#হৃদয়হরণী
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব- ২৬
- সময় ,স্রোত সর্বদা প্রবাহমান,,,ঠিকই যেমন ঘড়ির কাঁটা আর ক্যালেন্ডার জানান দেয় দিন পেরিয়ে রাত,,মাস পেরিয়ে বছর ক্রমাগত ভাবেই পরিবর্তন শীল,,,,দেখতে দেখতে প্রায় মাস তিনেক পার হয়ে গেছে কিন্তু আবির আর পেখমকে দেখলে মনে হবে তারা ঠিক আগের জায়গাতে আছে,,,আসলে সম্পর্কের ভিত যদি হয় নড়বড়ে সেক্ষেত্রে সেটা মজবুত করতে দুজনেরই প্রচেষ্টা দরকার,, কিন্তু এখানে ব্যাপার টা সত্যিই জটিল ,,,,
- বিশ্রী ফিনাইলের গন্ধে গা গুলিয়ে এলেও নাকে রুমাল দিয়ে হাসপাতালের করিডোরে পাইচারি করছে পেখম,,, অশোক বাবু তো অনুপমা দেবীকে সামলাতে ব্যস্ত,, এদিকে পুলক ওর মাকে জড়িয়ে বসে আছে,,,দেবেন্দ্র বাবু তার বাবার সাথে ফোনে কথা বলছে,,,পেখম একটানা অপারেশন থিয়েটারে লাল আলোটার দিকে তাকিয়ে আছে,,, ভিতরে কি হচ্ছে ও কিছু বুঝতেই পারছে না,,, চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে আসতেই সেটাকে হাত দিয়ে মুছে ফেললো,,,কাঙ্খিত নাম্বারটিতে অনেক বার কল করা সত্ত্বেও ওপাশ থেকে কোনো রেসপন্স পেলো না,,,,বার কয়েক সবার দিকে তাকিয়ে আবার পাইচারি দিতে লাগলো,,,হাত ঘেমে যাচ্ছে,,,এই গুমোট পরিবেশের মধ্যে কেমন অসুস্থতা অনুভব করছে পেখম,, হঠাৎ করে ওর ফোন বেজে উঠলো,, হাতে থাকা ফোনের উপর নজর দিয়ে দেখলো কাঙ্খিত সেই নাম্বার থেকে ফোন এসেছে,,,সাথে সাথে রাগে শরীর জ্বলে উঠলো ওর,,ফোন রিসিভ করেই বলতে শুরু করে,,,
- কোনো মানুষের যদি কোনো সমস্যা হয় এবং সেই সমস্যা আপনাকে ফোন করলেই সমাধান হয়ে যাবে তাহলে তো আপনাকে ফোন দিয়ে পাওয়া যাবে না। বিগত এক ঘন্টা ধরে আমি ফোন করেই যাচ্ছি,অথচ আপনি একটা বারের জন্যে ফোনটা রিসিভ করেননি,, মানছি আপনি আমাকে নিজের কেউ মনে করেন না,, তা বলে আমি আপনার কাছে এতটাই গুরুত্ত্বহীন???( এক নিশ্বাসে কথা গুলো বলে দম নিলো পেখম)
- মাথা ঠান্ডা করে কথা বলো,,,তুমি নিজেও জানো না আমাকে কি বলছো,,,আসল কারণ না জেনে অযথা চিৎকার করছো কেন?? একটা important meeting ছিলাম,,তাই ফোন কলস অ্যাটেন্ট করতে পারিনি,,, এখন বলো কি হয়েছে?? এভাবে ফোন করার কারণ কি?? ( শান্ত কন্ঠে গম্ভীর হয়ে বলল আবির)
- আবিরের কথা গুলো কর্ণপাত হতেই পেখমের মনে রাগটা ধুপ করে আরও জ্বলে ওঠে,,,যথা সম্ভব নিজের রাগকে কন্ট্রোল করে আবিরকে বলে হাসপাতালে চলে আসতে,,,,
- হাসপাতালে কেন?? কি হয়েছে?? সবাই ঠিক আছে তো??( চিন্তিত হয়ে)
- বৌমনি মাথা ঘুরে বাথরুমে পড়ে গেছে,,মাথায় আঘাত লেগেছে,,প্রচুর ব্লিডিং হয়েছে,,, আর এখনো জ্ঞান ফেরেনি,,,
- ঠিক আছে তুমি অপেক্ষা করো আমি আধাঘণ্টার মধ্যে যাচ্ছি,,,
___________________________________________
- প্রায় পনেরো মিনিট পর ডাক্তার বেরিয়ে বললেন, পেসেন্টের জ্ঞান ফিরেছে,,দুটো স্টীজ দিতে হয়েছে,,, উনার শরীর খুব দুর্বল,, she needs to rest ,,,আমি মেডিসিন প্রেসক্রাইব করে দিয়েছি,,, but আপনারা এত careless কেন?? পেসেন্টের এই অবস্থায় উনার উপর খেয়াল রাখা উচিত ছিল আপনাদের বিশেষ করে খাওয়ার উপর,,,,
- ডাক্তারের কথা সবাই ঠিক বুঝতে না পেরে প্রশ্ন করে ওঠে,, তীয়ার কি হয়েছে??
- তখন ডাক্তার বললো, পেসেন্ট চার মাসের প্রেগনেন্ট,,, আপনারা একটু পরে উনার সাথে দেখা করতে পারবেন বলেই ডাক্তার চলে গেল,,
-সেই কথা শুনে সবাই অবাকের সাথে সাথে খুশি হয়ে যায়,,এতক্ষণ যে চিন্তা হচ্ছিলো সেখানে এখন চিন্তার বদলে একরাশ ভালোলাগার অনুভূতি জায়গা করে নেয়,, পেখম খুশিতে অনুপমাকে ধরে হেসে ওঠে আর চোখের জল মোছে,,,পুলক ওর মাকে জড়িয়ে ধরে বলে , মা আমি বাবা হবো,,,আমি বাবা হবো মা?? তারপর কেঁদে দেয়,,এ হলো সুখের কান্না,,, এখানে উপস্থিত প্রতিটা মানুষের চোখে জল,,,
- কি রে এখন তো দাদু হয়ে গেলাম দুজনে,,, এবার বুঝতে পারছি ,,বয়স হয়েছে আমাদের কি বলিস??( কথাটা দেবেন্দ্র বাবু অশোক বাবুকে বলে হেসে ওঠে,,আর অশোক বাবু দেবেন্দ্র কে জড়িয়ে ধরে)
- ওদের কথার মাঝেই উপস্থিত হয় আবির আর ওর ক্লাইন্ট,,,আবির সব কথা শুনে পাখিকে বলে,,,
- পাখি আমি মামা হবো?? সত্যি আমি মামা হবো,,আর তুমি মামী হবে??( খুশিতে চিৎকার করে বলে)
- পাখি বলতে যাবে মোটেও না মশাই আমি মামীর আগে পিপি হবো আর আপনি হবেন পিসেমশাই,,,কিন্তু বলা হলো না আবিরের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটাকে দেখে,,,ও নিরুত্তর ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলো,,,,এই মেয়েটাকে ও এর আগেও অনেকবার দেখেছে আবিরের সাথে,,,,
- পেখমকে চুপ থাকতে দেখে অনুপমা বলে ওঠে"হ্যাঁ আবির তুই মামা হবি,,,আর আমি দিদুন হবো,,,,
_________________________________________
- তীয়াকে বিকেলে ডিসচার্জ করে নিয়ে আসা হয়েছে বাড়িতে,,,তীয়ার খবরটা সবাই শুনে খুব খুশী হয়েছে,,,নরেন্দ্র বাবু তো খুশিতে তীয়ার মাথায় হাত রেখে অনেক আশীর্বাদ করলেন,,
- তীয়া এই শরবত টা খেয়ে নাও,,,( পুলক)
- আমার কিছু খেতে ইচ্ছা করছে না,,,
- একদম চুপ ,,ডাক্তার বলেছে তুমি খুব দুর্বল,,,সুতরাং এটা তাড়াতাড়ি শেষ করো,,,
- পুলকের হাত থেকে শরবতের গ্লাস টা নিয়ে এক নিশ্বাসে খেয়ে নিলো তীয়া,, তারপর পুলকের হাতে গ্লাস টা দিয়ে বলল "তুমি খুশি হয়েছো তো"??
- আমি ভীষণ খুশি তীয়া,,, তুমি আজকে আমার জীবনের সবথেকে বড়ো উপহার টা দিলে(মাথায় চুমু খেয়ে),,,আচ্ছা তীয়া ও এখন এখানে বলো( পেটের দিকে ইশারা করে)
- পুলকের কথায় তীয়া মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বলে,,,
- তীয়া আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি বাবা হবো,,,আমার অংশ তোমার শরীরের ধিরে ধিরে বেড়ে উঠবে,,,,আর কদিন পরে এই দুই হাতে আমি ওকে কোলে তুলে নেবো,,,আমাদের সামনে ছোট্ট ছোট্ট পা ফেলে হেঁটে বেড়াবে,,আর আমাকে বাবা বাবা বলে ডাকবে,,,,তীয়া আমি খুব খুশি,, আমি সত্যিই খুব খুশি,,, বাবা হওয়ায় এত আনন্দ আমি বলে বোঝাতে পারব না,,,( বলেই চোখের কোনে থাকা জল মুছলো)
- পুলকের কথায় তীয়াও কেঁদে ফেলল,,,সত্যিই তো ও মা হবে,,, এর থেকে প্রাপ্তি জীবনে আর কি আছে?? ও নিজের চোখের জল মুছে পুলকের হাতটা ধরলো,,,
- আচ্ছা তীয়া মা তখন কি বলছিলো??
- তেমন কিছু না,, আমি আগে কেন বলিনি,,,কিন্তু বিশ্বাস করো আমি নিজেও বুঝতে পারিনি,,,তুমি তো জানো আমার রেগুলার হয় না,,তাই সেটা মাকে বললাম,,, আর এখন থেকে আমাকে কি ভাবে চলতে হবে,,,কি কি করবো না এইসব গুলো ভালো করে বুঝিয়ে দিচ্ছিলো,,,,
- ওওও
- আসতে পারি ( দরজায় নক করে পেখম বললো)
- আরে আয়,,,ভিতরে আসবে তা আবার পারমিশন নিচ্ছে,,,( তীয়া)
- বৌমনি তোমাকে একটু ড্রয়িংরুমে যেতে হবে,,,
- কেন??
- কেন গিয়ে দেখবে চলো দাভাই আর তোমার ভাই দুজনে মিলে কি করেছে,,
- পেখম তীয়াকে নিয়ে ড্রয়িংরুমে আসতেই তীয়া অবাক হয়ে দেখে,,ড্রয়িংরুমে চারপাশে বাচ্চাদের খেলনা, টেডিতে ভরে গেছে,,, ডাইনিং টেবিলের উপর মিষ্টির প্যাকেট ভর্তি,,, বাবাদের কথা জিজ্ঞাসা করলে মনোরমা জানায় আবিরদের বিল্ডিং আর পুলকদের বিল্ডিংয়ের সব পরিবারকে মিষ্টির প্যাকেট বিতরণ করতে গেছে অশোক আর দেবেন্দ্র বাবু,,,বিমলা দেবী নাতবৌমার মা হওয়ার খুশিতে একজোড়া সোনার কানের উপহার করেন তীয়াকে,,,,তীয়া একটু পর দেখে আবির প্যাকেট ভর্তি করে তীয়া যা পছন্দ করে সব খাবার এনেছে সাথে দশ কিলো মতো ফল এনেছে ওর বক্তব্য ডাক্তার বলেছে তুই ভীষণ উইক তাই তোকে এইগুলো সব খেতে হবে,,,নাহলে নাকি ওর ভাগ্নে বা ভাগ্নির সাস্থ্য ভালো হবে না,, এদের এসব কান্ড দেখে তীয়া হাসবে না কাঁদবে বুঝতে পারছে না। আজ একটা সংবাদ দুই পরিবারে খুশির জোয়ার এনে দিয়েছে।
___________________________________________
- পেখু এই আচার টা খেয়ে দেখ তো কেমন হয়েছে???(অনুপমা)
- খুব ভালো হয়েছে মা,,( একটু খানি টেস্ট করে),,
- ঠিক আছে কাল তুই কলেজে যাওয়ার সময় ওবাড়িতে দিয়ে আসিস,,,
- ঠিক আছে,,,
- আন্টি আমি আসছি,,,( পিছন থেকে আবিরের সেই ক্লাইন্ট বলে ওঠে)
- সে কি,,,এখন যাবে কেন সোহিনী,,, এখন তোমার যাওয়া চলবে না,,, একেবারে ডিনার করে যাবে,,,(অনুপমা)
- হমম মা ঠিক কথায় বলেছে সোহিনী,,, একেবারে ডিনার করেই তুমি যেও,,,গাড়ি কি এনেছো??( আবির)
- না স্যার,,আসলে আমি উবারে এসেছি,,,আর অন্য একদিন ডিনারে আসবো আন্টি,,( সোহিনী)
- না না ,,আজকে যখন এসেছো একেবারে ডিনার করেই যাবে,,(অনুপমা)
- হমম অন্য একদিন আসবো,,,এই তুই কেন আসবি?? আর লোকের বরের দিকে তোর নজর কেন?? এত গাঁ ঘেষাঘেষি করে কেন দাঁড়াবি?? ইচ্ছে তো করছে এই আচার গুলো সব তোর মুখে ছুড়ে মারি,,,( পেখম কথা গুলো মনে মনে বলছে,,,)
- ঠিক আছে সমস্যা নেই,, আমি তোমাকে পৌছে দেব,,,তুমি লাইব্রেরি রুমে গিয়ে বসো,,,আমি ফাইল গুলো নিয়ে আসছি,,,( আবির)
- হ্যাঁ তা সমস্যা থাকবে কেন?? আমারই ফুঁটো কপাল ভগবান,,, সত্যি বলতে এই লোকটার চরিত্রের দোষ আছে,,,না হলে এত রাতে একা একা ওই মেয়েটাকে নিজে গিয়ে দিয়ে আসবে বলে,,,সেদিন কি বলেছিল যেন,,ও হ্যাঁ মনে পড়েছে আমি আমার জীবন টাকে উপভোগ করতে চাই,,,,করাচ্ছি আপনার উপভোগ দাঁড়ান,,,( মনে মনে বলছে আর রেগে ফেটে পড়ছে পেখম এদের কথা শুনে)
- পাখি তুমি একটু দু কাপ কফি করে পাঠিয়ে দিও তো লাইব্রেরি রুমে,,,( আবির)
- হ্যাঁ নিয়ে যাচ্ছি আপনারা যান,,,( জন্মের মতো কফি খাওয়াবো)
- প্রায় আধাঘণ্টা পর পেখম ট্রে করে দু কাপ কফি লাইব্রেরি রুমে নিয়ে যায়,,,রুমে ঢুকে ওর চক্ষু চড়কগাছ,,, রাগে সারা শরীর রি রি করে উঠলো,,একের থেকে মেয়েটা ছোট স্কার্ট পড়ে এসেছে তার উপর ,পায়ের উপর পা তুলে বসে আছে যার কারণে হাঁটুর অনেক উপরে স্কার্ট উঠে গেছে,,,আর ওই ভাবে বসে আছে আবিরের সামনে,,আবির একটু ওর দিকে তাকালেই নজরে আসবে ,,, পেখম নিজের চোখ দুটো বন্ধ করে গাল ফুলিয়ে লম্বা একটা শ্বাস ছাড়লো,,তারপর একটা টেডি স্মাইল দিয়ে ওদের সামনে গেল,,,
- হমম মম এই নিন আপনাদের কফি,,,
- হমম ওখানে রাখো,,,সোহিনী কফি নাও,,,( আবির)
- খা না খা,,,একবার খেয়ে দেখ বেলজ্জে মেয়ে,,,( মনে মনে বলে পাখি) নিন কফিটা,,, আর আপনিও নিন ,,নাহলে ঠান্ডা হয়ে যাবে,,,( পেখম)
- প্লিজ ম্যাম আমাকে আপনি করে বলবেন না,,, এম্বারাসিং লাগে খুব,,,বলেই কফি মগটা হাতে নেয় চুমুক দেওয়ার জন্যে,,,(সোহিনী)
- এম্বারাসিং ফিল হওয়া বেরিয়ে যাবে একবার শুধু কফিটা খা,,,( মনে মনে বলে পেখম)
- ওয়াক ওয়াক,,,থু থু,,,ইসস কি বিশ্রী ম্যাম,,,, এটা কি,,,(সোহিনী)
- হোয়াট রঙ সোহিনী??( আবির)
- আমার মনে হয় মিস সোহিনী ভুল করে আপনার কফিটা খেয়েছে,,, কিন্তু এতটা বাজে তো হয়না মিস সোহিনী,,, বরং আপনার স্যার বলেন আমি যতই ব্ল্যাক কফি করি না কেন তাতে মিষ্টতার স্বাদ থাকবেই,,,(পেখম)
- আবির সবে এক চুমুক কফিতে দিয়েছিল কিন্তু পেখমের কথা শুনে আবির চোখ মোটা মোটা করে ফেলে ,,আর সাথে সাথে বিষম খাও,,,মনে মনে বলে ওঠে" এই মেয়েটা কি একটু বোঝে না কোথায় কি বলতে হয়"??
- পেখমের কথা গুলো শুনে সোহিনী একবার আবিরের দিকে তাকায়,,, তারপর মিটিমিটি হেসে বলে,,, ok no problem,,,( সোহিনী)
- ঠিক আছে আমি নতুন করে কফি পাঠিয়ে দিচ্ছি ,,,মিস সোহিনী একটু অপেক্ষা করো,,( পেখম)
- ম্যাম কফি আর পাঠানোর দরকার নেই,,, একেবারে ডিনার করে নেবো,,,( সোহিনী)
___________________________________________
- রাতে ডিনারের পরে সোহীনীকে আবির নিজে ওর ফ্লাটে পৌঁছে দেয়,,,তারপর ফিরে আসে বাড়িতে,,, রাস্তায় জ্যাম থাকায় একটু দেরি হয়,,, আর এদিকে সারা ঘরময় পাইচারি করে বেরাচ্ছে পেখম,, আর মনে আবির আর সোহিনীকে বকা দেয়,,,
- রাত প্রায় সাড়ে বারোটা তখন আবির রুমের দরজা খুলে দেখে যে পেখম নিজের মনে বকবক করছে আর সারা ঘরময় হেঁটে বেরাচ্ছে,,,
- পাখি কি হয়েছে?? শরীর ঠিক আছে তো??
- এতক্ষণে আমার কথা মনে পড়লো,,,যান না যান আপনার ওই সোহিনীর কাছে,,,বাড়ি ফেরার কি দরকার ছিল,,, কথা গুলো মনে মনে বললেও সেটা প্রকাশ করলো না পাখি,,,,আবিরের কথার উত্তর না দিয়ে নাইট ড্রেস টা নিয়ে সোজা ওয়াশরুমে চলে যায়,,আর দরজা শব্দ করে লক করে,,, পেখমের এইরূপ ব্যবহার দেখে আবির বলে ওঠে,,,
- " সে কি বোঝে না তার এইরূপ ব্যবহারে আমার কষ্ট হয়?? কবে বুঝবে সে আমায়?? বলবে কবে সে আমাকে ,ভালোবাসি আমি আপনাকে"??
চলবে,,,,
0 Comments:
Post a Comment