গল্প হৃদয়হরণী পর্ব ২২

 #হৃদয়হরণী

#কলমে সৌমিতা

#পর্ব- ২২


- বৌভাতের দিন সবাই ব‍্যস্ত সকাল বেলা,,, এত কম সময়ে সব আয়োজন করা চারটি খানি কথা না,,বাড়িতে লোকজন ভর্তি,,, আবিরদের ব্লিডিং এর টেরিসে সব আয়োজন করা হয়েছে,,, ভাত-কাপড়ের নিয়ম পালনের জন্য অনুপমা ড্রয়িংরুমে আবির ও পেখমকে যেতে বলেছে আধাঘণ্টার মধ্যে,,, একটু আগে এসেই তীয়া সবকিছু দিয়ে গেছে যেই গুলো পেখম পড়বে,,,প্রিয়ার সাহায্যে ও প্রায় রেডি হয়ে গেছে,,,


- পেখু তুই তাহলে সিঁদুর টা পড়ে নে ,আমি বৌমনিকে বলে আসি যে তুই রেডি হয়ে গেছিস,,,(প্রিয়া)


-ঠিক আছে তুই যা,,,প্রিয়া চলে যাওয়ার পর পেখম ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে পড়নের শাড়ি আর গয়না গুলো ঠিক করে। চুলটা ভালো করে খোঁপা করে  তারপর সিঁদুর পড়ে,,,আর তখনই দরজা খোলার আওয়াজে আয়না দিয়ে তাকিয়ে দেখে পিছনে আবির দাঁড়িয়ে আছে,,, আর ওর দিকে কেমন ঘোর লাগা চোখে তাকিয়ে আছে,,,,আবিরের এই ভাবে তাকানো দেখে পেখমের কেমন অসস্তি হতে লাগলো,,,


- আবির নিজের ওয়ালেট টা নিতেই ঘরে এসেছিল, কিন্তু সামনে ওর পাখিকে দেখে এক মিনিটের জন‍্যেও থমকে গিয়েছিল ও,,, পেখমকে এই সময় কোনো অপ্সরার থেকে কম সুন্দরী লাগছে না,,,গোলাপি রঙের জামদানি শাড়ি পড়েছে আর তার সাথে হালকা কিছু সোনার গয়না,,, চোখে গাঢ় কাজল,,,কপালে লাল টিপ,,অধরযুগলে বেবি পিঙ্ক লিপস্টিক আর সিঁথিতে চওড়া করে সিঁদুর পড়া,,,আবিরের নিজেকে সামলানো দায় হয়ে পড়েছে,,,,,ও কোনো রকমে নিজেকে সামলে আলমারির সামনে যায়,, তারপর ওয়ালেট টা নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যায়,,,পেখম আবিরের যাওয়ার দিকে একটানা তাকিয়ে থাকে। সত‍্যিই ও এই মানুষটাকে ঠিক চিনতে পারে না,,, বিয়ের দিন থেকে আবিরের সাথে পেখমের তেমন কোনো কথাও হয়নি,,,নাহলে ও বুঝতে পারতো যে এই মানুষটা কি চাইছে,,,,

_________________________________________


- আবির এই ভাত-কাপড়ের থালাটা পেখমের হাতে দিয়ে বল আজ থেকে তোমার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব আমি নিলাম,,,( অনুপমা)


- কি রে আবির বল( ওর বন্ধুরা সবাই মিলে একসাথে বলে ওঠে)


- আবির অনুপমার হাত থেকে ভাত-কাপড়ের থালাটা নিয়ে পেখমের হাতে দিয়ে বলে,,,


-"আজ থেকে তার শুধু ভাত কাপড় নয়,,তার সারা জীবনের যাবতীয় সব কিছুর দায়িত্ব আমি নিলাম। একফোঁটা কষ্ট যেন তাকে স্পর্শ করতে না পারে তার দায়িত্ব আমি নিলাম। পৃথিবীর সবচেয়ে খুশির মুহুর্ত গুলো আমি তাকে এনে দেবো তার দায়িত্ব আমি নিলাম। তার চোখের জল মোছার দায়িত্ব আমি নিলাম তেমন তার ওই ঠোঁটে হাসি লেগে থাকার দায়িত্বও আমি নিলাম"।


- আবিরের কথা বলা শেষ হলে চারপাশে যেন কেমন স্তব্দ মেরে যায় সবাই। আবিরের সব বন্ধুরা জানতো যে আবির একজনকে ভালোবাসে, সেই কৌশর কাল থেকেই,কিন্তু সেই মেয়েটি কে তারা তা জানতো না এমনকি আবির ওদের সামনে কখনো তার নাম নিতো না,,,শুধু সে ,বা তার ,বা প্রেয়সী ,কখনো কখনো প্রিয়তমা এইসব বলেই সম্বোধন করতো,,,আজ আবিরের বলা কথা গুলো শুনে ওরা একদম নিশ্চিত হয়ে গেল যে সেই মেয়েটা আর কেউ নয় বরং তাদের বন্ধু পুলককের বোন পেখম। মুহূর্তেই সব বন্ধুরা একসাথে চেঁচিয়ে ওঠে,,,আর আবিরকে কোলে তুলে নেয়,,পেখম তো ওদের এমন কান্ডে লজ্জা পেয়ে যায়।আর সবথেকে বেশি অবাক হয়ে যায় আবিরের কথা শুনে,, ওর এখন মনে হচ্ছে এই আবিরকেই ও চিনতো,,,কিন্তু একটা ঝড় এসে সব কিছু উলোট পালট করে দিয়ে গেল,,,,

_______________________________________


- parlour মেয়ে গুলো এসে পেখমকে আজ সাজিয়ে দিয়ে গেছে,,, পেখম বারণ করলে তারা বলে আজকে তারা আবির স‍্যারের interaction অনুযায়ী সাজাবে পেখমকে,,, এবং এটা তার অর্ডার,,, সেই কথা শুনে পেখম আর কিছু বলার সাহস পায়নি,,,


- পেখমকে আজ লাল আর গোল্ডেন কালারের কম্বিনেশনের শাড়ি পড়ানো হয়েছে,তার সাথে হাতা লম্বা নেটের ব্লাউজ,,মাঝ খানে সিঁথি কেটে চওড়া করে সিঁদুর পড়ানো হয়েছে আর তার উপরে সোনার টিকলি পড়ানো হয়েছে। হাতে শাখা পলার সাথে যোগ হয়েছে সোনার কঙ্কোন,বালা,চুড়,চুড়ি,,,পায়ে তাদের সাথে মিলিয়ে গোল্ডেনের উপর স্টোন বসানো নুপূর। চুল গুলো বড়ো করে স্টাইলে খোঁপা করা আর তার উপরে গোলাপ দেওয়া,, আর তাদেরকে ঘিরে আছে বেলী ফুলের শুভ্র মালা। কানে বড়ো বড়ো একজোড়া ঝুমকো,,, পায়ে আলতার সাথে হাতেও আলতা দেওয়া হয়েছে তার সাথে ম‍্যাচিং করে রূপোর আঙোট আর আংটি পড়ানো হয়েছে,,অধরযুগলে লাল লিপস্টিক,,,চোখে গাঢ় করে কাজল দেওয়া আর তার সাথে টেনে আইলাইনার পড়ানো হয়েছে,,কপালে লাল টিপ পড়ানো হয়েছে আর টিপের মাঝখানে একটা স্টোন বসানো,,,এক কথা জমিদার বাড়ির গিন্নী লাগছে,,,,


- আর এইদিকে আবির ঘিয়ে ও লাল রঙের কম্বিনেশনে একটা  পাঞ্জাবী পড়েছে,,তার সাথে লাল ধুতি,,,চোখে নিউ স্টাইলের হোয়াইট গ্লাসেস পড়া,,হাতে গোল্ডেন কালারের হ‍্যান্ডওয়াচ পড়েছে,,,তার সাথে ম‍্যাচিং করে জুতো পড়েছে। চুল গুলো জেল দিয়ে স্টাইলে উল্টানো আছে,,,এক কথায় আজকে আবিরকে যে দেখবে সে ক্রাশ খাবে,,

____________________________________________


- রিসেপশনের জায়গায় প্রায় সব গেস্টরা চলে এসেছে,,,সবাই এখন পেখমের জন্যে অপেক্ষা করছে,,,আবিরের অফিসের কলিগ,,,অশোক বাবুর বন্ধুরা সবাই চলে এসেছে,, আবির যখন ওর অফিস কলিগদের সাথে কথা বলায় ব‍্যস্ত ঠিক তখনই কেউ বলে ওঠে ওই তো অশোক বাবুর বৌমাকে অনুপমা বৌদি আনছেন,, তাদের কথা শুনে আবির সামনে তাকাই,,কিছুক্ষণের জন্য ও পুরো ব্ল‍্যাঙ্ক হয়ে গেছে,,, ওর মনে হচ্ছে হৃদয়ে খুবই দ্রুত গতিতে হৃদস্পন্দন হচ্ছে,,ও বুকে হাত দিয়ে বলে,,


" আজ বোধহয় প্রেয়সীর রূপের ছটায় এই প্রেমিক হৃদয়ের হৃদস্পন্দন থেমে যাবে" ।


- ও এতদিন যেভাবে পাখিকে বধূ বেশে কল্পনা করে এসেছে আজ ঠিক সেভাবেই সাজাতে বলেছিল parlour মেয়ে গুলোকে,,,কিন্তু ও যা কল্পনা করেছে তার থেকেও হাজার গুণ বেশি অপরুপ লাগছে ওর প্রেয়সীকে।


- অশোক বাবু, অনুপমা দুজনে মিলে সবার সাথে পেখমের পরিচয় করিয়ে দেয়,,,কিছুক্ষণ পর পেখমের বাড়ির লোকেরাও চলে আসে আর তার সাথেই আবির ও পেখমের বন্ধুদেরো আগমন ঘটে সেখানে,,, সবাই আড্ডা মারছে, কথা বলছে,,কিন্তু এত কিছুর মধ‍্যেও পেখমের অশান্ত চোখজোড়া সেই সুপুরুষ কে দেখার জন্য ছটফট করছে,,, এখানে আসার পর থেকে একবারের জন্যও পেখমের চোখে পড়েনি আবির,,,হঠাৎ সেই চোখজোড়া কে শান্ত করতে আগমন ঘটে আবিরের,,,পেখম দেখে পুলকের সাথে কথা বলতে বলতে আবির ওর দিকেই আসছে,,,পেখমের আজ সত‍্যিই মনে হচ্ছে আবিরই হল ওর স্বপ্নের পুরুষ যা ধরা ছোঁয়ার বাইরে,,,


- সবাই সবার সাথে কথা বলছে,,,গান করছে আড্ডা মারছে,,,কিন্তু এই সবের থেকেও সব থেকে বড়ো বিষয় হল এখানে একজন আরেকজনকে আড়ালে লুকিয়ে দেখে চলেছে,,, আজ দুজন মানব-মানবীর চোখজোড়া বড্ড বেহায়া হয়েছিল,,, তাদের মনের মানুষকে দেখেও যেন তৃপ্তি মিটছে না,,,এমন সময় কুশল বলে ওঠে আবিরকে গান গাইতে,, আর মৈনাক তো গিটার নিয়ে রেডি,,আবির গান গাইতে রাজী হলেই গিটার টা দেবে,,,আবির রাজী হয়ে যায় এবং গিটার হাতে নিয়ে তাতে টুং টাং সুর তুলে গান গেয়ে ওঠে-

    Mera Chand Mujhe Aaya Hai Nazar

    Mera Chand Mujhe Aaya Hai Nazar

   Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

   Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

   Chhaya Hai Nasha Meri Aankho Par

   Chhaya Hai Nasha Meri Aankho Par

   Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

  Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

  Mera Chand Mujhe Aaya Hai Nazar


Mere Dil Mein Hai Arma Kai Kai

Meri Chahat Hai Abhi Nayi Nayi

Mere Dil Mein Hai Arma Kai Kai

Meri Chahat Hai Abhi Nayi Nayi

Reh Jaye Na Pyasa Pyar Mera

Meri Baahon Mein Bhar De Yaar Mera

Itana Sa Karam Tu Kar Mujh Par

Itana Sa Karam Tu Kar Mujh Par

Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

Mera Chand Mujhe Aaya Hai Nazar


Abhi Labo Ko Labo Ne Chhua Nahi

Arma Koi Pura Hua Nahi

Abhi Labo Ko Labo Ne Chhua Nahi

Arma Koi Pura Hua Nahi

Abhi Aash Ka Gulshan Khilana Hai

Abhi Do Jismo Ko Milna Hai

Dekhuga Abhi Main Wo Manjar

Dekhuga Abhi Main Wo Manjar

Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

Mera Chand Mujhe Aaya Hai Nazar

Mera Chand Mujhe Aaya Hai Nazar

Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

Aye Raat Zara Tham Tham Ke Gujar

Mera Chand Mujhe Aaya Hai Nazar

Aaya Hai Nazar, Aaya Hai Nazar,


-পুরো গানটাই আবির পাখির দিকে তাকিয়ে গেয়েছে,, গান শেষ হতেই সবাই একসাথে হাত তালি দিয়ে ওঠে,আর সেই শব্দেই পেখমের ঘোর কাটে,কেননা এতক্ষণ ও নিজেও আবিরের দিকে একটানা তাকিয়ে ছিল।

____________________________________________


- রিসেপশন শেষ হলেই যে যার মতো চলে গেছে,,, তীয়া আর পুলক শুধু থেকে গেছে অনুপমার কথাতে।অনুপমার কথা মতোই পেখমকে ওই ভারী সাজ থেকে মুক্তি দিয়ে একটা হালকা পাতলা নীল রঙের শাড়ি পড়ানো হয়েছে,,, আর তার সাথে হালকা গয়না পড়ানো হয়েছে,,,


- আবিরের পিসি ,মা আর তীয়া এখন আবিরের ঘরে আছে,,,কি নিয়ম আছে সেই গুলো পালন করানোর জন্য,,, প্রিয়া আর রুশা পেখমকে আবিরের ঘরে নিয়ে আসলো,,,পেখম তো ঘরে এসে পুরোই আবাক হয়ে গেছে,, কারণ সারা ঘর বেলী ফুল আর গোলাপ দিয়ে সাজানো,,, আর তার সাথে নীল রঙের মরিচ আলো জ্বলছে,,,সেন্টার টেবিলের উপর একটা কাঁচের ট্রে মতো জলের পাত্র আছে , যেটাতে গোলাপের পাপড়ি ভাসছে আর তার সাথে রয়েছে ছোট ছোট মোমবাতি,,,


- বৌদি পছন্দ হয়েছে ঘর সাজানো?? এইসব কিন্তু আবিরের কথা মতোই সাজানো হয়েছে,,,(মৈনাক)


- পেখম লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে,, ও কিছু না বলে শুধু মাথা নেড়ে হ‍্যাঁ বলে।


- কি রে আবিরকে নিয়ে আয় তোরা,,কত রাত হয়েছে দেখেছিস,,,ওরা তো একটু বিশ্রাম নেবে,,(পিসি)


- আরে এই তো এসে গেছি বরকে নিয়ে,,, এতক্ষণ ধরে বলে বলে তাই কুড়ি হাজার টাকা হাতিয়েছি,,নাহলে বেচারাকে আজকে বাইরেই রাত কাটাতে হতো ,,,কথাটা বলেই হেসে ফেলল কুশল আর তার সাথে তাল মেলালো সবাই।।


- আচ্ছা অনেক হয়েছে,,, পেখম ওই পাত্রে নারকেলের জল আছে,,ওতে তোর চুলের শেষ প্রান্ত ভালো করে ডোবা,,তারপর ওটা দিয়ে আবিরের পা মুছিয়ে দে,,তারপর প্রণাম করবি আবিরকে,,(অনুপমা)


- অনুপমার কথা শুনে আবির বলে ওঠে" এই গুলো কি নিয়ম মা?? এই সব নিয়ম ওকে মানতে হবে না"


- আবির চুপ কর,,এই গুলো মানতে হয়,,আমি মেনেছি, এখন পেখম মানছে পরে তোর ছেলের বৌও মানবে,,,পেখম তুই করতো,,,(অনুপমা)


- পেখম অনুপমার কথা মতো সব কিছু করে,,,তারপর তীয়া বলে" পেখু এটাতে উষ্ণ গরম দুধ আছে, আর মিষ্টি আছে,,তোরা দুজন দুজনকে খাইয়ে দিবি,,,তারপর দাভাই কে এই পানটা দিবি,,,"


- এই পান আর দুধ ওরা ঘুমানোর আগে খাবে,,,বৌমা তুমি এখন আবিরকে মিষ্টি খাইয়ে দাও আর আবির তুইও বৌমাকে মিষ্টি খাওয়া। পিসির কথা মতো ওরা একেঅপরকে মিষ্টি খাওয়ালো,,আর তার সাথে ওদের চোখজোড়া আবার এক হলো,,,চাইলেও কেউ নামিয়ে নিতে পারলো না দৃষ্টি,,,,


- ভাই আর কত বার শুভদৃষ্টি করবি??( ইশান কথাটা বলতেই  ঘরে হাসির রোল পড়ে গেল,,এদের কথা শুনে অনুপমা ,পিসি ওরা বেরিয়ে গেল লজ্জায়,,, সত‍্যি এখনকার ছেলেদের মুখে কোনো লাগাম নেই,,,গুরুজনের সামনে এমন কথা কেউ বলে,,,পেখমের তো ইচ্ছে করছে মাটির নীচে চলে যেতে,,, 


-একে একে সবাই কথা বলে ঘর থেকে চলে গেলে আবির দরজা বন্ধ করে দেয়,, পেখম তখন পিছন দিকে ফিরে ছিল,,, আবিরের দরজা বন্ধ করার শব্দে চমকে ওঠে ও,,, বুকের মধ্যে শুরু হয় তোলপাড়। লজ্জারা ভির করে এসে জমা হয় ওর চোখে মুখে। আজ থেকে ও এই মানুষটার সাথেই একঘরে,এক বিছানায় থাকবে এটা ভাবতেই শরীরটা কেমন শিহরিত হয়ে উঠলো,,,আজ থেকে সামনের মানুষটিকে সে নিজের বলতে পারবে,,,সত‍্যিই কি এই মানুষটি তার নিজের?? একান্তই কি তার?? নাকি সব মিথ্যে সব ছলনা??


চলবে,,,,



0 Comments:

Post a Comment