গল্প মহীপতি পর্ব ৯
#মহীপতি👑
#লামিয়া_রহমান_মেঘলা
#পর্ব_০৯ (১৮+ এলার্ট)
খাওয়া শেষ হলে হৃদি গিয়ে বিছনার এক কোণায় শুয়ে পরে।
আরহাম হৃদিকে খাইয়ে বেরিয়ে গেছে আর আসেনি।
হৃদি শুয়ে ঘুমিয়ে যায়। এমনি মেয়েটা ঘুম কাতুর৷ ভীষণ ঘুমাতে জানে। ঘুমালে আর কিছু টের পায়না।
,
আরহাম নিজের অফিসের কিছু আর্জেন্ট কাজে ব্যাস্ত ছিল।
আরহামের স্টাডি রুমে ওর পারমিশন ছাড়া অন্য কারোর প্রবেশ নিষেধ।
রাত অনেক গভীর হয়েছে।
আরহাম নিজের কাজের প্রায় শেষ প্রান্তে।
এমন সময় রুমের দরজা ঠেলে একজন প্রবেশ করে।
আরহাম ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে সামনে তাকায়।
রোজিকে দেখে মেজাজ টা বিগড়ে যায়।
রোজি এই ঠান্ডার সময় একটা সর্ট নাইট ড্রেস পরে আছে। তার গলাটা কতটা ডিপ।
এই রকম ভাবে সেজে যদি যদি হৃদি আরহামের সামনে আসত। আরহাম নিশ্চিত ওর কন্ট্রোল হারিয়ে ফেলত।
রোজি ভীষণ সেক্সি মুভস এর সাথে আরহামের দিকে এগোচ্ছে।
তবে আরহাম ওর দিকে এক নজর তাকিয়ে নিজের চেয়ার থেকে উঠে সোজা দরজার দিকে চলে আসে।
" আমার পারমিশন ছাড়া আমার স্টাডি রুমের আশেপাশে আসলে এরপর থেকে এ বাড়িতে থাকার আশা ছেড়ে দেও। আজ প্রথম বার তাই ছেড়ে দিলাম। "
কথাটা বলে আরহাম বেরিয়ে যায়।
রোজি যা ভেবে এসেছিল সব গুলিয়ে গেল।
রোজি ভীষণ রেগে নিজের রুমে চলে যায়।। আরহাম রুমে এসে হৃদিকে ঘুমাতে দেখে হৃদির কাছে এগিয়ে যায়।
মেয়েটা ঘুমিয়ে আছে।
আরহাম হৃদিকে, রোজির পরা পোশাক টায় কল্পনা করতে থাকে।
আরহামের সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র কল্পনাতেই এই মেয়ে তাকে শক্ত কাঠ বানিয়ে দিয়েছে। আর সত্যি হলে কি হবে ভাবতেই সিউরে উঠছে আরহাম।
আরহাম হৃদির কাছে গিয়ে হৃদির পাশে শুয়ে পরে।
হৃদি এখনো ঘুম।
আরহাম হৃদির গলায় নাক ডোবায়।
হৃদিও ঘুমের মাঝে আরহামের দিকে ঘুরে আরহাম কে জড়িয়ে ধরে।
এটা আরহামের চাওয়াকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
হৃদির গালে চুমু খায় আরহাম।
হৃদির কোন হুস নেই।
আরহাম ধিরে ধিরে এক হাত হৃদির জামার ভেতর নিয়ে যায়।
জমার ভেতর দিয়েই হৃদির বুকে হাত নিয়ে যায়।
হৃদি একটু নড়েচড়ে ওঠে।
তবে আরহামের কোন থামা থামি দেখা যাচ্ছে না। সে তার মত কাজ করে যাচ্ছে।
আরহাম খেয়াল করল হৃদির জামাটা তাকে বড্ড বাঁধা দিচ্ছে।
এখন তার আর তার শখের নারীর ভেতর একটাই দেয়াল সেটদ হলো এই জামাটা।
আরহাম ঠিক করে কল থেকে তার বউকে সে রাতে নাইট ড্রেস পরে শুতে দেবে।
এসব পরতে দেবে না।
আরহাম হৃদির জামাটা এক পাশ থেকে সরিয়ে নেয়।
হৃদির ঘাড়ে মুখ গুঁজে নেয়।
হৃদির আরহামের ছোঁয়ায় কেঁপে ওঠে,
হৃদি আরহামের অত্যাচারে আর ঘুম থাকতে পারল না। সে চোখ খুলে দেখে আরহাম তার উপরে নিজের বিচরণ চালাচ্ছে,
" উহ ছাড়ুন। "
" কেন?"
" কেন মানে!"
হৃদি চোখ রসগোল্লা করে আরহামের দিকে তাকায়।
" তুমি আমার বউ তোমায় ছোঁয়ার অধিকার আমার আছে। "
" রাত অনেক হয়েছে। আমার ঘুম পাচ্ছে। "
" কিন্তু আমার চোখে ত ঘুম নেই জান। "
" না ঘুম আছে। ঘুমান আপনি। "
হৃদি আরহাম কে টেনে শুইয়ে দেয়। আরহামের চোখে হাত দিয়ে বলে,
" ঘুম আছে। "
" না ঘুম নেই। "
আরহাম হৃদির উপরে চলে আসে।
"ছাড়ুন প্লিজ। "
"জানো কি হয়েছে? "
" কি?"
" রোজি আমার স্টাডি রুমে এসেছিল সুন্দর একটা সর্ট ড্রেস পরে। ওকে এত সেক্সি লাগছিল। কিন্তু ওকে পাত্তা না দিয়ে আমি রুমে চলে এসেছি। এখন মনে হচ্ছে ভুল করেছি। ওকে পাত্তা দেওয়া উচিত ছিল। কি বলো? যাই ওর কাছে? "
আরহাম কথাটা বলে যখনই হৃদির উপর থেকে উঠতে যাবে তখনই হৃদি আরহাম কে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে।
" না যেয়েন না। "
" কেন যাই না। গেলে কি সমস্যা? "
" না সমস্যা নেই। "
" সেটাই বলছি সমস্যা নেই যাই। "
" আমি ওই সমস্যার কথা বলিনি। আমি বলেছি আমার সমস্যা নেই!"
" কি বললে জান আবার একটু পরিষ্কার ভাষায় বলো। "
" আমার সমস্যা নেই। "
আরহাম আর হৃদিকে টিস করেনা। হৃদির ঠোঁট আকড়ে ধরে।
গভীর চুমুতে হৃদিও কেমন মাতাল হয়ে যাচ্ছে।
হৃদির আজকে ঔষধ ছাড়াই মাতাল মাতাল ঠেকছে।
আরহাম, হৃদিকে চুমু৷ খাওয়া অবস্থায় জামা খুলে ফেলে এক পাশ থেকে।
হৃদি কেঁপে ওঠে।
আরহাম হৃদির ঠোঁট ছেড়ে উঠে বসে।
হৃদি নিশ্বাস নিচ্ছে জোরে জোরে।
এতে করে ওর বুক ওঠানামা করছে।
আরহাম তার ব্যাক্তিগত নারীর রূপে মুগ্ধ।
হৃদির সামনে পুরো দুনিয়ার সব নারী ফ্যাকাশে তার কাছে।
এই শান্তি সে চিরজীবন পেতে চায়।
হৃদির অন্তর্বাস খুলে ফেলে আরহাম।
মেয়েটার শরীর শীতে কুঁকড়ে ওঠে।
আরহাম কম্ফোর্ট টা টেনে দু'জনের উপরে দেয়।
হৃদির গলায় চুমু খেতে খেতে আরহাম, হৃদির পুরো শরীরে নিজের দাঁতের কারুকাজ আঁকতে থাকে।
হৃদি শব্দ ওঠে বার বার।
ওই শব্দ আরহামের কানে কোন রোমান্টিক মিউজিক এর মত বাজে।
" মাই গার্ল জাস্ট মাইন। "
" আহ........ স স্লো। "
আরহাম হৃদির হাত দুটো নিজের এক হাতে বন্দি করে নেয়।
হৃদির ঘেমে যাওয়া মুখটা। আর এলোমেলো চুল গুলো। যখন তার নিচে পরে থাকে তখন আরহামের ভীষণ ভালো লাগে।
এই দৃশ্য দেখার জন্য হলেও বার বার ব্যাক্তিগত নারীকে সে নিজের কাছে চায়।
আরহামের চাওয়া আরও বাড়ছে হৃদিকে দেখে।
হৃদির মায়াবী মুখ খানা দেখে।
আরহাম খানের ও এমন অনুভুতি হয় কারোর জন্য। এটা সে ভাবতেও পারত না কিছু দিন আগ পর্যন্ত।
মেয়েটা তার জীবনে একটা বিচ বুনে দিয়েছে যা থেকে গাছের বাহারে পুরো একটা গার্ডেন তৈরি হয়েছে।
আরহাম চাইলেও সেই গাছ উপড়ে ফেলতে পারছে না।
,
,
রাতের শেষ প্রায়।
এমনি থেকেও আরহাম রুমে এসেছিল প্রায় রাত ২ টার সময়।
আর তখন থেকে হৃদিকে জ্বালিয়ে মারছে।
" ছাড়ুন। আর হচ্ছে না। "
আরহাম এবার হৃদিকে ছাড়ে। যদিও নিজেকে সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাও
প্রিয়তমার প্রথম প্রথম কষ্টের কথা চিন্তা করে আরহাম হৃদিকে ছেড়ে দেয়।
,
ঠান্ডার সময়। এখন ঠান্ডা পানি দিয়ে হৃদি মোটেই গোসল করতে চায়না।
" না তোমায় আমি ঠান্ডা পানিতেই চুবাব। "
" না...... প্লিজ। ".
হৃদির কান্না কান্না চোখ দেখে আরহাম নিজের হাসি কন্ট্রোল করতে পারেনা৷
হৃদির চোখে চুমু খায় আরহাম।
" গিজার আছে। কত গরম লাগবে পানি?"
কথাটা বলে আরহাম হৃদিকে নিয়ে বাথটাবে বসিয়ে দেয়।
গরম পানি পেয়ে হৃদি চোখ বন্ধ করে নেয়।
আরহাম হৃদিকে গোসল করিয়ে নিজেও ফ্রেশ হয়ে নেয়।
হৃদিকে পাজকোলে তুলে বিছনায় শুইয়ে দেয়।
নিজেও হৃদির পাশে শুয়ে পরে।
হৃদি সেই কখন ঘুমিয়ে গেছে।
আর হৃদিকে বুকে নিয়ে আরহাম ও ঘুমিয়ে যায়।
,
,
অন্য দিকে রোজির ফোনে একটা আলাদা নাম্বার থেকে ফোন আসে।
রোজি সেটা দেখে ফোনটা পিক করে,
" হ্যালো।, "
" ম্যাডাম কেমন আছেন?"
" ভালো। আপনি কে?"
" আমাকে চেনা আর না চেনা দুটোই সমান। তবে আপনার সঙ্গে আমার একটা কোলাব হতে পারে। "
" কিসের কোলাব? "
" অবশ্যই একটা কাজের কোলাব। "
" কে আপনি?"
" ইরফান খান। "
" ওহ! তা মিস্টার. ডুবলিকেট খান। বলুন কি কোলাব।?"
" ডুবলিকেট খান নয়। আমারো তত টাই অধিকার আছে যতটা আরহামের আছে। "
" আমারত সেটা মনে হয় না। যাই হোক আপনি যেহেতু ফোন করেছেন অবশ্যই কোন কারণ আছে। "
" কারণ ত আছে। কারণ অবশ্যই আছে।
আসলে.........
...........
........।বুঝতে পেয়েছেন?"
" হ্যাঁ পেরেছি। মন্দ বলেন নি কিন্তু। "
" মন্দ বলাটা আমার সভাবে নেই। "
" ঠিক আছে। কাল তাহলে দেখা করি? "
" হুম দেখা করি কাল দেখা করি। "
" ওকে বাই। "
" বাই। "
রোজি হাসে।
" বাহ আমার রাস্তা এখন আরও সোজা। বাবাকে বিষয়টা জানাতে হবে। "
চলবে?
No comments