1t/Banner 728x90

গল্প তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায় পর্ব ৩৩

 #তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#পার্ট_৩৩

#লিখনিতে_Rodela_Islam 


অন্ধকার রুমে একটা চেয়ারের সাথে একটা মেয়েকে বেধে রাখা হয়েছে। তার হাতে পায়ে অসংখ্য মারের দাগ। কপাল কেটে রক্ত পরছে। 

----কেউ আছো প্লিজ বাঁচান আমাকে। 

----কেউ বাঁচাতে আসবে না এখনে তাই শুধু শুধু চিৎকার করে লাভ নেই। 

-----আমাকে কেন এখানে বেধে রেখেছেন ছেড়ে দিন আমায়। 

----সরি স্যার না বলা পযন্ত আমি কিছুই করতে পারবো না। স্যার আসছে যা করার সেই করবে। 

----- আমার খুব কষ্ট হচ্ছে সহ্য করতে পারছি না প্লিজ বাড়ি যেতে দিন আমায়। 


----এখনি এত কষ্ট হলে পরের আঘাত গুলো সইবি কি করে এখনো তো অনেক কষ্ট পাওয়া বাকি তোর। 

----কে কে তুমি আর আমাকে কেনো এখানে এনেছো কি চাই তোমার। 

----তোর জীবনটা নিতে চাই আমি। 

----ক..কি বলছো কি করেছি আমি তোমার.....??

----কি করেছিস তুই আমার কলিজায় হাত দিছেস তোর জন্য আমার ভালোবাসা কতটা কষ্ট যন্ত্রণা সহ্য করেছে তার হিসাব আছে তোর কাছে। তোর কপাল ভালো আমার জানপাখি এখন সুস্থ আছে তা নাহলে তুই আজ এখানে না কবরে থাকতি। 


----তমাল তুই.. 

--তমাল:: হ্যাঁ আমি কেন অবাক হচ্ছিস কি ভেবেছিলি তুই আমার তুলিকে মারতে চাইবি আর আমি কিছু বলবো  না চুপ চাপ বসে থাকবো। 

--আশা:: তু...তুই কি বলছিস আমি কেন তুলিকে মারতে যাবো.....? আমি কিছু করি নাই বিশ্বাস কর 

তমাল:: বিশ্বাস আর তোকে কোন দিন না। 

--আশা:: তমাল আমাকে বাড়ি যেতে দে প্লিজ আমার শরীরে পচন্ড ব্যাথা করছে। 

--তমাল:: তুই আর কোন দিন বাড়ি যেতে পারবি না। এখানে এই অন্ধকার রুমেই তোকে মরতে হবে। 


--আশা:: তমাল প্লিজ এমন করিস না আমি মানছি আমি ভুল করেছি। কিন্তু তুলি তো এখন সুস্থ আছে আমি কথা দিচ্ছি আর তোদের দুজনে মধ্যে আসবো না আমি। 

--তমাল:: তুই এমনিতেও আসতে পারবি না আমাদের মধ্যে । তমাল একটা ধারালো ছুরি হাতে নিয়ে আশার দিকে এগোতে থাকে। আশা আতকে উঠে 

--আশা:: তমাল তোর হাতে ছুড়ি কেনো আর এদিকে আসছিস কেন তমাল ফেলে দে ওটা। 

--তমাল আশার দিকে এগিয়ে এসে ছুড়িটা দিয়ে আশার হাতে আঘাত করে আশা চিৎকার করে ওঠে। 

--তমাল:: খুব কষ্ট হচ্ছে তাই না কিন্তু কি করবো বল তুলির শরীর থেকে যে রক্ত ঝড়েছে তোর জন্য তোর শরীর থেকে ওই রক্ত বের না করা পযন্ত আমি শান্তি পাবো না। তমাল একের পর এক আঘাত করতে থাকে। আশা চিৎকার করতে করতে অজ্ঞান হয়ে গেছে। 


----তমাল কি করছিস কি তুই পাগল হয়ে গেছিস। 

তমাল পিছনে ঘুরে বলে

--তমাল:: তোরা এখানে কিরে......?? 

--অভি:: সকালে তোর সাথে কথা বলেয় বুঝেছি তুই কিছু জানিস আশার ব্যাপারে তার তোর নাম্বার ট্রেক্ট করে এখানে এসেছি। কেনো করছিস এমন ও মরে যাবে তো। 

--তমাল:: ওর বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই। ওকে তো মরতেয়ে হবে ও আমার তুলিকে মারতে চেয়েছিলো। 

--আশিক:: হ্যাঁ তুই ওকে পুলিশে দিতে পারতি কিন্তু কি করলি তুই এটা। 

--তমাল:: যা করেছি বেশ করেছি। 

--অভি:: আশিক আশাকে এখনি হাসপাতালে নিতে হবে তা নাহলে বিপদ হবে যাবে। 

--তমাল:: ওকে কোথাও নিতে হবে না আর তোরা চলে যা এখান থেকে। 

--আশিক:: চুপ করে থাক অনেক পাগলামো করেছিস এখন আর কিছু বলবি না তুই। 

--তমাল:: তোরা চলে যা এখান থেকে আমার কাজে বাধা দিতে আসবি না তাহলে খারাপ হয়ে যাবে। ( রাগে কটমট করে বলে ) 


--অভি:: আমি আশাকে নিয়ে যাচ্ছি তুই তমালকে দেখ। 

--তমাল:: অভি তুই ওকে নিয়ে যাবি না ও এখানেয় মরবে তিলে তিলে ( রক্ত চোখে তাকিয়ে ) 

অভি এক প্রকার জোড় করে আশাকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।  আশিক তমালকে বুঝিয়ে মাথা ঠান্ডা করায়। তমাল যেখান থেকে বেড়িয়ে বাড়িতে চলে যায়। 


-----১৫ দিন পরে -------


তুলি এখন পুরো পুরি সুস্থ। তমাল তুলির বিয়েটা যদিও আগে হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু তুলির অসুস্থতার কারনে তা সম্ভব হয় নি তাই বাড়িল লোক সিদ্ধান্ত নিয়েছে একে বারে বড়ো করে অনুষ্ঠান করেয় বিয়ে দিবে। তুলি এতো দিন যাকে মনে প্রাণে চেয়ে এসে তকে নিজের করে পেতে যাচ্ছে আর কিছু দিন পেরে এতে তুলির মনে প্রশান্তি ছেয়ে গেছে। তমালও তুলিকে নিজের করে পাওয়ার আনন্দে মুখরিতো। তুলির বিয়ের আর এক সপ্তাহ বাকি। 


--তুলি:: মি: তমাল আপনি ফ্রি আছেন.....?

--তমাল:: তা আছি। কিন্তু আমাকে দিয়ে আপনার কি কাজ শুনি....??

--তুলি:: আমার তো আপনাকে দিয়ে অনেক কাজ আছে। আর এখন আপনার কাজ হলো আমাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। 

--তমাল:: আমি এখন যেতে পারবো না কাল নিয়ে যাবো। 

--তুলি:: না আমাকে এখন নিয়ে যেতে হবে এখন মানে এখন। আমি রেডি হতে গেলাম আর তুমিও রেডি হয়ে নাও। বলে চলে যায়। 

--তমাল:: উফফফ এই মেয়েটা আমাকে পাগল বানিয়ে ছাড়বে। এখনি এই অবস্থা বিয়ের পর কি কি করবে আল্লাহ ভালো যানে। তমাল রেডি হয়ে গাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে। তুলির জন্য অপেক্ষা করছে। তুলি রেডি হয়ে তমালের সামে আসে তুলি আজ সাদা আর ব্লুর মধ্যে একটা শাড়ি পরেছে হালকা সেজেছে সাথে মেচিং করে চুড়ি পরেছে। কানে ঝুমকা চুলগুলো খোপা করেছে। তুলি এর আগে দু এক বার শাড়ি পরলেও তমাল ওর দিকে ফিরেও তাকাতো না। আর আজ তুলির দিক দিক থেকে চোখ সরাতে পারছে না। 


( গল্পটা ভালোলাগলে মেন আইডিতে গিয়ে লাইক কমেন্ট সেয়ার করে আসবেন। গল্প পরতে আইডিতে ফলো দিয়ে রাখুন। ধন্যবাদ। )


 


#চলবে 

#ভুল_ত্রুটি_মার্জনীয়

#তোর_ভালোবাসার_অপেক্ষায়

#রোদেলা_ইসলাম

No comments

Powered by Blogger.