে তাকিয়ে,,,
- কি হলো কি??? এই ভাবে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছো কেন?? আগে আমাদের দেখোনি??(অনুপমা)
- না সত্যিই তো আগে তোমাদের দুজনকে এইভাবে দেখা হয়নি,,, দুজনেই একই ভাবে সেজেছো,,,তোমাদের দেখে কেউ বলবে না যে তোমরা শাশুড়ি বৌমা,,,বরং লোকে এটা বলবে এটা তোমার ছোট মেয়ে,,,,এসো তো তোমাদের দুজনের একটা ছবি তুলে দেয়,,,ফেসবুকে দেবো,,,(অশোক বাবু)
- শ্বশুরের কথা শুনে পেখম হেসে বলল,,পাপা তুমিও না পারো,,,চলো ছবি তুলি,,,তবে শুধু মা আর আমি না,,,আমাদের সাথে তোমাকেও তুলতে হবে,,,
- তোদের পাশে কি আমাকে মানাবে?? বলবে দেখ দেখ বুড়ো মানুষের দু পাশে দুটো যুবতী,,,(বলেই হেসে উঠলো আর তার সাথে যোগ দিলো অনুপমা আর পেখম)
_________________________________________
- কোনো কিছুর প্রতি বেশি প্রত্যাশা করলে সেই জিনিস টা হয়না,,,তখন সেই পরিস্থিতিতে মানুষের মনের মধ্যে কি চলে সেটা কেবল সেই মানুষটিই জানে,,পেখমেরো হয়েছে এখন তাই,কিছুক্ষণ আগের ঘটনা,,
-সকাল থেকে বেশি এক্সাইটেড ছিল ও সোহিনীর বিয়েতে আসার জন্য। সোহিনীকে ভুল বুঝেছে সেই জন্যেও কিছুটা অপরাধবোধ কাজ করছিল ওর মনের মধ্যে,,, তাই তো এখানে এসেই আগে ও সোহিনীর কাছে যায়,,,তারপর সোহিনীকে হঠাৎ করেই জড়িয়ে ধরে বলল,,
- তোমাকে খুব মিস করবো,,,তুমি করে বলছি বলে কিছু মনে করো না,,,,
- এমা ম্যাম আমি কিছু মনে করবো কেন,,আমি বরং এতে আনন্দ পেলাম যে আপনি আমাকে তুমি করে বলে নিজের কাছের মানুষের তালিকায় স্থান দিলেন,,,
- আমি তোমার থেকে অনেক ছোট,,, আমাকে ম্যাম বলে ডাকার দরকার নেই আর আপনি বলেও সম্বোধন করতে হবে না,,,নাম ধরে ডাকবে,,,
- ঠিক আছে পেখম,,,
- আচ্ছা সোহিনী তোমাদের স্যার আসেননি??
- না,,,রাজিব বললো যে স্যার আসতে পারবেন না,,,ওখানে কি সমস্যা হয়েছে তাই,,,আমি সকালে ফোন করে ছিলাম স্যারকে,,তখন তিনি রিসিভ করতে পারেননি,,, পরে অবশ্য ভিডিও কল করেছিলেন আমাকে,,,আর সরিও বলেছেন,,,,
- সোহিনীর কাছ থেকে এইসব শুনে পেখমের মনটা বিষাদে ভরে গেল,,, এখানে আর এক মুহূর্তের জন্যে ওর থাকতে ইচ্ছা করছে না,, কিন্তু সেটা মামনি আর পাপাকেও বলতে পারছে না,,,অগত্যা ওদের সাথেই থাকতে হলো।
- পেখমরা বেশ অনেক রাত করেই বাড়ি ফিরেছে,,,,মামনি আর পাপার সাথে কথা বলে পেখম নিজের ঘরে এসে দরজা বন্ধ করে দেয়,,,তারপর ফোনটা নিয়ে একটা টেক্সট করে আবিরকে,,, তারপর ফোনটা থেকে আবিরের একটা ছবি বার করে বুকের মধ্যে নিয়ে খুব কাঁদে,,, এতটা কষ্ট ও আর সহ্য করতে পারছে না,,,,
- কবে আসবেন আপনি আমার কাছে?? কবে নেবেন আমাকে আপন করে,, কবে এই শাস্তির মেয়াদ শেষ হবে??? প্লিজ আপনি ফিরে আসুন,,,আমি যে এই বিরহ সহ্য করতে পারছি না,,,,
___________________________________________
- আবির ল্যাপটপে অফিসের কিছু ডকুমেন্ট চেক করছিল,, হঠাৎ ফোনে ম্যাসেজ টোন শুনে ফোনের দিকে তাকায়,,আর সাথে সাথে ফোনের আলোয় দেখতে পাই হৃদয়হরণী সেন্ড ইউ অ্যা ম্যাসেজ,,, আবির কিছুক্ষণ ওই ভাবেই তাকিয়ে থাকে ফোনের দিকে যতক্ষণ না ফোনের আলোটা নিভে যায়,,,আবির ল্যাপটপ টা বন্ধ করে রেখে দেয়,,,তারপর ফোনটা নিয়ে ব্যালকনিতে চলে যায়,,,
- বাইরের আবহাওয়া ঠান্ডা,,, থেকে থেকে শীতল বাতাস বইছে,,, ব্যাঙ্গালোরের ওয়েদার সর্বদাই এইরকম,,, কখনো মেঘ,কখনো বৃষ্টি,,, আবার কখনো গরম তো কখনো ঠান্ডা,,, প্রায় প্রতি নিয়ত একবার করে হলেও বৃষ্টি হবেই হবে,,,পেখমের আবার এইরকম ওয়েদার খুব ভালো লাগে,,, আবিরের তো ইচ্ছা করে বৌটাকে এখানে এনে রাখতে,,,তারপর এইরকম ওয়েদারে রাতে একই ব্ল্যাকেটের মধ্যে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে দৃষ্টি বিনিময় করা,,,কিন্তু সেসব যে এত সহজে হবে না,, সেটা সে জানে,,,,এইসব ভাবতে ভাবতে ফোনটা অন করে ম্যাসেজটা ওপেন করলো,,,
- "খুব জানতে ইচ্ছে করছে সে কি করে এতটা নির্দয় হতে পারে?? এখন আর সে তার প্রেয়সীর চোখে জল এলেও মুছে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। এখন আর সে তার রাত-প্রেয়সীর মুখটা দেখার জন্য ছটফট করে না। একটিবারের জন্য হলেও সে এখন আর ব্যাঙ্গালোর থেকেই কলকাতায় ছুটে আসে না,,,, কিন্তু আমি চাই সে আসুক,,হ্যাঁ আসুক,,, এসে দেখে যাক তার জন্য এই অপেক্ষায় রত প্রিয়াকে,,,,হ্যাঁ তার প্রেয়সী অপেক্ষা করবে,,,,তাকে তো আসতে হবে,,,, আসতেই হবে তার প্রিয়তমার অপেক্ষার অবসান ঘটানোর জন্য হলেও তাকে আসতে হবে।সে তার প্রেয়সীকে ভালোবাসার আগুনে পুড়াতে চাইছে তো,,,ঠিক আছে সেই আগুনে পুড়ে দগ্ধ হতেও রাজি আছে সেই অপেক্ষারত প্রিয়া,,, কিন্তু সে এটা জানে না এই বিরহের আগুনে পুড়ে খাটি সোনার মতো ভালোবাসার পবিত্রতা গভীর হয়,,,,আর সেই পবিত্রতার গভীরতা এতটাই প্রখর হয় যে তার টানে তাকে আসতে বাধ্য হতেই হবে,, হমম হতেই হবে,,,এক পশলা বৃষ্টি হয়ে তাকে এই প্রিয়ার কাছে ধরা দিতেই হবে"।
- আবির ম্যাসেজের দিকে এখনো তাকিয়ে আছে,,, ঠিক মতো বোধগম্য না হওয়ার জন্যে সে আরও একবার ম্যাসেজ টা পড়ে বলে ওঠে" তবে কি সে সব জেনে গেছে,,,,জেনেই যদি যায় তাহলে তো এত সহজে তার কাছে আমি ধরা দেব না।এতদিন আমি পুড়েছি,, আজ থেকে নাহয় তুই একটু দহন সহ্য কর,,আমিও তো দেখতে চাই মিসেস আবির চৌধুরীর সহ্য ক্ষমতা কতটা?? আমার থেকে বেশি না কম,,,,,তারপর ফোন থেকে একটা পাখির ছবি বার করে তার দিকে তাকিয়ে বলে,,,
- "সে কি জানে দীর্ঘ নয় বছর আমি তার ভালোবাসার আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়েছি। তার ওই চোখে ল্যাপ্টানো কাজলে পুড়েছি বারংবার,,,, পুড়েছি তার ঝঙ্কার তোলা হাসিতে,,,আবার পুড়েছি তার ঘুমন্ত মায়াবী ওই মুখে,,,, তার সেই বৃষ্টি ভেজা রাতে পবিত্র স্পর্শ পেয়ে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছি,,,,তার ভালোবাসার আগুনের দহন ক্রিয়ায় তো দগ্ধ হয়েছি আমি প্রতিটা ক্ষণে ক্ষণে,,, সে কি তার হিসেব রেখেছে???
___________________________________________
- দুপুরের অবসর সময়ে অনুপমা ব্যস্ত তার সিরিয়াল গুলো দেখার জন্য,,, এমন সময় পাখি এসে অনুপমার কোলে মাথা রেখে সোফায় টান টান হয়ে শুয়ে পড়ে,,,তারপর একপাশ ফিরে অনুপমার কোমড় জড়িয়ে কোলের মধ্যে মুখ গুজে দেয়,,,পেখমের এইরূপ কান্ডে অনুপমা হেসে টিভি অফ করে দেয় তারপর পেখমের মাথায় হাত রাখে,,,,
- কি হয়েছে?? এইভাবে সোফায় এসে আমাকে জড়িয়ে শুয়ে পড়লি,,,শরীর ঠিক আছে তো?? নাকি আবার আমার গুণধর ছেলের সাথে ঝগড়া করেছিস??( মাথায় বিলি কাটতে কাটতে কথাটা বললো অনুপমা)
- হমমম ঝগড়া,,,,সেইদিনের পর থেকে আজ প্রায় একমাস হয়ে গেল আমি তার সাথে যোগাযোগ করিনি আর না সেও করেছে,,,,(মনে মনে)
- কি হলো চুপ করে আছিস কেন??? বল,,,,
- মামনি এমনি কিছু ভালো লাগছে না তাই,,,,
- এখুনি তোর মন ভালো হয়ে যাবে,,, আবির তোর পছন্দের মিষ্টি দই অর্ডার করেছে, যে দোকান থেকে তুই খাস,সেখান থেকে তাও আবার দশ কেজি,,,, তুই ভাব ছেলেটা কত পাগল তোর জন্য,,,
- মামনি আজ সন্ধ্যের ফ্লাইটে আমি ব্যাঙ্গালোরে যেতে চাই তার ব্যবস্থা করে দেবে প্লিজ
- এই কি হয়েছে রে?? দুজনের মধ্যে মান- অভিমান চলছে নাকি,,,সেটা ফোন করে আজকাল বাবা- মার খোঁঝ না নিয়ে বৌ এর খোঁজ নেয়,,,
- কি বলছো কি মামনি?? কি বলে তোমার ছেলে?? ও মামনি বলো,,,
- এই তো তুই ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করছিস কিনা,,,কোচিং সেন্টারে নিয়মিত যাচ্ছিস কিনা,,,ঠিক মতো ঘুমাচ্ছিস কিনা,,,আমি যেন একটু তোর খেয়াল রাখি,,,
- ও তাহলে উনি তলে তলে আমার খোঁজ নেয়,আবার আমার পছন্দের দই পাঠায়,,(মনে মনে)
- ওই আবার কি ভাবছিস,,, আচ্ছা ব্যাঙ্গালোরে একা কেন যাবি??আবিরের মান ভাঙ্গাতে নাকি কালকে ওর জন্মদিন তাই যাবি??
- দুটোই মামনি,,,,
- ভালো কথা আবিরের জন্মদিনের ঠিক কুড়িদিনের মাথায় তোর জন্মদিন না,,,তুই এক কাজ কর ******
___________________________________________
- আবিরের অফিস থেকে আজকে আসতে একটু বেশি দেরি হয়েছে,,,কারণ এখানকার যে সমস্যা গুলো ছিল ও আর রাজিব মিলে তা সমাধান করে দিয়েছে,,,, প্রজেক্ট গুলোও হাতে পেয়েছে,,,, তাই ও ঠিক করেছিলো ওর জীবনের বিশেষ দিনটা মা আর পাখির সাথে কাটাবে,,,তবে পাখির সামনে গম্ভীর হয়ে থাকবে,,,,যেহেতু কালকে চলে যাবে কলকাতায় সেহেতু আজ সব কিছু ম্যানেজার কে বোঝাতে গিয়ে দেরি হয়ে গেল,,,,
- চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকে আবার দরজা লক করে আবির। তারপর সোফার উপর অফিসের ব্যাগটা রেখে হাত পা ছড়িয়ে বসে থাকে,,,,কিছুটা সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর আবির ফ্রেশ হওয়ার জন্য বেডরুমে চলে গেল,, তারপর ঘরের মৃদু আলো জ্বালিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়,,,,
- প্রায় এক ঘন্টা মত শাওয়ার নিয়ে ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয় আবির। আর বেরিয়ে ও অবাক হয়ে চারদিকে তাকায়,,, দেখে ঘরের মৃদু আলোর বদলে রয়েছে ছোট ছোট লাল নীল মোমবাতি আর মরিচ বাতি,,,,বিছানার উপর গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো,,,, ঘরের সেন্টার টেবিলের উপর একটা কেক রাখা আছে,,,আর তার উপর জ্বলজ্বল করছে একটি লেখা ,,,,আর তা হল- শুভ জন্মদিন মিস্টার চৌধুরী,,,,
- আবির কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,,,তারপর ও ভাবতে থাকে ওর ফ্ল্যাটের চাবি কেবল মাত্র ওর কাছেই থাকে,,, তাহলে এত কিছু করলো কে?? আর ফ্ল্যাটেই বা কি করে ঢুকলো,,,এইসব কিছু ভেবেই চলেছে আবির,,,আর ঠিক সেই সময় ওর কানে ভেসে আসে একটা মেয়েলি কন্ঠস্বর,,,
-Chaahe kuchh na kehna
Bhale chup tu rehna
Mujhe hai pata
Tere pyaar ka
Khamosh chehra
Aankhon pe pehra
Khud hai gawah
Tere pyar ka
Chaahe kuchh na kehna
Bhale chup tu rehna
Mujhe hai pata
Tere pyaar ka
Khamosh chehra
Aankhon pe pehra
Khud hai gawah
Tere pyar ka
চলবে,,,,,,,,
0 Comments:
Post a Comment